নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রয়েল বেঙ্গল টাইগার কেন অষ্ট্রেলিয়ায় নেই?

১০ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭


বিবর্তনের মূল কথা হল, কোন প্রজাতিই চিরন্তন বা স্থির নয়, বরং এক প্রজাতি থেকে পরিবর্তিত হতে হতে আরেক প্রজাতির জন্ম হয় অর্থাৎ পৃথিবীর সব প্রাণই কোটি কোটি বছর ধরে তাদের পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হতে হতে এখানে এসে পৌঁছেছে। এক প্রজাতি অন্য প্রজাতিতে বিবর্তন প্রথম বুঝতে পারেন, ফরাসী জ্যাঁ ব্যাপ্তিস্তে ল্যামার্ক। কিন্তু কিভাবে বিবর্তন ঘটে তিনি তার ভুল ব্যাখ্যা দিলেন। চার্লস ডারউইনই প্রথম বুঝতে পারেন প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিষয়। ডারউইন বিবর্তনবাদের ধারণা নিয়েছেন পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের কাছ থেকেই, তাদের অন্যতম চার্লস লায়েল। আগে ধারণা ছিল, ভূ-প্রকৃতি ও প্রাণীজগত স্থিতিশীল। লায়েলের সদা-পরিবর্তনশীল ভূ-প্রকৃতির ধারণাই যে সঠিক তা ডারউইন বিগল জাহাজে দীর্ঘদিন বিশ্বপরিভ্রমণ করে বুঝতে পারেন। এই উপলব্ধিই তাকে প্রাণের বিবর্তন সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। টমাস ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব পাঠ করেও ডারউইন প্রাণিকূলের প্রকৃতিতে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার উপর চিন্তা ভাবনা শুরু করেন।

কাছাকাছি ধরনের প্রজাতিরা সাধারণত খুব কাছাকাছি এলাকায় বাস করে কারণ তারা এক সময় একই পূর্বপুরুষ থেকে পরিবর্তিত হতে হতে বিভিন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণিগুলোর দিকে তাকালে বিস্মিত হতে হয়, একেক দেশে একেক রকম প্রাণি। বাংলাদেশের রয়েল বেঙ্গল টাইগার কেন অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকায় নেই আবার ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশে নেই। এতে মনে হয় একেক বিচ্ছিন্ন স্থানে একেকভাবে প্রাণের বিবর্তন হয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে রাশিয়ায় বহুপ্রাচীন কিছু বীজ পাওয়া যায়। ওই বীজ থেকে উৎপন্ন গাছে যে ফুল হয় তা বর্তমান পৃথিবীতে নেই। তার মানে ওই গাছ বদলে গেছে, বিবর্তন হয়েছে। ভুতাত্ত্বিক পুরাতন স্তরে পাওয়া যায় পুরাতন আমলের প্রাণীর ফসিল। এই ধারাবাহিকতার কোন ব্যতিক্রম নেই। এক স্তরে প্রাপ্ত কোন প্রাণীর ফসিল পরবর্তী স্তরে পাওয়া যাচ্ছে না, তার পরিবর্তে যে ফসিল পাওয়া যায় তা থেকে বুঝা যায় আগের প্রাণী বিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ ঘণিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত প্রজাতিরা বিবর্তনের মাধ্যমে একে অন্যকে প্রতিস্থাপিত করেছে। দুটি এলাকা যদি দীর্ঘকাল ধরে বিচ্ছিন্ন থাকে, তাদের মাঝে মহাসমুদ্র, খুব উচু পর্বতশ্রেণি থাকে তাহলে তাদের স্থানীয় জীবজন্তু, গাছপালাগুলো স্বতন্ত্রভাবে বিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ক্রমাগতভাবে চলতে থাকে এবং দীর্ঘকাল পরে দুই অঞ্চলের প্রাণীদের মধ্যে ভিন্ন প্রজাতি পরিলক্ষিত হবে। এই প্রাণের বিবর্তন ঘটছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমেই। ল্যামার্কের ভুলটাও ছিল এখানেই। অনেকে এখনো ল্যামার্কের এই ভুলকেই বিবর্তনের কারণ বলে মনে করেন।

