নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ছায়ায় আমার ভূবন

আমি কনফিউসড চরিত্রের মানুষ।অগোছালো সবকিছুতে দোদূল্যমনতা আমার বৈশিষ্ট্য।টু বী অর নট টু বী এই দ্বন্ধে চলছে জীবন।

আরজু মুন জারিন

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।

আরজু মুন জারিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলিয়ান মিরান্ডার প্রেম উপাখ্যান (গল্প )

১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২৮

ভূমিকা: এই গল্পের পাত্র পাত্রী দুজনে আমার বেশ পরিচিত সুহৃদ বলা যায়।দুইজনের একজন স্প্যানিশ আরেকজন শ্রীলংকার নাগরিক।কর্মসূত্রে দুইজনের সাথে আমার পরিচয়।চিলিয়ান কানাগাজাবেপথী ছিলেন আমাদের জেনারেল ম্যানেজার।শ্রীলংকান। মিরান্ডা ছিল হাউসকিপার।আমি হোটেলে কাজ করার সময় সবার কানাঘুষায় যেটা জানতে পারলাম তাদের মধ্যে অচ্ছেদ্য প্রেমের বন্ধন।কিছুঘটনা চোখে দেখা কিছু শোনা এবং কিছু আমি কল্পনা করে নিয়েছি।প্রেমের গল্পটা আমার কল্পনায় মানসচক্ষে যেরকম দেখেছি সেইভাবে বর্ননা করছি।সবার কথোপকথন এখানে ইংলিশে।গল্পের স্বার্থে আমি বাংলা ভাষা ব্যবহার করছি।

তো চলে যাচ্ছি আমি মূল গল্পে।



১স্থান: বেষ্ট ওয়েষ্টার্ন হোটেল এন্ড সুইটস

মাউন্ট প্লেসেন্ট অন্টারিও টরন্টো।সময়:সকাল আটটা পঞ্চাশ।



কার পার্ক করে ফ্রন্ট ডোর দিয়ে হোটলে ঢুকতে চিলিয়ানের ঠিক নয়টা পাচ বেজে গেল।আজকে কিছু হাউসকিপার জয়েন করার কথা।ঠিক নয়টায় হাউসকিপিং ম্যানেজার এবং সব হাউসকিপারদের সঙ্গে মিটিং চিলিয়ানের।সে এই হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার।সে কনফারেন্স রুমে ঢুকা মাত্র চারিদিকে বিষ্ময়সূচক ধ্বনি করে উঠল অনেকে।তাকে দেখলে সবাই একটু অবাক হয়।মাত্র আটাশ বছরে সে এই হোটেল এর প্রধান কর্মকর্তা মালিকের পর তার স্থান।দেখলে তাকে আরও অল্প বয়সী মনে হয়।কলেজ ফাষ্ট ইয়ারে পড়া সতর আঠার বছর বয়সী ছেলের মতই মনে হয়।এই হোটেল এর জব পেয়েছে অনেকের সাথে কমপিট করে পরীক্ষার মাধ্যমে।সে ইউকের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এম বি এ করে এ হোটেলে জয়েন করেছে।কানাডায় আসার পর এটাই তার প্রথম জব।এক হিসাবে সে অনেক ভগ্যবান।মানুষ বিশ ত্রিশ বছর কাজ করার পর প্রোমশন পেয়ে জি এম হয়।সে জি এম হিসাবে জয়েন করেছে।দেখতে সে খুব ছোটখাট মাত্র পাচ ফিট চার ইঞ্চি হাইট এর একজন মানুষ।মানুষ হিসাবে সে অত্যন্ত সাদামাটা চেহারা সাধারন গেটআপের মানুষ।তারপর ও হোটেলের সব কর্মচারী তার কথায় উঠে বসে তার সহৃদয় ব্যবহার ও মানবিক স্বভাবের জন্য।একই সঙ্গে সে অত্যন্ত কর্মর্ঠ ও দায়িত্বপরায়ন।



সবাইকে হাই বলে তার চেয়ারে বসল।নুতুন কর্মচারীদের সবাইকে হাউসকিপিং ম্যানেজার ডায়না সান পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ।একজন এখনও অনুপস্থিত।কিছুক্ষনের মধ্যে একজনের ভীত সন্ত্রস্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ একজনের মুখ দেখা গেল দরজার ফাক দিয়ে।মেয়েটি সোজা তার দিকে তাকিয়ে বলল



