নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কে জানতে/জানাতে চাই

মনোপোল

মানবতার জয় হোক

মনোপোল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদাসিদে কিছু কথা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪০

মনোবসু বৃত্তি প্রাপ্ত এবং ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফেরত এসে এক বন্ধু সম্প্রতি দেশের নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করার পর আবাসন সংকটে কিছু দিন আমার কাছে ছিলেন, তাকে একদিন কথায় কথায় জিঙ্গাসা করলাম কেমনে কি, কিভাবে হলো, আমি ভাবলাম মনোবসু । বুঝি এমনিতে তার হয়ে গেল, কিন্তু তার কথা শুনে আমি কিছুটা তাজ্জব হলাম,কিছুটা হাসলাম, তার কথাটা হুবুহু ছিল, এই রকম; আমি যখন জাপানে ছিলাম তখন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কে জিঙ্গাসা করলাম লিন্ক বা সুপারিশ ছাড়া কি বিশ্ববিধ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া সম্ভব, সে বলল একজন শিক্ষক ও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না যে রেফারেন্স ছাড়া সে শিক্ষক হয়েছে , তার কথায় যা বুঝার বুঝে নিলাম, পরে শুনলাম ডক্টরেট থাকা সত্ত্বেও তার নাকি চাকরিটা পেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে, এবং সে এতটাই হতাশ ছিল যে, এ নিয়ে সে তার জাপানিজ সুপারভাইজার কে পর্যন্ত জানিয়েছিল এবং দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার মনস্থির করেছিল।

বলছি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নিয়োগের চিত্র, এ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আবার আরেক কাঠি উপরে, শিক্ষা জীবনের সর্বস্থরে সর্বচ্চো নাম্বার পাওয়ার সুনাম কিছুটা হলেও ধরে রাখতে পেরেছিলাম, সাথে ছিল সর্বস্তরের বাহবা আর নিজের অগাধ কনফিডেন্স, অবশ্য আইন এবং হালের সর্বোচ্চ সুযোগ ও আমার ছিল, স্নাতক ও স্নাতকত্তোর পর্যায়ে প্রায় ৮০% নাম্বার ও পেয়েছিলাম, ( পদার্থ বিদ্যায় এক সময় রথী মহা রথী রাই এমন পেতেন বলে শুনতাম)। চাকরির শুরুতে ঢাকার একটি নামকরা কলেজের প্রভাষকের চাকরিটা ও পেয়ে গেলাম অনায়াসে । আমার তো স্বপ্ন আকাশ চোয়া । শিক্ষক হওয়ার পথ এবার ঠেকায় কে । শুরু হল মেইন টার্গেট পূরন করার যুদ্ব। সবমিলে প্রায় ৩০০ কপি ফটোকপি জমা দিতে হয়, তাতে একটু ও ক্লান্তি লাগেনা, কিন্তু বিধি বাম, শুরু হল আমার ডিসকোয়ালিফিকেশন, শুরু টা হয়েছিল সিলেট থেকে, তারপর, ঢাকা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, খুলনা ঘুরে সেটা থামল চট্টগ্রাম গিয়ে। দেশের প্রায় সব গুলো প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেকশন নামক অতি আধুনিক ভাইভা পরীক্ষায় আমি একবার ও পাশ করতে পারি নাই ( যদি ও স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শ্রদ্বেয় শিক্ষক গণ আমাকে দয়া করে ৮০% মার্ক ভাইভাতে দিয়েছিলেন , তাই আমার মনে হত, ভাইভা -ই তো সবচেয়ে সহজ পরীক্ষা ) । আমি নিশ্চিত আমার সাথে একমত হবেন ভাইভা দিতে আসা সকল মেধাবী কিন্তু রেফারেন্স বিহীন ভাইয়েরা । যাক তাতে আমার একটু ও দুঃখ ছিলনা, কারন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি প্রায় ১০ টা প্রথম শ্রেণীর চাকরি পেয়েছিলাম এবং হতাশা টা একটু হলেও ঘুচতে পেরেছিলাম , তবুও মাঝে মাঝে ভাবতাম যদি জব না পেতাম তবে বুঝি সুইসাইড অনিবার্য হয়ে যেত । কিন্তু দঃখ টা হতো যখন দেখতাম মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রণালয় সফল বলে বাহবা পেতেন । রাগে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করত । আমার দৃঢ় বিশ্বাস শিক্ষার সর্বস্তরে এই অবস্থা বিরাজমান । সব জায়গায় এতটাই অনিয়মযে আজ দেশ প্রায় মেধা শূণ্য । আজ আর কিছু নাি লিখে থাকতে পারলাম না । দেথুন শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যে ভর্তি পরীক্ষায় এর প্রমাণ মিলছে।তাই আমার আহবান হল আসুন আমরা নিয়োগের ব্যাপারে সোচ্চার হই । শিক্ষক নিয়োগ সহ সকল প্রকারের নিয়োগের অনিয়মের বিরুদ্বে রুখে দাড়ানোর এখন ই সময় । কেবল প্রকৃত নিয়োগের মাধ্যমেই যোগ্য যায়গায় যোগ্য ব্যক্তি বসানো সম্ভব, তবেই তো তৈরী হবে প্রকৃত মেধাবী ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



মন্দ বলেননি।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

মনোপোল বলেছেন: কিন্তু ভাই দেশ টা তো মন্দের দিকে যাচ্ছে, .....

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

ওয়্যারউলফ বলেছেন: দেশের উচ্চপদস্থ আমলা ও সরকারি কর্মচারিরা এই ৮০% মার্কস পাওয়া দলের। এমন কি পাবলিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও তাই। এদের দিয়ে দেশের কি কোন উপকার হচ্ছে ?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৮

মনোপোল বলেছেন: ভাই ওয়্যারউলফ দেশের উচ্চ পদস্থ আমলারা এই দলের হওয়ার হার খুব একটা বেশী নেই, কারন সচিব হতে হলে পলিটিক্যাল আইডেনটিটি থাকাটা আজ ওপেন সিক্রেট, সো এবরিথিন্ক গোজ টু ডার্টি পলিটিক্যাল ডিসিশ্যান, আমরা এর বিরুদ্বে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাই

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল বলেছেন । :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৭

মনোপোল বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩৬

এফ রহমান বলেছেন: I'm agreed with you

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৫

মনোপোল বলেছেন: থ্যান্কস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.