নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ছায়ায় আমার ভূবন

আমি কনফিউসড চরিত্রের মানুষ।অগোছালো সবকিছুতে দোদূল্যমনতা আমার বৈশিষ্ট্য।টু বী অর নট টু বী এই দ্বন্ধে চলছে জীবন।

আরজু মুন জারিন

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।

আরজু মুন জারিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যেখানে যেমন (গল্প )

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪০

১ পারুলরা তিনবোন।বড় পারুল বয়স দশ মেজ মরিয়ম ছয় ছোট আদুরী বয়স চার।

অনেকক্ষন ধরে তারা তিনবোন চেষ্টা করছে তাদের হাতের মালাগুলি বিক্রি করতে।আজকে কেও একটা মালাও কিনছেনা।ছোট বোন আদুরী ক্ষিধার যন্ত্রনায় রাস্তায় বসে পড়ল।কালকে দুপুর থেকে আজকে এখন বাজছে সকাল দশটা তাদের কোন খাওয়া হয়নি।



পারুল এসে কোলে নিয়ে বলল মনা বেশী খারাপ লাগতাছে?আর কিছুক্ষন বোন।



গ্রীষ্মের প্রখর রোদে দাড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল।যে কোন গাড়ী থামলে চেষ্টা করছে কেও যদি একটা দুইটা মালা কিনে তাহলে কলা পাউরুটি কিনে খেতে পারবে।



তার সামনে হুশ করে একটা গাড়ী থামল ।তার হাতের মালাগুলি একঝটকায় টান দিয়ে নিয়ে গাড়ী ছেড়ে দিল।সে দৌড়াতে দৌড়াতে গাড়ীর পিছনে গেল।পরে হতাশ হয়ে রাস্তায় বসে কাদতে লাগল।



কিছুক্ষন পরে উল্টা দিক থেকে একটা গাড়ী এসে থামল পারুলের সামনে।গাড়ী থেকে মাথা বের করে ডাকল কেও তাকে।লোকটি হাত বাড়িয়ে তার হাতে টাকা ধরিয়ে দিল বলল তোমার মালার দাম।সরি গাড়ী থামানো সম্ভব হয়নি বলে চলে যেতে হয়েছিল।



পারুলের চোখটা ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়।ছানাবড়া হওয়ার ই কথা।কড়কড়ে পাচশ টাকার নোট এখন তার হাতে।



ছোট দুইবোন পাশে এসে দাড়াল।



বুবু এইলোকটা কে?কোথ্থেকে আইছে ?মরিয়ম মেজবোন জিজ্ঞাসা করল



ফেরেশতা হইব বুবু।ছোট আদুরী তার ছোট আদুরে গলায় জানান দিল।



কিছুক্ষন পর গাড়ীর লোকটি আবার কাছে এসে ডাক দিল ইশারায় বলল

আমার সাথে যাবি ভাল খাবি পরবি।



আমার বোনরা যাইতো পারব স্যার?



না তুই একা আয় বলে হাত টান দিয়ে উঠানোর চেষ্টা করলে ছোট আদুরী চিৎকার দিয়ে কেদে উঠে। পিছনের এক পুলিশের গাড়ী হুইসেল দেওয়ায় লোকটি তাড়াতাড়ি গাড়ী ছুটিয়ে দেয় হাত ছেড়ে ।



তিনবোন অনেক খুশী হাতে অনেক টাকা।কি খাবি মনা জিজ্ঞাসা করে ।



বুবু ভাজি ভাত মাংস আর কোক।



তিনজনে খেল পেটপুরে মা বাবার জন্য কিছু খাওয়া কিনে বাড়ীর দিকে রওয়ানা করল।



২ তাদের মা জামিলা পরপর তিনমেয়ের জন্মদিয়ে স্বামীর কাছে কুন্ঠিত হয়ে থাকে ছেলে না দেওয়ার অপরাধে।বেচারী এখন আবার সন্তান সম্ভবা।মূর্ছার মত হয়ে উঠানে পড়ে আছে।তাকে দেখার ও কেও নাই।খাওয়ানোর ও কেও নাই।তার স্বামী আবদুর রহিম সরকার বাড়ীর গরু ছাগল দেখা শোনা করে।