মে আই কাম ইনসাইড।



ওহ শিউর চিলিয়ান কিছুটা থমকে গেল মেয়েটার অপরুপ সৌন্দর্য্যে।মেয়েটি বিশেষ রকমের সুন্দরী চেহারায় অবয়বে ব্যাক্তিত্বে।হাউসকিপার হিসাবে ঠিক যেন তাকে মানাচ্ছে না।পরিচয়ে জানা গেল সে হাউসকিপার মিরান্ডা রস।স্প্যানিস গার্ল।জাতীয়তায় দেখতে ঠিক এশিয়ানদের মত শুধু চুল সোনালী চিলিয়ান মনে মনে ভাবল।চিলিয়ান চোখের পলকে মুগ্ধ হয়ে গেল। শুধু চিলিয়ান সম্ভবত নয় খানে সব হাউসম্যান মেইনটেনেন্স ম্যানেজার সবাই বেশ পছন্দ করে ফেলল মেয়েটিকে।



ডায়ানা একটু কড়াভাবে বলল ইউ আর লেট ফাষ্ট ডে মিরান্ডা।



সরি ম্যাম আই ওয়েট লং টাইম ফর বাস। কুন্ঠিত হয়ে সে জবাব দেয়।



মিটিং শেষে যে যার কাজে আসল।



২মিরান্ডার বয়স ছাব্বিশ।সে ফার্মেসী অ্যাসিসটেন্ট এর দশমাসের একটা কোর্স করছে সিডিআই কলেজে।মিরান্ডার সঙ্গে আজকে কাজ করছে রাজনী নামে শ্রীলংকান এক মেয়ে।দুজনের মধ্যে অল্প সময়ে বন্ধুত্ব হয়ে গেল।একসঙ্গে লাঞ্চ শেয়ার করে খেল।রাজনীর কাছে শুনল ভয়েড চেক দিতে হবে।লাঞ্চ শেষে চেক জমা দিতে উপরে জি এম এর রুমে আসল।জি এম রুমে নক করতে ভিতর থেকে শব্দ আসল খুব মৃদু গলায় কাম ইন।



মিরান্ডা মনে মনে হেসে ফেলল এই জি এম কে তার ইয়ং ব্রাদারের মত মনে হচ্ছে ।

মিরান্ডাকে দেখে চিলিয়ান দ্বিতীয়বারের মত থমকে গেল।



চেক দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলে সে জিজ্ঞাসা করল সব ওকে তো? কাজ কেমন লাগছে?কিছু ক্যাজুয়াল কথা।তার ইচ্ছে করছে মেয়েটিকে তার সামনে চেয়ারে বসিয়ে প্রানভরে দেখে কিছুক্ষন।তার গভীর সন্নিধ্যে থাকে কিছুক্ষন।কিছু করতে না পেরে হ্যান্ডশেক করে সন্তুষ্ট থাকতে হল।হ্যান্ডশেক করার সময় তার সারা শরীর কেপে উঠল।নিজের বেহাল অবস্থায় সে লজ্জিত হয়ে পড়ল।মেয়েটি বুঝে ফেললে লজ্জার আর সীমা থাকবেনা। তা সম্ভব না তার পজিশনের কারনে।সুতরাং বলতে হল সী ইউ।



একঘন্টা পরে আবার ফ্লোরে দুজনের দেখা।খুব অস্বস্তিকর অবস্থা তখন মিরান্ডার।হলওয়ে দাড়িয়ে সে চুল সেট করছিল।বিব্রতকর মূহূর্ত।কেননা মিরান্ডা ফ্রী স্টাইলে চুল আচড়াচ্ছিল।চিলিয়ানকে দেখে চমকে হাত থেকে চিরুনী পড়ে গেল।চিলিয়ানের উচিত ছিল গম্ভীর থাকা।কিন্তু সে হেসে যা বলল তা তার পজিশন থেকে ঠিকই ছিল কথাটা বলল দুষ্টুমীর সুরে মজা করে।



ভেরী ব্যাড দিস ইস নট ইয়োর ড্রেসিং রুম।



মিরান্ডা চিলিয়ানের কৌতুক স্বর লক্ষ করেনি।সে চুল ছেড়ে দিয়ে বোকার মত দাড়িয়ে পড়ল।



চিলিয়ান খেয়াল করল তার মাথায় প্রচুর চুল।কোকড়ানো ফাপানো সুন্দর লম্বা চুল।চুল খোলা অবস্থায় তাকে রাজকুমারী মিরিন্ডার মত মনে হচ্ছে ।আবার কিছুক্ষন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকল নিজের অজান্তে।



এই দৃষ্টির সামনে মিরান্ডা বিব্রত হয়ে পড়ল।

তাকে বিব্রত দেখে চিলিয়ান বলে উঠল তুমি নীচে যাও ফ্রেশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আস।কফি খেয়ে কিছুক্ষন রেষ্ট করে উপরে আস।



