নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তন কি আসলেই ঘটে? কেন ঘটে?

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৫


সব জীবই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। বিবর্তনবাদ হচ্ছে জীববিদ্যার সব শাখার অন্যতম ভিত্তিমূল, একে ছাড়া জীববিদ্যাই অচল হয়ে পড়বে। জীব স্থির নয় বরং বিবর্তনের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তন ঘটে আসছে, তাদের কাউকেই পৃথক পৃথকভাবে তৈরি করা হয়নি। তারা সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তন বা পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। প্রকৃতিতে বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানত এই পরিবর্তনগুলো ঘটে থাকে। ম্যাক্রো-বিবর্তনের মাধ্যমে পূর্বসুরী প্রজাতি থেকে নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটতে হাজার, লক্ষ এমনকি কোটি বছর লেগে যেতে পারে। প্রজাতি হচ্ছে এমন এক জীবসমষ্টি যারা নিজেদের মধ্যে প্রজননে সক্ষম, অর্থাৎ তারা অন্য প্রজাতির সাথে প্রজননগত দিক থেকে বিচ্ছিন্ন। বিবর্তন ঘটে অত্যন্ত মন্থর গতিতে, প্রাকৃতিক নির্বাচন, মিউটেশন, জেনেটিক ড্রিফট, ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা, বংশীয় বা জেনেটিক রিকম্বিনেশনসহ বিভিন্ন কারণে প্রজাতির মধ্যে ছোট ছোট পরিবর্তন বা মাইক্রো-বিবর্তন ঘটতে থাকে। আর বহু মাইক্রো-বিবর্তনের মাধ্যমে ঘটা সম্মিলিত পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে এক সময় প্রজাতি বা প্রজাতিটির একটি অংশ অন্য আরেকটি প্রজাতিতে পরিণত হয়। অনেক সময় মেগা বিবর্তন বা বিবর্তনে উল্লম্ফন ঘটে। এগুলো এক প্রজন্মে ঘটে না, বিশেষ কোন সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ বছরের পরিবর্তে হাজার হাজার বছর লাগে এই তড়িৎ বিবর্তনগুলো ঘটতে। প্রজাতির উদ্ভব বা জীবের ম্যাক্রো-পরিবর্তনের তত্ত্বটি আজকে ফসিল রেকর্ড ছাড়াও আধুনিক বিজ্ঞানের বহু শাখার সাহায্যে বহু উপায়ে পরীক্ষা করা যায়। কোন পর্যবেক্ষণ যখন বারংবার বিভিন্নভাবে প্রমাণিত হয় তখন তাকে আমরা বাস্তবতা বা সত্য বলে ধরে নেই।

পানির মাছ থেকে স্থলচর চারপায়ী প্রাণীর বিবর্তন কিংবা সরীসৃপ থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিবর্তনের প্রত্যেকটি ধারাবাহিক ধাপের অসংখ্য ফসিল পাওয়া গেছে। ফসিল রেকর্ডে উভচর প্রাণীর উৎপত্তির আগে কোন সরীসৃপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না আবার সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত এমন কোন স্তরে এমন একটি অদ্ভুত ফসিল পাওয়া যায়নি যা দিয়ে বিবর্তন তত্ত্বের ধারাবাহিকতাকে ভুল প্রমাণ করা যায়। মানুষ এক ধরনের বনমানুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে, এখন যদি দেখা যায় বনমানুষ জাতীয় প্রাইমেট তো দূরের কথা স্তন্যপায়ী প্রাণী উৎপন্ন হওয়ার অনেক আগে সেই ক্যামব্রিয়ান যুগেই মানুষের ফসিল পাওয়া যাচ্ছে তাহলেই বিবর্তনের তত্ত্ব ভেঙ্গে পড়বে। এককোষী প্রাণী, বহুকোষী প্রাণী, মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ফসিলগুলো তাদের বিবর্তনের ধারাবাহিক স্তর ছাড়া অন্য পূর্ববর্তী কোন স্তরে পাওয়া যায়নি। আধুনিক জেনেটিক গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, শিম্পাঞ্জীর জিনের সাথে মানুষের জিন ৯৯% মিলে যাচ্ছে আর ডিএনএ-এর সন্নিবেশ এবং মুছে যাওয়া ধরলে এই মিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৬%। মানুষ এবং শিম্পাঞ্জী প্রায় ৬০ লক্ষ বছর আগে একই পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এডেনিন, গুয়ানিন, থাইমিন ও সাইটোসিন দিয়ে সকল জীবের ডিএনএ গঠিত অর্থাৎ সকল জীবের উৎপত্তি একই উৎস থেকে বিবর্তিত। জীব জগতে গড়ে ১.৭৬ কোটি বছরে একটি এমাইনো এসিড প্রতিস্থাপিত হয়েছে। প্রাণী ও উদ্ভিদ একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ৭৯.২ কোটি বছর আগে। সরিসৃপ ও স্তন্যপায়ীদের পৃথক হতে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ কোটি বছর।