এই কতক্ষন আগে স্বামী তার সাথে চেচামেচি করে ঘর থেকে গেছে।যখন এরকম চেচামেচি করে মেয়েগুলি ভিতরের রুমে ভয়ে কাপে আর জামিলা কাদতে থাকে।



কি কপাল করি আসলাম একের পর এক আভাগ্যার গুষ্ঠি।মানুষের কি সুন্দর একটার পর একটা পোলা হয়।মনে কয় সবগুলারে মাটিতে পুতি লাই।



এইবার পোলা হইব আমি খোয়াবে দেখছি মিনমিনিয়ে বলে জামিলা।



হ হুন্কার ছাড়ে রহিম।প্রত্যেক বারে তুই খোয়াব দেখছ বান্ধী।



চেচামেচি করতে করতে সে বেরিয়ে আসে ঘর থেকে।হাটতে হাটতে তার মন পলকে অনুশোচনায় ভরে যায়।



তার এত ভাল বউটারে যখন তখন বাজে কথা বলে সে বিশেষ করে এই সময়ে তার বউ টার যখন যত্নের দরকার।এই কথাটা মনে আসা মাত্র বুকের ভিতরটা টনটন করতে লাগল বউ এর জন্য।তার মেয়েগুলি আল্লাহর রহমতে কত লক্ষী সুন্দর কত গোছানো।



আমি এরকম করি কেন পোলার লাগি ।মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিতে ভাবতে থাকে।



মনে মনে ভাবে আর কোনদিন তোগোরে কষ্ট দিমুনা বউ মারে ।তার চোখের কোনে পানি চলে আসে।শার্টের হাতায় সে চোখ মোছে।



সঙ্গে সঙ্গে বাড়ীর দিকে রওয়ানা করে আবার।আজকে বউ র মাপ চাইয়া তারপর কাজে যামু।



পথিমধ্যে দেখা তার দোস্ত বন্ধু একসঙ্গে কাজ করে ।আকবর নাম।



চল চল তাগাদা দিতে থাকে দেরী হয়ে গেছে এমনিতে।



আমি একটু বাড়ী থেকে ঘুইরা আসি তুই যা।



দেরী করিসনা বন্ধু চিৎকার করে বলে।

একটু পরে মন পরির্তন করে বাড়ীর দিকে না গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে রওনা হল।



বন্ধু পিঠ চাপড়ে দিল কিরে সব ঠিকঠাক আছে তো?

হু বলে সে হাসল।



৩ অনেকক্ষন ধরে জামিলা ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।আসমানী মায়ের পেটে বসে সেক দিচ্ছে।



কয়টা চাল বসাই দে হাড়ীতে।তোর বাপ আসব অখন।



মা চাল তো নাই কিছুক্ষন পরে ঘুরে এসে বলল সে।



দেখতো আটা আছে নাকি ?দেখা গেল তাও নাই।



মা দাড়াও আমি নিয়া আসি বলে দৌড়ে সামনের দোকান থেকে সামান্য চাল আলু আর এক হালি ডিম কিনল।



আধাঘন্টার মধ্যে নিপুন হাতে ডিমের তরকারী রান্না করল আলু তরকারী ভাত।বাবার জন্য বলে ঢেকে মা আর তাদের তিনজনের খাওয়ার এক বোলে করে নিয়ে আসল।



ছোট আদুরী র বায়না মায়ের হাতে খামু।একসঙ্গে সবাই গোল হয়ে মাকে ঘিরে বসল।এক এক লোকমা মা এক এক জনের মুখে দিচ্ছে তারা আনন্দ নিয়ে খাচ্ছে।