মেরুভাল্লুক কেন মেরু অঞ্চলেই জন্মেছে? প্যাঙ্গুইন কেন বরফের উপর বাস করে? মেরুভাল্লুকের চামড়া পুরু ও লোম সাদা। চামড়ার নিচে পুরু চর্বির স্তর থাকে। এসব কারণে এরা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় টিকে থাকে। শীতের শুরুতে এদের চামড়ার চর্বিস্তর আরও বেড়ে যায়। ফলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এরা বাস করতে পারে। এরা ভাল সাঁতরায় আবার এদের থাবাও অনেক বড়। আবার পেঙ্গুইন বাস করে দক্ষিণ মেরুবলয়ের আশেপাশে। এরা বরফের উপর থাকে, দিবাচর ও সমুদ্রবাসী। সাঁতরে তাড়া করে মাছ শিকার করতে পটু তবে হাঁটতে ঠিকমতো পারে না। ডানার সাহায্যে বরফের উপর দিয়ে চলে। বুক পেট ধবধবে সাদা, বাকি শরীর কালচে নীল। সহজভাবে মনে হবে মেরুভাল্লুক চামড়া পুরু, চর্বির স্তর ও সাদা লোম নিয়ে জন্মেছে ওখানে শীত বলেই। বাস্তবিক তা নয়। বিবর্তনের কোন লক্ষ্য থাকে না। ধরা যাক মেরু ভালুকের আগের প্রজাতি থেকে তিন ধরনের প্রজাতির উদ্ভব হল- ১) গায়ের লোম হালকা, কাল, শরীরে চর্বির স্তর কম, ২) গায়ের রং সাদা, লোম মাঝারি ঘণ, চর্বির স্তর কম এবং ৩) গায়ের রং সাদা, চামড়া পুরু, লোম ঘণ ও শরীরে চর্বির বেশি। তাহলে জীবন সংগ্রামে সুবিধা পাবে কত নং? অবশ্যই - ৩ নং শ্রেণি। আরো বিভিন্ন ধরনের মেরুভাল্লুকের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন ওই পরিস্থিতিতে। এভাবেই বিবর্তনে যারা সুবিধা পায় তারাই টিকে যায় জীবন সংগ্রামে।

অষ্ট্রেলিয়ার প্রাণীদের আর কোথাও দেখা যায় না। ক্যাঙ্গারুতো এখন বিপুলই কিন্তু ক্যাঙ্গারুর মতো দেখতে ওয়ারাবিরাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির প্রাণী ছিল। তারা একই প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছিল। অষ্ট্রেলিয়াতে লাল শেয়াল ও ডিঙ্গো নামের এক ধরনের কুকুর ইউরোপ থেকে আনা হয়েছিল। অথচ এগুলো আদিতে এখানে ছিল না। এখন ভালই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কিন্তু তারা কেন ছিল না? অথচ শেয়াল, কুকুর, নেকড়ে জাতীয় অনেক রকম প্রাণি রয়েছে ইউরোপে। গত বছর অষ্ট্রেলিয়ায় হাজার হাজার উট হত্যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছিল। ১৮৪০ সালের আগে ওখানে কোন উট ছিল না। ওই দশকে প্রথম উট আমদানি করা হয়। ভারত থেকেই ২০ হাজারের বেশি উট আমদানি করা করেছিল। আজ সেই উট নিয়ে অষ্ট্রেলিয়া সরকার বিপাকে পড়েছে। ১০ লক্ষেরও বেশি উট মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায়। তার মানে অষ্ট্রেলিয়া উটের জন্য খুবই উপযোগি কিন্তু ওখানে বিবর্তিত হয়নি। কারণ উট হওয়ার মতো পূর্ববর্তী কোন প্রজাতিও ওখানে ছিল না। ঠিক একই রকম প্রাণি ভিন্নভাবে ভিন্নস্থানে বিবর্তিত হতে পারে না। এজন্যই মহাবিশ্বে কোন প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও পৃথিবীর কোন প্রাণির মতোই কোন প্রাণি থাকবে না। ভারত জুড়েই ছিল বহু রকমের বাঘের বিচরণ। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ইন্দোচীন বাঘ, মালয় বাঘ, সুমাত্রীয় বাঘ, সাইরেবীয় বাঘ, দক্ষিণ চীনের বাঘ, হিমালয়ের বাঘসহ বহু বিচিত্র রকমের বাঘ ছিল পৃথিবীতে, বহু বিলুপ্তির পরে বহু রকমের বাঘ টিকে আছে পৃথিবীতে। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে বাঘ ছিল কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ায় বাঘ নেই। এই যে বিচিত্র রকমের বাঘ তারা সবাই বিবর্তিত হয়েছে পূর্ববর্তী কোন প্রজাতি থেকে এবং ইউরোপ-এশিয়া জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। কিন্তু সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অষ্ট্রেলিয়াতে যেতে পারেনি। ফলে বাঘ বা বিড়াল জাতীয় কোন প্রাণীই অষ্ট্রেলিয়ায় ছিল না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: অষ্ট্রেলিয়ার মত মহাসাগরের মধ্যে থাকা একটি দ্বীপ সদৃশ মহাদেশে আদিবাসী মানুষেরা গেল কিভাবে এর উত্তর দিতে পারবেন?