৩ কফি খেতে খেতে কিছুক্ষনের জন্য আনমনা হয়ে গেল সে।জি এম মনে হচ্ছে মজার মানুষ।সরল পবিত্র চেহারা।গলায় একটা লকেট ঝুলতে দেখল।তার সাথে কথা বলতে বলতে বারবার লকেট টা হাত দিয়ে টাচ করছিল।এটা মনে হয় তার মুদ্রা দোষ।ভদ্রলোকের মধ্যে কি যেন একটা জিনিস দেখেছে যেটা তার অন্য পুরষের মাঝে কমই দেখে।সে মানুষকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে।মেয়েদেরকে সন্মান করে কথা বলে।অবশ্য এশিয়ান ছেলেরা মেয়েদেরকে সন্মান দিয়ে নাকি কথা বলে এটা মায়ের কথা।

কাজ শেষ করতে করতে পাচটা বেজে গেল মিরান্ডার।হাটতে হাটতে বাস ষ্টপটার কাছে গিয়ে দাড়াল।ক্লান্তিতে যেন তার শরীর ভেঙ্গে আসছে।চিলিয়ান এই সময়ে বাসার দিকে রওয়ানা করছিল।



মিরান্ডাকে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে যেন আকাশের চাদ হাতে পেল। কিন্তু মিরান্ডা তাকে খেয়াল না করে বাসে উঠে গেল।বাস ছেড়ে দেওয়ার ঠিক আগের মূহূর্তে সে চিলিয়ানকে দেখল।অত্যন্ত ব্যকুল ভাবে সে মিরান্ডাকে দেখছিল।যেন তার কি বলার ছিল বলতে না পারার আফসোসে তাকিয়ে আছে সে ব্যাকুল ভাবে।



কিছুক্ষনের জন্য যেন পুরো পৃথিবী ফ্রিজ হয়ে গেল।দুজনের চোখ দুজনাতে সমর্পিত হল।বাস অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে রইল।



৪পরের দিন সময় সকাল দশটা।চিলিয়ান মিরান্ডার জীবনে স্মরনীয় দিন।ডায়েরীতে লিখে রেখেছে তারিখ ডিসেম্বর ২০ ২০১০।আগের দিন দুজনের একজন ও সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেনি।শুধু অপেক্ষা ছিল কখন রাত পোহাবে।দুটি প্রান নিভৃতে মিলবে।সকাল উঠে বাসের জন্য হাটতে হাটতে স্টপে এসে দেখে বাহিরে চিলিয়ানের কার পার্ক করা।হাসিমুখে কারের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে।



আহ কি অপূর্ব দেখতে এই মেয়েটি।ধবধবে সাদা টপসের সাথে সাদা ফুল তোলা লম্বা ঝুল দেওয়া স্কার্ট পরেছে যেটা এখনকার ফ্যাশনেবল মেয়েরা পরেনা।একটু আগের ডিজাইন।তাতে আরও বেশী তার চেহারা খুলে গিয়েছে।একেবারে অ্যান্জেল এর মত দেখাচ্ছে।

সে খুব লজ্জিত ভঙ্গিতে গাড়ীতে চিলিয়ানের পাশে এসে বসল।



আমার বাসার অ্যাড্রেস কিভাবে জানলে বিষ্ময়ে বলে।



দেওয়ানার কিছু লাগেনা।আশিকের সাথে প্রভূ থাকে।হাসতে হাসতে চিলিয়ানের উত্তর।

ভূলে গিয়েছ তোমার রেজূইমি ইনফরমেশন সব আমার কাছে আছে।



হোটেলের একটু আগে মিরান্ডাকে ড্রপ করল সে।



সরি তুমি জান আমরা দুজন যেহেতু একসঙ্গে কাজ করি কিছুজিনিস হাইড করে চলতে হবে।কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যে তুমি রাজী থাকলে তোমাকে বিয়ে করে সবার সামনে নিয়ে যাব।

সেই শুরু।প্রতিদিন কাজ শেষে একসাথে বাসায় ফেরা একসাথে সময় কাটানো সব অনুভূতির শেয়ার করা।দুজন দুজনের সবচেয়ে বড়বন্ধু হয়ে উঠল অতি অল্প সময়ে।

এভাবে দিন যায় মাস ঘন্টা।প্রায় একবছরের মত পার হল।ক্রিসমাসের ছুটিতে কথা হচ্ছিল মিরান্ডাকে শ্রীলংকায় তার বাড়ীতে নিয়ে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে।