সাড়ে চারশ কোটি বছর আগে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীর উৎপত্তি ঘটে। অগ্নিগোলক থেকে প্রাণের উৎপত্তির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হতে লেগে যায় শত কোটি বছর। এসময় আদিম ও সরলতম অকোষী জীবের আবির্ভাব ঘটে। সেটাই প্রাণের ইতিহাসের সূচনা, ওখান থেকেই শুরু হয় বিবর্তনের ইতিহাস। এই ইতিহাসের এখন পর্যন্ত শেষ ধাপে মাত্র এক লক্ষ বছর আগে মানুষের উদ্ভব হয়েছে। আধুনিক মানুষের রূপ এসেছে মাত্র ৫০ হাজার বছর আগে। দেড় লাখ বছর থেকে ৫০/৬০ হাজার বছর আগ পর্যন্তও পৃথিবীতে মানুষের ভিন্ন প্রজাতির বাস ছিল। মাত্র ৫০/৬০ হাজার বছর আগেও ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেন্স দ্বীপে বাস করতো ১ মিটার উচ্চতার ভিন্ন প্রজাতির বামন মানুষ হবিট। তাদের ৭ লাখ বছর আগেকার পূর্বপুরুষদের ফসিল গবেষণা করে জানা যায়, এ দ্বীপে প্রথম পা ফেলা স্বাভাবিক আকৃতির মানবেরা মাত্র তিন লাখ বছরের মধ্যেই ১ মিটার উচ্চতার হবিট হয়েছিল।

৮০ লাখ থেকে ৪০ লাখ বছর আগে এক ধরনের বানর প্রজাতি দুই পায়ের উপর ভর করে দাঁড়াতে শেখে। এই যে সাড়ে তিনশ কোটি বছর ধরে প্রাণের পরিবর্তন অনবরত ও আকস্মিকভাবে ঘটছে তার নিদর্শন পাই মাটির বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণির ফসিল থেকে। ম্যামথ আর ডাইনোসারদের আমরা পেয়েছি ফসিল থেকেই। ওই যুগের কোন প্রাণিই এখন পৃথিবীতে নেই। আবার উল্টোও বলতে পারি আজকের পৃথিবীর কোন প্রাণীই ডাইনোসদের যুগে ছিল না। একটি হাতিকেও আমরা ম্যামথদের সাথে চলতে দেখিনি, আজকের হাতিদের সাথে একটি ম্যামথও চলে না। এখনতো শুধু ফসিল নয়, ডিএনএ বিশ্লেষণ করেও বহু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানের আরো বহুদিক দিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিবর্তনের প্রায় অভিন্ন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। এ থেকেই বলা হয়, পৃথিবীর সব প্রাণীই একই আদি জীব বা পূর্বপুরুষ থেকে কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপত্তি হয়েছে। তারমানে জীবজগৎ স্থিতিশীল নয় বদলে যাচ্ছে। এটাই বিবর্তন। কোটি কোটি বছরের এই বিবর্তনই জীবের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে। তৈরি হচ্ছে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির। এই বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ঘটে। কখনো আকস্মিক বড় পরিবর্তন ঘটে কখনো অতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়। তারমানে উচু গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে জেব্রারা জিরাফ হয়নি। প্রাকৃতিক নির্বাচনেই আদি কোন প্রাণি থেকে বিবর্তন হয়ে জিরাফ হয়েছে, জেব্রা হয়েছে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মগুলো মানুষের ইতিহাসকে বিচার করে কৃষিকাল থেকে।বড়জোর আট দশ হাজার বছর থেকে,
ওল্ড টেষ্টামেন্ড থেকে।তার আগে যে হাজার হাজার বছর পার করে আসছে তার খবর নাই,জানার কথাও না।কারন সেটা জানে বিজ্ঞান।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্মান্ধরা আবিস্কার করে বসে আছে যে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ৪০০৪ খৃষ্টপূর্বাব্দে! হাস্যকর দাবি অথচ আমরা তাদের মিথ্যা বলাকেও মেনে নেই ও পৃষ্ঠপোষকতা করি।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৭

