নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ছায়ায় আমার ভূবন

আমি কনফিউসড চরিত্রের মানুষ।অগোছালো সবকিছুতে দোদূল্যমনতা আমার বৈশিষ্ট্য।টু বী অর নট টু বী এই দ্বন্ধে চলছে জীবন।

আরজু মুন জারিন

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।

আরজু মুন জারিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর পরের ইতিহাস (বিজ্ঞান কাহিনী )

৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:১০

পৃথিবীর বিখ্যাত ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের ১০০ তলায় দাড়িয়ে এখন রোয়ানা এবং আইভানা।।৯/১১ ঘটনার পরে ওয়াল্ড ট্র্রেড সেন্টার ধ্বংস হয়েছিল তারা খবরে দেখছিল এখন সেই সেন্টারকে দেখলে বোঝার উপায় নাই এই সেন্টারের উপর দিয়ে এত বিপর্যয় হয়েছিল।কত প্রানহানি হয়েছিল।আপাতত আবার আগের মত সগৌরবে মাথা উচু করে এই সেন্টারটি আকাশের উচ্চতায় দাড়িয়ে আছে।



রোয়ানার ইচ্ছায় তারা পৃথিবীতে একদিনের ট্রানজিট নিয়েছে।আইভানা বিরক্ত হচ্ছিল মায়ের ইচছায় সমর্পন করে।আইভানার বয়স এই জুলাইতে বার হয়েছে মাত্র।এই বয়সী একটা মেয়ের সাধারনত স্বাধীন ইচ্ছা অনিচ্ছা তৈয়ারী হয়না।আইভানার ক্ষেত্রে তা ব্যাতিক্রম হয়েছে আইভানার বাবা তাদের ছেড়ে যাওয়ার পর।আইভানা সম্পূর্নভাবে তার বাবাকে ফলো করতে ভালবাসে।তার মনে এখনও তার পাগল বৈজ্ঞানিক বাবার স্মৃতি জাগুরুক হয়ে আছে।আজ থেকে আট বছর আগে যখন আইভানার বয়স মাত্র ছিল চার একদিন পৃথিবীর পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন এক গবেষনার কাজে। তার জিন্ক গালভানাজিং সূর্যের তাপ ব্যাতিরেকে ঘরে কৃত্রিম তাপে করতে চেষ্টা করছিলেন।তিনি এবং তার এক সহকারী ২০১৩ সালের ১০০ তম বিজ্ঞান মেলায় যোগদানের উদ্দেশ্য পৃথিবীতে এসেছিলেন।এরপরে আর তাকে দেখা যায়নি।সম্পূর্ন ভোজভাজীর মত পৃথিবী থেকে মিলিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।



মহাশূন্য যানের ছায়াপথে গ্যালাক্সি এবং দূর নিহারীকাকে দেখলে আইভানা বেশ আবেগপ্রবন হয় বাবার কথা মনে করে যদিও পৃথিবী নিয়ে মায়ের মত তার কোন আবেগ কাজ করেনা।মায়ের কাছে দুটো পুরানো ডকুমেন্টারী মূভি দেখেছে পৃথিবীর বিভিন্ন গোলার্ধ সম্পর্কিত ঘটনার।ডকুমেন্টারীতে দেখেছে পৃথিবীতে প্রাগৈতিহাসিক মানবসভ্যতার উথ্থান থেকে ক্রমবর্ধমান সভ্যতা। চিত্র দেখতে দেখতে পৃথিবী সম্পর্কে তার ধারনা হয়ে গিয়েছে বিরুপ।সে দেখেছে কল্পনায় পৃথিবীর আবহাওয়ায় কাদা বালিতে মানুষের মনে হিংস্রতার জন্ম নেয় বেশী।



আমি বুঝতে পারছিনা মাম্মী এই হিংসুটে পৃথিবীতে তুমি কি মহার্ঘ জিনিস খুজতে এসেছ।এখানে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি।সেটা কি তুমি ভূলে গিয়েছ মামনি?মাকে শাসনের ভঙ্গিতে সে বলে।

আইভানা তুমি শুধু একপেশে কথা বলছ মামনি।তোমার মা আমি পৃথিবীর একজন মানুষ।তোমার যে বাবাকে তুমি এত ভালবাস সে পৃথিবীতে জন্মেছিল।পৃথিবীর মানুষ আবেগপরায়ন।দোষে গুনে মানুষ।কেও কেও যেমন হিংসুটে আছে তোমার কথামত আবার কেও ভালবাসার জন্য অন্যের জন্য নিজের প্রান বিসর্জন দিয়ে দেয়।



আমরা আমাদের ভাষার জন্য প্রান দিয়েছি।দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে গিয়ে ত্রিশলক্ষ প্রান দিয়েছি আইভানা সে অনেক যুগ আগে।আবেগে রোয়ানার গলা কাপতে থাকে।



সরি মা তোমাকে হার্ট করার জন্য ওই যে দেখ সামনে আঙ্গুল দিয়ে আইভানা রোয়ানার দৃষ্টি আকর্ষন করে।



দুইটা ছেলে আনুমানিক ষোল থেকে আঠার বছর পরস্পরকে কিল ঘুষি মেরে যাচ্ছে সবার সামনে।সবাই মজা পেয়ে হাসছে এমনকি সিকিউরিটি ও সবার দেখাদেখি হাসছে।



দিস ইজ ব্রুটাল মাম্মি।আইভানা রেগে উঠে।



ইটস নট রোয়ানা হেসে দেখায় দে আর প্লেয়িং ইটস লাইক ফান বেবী লুক নাউ

আইভানা তাকিয়ে দেখে দুইজন দুইজনকে জড়িয়ে ধরে এখন হাসছে ।একজন আরেকজনের জ্যাকেট খুলে আরেকজনকে পরিয়ে দিচ্ছে।



আইভানা লজ্জা পেয়ে হেসে ফেলল।ওহ ইটস ফান রিয়েলী?