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: মন্তব্যটি নিচ্ছে না! চেষ্টা করেই যাচ্ছি।

পৃথিবীর স্থলভাগ এক সময় একসাথেই ছিল। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়েছে। তারও বহু পরে মানুষ মাত্র ২০ লক্ষ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাত্রা করে পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের সাথে অন্যপ্রাণির পার্থক্য হল মানুষ সৃজনশীল। তারা ভেলা বানাতে পারে, নৌকা বানাতে পারে। এভাবেই মাত্র ৪৫ হাজার বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ দিক দিয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় পৌঁছায়।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাঘ কলাগাছের ভেলা বানাতে জানতো না।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: এখনো জানে না অথচ মানুষ এখন রকেট বানাতে জানে!

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: @চাঁদগাজী
কলাগাছের ভেলা দিয়া মহাসাগর পাড়ি দিবেন কেমনে? :||

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: বিভিন্ন গাছের গুড়ি, বাঁশের কাণ্ড একত্র করেই মানুষ নদী/সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে। বেঁচে ও টিকে থাকার জন্য মানুষের সংগ্রাম বিস্ময়কর।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৬

স্প্যানকড বলেছেন: মানুষের কি পরিবর্তন হবে ? কয়েক কোটি বছর পর। আচ্ছা, আপনার ডারউইন কি মোরগ, মুরগির ব্যাপারে কিছু কয়েছেন? আচ্ছা, আপনি কন ডিম আগে না মুরগী ?

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: আমার বলায় কিছু যায় আসে না। আমি বিজ্ঞানীদের উপরই নির্ভর করি। এক লক্ষ বছর আগের মানুষ আজকের মতো ছিল না। তাদের আধুনিক মানুষও বলা হয় না। মানুষের মতো অনেকটাই। ফলে ধারণা করতে পারি কয়েক লক্ষ বছর পরে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আসবে। কৃত্রিম বিবর্তনে তা আরো ব্যাপক আকারেই হবে।
আজকের যে বয়লার মুরগি দেখেন তা কিন্তু প্রকৃতিতে ছিল না। এটা কৃত্রিম বিবর্তনের মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছে।
ডিম আগে না মুরগি আগে এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য রয়েছে। মুরগির আগের প্রজাতিটিও ডিমই পারতো সেটা বাদ দিলেও বিজ্হানীরা কিছু কারণে বলেছেন মুরগিই আগে।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৩

স্প্যানকড বলেছেন: হুম, বুঝলাম। হোমো সেপিয়েন্স আর মানুষের ফারাক কি জানেন ? আচ্ছা, আপনি মানেন বিজ্ঞান মানে প্রতিটা মানুষের ক্রোমোজম ২৩ জোড়া মানে ৪৬। বাবার কাছ থেকে ২৩ পায়, মায়ের কাছ থেকে ২৩ পায়। এখন ঈসা আঃ এর বাকি ২৩ জোড়া কইতে আইল ? আর আদম আঃ এবং হাওয়া আঃ এর ক্রোমোজম কার থেকে আসছে? মানুষ এমন এক সত্ত্বা যার হোমো সেপিয়েন্স বডি আছে লগে উন্নত মগজ সে চিন্তা করতে পারে, ভালো মন্দের বিচার করতে পারে।তাই সে সেরা যার কোন বিবর্তন বা পরিবর্তন নাই তবে রং বর্নের ব্যাপার আলাদা বা মাইক্রোএভুলেশন। এক্ষেত্রে নিয়ান্ডারথাল বা হোমো সেপিয়েন্স এর প্রতিযোগিদের চিন্তা করা ক্ষমতা নাই বলে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ভালো থাকবেন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞান আদম হাওয়াকে স্বীকার করে না। ২৩ জোড়া ক্রোমোজম মানুষ পেয়েছে আগের প্রাইমেট থেকে। অবশ্য শিম্পাঞ্জি, বানর, গড়িলার ক্রোমোজোম ২৪ জোড়া। সেখান থেকে ২৩ জোড়ায় কিভাবে আসলো তার ব্যাখ্যা রয়েছে যেটা আপনার দরকার। হোমো স্যাপিয়েন্সই মানুষ।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাবনার বিষয় । আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে । আমরা আরেকটি পরিবর্তনের সুচনা পর্বে আছি কিন্তু । বরফ গলছে তেমনি শীতে অতি তুষারপাত হচ্ছে । প্রানিজগতে কি কি পরিবর্তন হবে তা এখনই ধারনায় নিতে হবে । এখন অতি আধুনিক সময়ে চিহ্ন রেখে দেবার সুবিধা থাকছে যা আগে ছিল না । ১০ হাজার বছর পরের মানুষ দেখতে পাবে এখনকার পরিবর্তন ।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০০