কানিজ রিনা বলেছেন: এখন আমি যদি বলি বিজ্ঞান একটা ধর্ম তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করবেন? আপনার বিশ্বাসটাও একটা ধর্ম তাই নয় কি? তাহলে এবার শুনুন আপনার মস্তিষ্ক ও আমার মস্তিষ্ক সমান ভাবে সৃষ্টি না নিশ্চয়ই? কারণ আমি ধর্মে বিশ্বাস করি বা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি, কিন্তু আপনি করেন না এইটাই হল বিবর্তন।
একজন প্রকৃত ধার্মিক হতে হলে তাকে বিজ্ঞান জানতে হবে, তা না হলে সে কখনোই ধার্মিক হতে পারবে না।
এখন চিন্তা করুন প্রকৃতির একটা শামুক-ঝিনুক একটা কেঁচোও প্রকৃতির উন্নতি সাধনে কাজ করে। যেমন কেঁচো জাতীয় অনেক পোকা মাটিকে উর্বর রাখে। ঝিনুক পানি ঠান্ডা ও পরিষ্কার রাখে। প্রকৃতির এসব চিন্তা ভাবনাই
বিজ্ঞান তাই নয় কি?
আর বিবর্তনের ব্যাখ্যা যেমন ধরুন আম কত ধরনের কত জাতের আছে। এই আমের বীজটা কখন কিভাবে কোথা থেকে কোন বীজ থেকে এসেছে আর তা কত কোটি বছর আগে, জীববিজ্ঞান কিন্তু এখনো এর সদ উত্তর দিতে পারেনাই। এরকম হাজার হাজার ফল-ফ্রুট এর বীজ
কখন কিভাবে এসেছে তার উত্তর বিজ্ঞান দিতে পারবে না।

আম-কাঁঠালের অনেক রকম জাত হয় এবং সব ফলের
ফুলের নানান রকম জাত প্রভেদ আছে। সেটাও তো বিবর্তন তাই নয়? ধরেন বাঘের মাসি বিড়াল

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞান কোন অন্ধ বিশ্বাসের জায়গা নয়, এখানে অলৌকিকতা বলে কিছু মানা হয় না ফলে বিজ্ঞানকে কোনভাবেই ধর্ম বলা যায় না। বিজ্ঞানের সব আবিস্কার হয়ে যায় নি। আরো লক্ষ লক্ষ বছরে কোটি কোটি কিছু আবিস্কার হবে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৪