৫ আজকে সকাল থেকে মিরান্ডার মন কেন জানি খুব সকালে সব্জি কাটতে গিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলল গভীরভাবে।মনটা ই তার বিষন্ন হয়ে গেল।আজকে তার কাজ নেই।সেইজন্য তার মন আরও খারাপ।চিলিয়ান বিজি থাকবে বিকাল পর্যন্ত ।সন্ধার পরে দেখা হবে।ফোন হাতে নিয়ে অনেক মিস কল চিলিয়ানের।নয়টা থেকে দশটায় সে অসংখ্যবার ফোন দিয়েছে।সে কি করছিল তখন? ওহহো ফোন এর রিং টোন অফ করা।সে তাড়াতাড়ি ফোন ঘুরালো চিলিয়ানকে।ফোন ফাষ্ট রিং এ ভয়েস মেইলে চলে গেল।এরপর কয়েকবার ট্রাই করল একই অবস্থা।

দুপুর গড়াল।বিকেল গড়িয়ে সন্ধা। রাত পার হল।না এল চিলিয়ানের ফোন না সে কানেক্ট করতে পারল।রাত যখন দুইটা বাজে সে চিৎকার করে কেদে উঠল চিলিয়ানের জন্য।বাকী রাতটা কোনরকমে পার করল।মৃতের মতই সে পড়ে রইল বিছানায়।সকালে উঠে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কাজে আসল।আজকে তার স্ক্যাজূয়াল নেই সেটা সে ভূলে গিয়েছে উত্তেজনায়।

হোটেলে এসে দেখে পরিবেশ বেশ থমথমে।যা শুনল তাতে সে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হল।

চিলিয়ানকে ম্যানেজমেন্ট ফায়ার করেছে।শুধু তাই নয় বর্ডার পুলিশ এসে তাকে অ্যরেষ্ট করে দেশে ফিরতে বাধ্য করছে কাল সকাল আটটায়।এমনকি তাকে তার রুমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি দরকারী জিনিস নেওয়ার জন্য।তার গাড়ী পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ।হোটেল থেকে সরাসরি এয়ারপোর্টে নিয়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।



কেন কাপতে কাপতে মিরান্ডা জিজ্ঞাসা করল।

তার নাকি বৈধ কাগজপত্র নাই।রাজনী বলল বিষন্ন গলায়।

মিরান্ডা মনে মনে হায় হায় করতে লাগল।চিলিয়ানের বাড়ীর অ্যাড্রেস সে জানেনা।



পরিশিষ্ট:এই ঘটনার পর প্রায় একবছর অতিক্রান্ত হয়েছে।মিরান্ডার প্রতিটি দিন গিয়েছে চিলিয়ানের ফোনের প্রতীক্ষায়।না চিলিয়ানের ফোন আর আসেনি।মিরান্ডার মনে এই প্রত্যয় হয়েছে চিলিয়ান নিশ্চয় ই আর বেচে নেই।থাকলে যে কোনভাবে অবশ্যই তাকে ফোন করত।একসময় সে সিদ্ধান্ত নিল টরন্টো ছেড়ে মেক্সিকো তার দেশে চলে যাবে।



এয়ার কানাডা য় বসে আছে সে।টিকিট চেকিং শেষে চিলিয়ান তার হোম অ্যাড্রেস লিখল মিরান্ডার বাসার অ্যাড্রেস।সে ভিন্ন রুটে পালিয়ে কানাডায় ঢুকেছে।মিরান্ডাকে সে ফোন করেনি কেননা পুলিশ তাকে খুজে বের করে ফেলত।



মাই সুইটহার্ট আই কামিং টু সি ইউ ফিসফিসিয়ে বলল।



তাকে পাশ কাটিয়ে মেক্সিকান এয়ারয়েজ মিরান্ডা উঠে গেল সে জানতে ও পারলনা।দুইজন খুব কাছাকাছি থেকে আবার পরস্পরের বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।প্রকৃতি জানে দুইজনের আর কখনও দেখা হবে কিনা।



সমাপ্ত

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:০৯

এম এ কাশেম বলেছেন: চমৎকার বিরহের গল্প

জীবন বুঝি এমনই...........।

শুভ কামনা মিস আরজুমিন।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

হামিদ আহসান বলেছেন: পড়লাম গল্পটা। অসাধারণ লিখেছেন...............

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ। অসাধারণ বুঝব কিভাবে ?আর তো কোনো কমেন্টস নাই হামিদ ভাই। এখানে লেখায় কমেন্টস এত কম। তাই আগ্রহ কমে যাচ্ছে লেখার।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

তাহাসিন বলেছেন: পড়লাম গল্পটা। অসাধারণ লিখেছেন...............

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্টসের জন্য শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:০১

রাগিব নিযাম বলেছেন: ভালো লেগেছে। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.