নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।
আজ মনটা অনেক ভাল
শরীর টা আরো বেশি ভাল
পারিপাশ্বিকতা ছিল
চঞ্চল আবহাওয়ার মত ভালো।
কিন্তু তার পর ও কেন
মুখটা আমার হাতের আড়ালে।
আজ চেহারা লাগছে কেন যে
বড় বেশি খারাপ।
মুখটা ঢাকা তাই হাতের আড়ালে।
বের হলাম মেয়ে কে নিয়ে
ঘুরে বেড়াব পার্কের নির্মল হওয়ায়।
করলাম যত ধরনের আছে
সাজগোজ মনোহারী বাহারি কাপড়ে।
নিয়ে নিলাম হাতে ক্যামেরা
তুলব পারি যত সুন্দর ছবি।
ঢুকতে এলিভেটর এ
গেলাম থমকে ভয়ে
অনেকটা আতঙ্কে।
একি দেখছি কি চেহারা
মানুষ চেহারা কি হয়
এত কদাকার।
এলিভেটর এ আয়নায় সে ভদ্রলোক
আর আমি দাড়িয়ে সমান্তরাল এ।
সুধায় সে লোক বিস্ময় নিয়ে
কোথা থেকে তুমি এলে
এত সৌন্দর্য নিয়ে
মা মেয়ে তোমরা কোথা কার প্রিন্সেস
আমি আয়নায় দেখি তাকিয়ে
বলি নিজেকে অনুতাপে
আসলে তাইত পালন কারী
কত যে দয়া করেছে আমাকে
তুলনা য় এই অসুন্ধরের পাশে।
হাতে তার ক্র্যাচ চোখটা
তার দেখা যায়না ই বলে।
এবার আমি দেখে দিয়েছি
মুখটা হাতের আড়ালে
লোকটার জন্য
লজ্জা সমবেদনাতে।
ঘরে এসে প্রার্থনায় বসে
যখন নিমজ্জিত করি নিজেকে
মুখটা করি হাতের আড়ালে
নয় তা চেহারার কারণে
যতটা ভিতরের গ্লানিতে।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৮
আরজু মুন জারিন বলেছেন: ,আমরা যা তার জন্যই সৃষ্টিকর্তা কে ধন্যবাদ।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৭
পিয়ালী দও বলেছেন: ভাল
১০ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৯
আরজু মুন জারিন বলেছেন: পিয়ালী কি খবর?
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর কবিতা...
দৈনন্দিন জীবনকে নিয়ে একটু ভাবলেই অনেক চেতনার সৃষ্টি হয়।
তা নিজেকে আরও বুঝতে সাহায্য করে।
কবিতায় তা-ই পেলাম।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৭
আরজু মুন জারিন বলেছেন: মইনুল ভাই কেমন আছেন ?আপনাকে আচমকা একদিন পাওয়া যায়। চমৎকার কমেন্টস করে মন ভাল করে দিলেন। অনেক মন খারাপ আজ।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৪
চড়ুই বলেছেন: সুন্দর
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৮
আরজু মুন জারিন বলেছেন: আপনিও সুন্দর। চড়ুই পাখি আমার অনেক প্রিয় সুন্দর পাখি। ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। ভাল থাকুন।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: সব গ্লানি মুছে যাক / আমার যা আছে, তা নিয়েই আমি ।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৯
আরজু মুন জারিন বলেছেন: সব গ্লানি মুছে যাক / আমার যা আছে, তা নিয়েই আমি ।
সুন্দর কমেন্টস । ধন্যবাদ । ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৫
পাজল্ড ডক বলেছেন: সত্যিই তাই,আমরা যা তার জন্যই সৃষ্টিকর্তা কে ধন্যবাদ।