কানিজ রিনা বলেছেন: মানুষের মাসী বানর জাতীয় প্রাণী এরকম অসংখ্য প্রাণী আছে। আর এইসব অসংখ্য প্রাণীর প্রকৃতির সৃষ্টি কত রহস্য সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতে জ্ঞান পরিধির প্রসার ঘটে।
আর সৃষ্টিকর্তার সুনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে সুনিপুণ প্রক্রিয়ায় এমন ঘটে থাকে। আপনি বিশ্বাস করেন না, আমি বিশ্বাস করি কারণ মানুষের মস্তিষ্ক ও বিবর্তনের মাধ্যমে নানান রকম বিশ্বাসী অবিশ্বাসী জন্ম হয়।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: পরের পোস্টটিতে এসব নিয়ে লিখেছি। অন্ধবিশ্বাসী নয় বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া দরকার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন। তবে এই বিবর্তন ধার্মিকগন সহ্য করিতে পারিবে না।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: কেউ অকাট মূর্খ থেকে যেতে চাইলে কিছুই করার নেই। আমাদের দায়িত্ব রয়েছে মানুষকে সচেতন করার, সত্যটা বলার।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:০০

স্প্যানকড বলেছেন: আপনি বিবর্তন নিয়া যেমনে নাড়াচাড়া শুরু করছেন সেই মতে আপনি মানেন আপনার পুর্বপুরুষ বান্দর ছিল। রাইট! এহন আসি ডারউইন বিষয়ে। ডারউইন কে ছিল জানেন? সে ছিল ইরাসমাউস ডারউইন এর নাতি। সে একজন ফ্রিম্যাসন। এহন আপনি ফ্রিম্যাসন কি তা পড়েন। এই ডারউইন এর দাদা ডারউইন এর আগে তার কবিতায় এই ইভোলিউশন তথ্য দিয়ে গেছেন। আপনার কথা মতে যদি বান্দর থেকে মানুষ হয় তাইলে মিরপুর চিড়িয়াখানার বান্দর গুলি এতদিনে বান্দর হয়ে যেত তাই নয় কি! এহন আপনে কন বান্দর কইতে আইল? আসলে এমন একটা থিউরি যা বিশ্বাস মানে আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়া প্রশ্ন। মানে আল্লাহ বলতে কেউ নাই। এমনি সব হইয়া গেছে। শয়তান এইটা চায়। তাই এই মতবাদ যত মানুষ বিশ্বাস করবে তত আল্লাহর অস্তিত্ব কে অস্বীকার করবে ( নাউজুবিল্লাহ ) শেষ করছি এই বলে দুনিয়ার ১০০০ বিজ্ঞানী ডারউইন এর এই মতবাদ কে চ্যালেঞ্জ করছে এমন কি বিশ্বাস করে না। ভালো থাকবেন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: বানর থেকে মানুষ হয়েছে এই দাবি করতো দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। তিনি মিথ্যাচার করে এসব বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিবর্তনবাদকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। আপনাদের মতো লোকদের ঠিকই বিভ্রান্ত করতে পেরেছেন।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:১৯

স্প্যানকড বলেছেন: দুঃখিত! ভুল হইছে কইতে চাইছিলাম " মিরপুর চিড়িয়াখানার বান্দর গুলি এতদিনে মানুষ হয়ে যাওয়ার কথা। "

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: বানর নিজেই বিবর্তিত হয়ে বানর হয়েছে।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে এমাইনো এসিড+পানি
তারপর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব
এরপর এমিবা
তারপর স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।
মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। বহুভাগে বিভক্ত বিলুপ্ত হয়ে .. একটি প্রজাতি প্রায় ২০ লাখ বছর আগে হোমোসেপিয়েন্সের মত প্রানীর আবির্ভাব। ধর্মহীন সমাজহীন ভাবেই ...

আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে,
ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, মাদূর তৈরি টেক্সটাইল বস্ত্র বুনন, পরে পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয় পায়, ভাবে কেউ কিছু করছে কিনা। কিন্সু নেতা গোছের কিছু চতুর বুজুর্গি দেখায়। কিছু সমাজপ্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়। এরপর সমাজ গোত্র বড় হয়, একসময় গোত্রের মাস্তান চতুররা নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করা শুরু করে, একজন তো নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! এভাবেই মুলত মানব মননে ঈশ্বরের আবির্ভাব।

বড় ধর্মগুলোর উদ্ভব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, প্রায় একই সময়ে পুর্ব এশীয়াতে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র সেদিন, দেড় হাজার বছর আগে।