খাওয়া শেষ সব পরিস্কার করে বাবার খাওয়ার পারুল ঢেকে রাখে ঢাকনার নিচে।



মা বাবা তো এখন তো আইলনা।মেয়ে জিজ্ঞাসা করে।



তোরা বাতি নিভায়া ঘুমাই পড়।আমি জাইগা আছি।বলল জামিলা।



ঘরের ভিতরে ঢুকে পারুল তার গোপন সঞ্চয় আবার দেখল কত হয়েছে।বাশের চোঙাতে সে সঞ্চয় করে রাখছে।আটশ পচাত্তর টাকা হইছে। যখন হাজার টাকা হইবে সে ভাবে বাবারে দোকান নিয়া দিমু।



রাতে জামিলার ব্যাথা আরও বাড়ায় ওই বাড়ীর দাই আমেনা বিবিকে নিয়ে আসা হল।

সে এসে প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্থা করল।



ওই পারুল মিষ্টি পায়েসের ব্যবস্থা করছস তোদের এবার মনে হয় ভাই হইব।বলল দাই বেটি খুশীতে।

পারুলের খুশী র বদলে কান্না আসতেছে।মা বারবার যেভাবে গোঙানীর মত করে কেদে উঠছে তারা তিন বোন শিউরে শিউরে উঠছে।



ছোট বোন আদুরী জোরে কান্না শুরু করল ।আমি মার কাছে যামু বলে চিৎকার করে কানতে থাকল।



হেই বাদাইম্মা কই তোর বাপ কোনাই?জিজ্ঞাসা করে দাই নানী।



আমগো বাপরে বাদাইম্মা কইবানা কইতাছি মেজ প্রতিবাদ করে।



বাদাইম্মা না তো কি? ঘরে কোন ব্যবস্থা নাই খাওয়ার নাই।কি অশৃঙ্খলা তোগো।



দাই নানী চারিদিক ঢেকে দরজা বন্ধ করে দিল।দরজার বাহিরে তিনবোন অসহায়ের মত কাপতে লাগল।



নুতুন প্রান আসার সময় আগত।



৪ আজকের সরকারের বাড়ীর ধান ভাঙ্গার বিশাল উৎসব।চারিদিকে মেয়েরা সাজগোজ করে নাচগান করছে।খাওয়া দাওয়ার বিশাল আয়োজন ।রহিমের সামনে একজন একপ্লেট খাওয়ার রেখে গেল। খাওয়া দেখে বুকের ভিতর টনটনিয়ে উঠল।বউটার কথা মনে পড়ে গেল।বউ র দেওয়া খাবার ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে আসছে আজকে।



ভাবীগো পাশের মহিলাকে ডাকল এই খাওয়ার আমি নিয়া যামু বাড়ীত ।কোন বাটিত বা বোলে যদি দিয়া দিতেন।অনুনয়ের স্বরে বলল সে।



এই মিয়া এগুলান তুমি খাও।আদুরীগো লাইগা খাওয়ার দিয়া দিমুনে পরে।চিন্তা কইরনা।বলল ভাবী স্নেহের সুরে।



কাজ করতে করতে অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে।বারবার ছোটমেয়ার কথা মনে পড়তেছে।কতদিন মাইয়াগুলারা কোলে নিয়া আদর ও করেনাই।আজকে বাড়ীত যাওয়ার পর আর কোনদিন বউ বাচ্চারে কস্ট দিমুনা আল্লাহ মনে মনে আল্লাহর সাথে এই প্রতিজ্ঞা করে।



হঠাৎ আশেপাশের পরিবেশ সচকিত করে বাতাসে ভেসে এল আর্তচিৎকার।দেখা গেল রহিম মাটিতে পড়ে গিয়ে কাটা মাছের মত তড়পাচ্ছে।ধান ভাঙ্গার মেশিনে কোন ফাকে তার হাত ঢুকে গেছে ।নিমিষের মধ্যে তার হাত কনুই পর্যন্ত কেটে আরেক জায়গায় উড়ে পড়ল।তার আর্তচিৎকার সবার হায় হায় ধ্বনিতে পরিবেশ ভারী বেদনার্ত হয়ে উঠল।অসহ্য ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল।