মুজিব রহমান বলেছেন: পৃথিবী বহুবারই উষ্ণ ও শীতল হয়েছে তারপরও প্রাণ টিকে আছে। তবে মানুষের এতো উন্নতি কোন পর্যায়ে ছিল না। মানুষ টিকে থাকার চেষ্টা করবে।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০৫

নতুন বলেছেন: স্প্যানকড বলেছেন: মানুষের কি পরিবর্তন হবে ? কয়েক কোটি বছর পর। আচ্ছা, আপনার ডারউইন কি মোরগ, মুরগির ব্যাপারে কিছু কয়েছেন? আচ্ছা, আপনি কন ডিম আগে না মুরগী ?

ভাই আপনি যেহেতু ডিম আগে না মুরগি আগে এই প্রশ্নে পরে আছেন তাহলে বলবো আপনার বর্তমানের বিজ্ঞানের অগ্রগতির ব্যপারে অনেক আপডেট হবার আছে।

আর ঈসা আ: এর পুরুষ শিশু হিসেবে কুমারী মাতার গর্ভ জন্ম নেবার বিষয়ে আমার একটা ব্লগ আছে সেখানে অনেক আলোচনা হয়েছিলো। বিষয়টা কতটা জটিল সেটা বুঝতে পারবেন।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ওরা এখনো অন্ধকারেই রয়েছে। ওদেরও পথ দেখাতে হবে যাতে আলোর দেখা পায়।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৮

স্প্যানকড বলেছেন: হোমো সেপিয়েন্স মানুষ জানি। কিন্তু অন্য কেউ হোমো সেপিয়েন্স হতে পারে মানে আকার নিতে পারে মানেন? আদম হাওয়া কইতে আইছে? এমনি এমনি। তারমানে বিজ্ঞানের কাছে জবাব নাই। আপনি কইতে আইসেন?

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: আদম হাওয়া ধর্মীয় কাহিনী। মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমেই আজকের অবস্থায় এসেছে।

৯| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১০

স্প্যানকড বলেছেন: আপনি সব জ্ঞ্যান নিয়া বসে আছেন! বিজ্ঞান সব জেনে গেছে। সব। @ নতুন।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞান বহু কিছুই জানে নি, তবে জানার চেষ্টা করছে নিরন্তর। প্রতিদিনই তারা সফল হচ্ছে।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১১

স্প্যানকড বলেছেন: তাইলে প্রথম মানব, মানবী কে?

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: হঠাৎ করেই মানুষের রূপ আসেনি। ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়েছে। ফলে প্রথম বলতে কিছু নেই।

১১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানা ছিলো না নতুন জানলাম ধন্যবাদ আপনাকে। এমন অজানা আরো জানতে সাহায্য করবেন

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেকেরই জানা থাকবে। তবুও বলতে চাই, বলতে হবে কারণ এদেশের ৯৯ ভাগ মানুষই এসব জানেও না, বুঝেও না।

১২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্যাপারটি আপনি ভালো ভাবেই বুঝাতে পেরেছেন।৷

স্প্যানকড @ প্রশ্ন করা আর তাচ্ছিল্য করা এর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে।