তবে এটা সত্য যে সভ্যতা ও সমাজগঠনের সুরুতে ধর্মের কিছুটা ভুমিকা ছিল, ধর্মের দরকার ছিল।
বর্তমান বিদ্যমান বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় কাঠামোতে ধর্মের কোন স্থান নেই। পুর্ন খ্রিষ্টান রাষ্ট বা সম্পুর্ন শরিয়া আইন ভিত্তিক কোন রাষ্ট্র আজও গঠন করা সম্ভব হয় নি হাজার বছরেও।
তবে ধর্মের প্রয়জনিয়তা এখনো আছে। আরো কিছুদিন থাকবে।
কোন বিভেদ হাঙ্গামা না করে যার যার ধর্ম নিরবে পালন করে যাওয়া উচিত। কেউ আংশিক পালন বা পালন না করতে চাইলেও বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
সমাজকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার দায়িত্ব সচেতন মানুষের। বিজ্ঞানমনস্ক ও সচেতন মানুষই সমাজকে সুন্দর করে রাখতে পারবে। হিংসা-বিদ্বেষের ফেরিওয়ালারা পারবে না।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৪

কানিজ রিনা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী, ঠিকই বলেছেন, ধর্মে বিশ্বাসীরা ধর্ম পালন করুক তা নীরবে, ধর্মবিশ্বাসীরা বেশ বাড়াবাড়ি রকম চেঁচামেচি করে, সেটাও ঠিক না তেমন অবিশ্বাসীরাও
বাড়াবাড়ি তর্ক বিতর্ক করাও ঠিক না। যার যার বিশ্বাস নিয়ে চলুক না তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা কখনই ঠিক নয়।
আমি তো বলি উগ্র আস্তিক নাস্তিক উভয়ই একই টাকার
এপিঠ ওপিঠ। এসব উগ্র আস্তিক নাস্তিকের কারণে যতসব অশান্তি।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: তর্ক নয়, বিতর্ক করতেই চাই- নইলে সমাজ এগিয়ে যাবে কিভাবে?

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৪

ডাব্বা বলেছেন: যে বিজ্ঞান প্রতিদিন বদলে যায় আপনি তাকে আঁকড়ে ধরতে বলছেন? আমি যদি একেকদিন একেক কথা বলি আপনি আমাকে বিশ্বাস করবেন? বিজ্ঞান তো একটা টুল মাত্র। আধুনিক হওয়ার সাথে বিজ্ঞানে বিশ্বাসের কী সম্পর্ক? 'আধুনিক' বিষয়টিও আপেক্ষিক। বিজ্ঞান এখনো তার শৈশবে। এই শৈশব ব্যাপারটাও আপেক্ষিক। কারণ শেষটা তো আমাদের জানা নেই। এমন ভঙ্গুর, শিশুসুলভ একটি টুলস এর কাছে কয়েক বিলিয়ন মানুষের বিশ্বাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে?



১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রতিদিন বলদে যায় তা নয়, প্রতিদিন অগ্রগতি হয়। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা মাত্র ৫শ বছর। দেখুন মাত্র ৫শ বছরে বিজ্ঞান বিশ্বকে কোথায় নিয়ে গেছে। সেই বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে কোন কোন মিথ্যাকে আঁকড়ে থাকবো?

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:২৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিবর্তনের উদাহরণের অভাবে নেই এই জগতে। কিছু বিবর্তন হয়েছে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে আর কিছু ঘটে অপেক্ষাকৃত দ্রুত। ভাইরাসের মিউটেশনতো অতি স্বাভাবিক বর্তমান যুগে। আমাদের চোখের সামনেই দেখতে পাই পিচ ফলের প্রাকৃতিক বা জেনেটিক রূপান্তরের ফল হচ্ছে নেকটারিন। প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে চীনে পিচের ন্যাচারাল মিউটেশনের ফলে সৃষ্টি নেকটারিন যার একটি জিনের পার্থক্য রয়েছে রয়েছে পিচের সাথে। এর কারণে এর খোসা মসৃন, পিচের মতো সাদা রোঁয়া অনুপস্থিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.