রহিমকে নিয়ে আসা হল সদর হাসপাতালে।সে ব্যাথায় প্রলাপের মত বকছে।



আদুরী মা তুই কই?আমার বউ আমারে মাপ কইরা দে।



প্রবল রক্তক্ষরনে সে একসময়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে ।



একই সময়ে জামিলা সন্তান প্রসব করল।এবার আল্লাহ তাকে দয়া করেছে একদিকে ।তার ছেলে হয়েছে এবার। আরেকদিকে জীবন মৃত্যূর সাথে পান্জা লড়ছে সদ্য প্রসূত শিশুটির জন্মদাতা।



প্রকৃতি জানে সে বেচে ফিরে আসবে কিনা এই শিশুটির কাছে এই পরিবারটির কাছে।ছোট খাট দুঃখ কষ্ট বেদনায় জীবনের গতি থেমে যায়না।জীবন জীবনের নিয়মে চলতে থাকে।

পারুলরা তিনবোন তাদের ছোট ভাই টিকে কোলে নিয়ে বাবার অপেক্ষায় দাড়িয়ে।



পরিশিষ্ট: কেও একজনকে দেখা যাচ্ছে এগিয়ে আসছে তাদের দিকে।তাদের বাবা ও হতে পারে বা বাবার সংবাদ বহনকারী দূত।



আর ও তিন বৎসর পরের ঘটনা।সেই একই জায়গা ক্যান্টনমেন্ট এর ট্রাফিক লাইট টার সামনে তারা দুইবোন দাড়িয়ে পারুল মরিয়ম।ষ্টপে গাড়ী থামা মাত্র ভিতর থেকে এক লোক বলে উঠল দরজা খুলে আহবানের ভঙ্গিতে

আয় আয় আমার গাড়ীতে ভাল খেতে পারবি পরতে পারবি।তিনবছর আগে বলা এই কথাগুলির অর্থ সে ধরতে পারেনি।আজকে পারল।বিনা বাক্যব্যায়ে সে গাড়ীতে উঠে বসল।



সমাপ্ত

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এমন গল্পের পট কবে পরিবর্তিত হবে ? কবে সত্যিকারের একটি সুখী দেশ আমরা পাবো ?

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: এমন গল্পের পট কবে পরিবর্তিত হবে ? কবে সত্যিকারের একটি সুখী দেশ আমরা পাবো ? এ প্রশ্নের উত্তর সত্যি আমার জানা নেই। এসব বাস্তব ঘটনা যখন আমি লিখি লিখতে লিখতে আমার চোখের পানি চলে আসে। আসলে এ ঠিক গল্প বললে গল্প অর্থ জীবনের গল্প জীবন চিত্র হিসাবে লিখেছি। ওদের তুলনায় আজ আমরা কত সুখে আছি তাই ভেবে আল্লাহ এর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী (অর্থব বাদ দিলাম) কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: জীবন কারো কাছে নির্মমতার মাঝে বেঁচে থাকা ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: জীবন কারো কাছে নির্মমতার মাঝে বেঁচে থাকা ।

আমাদের দেশের ৯০ পার্সেন্ট মানুষ তো তাই না? এদের দুঃখের কথা মনে হলে খলিফা হারুন অর রশিদ এর সময়কালের গল্প গুলি মনে পড়ে। রাতে অভিযানকালে মাঝে মাঝে তিনি নিজের প্রজাদের দুঃখের কথা জেনে ছদ্মবেশে খাওয়ার দিয়ে আসতেন। আমাদের দেশে এইধরনের শাসকরা কবে যে আসবে? কবে যে দেশ থেকে দুঃখ যন্ত্রণা , অভাব দূর হবে। অন্তত দেশের প্রতি টি মানুষ যদি অন্যের চাহিদা টা পূরণ করতে পারত। এই দেশ টা স্বাধীন হওয়ার আগে ই মরে গিয়েছে। মৃত দেশের স্বাধীন হওয়ার কি দরকার ছিল? সমাধিস্থ হয়ে যেত। দুঃখিত আমার কথায় যেন কিছু মনে করবেন না কেও। দেশের কথা ভেবে মন বিষন্ন হয়ে যায় তাই এইভাবে বলি। অনেক ধন্যবাদ ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়াঘাট। ...............ভাল থাকবেন।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৩

