নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ছায়ায় আমার ভূবন

আমি কনফিউসড চরিত্রের মানুষ।অগোছালো সবকিছুতে দোদূল্যমনতা আমার বৈশিষ্ট্য।টু বী অর নট টু বী এই দ্বন্ধে চলছে জীবন।

আরজু মুন জারিন

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।

আরজু মুন জারিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলিফ পড়ে স্ট্যান্ডার্ড সেভেন এ (কিশোর ক্ল্যাসিক )

২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৫৮

(পর্ব -তিন )



নার্স এসে সুখবর দিল বাবাকে। যেকোন সময় রিলিজ করে দেওয়া হবে আলিফ কে। এখন সে সুস্থ। খুশি হয়ে বাবা পাশের মসজিদ এ নামাজ পড়তে গিয়েছেন। বাসায় ফোন করে স্ত্রীকে আসতে বললেন। স্ত্রী আসার পর ছেলের পাশে বসিয়ে তিনি মসজিদের উদ্দেশ্যে গেলেন।



আলিফ দৌড়াচ্ছে প্রচ্চন্ড গতিতে। তার পিছনে আসছে ছোরা হাতে এক মুখোশধারী।



বাবা বাবা মা বাচাও বলে সে ত্রাহি ত্রাহি চিত্কার করে দৌড়ে যাচ্ছে। সারা রাস্তায় কেও নেই। শুধু আলিফ আর তাকে ধাওয়া করে আসছে অজ্ঞাত আততায়ী। দুরুত্ব কমে আসছে দ্রুত। একসময় ধরে ফেলল আততায়ী তাকে। তাকে মাটিতে ফেলে বুকে চড়ে বসল। ভয়ে তার মুখ থেকে গো গো আওয়াজ এর মত বের হচ্ছিল শুধু। ওই অবস্থায় ঘুম ভেঙ্গে লাপ দিয়ে উঠে বসে বিছানায়।



ভয়ে আতঙ্কে তার গলা শুকিয়ে কাঠ। কয়টা বাজে এখন। কেমন নিঃশব্দ মনে হচ্ছে ক্লিনিক টা কে। সে মনে মনে খুজছে কাওকে। এখানে তাকে কে নিয়ে আসছে সে জানেনা। বস্তুত জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর মাত্র ই চেতনা ফিরে আসল তার। কিছুক্ষণ তার চেতনা কাজ করছিলনা সে এই মুহুর্তে কোথায়। ঠিক তখন ই তার সামনে লাপ দিয়ে পড়ল জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া হুবহু স্বপ্নের সেই অজ্ঞাত আততায়ী টি। সে চিত্কার দিয়ে উঠল ভয়ে। তার চিত্কার এ পাশের রুম থেকে নার্স আরেকজন ওয়ার্ড বয় এসে ঢুকল।



এই তুই কে রে ? ওয়ার্ড বয় টি হুঙ্কার দিয়ে উঠল। পাশের কাঠের টুল টি মুখোশধারীর দিকে ছুড়ে মারল। আকস্স্মিক আঘাতে হতভম্ব হয়ে আততায়ী উঠে জানালা দিয়ে লাপ দিয়ে বের হয়ে দ্রুত শুন্যে মিলিয়ে গেল।



আলিফ ভয়ে এখন কাপছে। নার্স টি এসে মায়ায় জড়িয়ে ধরল আলিফ কে বুকে।



রহমান ভাই শিগ্রী পুলিসে ফোন করেন। ওহ খোদা কি ভয়ংকর। চিন্তা করেন ভাই আমরা একটু দেরী করলে এই বাচ্চাটার কি হইত। বলেই নার্স টি আবার আবেগে জড়িয়ে ধরলেন আলিফ কে। তখন ই মা আর বাবা কেবিন এ আসল। নার্স মেয়েটি ইশারায় আলিফের হাত চেপে কানে কানে বললেন মা বাবাকে গুন্ডার ব্যাপারে যেন না বলে।



মা বাবা এসে আবেগে জড়িয়ে ধরে আলিফ কে। আলিফ মায়ের বুকে পরে ফোফাতে লাগল। আবেগ প্রশমের পর বলল



মা কি এনেছ খাব। ভীষণ খিদে পেয়েছে।

মা স্নেহে জড়িয়ে ধরলেন ছেলেকে আবার।



আজকে শুধু লিকুইড দিবেন , জুস সুপ শক্ত খাওয়ার দিবেন না কেমন। নার্স আর ওয়ার্ড বয় টি বারবার আদর করে চলে গেল।



মা আজকে এত ভয় পেয়েছি বলে ফেলতে গিয়ে জিহ্বা কামড় দিয়ে বসল আলিফ। মা বাবা অবশ্য কিছু বুঝতে পারেনি।



বাবা জড়িয়ে ধরলেন একহাতে। না বাবা ভয়ের কিছু নাই এইত ঠিক হয়ে গেছে।



রাত বার টা বাজে। এখন ও সব ফর্ম ফিলাপ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকাতে আলিফ বাবা মা সহ হাসপাতাল এ। বাবা এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বাহিরে তাকাতে গিয়ে চমকে উঠেন। হাসপাতাল এর বারান্দায় অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে কেও একজন এদিক তাকাচ্ছে। তার মুখে মুখোশ কেন ?তিনি ভেবে কোন কুলকিনারা করতে পারলেন না। কেও কি মজা করে ইচ্ছে করে মুখোশ টি পরে আছে।



কিছুক্ষণ পরে নার্স আসতে তিনি বলে ফেললেন , আপনাদের বারান্দায় একজন দেখতে পাচ্ছি মুখোশ পরা বুঝতে পারছিনা কি ব্যাপার , কিছুটা চিন্তাযুক্ত গলায় বললেন।