আদম হাওয়া ও তার প্রজন্ম এবং বিবর্তনবাদ নিয়ে আমারো প্রশ্ন আছে।

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: @স্প্যানকড
আপনার মত ত্যানাবাজ লোক আর একটাও দেখি নাই। মুজিব রহমান ভাই স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছেন- বিজ্ঞান আদম ও হাওয়া মানে না। আর প্রথম মানব-মানবী কে এটা বের করাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে না। তবুও আপনি ত্যানা প্যাঁচিয়েই যাচ্ছেন।

@মুজিব রহমান
আপনি বলেছেন ৪৫ হাজার বছর আগে আদিবাসীরা অষ্ট্রেলিয়া পৌছায়।
কিন্তু এমনকি হতে পারে না যে শেষ বরফ যুগে, ১ লক্ষ বছর আগে যখন পুরো পৃথিবী বরফ হয়ে ছিল, তখন পায়ে হেটে আদিম যুগের মানুষেরা অষ্ট্রেলিয়া গেছিল? কারণ জানতে পেরেছি মানুষের ইতিহাস করে হলেও প্রায় তিন লক্ষ বছরের পুরনো।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। এখনো এক লক্ষ বছর আগে আধুনিক মানুষের ফসিল পাওয়া যায়নি। ৩ লক্ষ বছর আগের মানুষ হল আধুনিক মানুষের ঠিক আগের মানুষ।

এসব অনুমান গবেষকগণই ভাল বলতে পারবেন। তারা বললেই বুঝবো গবেষণা আরো এগিয়েছে।

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

স্প্যানকড বলেছেন: বিজ্ঞান মানে না, না এর জবাব দিতে অক্ষম কোনটা? অক্ষম। সক্ষম হইলে জবাব পাইতাম। ও প্রথম মানব, মানবীর সন্তান হইয়া খুঁজবেন না কে আপনার পিতা মাতা? তাদের পিতা মাতা? তাদের পিতা মাতা কে। আজিব! দুই জন থাইকা আজ মানুষ ৭ বিলিয়ন আরও হবে। অথচ এখন কেন বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি মানব সন্তান প্রোডাক্ট বন্ধ কইরা দিল। আঁতকা ব্রেক! এইডা কেমতে হয়? আপনাগো জিগাইলে ত্যানাপ্যাচানো। তা নিজেরা ত্যানা খুলেন এইবার ! @ লেলিন ফেরাউন জাহিদ হাসান !

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৪

মুজিব রহমান বলেছেন: মানুষের বিবর্তনও ধীরে ধীরে হয়েছে। ৫০ হাজার বছর আগে যখন আধুনিক মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় তখন বলা যায় তিনি একজন নন। তারও আগে আগের প্রজাতির এবং বিভিন্ন প্রজাতির মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়। নিয়ানডার্থাল মানুষের কি তাহলে আলাদা পিতা মাতা থাকবে? ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বিজ্ঞান বুঝতে পারা অসম্ভব।

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৭

নতুন বলেছেন: স্প্যানকড বলেছেন: আপনি সব জ্ঞ্যান নিয়া বসে আছেন! বিজ্ঞান সব জেনে গেছে। সব। @ নতুন।

না ভাই সব এখনো জানতে পারিনাই, অল্প একটু বাকি আছে ;)

অবশ্য জ্ঞানের ভান্ডু ( ডিব্বা) সবার জন্য উন্মক্ত, তালা মারা নাই, আপনি যদি একটু চেস্টা করেন তবে আপনিও পারবেন।

যদি শুধু বড় হুজুর কইছে বইলাই ব্লগ লেখা শুরু করেন তবে কিভাবে এই সব জিনিস জানবেন বলেন?

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৮

নতুন বলেছেন: অবশ্য ধর্মের জ্ঞান তো গোপন জ্ঞান আপনি কতটুকু পাইছেন? শরিয়তি,মারফতী,হকিকতি,তরিকতি কত রকমের জ্ঞান। বেশির ভাগই কিন্তু পীর ধরে জানতে হয়।

বিজ্ঞানের জ্ঞান সবার জন্য উন্মক্ত। কিছুই লুকানো নাই। হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট, লাইব্রেরীতে বই,,, জানুন...

অন্ধকার কেটে আলোতে আসতে পারবেন।

১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নেই। সর্বোচ্চ রয়েল অস্ট্রেলিয়ান টাইগার থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.