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: এই গল্প যদি শুধু গল্পই হতো! ! :(
ভাল লাগলো |

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: এই গল্প যদি শুধু গল্পই হতো! ! :(বাস্তবতা। জীবন। ...আমার দেশের ৮০-৯০ পার্সেন্ট ? তাই তো নাকি? অসহায় পথকলিদের জীবন তো এরকম ই। ধন্যবাদ ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৮

এগারো বলেছেন: +++++++
অসাধারণ এবং নির্মম।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৩

আরজু মুন জারিন বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা।ধন্যবাদ ভাই কমেন্টসের জন্য। ভাল থাকুন।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৮

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: ভালো গল্প চালিয়ে যান!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আপনার নাম অতঃপর জাহিদ কেন ?

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: যখন অন্যের জন্য কলম ধরেছি এ লিখা চলবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। ভাল থাকুন আপনি। কমেন্টসের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

বলাকাবিহঙ্গ বলেছেন: Most beautiful, sensible, hearttouchable writing.
Salam & Respect to you.

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আপনাকে ও আমার সালাম। কমেন্টসের জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: জাহিদ আগে অতঃপর লাগিয়ে নিয়েছি!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: অতঃপর এর সাথে কনফিউশন আগের গঠিত কোন উল্লেখ মনে হয় । ....আমি জানি আপনি ঠিক আছেন। অসুবিধা নেই। নাম টি বিচিত্র মনে হয়েছে।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল হয়েছে আপু। পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ভাই কমেন্টস এর জন্য। ....গল্পটি পড়েছেন দেখে অনেক খুশি হলাম। শুভকামনা রইল অনেক। ভাল থাকবেন।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :-( +

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান। .............খুশি হলাম + সিম্বল এ। ভাল থাকুন।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

ডি মুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এদের দুঃখের কথা মনে হলে খলিফা হারুন অর রশিদ এর সময়কালের গল্প গুলি মনে পড়ে। রাতে অভিযানকালে মাঝে মাঝে তিনি নিজের প্রজাদের দুঃখের কথা জেনে ছদ্মবেশে খাওয়ার দিয়ে আসতেন। আমাদের দেশে এইধরনের শাসকরা কবে যে আসবে? কবে যে দেশ থেকে দুঃখ যন্ত্রণা , অভাব দূর হবে।

হুম, দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আপতত কিছুই বলার নেই।

আরো ভালো লিখে চলুন নিরন্তর। শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আপতত কিছুই বলার নেই আমার ও। চমত্কার কমেন্টসের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন ভাই। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সহজ সরল বাস্তব গল্প , কিন্তু গল্পের শুরুতে আমার ঢাকা শহর থেকে গ্রামে যেতে কষ্ট হয়েছে !!!!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: দ্বিতীয় সিকোয়েন্স দ্রুত লিখা হয়েছে। গল্প তে এত ডিটেলস লিখা যায়না। তাহলে উপন্যাস হয়ে যায়। ব্যাপারটা এরকম শহরের পাশে শহরতলি ছোট গ্রাম কিছু টোকাই দেখবেন ওরা অল্প সময়ে অনেক ভ্রমন করে। ট্রেন এ। এ বুঝানো হয়নি এক ডিস্ট্রিক্ট থেকে আরেক ডিস্ট্রিক্ট বা ঢাকা থেকে কমিল্লা। ..ঢাকা শহর থেকে অদূরে। ...তাদের ছোট গ্রাম। ...না বলে তাদের বাসস্থান বা ঘর। লিখতে লিখতে একটু ত্রুটি থেকে যায়। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ভাই

কমেন্টসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর জীবন কামনায়।

১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সহজ সরল বাস্তব গল্প , কিন্তু গল্পের শুরুতে আমার ঢাকা শহর থেকে গ্রামে যেতে কষ্ট হয়েছে !!!!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: কিন্তু গল্পের শুরুতে আমার ঢাকা শহর থেকে গ্রামে যেতে কষ্ট হয়েছে !!!!