নার্স টির প্রতিক্রিয়া হল মারাত্মক। সে এবার বেশ ভয় পেয়ে এসে জানালা শক্ত করে বন্ধ করে দিল। রুম থেকে ফোন করল নিকটস্থ থানায়। অনুরোধ করল পুলিস আসার জন্য।



ব্যাপার কি এবার বাবার আশংকা চরমে পৌছল।



দুশ্চিন্তা করবেন না। পুলিস এখন ই চলে আসবে। তারা আপনাদের ঘর পর্যন্ত দিয়ে আসবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা দরজা জানালা বন্ধ করে এই রুম এ বসে থাকেন। কেও নক করলে ও দরজা খুলবেন না যতক্ষণ না আমার স্বর শুনবেন বলে নার্স দরজা ভেজিয়ে চলে গেল।



ব্যাপার কি মা কাপতে লাগলেন ভয়ে আতঙ্কে।



রাত বাজে তিনটা। আর ও তিন ঘন্টা পার হয়ে গেল পুলিস এর দেখা নাই। দুশ্চিন্তায় মা বাবা অস্থির। মেয়ে ঘরে একা।



ঠিক তখন জানালায় আওয়াজ শোনা গেল টোকার।



টুক টুক টুক টুক।



(পরবর্তীতে )

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বাহ! বেশ জমাট গপ্প। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলো...।+

২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আমি তো খুশি হয়ে গেলাম
কিছুটা জমে গেলাম
জমানোতে।
কিন্তু ছাই
জমল আর কই
বাকি মন্তব্য কারীরা কই।

২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: পরের পর্ব লিখব কার জন্য। এখানে সব লেখক। কেও কার ও লিখা পড়েনা। প্রথম আলোতে দেখি পাঠক আছে। পাঠক ছাড়া কি পোস্ট দিতে ইচ্ছে হয় বলুন ? তার পরে দিব পরবর্তী পর্ব যখন দেখব অন্ততপক্ষে ১০০ প্রদর্শনী। খাওয়া ঘুম মাটি করে শুধু ব্লগিং এর পোস্ট দেওয়া তো বোকামি।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: জমাট গল্প, সবগুলো পড়তে হবে।

২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: হু হু তাড়াতাড়ি পড়ুন। আমি চেষ্টা করছি জমাতে। জমেনা তারপর ও। .....ছেড়ে ছেড়ে যায়।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা মজা করে আগের কমেন্টস করেছি। শুধু একজন আপনি পড়লে ই হলো। তার জন্য ই লিখা উচিত। তবে লেখক সবসময় চায় তার লিখা পঠিত হবে।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ঢাকাবাসীকে পাশে পাওয়ায় অনেক আনন্দিত। ভাল থাকুন আমার ঢাকাবাসী।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কোন চিন্তা নেই , চালাতে থাকুন, পাঠক পেয়ে যাবেন।

আপনি প্রথম আলোর ব্লগে লেখেন নাকি? আমিও ট্রাই করেছিলাম। কোন টেকি সমস্যার কারণে যতবারই পোষ্ট মারি, দেখি পোষ্ট হয় না। রেগেমেগে সামুতে চলে আসলাম। :( :( =p~

কমেন্টের উত্তর নতুন কমেন্ট হিসেবে না দিয়ে ডান দিকের সবুজ চিহ্নে ক্লক করে দিন।

ভবিষ্যতে আমার ব্লগবাড়িতেও আপনার আমন্ত্রণ রইলো।

২৮ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:০০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: হ্যা প্রথম আলোতে কিছুটা রেসট্রিকশান। পোস্ট দীর্ঘ সময় মডেরেশন এ থাকে। এইজন্য অনেকে বিরক্ত। তবু আবার ট্রাই করে দেখুন। ভাল লিখলে পোস্ট পাবলিশ হবে। একটু ধৈয্য ধরতে হবে আর কি

২৮ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:১০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: কিন্তু কমেন্টস না হলে কোন পোস্ট দিলে নিজেকে একটু বোকা বোকা মনে হয়। কোন এ রেসপন্স বুঝতে হবে। একটা লিখা লিখে আমাকে বুঝতে হবে পাঠক লিখা চাচ্ছে কিনা বা পড়ছে কিনা এই আর কি। যেমন প্রথম আলোতে আমার কিছু বন্ধু আছে তারা আমার পোস্ট পড়বে আমি জানি। অবশ্য প্রথম আলোর প্রথম দিকে আমার পোস্ট এ কমেন্টস থাকত দুইটা তিনটা। যেমন এখন সামুতে। আপনি বলছেন তাহলে এ অবস্থা সাময়িক। কেটে যাবে দুরবস্থা। আসলে আমাকে সময় দিতে হবে। অন্যের লিখায় কমেন্টস করতে হবে। তখন আমি যাদের কমেন্টস করব তারা নিশ্চয় আমার লিখায় ঘুরে আসবে কমেন্টস করতে। প্রথম আলোতে আমি এইভাবে নিজের পজিশন উন্নীত করেছি। কিন্তু এখন আর ওই সময় টা ম্যানেজ করতে পারছিনা।

আপনার সাথে কথা বলে ভাল লাগল তনিমা। আবার ও আমার ব্লগ বাড়িতে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন কেমন।

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল লাগছে গল্পটি । আশা করি পরের পর্ব পাব শীঘ্র..........

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: হামিদ ভাই কি খবর ? ভাল কি হয়েছে গল্প ? আমার সব গল্প তো জানেন দ্রুত লিখা বিশ থেকে পচিশ মিনিটে অগোছাল থাকে। এডিট করার সময় ও পাইনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.