হ্যা মাম বাট এখানে সত্যিকার মারামারি হানাহানি হয় এটা ঠিক আইভানা।তবে এখন ও এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি কি জান?মানুষে মানুষে আবেগ ভালবাসা।পৃথিবীতে ভালবাসায় আবেগে মানব সন্তান তৈয়ারী হয় আর আমাদের গ্রহে আমরা কৃত্রিমভাবে প্রান তৈয়ারী করি সেজন্য আমরা হয়ে যাচ্ছি অনেকটা ই যান্ত্রিক আবেগ বর্জিত।



নো মাম্মি আমি বিলিভ করছিনা আমি যান্ত্রিক অর তুমি যান্ত্রিক।



তুমি পৃথিবীতে আমার আর তোমার বাবার ভালবাসায় জন্মেছ আইভানা।এই প্রথম মেয়েকে সত্যি কথাটি বলল রোয়ানা।



মায়ের ছলছল চোখ দেখে আইভানা চোখ ও এখন ছলছল হয়ে উঠল।



এই প্রথম আইভানা ও আবেগ ঘন চোখে বাহিরের পৃথিবীকে দেখতে লাগল ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের গ্লাসের ভিতর দিয়ে।



এলিভেটর থেকে বের হতে তারা পড়ল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্রধারী দশবারজন সেন্ট্রির বূহ্যের ভিতরে।



আইভানা আর রোয়ানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের পাওয়ার টেলিষ্কোপিক ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা।অনুমতি ব্যতিরেকে তারা সংবেদনশীল এরিয়াতে ছবি তুলছিল।



রোয়ানা যতই বলছিল তারা একদিনের ট্রানজিটে মহাশূন্যযান থেকে পৃথিবীতে নেমেছে।সেন্ট্রিদের কিছুতে তা বিশ্বাস করানো সম্ভব হচ্ছিলনা।



আধাঘন্টার মধ্যে তারা নিক্ষিপ্ত হল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোনিকৃষ্ট কারাগার গুয়ানতানামোয় গুপ্তচর সন্দেহে।



(পরবর্তীতে)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

দাদা- বলেছেন: আরজু মুন জারিন আপনার এ লেখা খুব ভালো লাগলো। ভালোলাগা ও ভালোবাসা জানিয়ে গেলাম :)

৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: দাদা আপনার এ কমেন্টস খুব ভালো লাগলো। ভালোলাগা ও ভালোবাসা জানিয়ে গেলাম ।ভালো থাকবেন কেমন।

২| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২০

তাহাসিন বলেছেন: আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো।

৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: সত্যি ? লেখা একটু এডিট করতে হবে। পরে করে নিব। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন তাহসান। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: চেষ্টা চলুক !!!

৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: চেষ্টা চলুক ???? ধন্যবাদ তাহলে মুদদাকির। ...

৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুব ভাল লিখেছেন। চলুক...

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রেরণা দেওয়ার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লেগেছে।

চলুক.....

সাথে আছি।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০

খাটাস বলেছেন: ভাল লাগল। সুন্দর বর্ণনা। তবে কল্প বিজ্ঞান সম সাময়িক সময় নিয়ে লেখা হয় কিনা জানা নেই। তাই ২০১৩ সালটা একটু বেমানান লাগল ভিন্নভাবে অভ্যস্ততার কারণে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
শুভ কামনা জানবেন।

৯| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: জ্বী ভাই আমি ও তাই ভাবছিলাম সাল টা ভবিষ্যত পৃথিবীর দেওয়া উচিত ছিল। দ্বিধা দ্বন্ধে ছিলাম। পরে বর্তমান সময় টা বেছে নিলাম গল্পের ডেট হিসাবে।
ধন্যবাদ খাটাশ মন্তব্যের জন্য। (এমন নাম। ....গালি দিচ্ছি মনে হচ্ছে কাওকে। আমি খুব ভদ্র কাওকে গালি দেইনা। আল্লাহ আমাকে মাপ করুক। এ আপনার নাম। ...আমার কি দোষ। নিজের ঘাড়ে গালি নিয়ে নিলেন ভাই।

ভালো থাকবেন ভাই মানুষ হয়ে খাটাশ হয়ে না। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১০| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: না ঠিক আছে একসেন্সে। আপনাকে উপদেশ দেওয়ার কিছু নাই। মানুষ সময় সময় কোনো পশু প্রাণীর মতই রিয়াক্ট করে। আমাদের মানুষের মধ্যে পশু প্রবৃত্তি চলে আসে সময় সময়। তবু চেষ্টা থাকবে আমরা শুধু মানুষ ই হব। কেন না আমাদের বিদ্যা বুদ্ধি জ্ঞান বিবেক সব দেওয়া হয়েছে যেটা পশু প্রানীকে দেওয়া হয়নি। আমার কথা বেশি বেশি মনে হলে মাপ করে দিবেন। সহজ ভাবে আমাকে নিবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.