১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

চড়ুই বলেছেন: মন টা খারাপ হয়ে গেলো। কষ্ট ভালো লাগেনা। :( :( :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: মন খারাপ হয় আমার ও আমার দেশের এই অবস্থায়। ..সবার কষ্ট দেখে। যদি পাওয়া যেত আলাদীনের চেরাগ বা যদি করা যেত এমন কিছু এ দেশ থেকে অন্ততপক্ষে অভাব টা দূর করা যেত। ..সবার দুবেলা অন্নের সংস্থান করা যেত। অন্তত শুধু পেটের ক্ষিদের কোন মেয়েকে করতে হতনা অমানবিক কাজ। অনেক ধন্যবাদ চড়ুই আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল অনেক অনেক।

১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

রাহুল বলেছেন: ভালো লাগলো,এযেনো আমার বাংলার বাস্তব রূপ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ভালো লাগলো,এযেনো আমার বাংলার বাস্তব রূপ। হ্যা দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা এ তো নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার আমার দেশে। ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এইসব নিরব যন্রনার ঘটনার অভাব নেই... কিন্তু এর সমাধানের অনেক অভাব । :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: এইসব নিরব যন্রনার ঘটনার অভাব নেই... কিন্তু এর সমাধানের অনেক অভাব।

আমরা লিখি ওদের কথা , যন্ত্রণার কথা। রাতারাতি আমরা দেশ পরিবর্তন করতে পারবনা। আমরা যা করতে পারি লিখার মাধ্যমে সমাজের স্বচ্ছল সামর্থ্যবান মানুষগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করা , মানুষের দয়া মায়া , সহানুভূতি সচেতনতা আর ও বৃদ্ধি করা লিখার মাধ্যমে। ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

রাগিব নিযাম বলেছেন: আপনার লেখার হাত খুব ভালো। ++

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

আরজু মুন জারিন বলেছেন: তাই !! কমেন্টসে তো খুশি হয়ে গেলাম। রাগিব নিজাম আপনি ও ভাল লিখেন। এজেন্টস অফ দি বাঘ্র্য মানব ভাল লিখা যা প্রথম আলোতে পড়েছি। আপনার অনেক সুন্দর জীবন কামনায়। ভাল থাকবেন।

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নির্মম যন্ত্রণা ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: নির্মম যন্ত্রণা ।
................ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। আপনার অনেক সুন্দর জীবন কামনায়। ভাল থাকবেন।

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬

পিন্টু রহমান (গল্পকার) বলেছেন: জীবনের টানাপোড়ন গল্পকারের দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। গভির মমতায় কতাপয় চরিত্র চিত্রায়ন করেছেন।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: জীবনের টানাপোড়ন গল্পকারের দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। গভির মমতায় কতাপয় চরিত্র চিত্রায়ন।

চমত্কার কমেন্টস এবং প্রশংসায় অনেক খুশি হয়ে গেলাম ভাই। ধন্যবাদ পিন্টু ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন কেমন।

২০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১১

এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর গল্প পড়লাম।

শুভ কামনা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৯

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: এরা হলো সমাজের গিনিপিগ । এদের দেখে মাঝে মাঝে কিছু মানুষের মনুষ্যত্বে সুড়সুড়ি ওঠে, তারপর সব আবার আগের মত ।

ভালো লিখেছেন ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: কিছু মানুষের মনুষ্যত্বে সুড়সুড়ি ওঠে এদের দেখে। ..অনেক সময় তাও হয়না। সহানুভূতি ও কয়জনের আছে। আমরা অভ্যস্ত এই অসহায় মানুষদের দেখে। ঠিক বলেছেন এক অর্থে গিনিপিগ। শুনতে নিষ্ঠুর শোনালে ও সত্যি। কমেন্টসের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৫২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.