নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আতাতুর্ক সফর!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

আমাদের আনকারা সফরটি ছিল মূলত তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বাসির দেয়া গ্রাজুয়েশন সংবর্ধনায় অংশ নেয়া আর নতুন করে মাস্টার্সের জন্য পাওয়া স্কলারশীপের ডকুমেন্টসগুলো সাইন করিয়ে নিয়ে আসা।

আতাতুর্কের মাজারের সামনে আমরা

প্রথমদিন গিয়েই মেহমান হলাম এস্কেশাহীরের সাবেক Jannatun Nayeem আপুর বাসায়। সেখান থেকে আপুর সাথে একসাথে এম্বাসির প্রোগামে অংশ নিয়ে উঠলাম তার্কিশ সেন্সর বোর্ডে কর্মরত Ahmet Akalın এর বাসায়। এম্বাসির প্রোগ্রামে অনেক দিন পর তুরস্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে দেখা হয়ে বেশ ভাল লাগল। বউকে ভাবীদের আসরে বসিয়ে দিয়ে আমিতো জমিয়ে আড্ডা দিয়েছি।

আমাদের শহর থেকে আনকারার দূরত্ব ২৩৫ কিলোমিটার। তবে স্পীড ট্রেনে এই যাত্রায় সময় লাগে ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট। তার্কিশ মিডিয়ার ভাষ্য মতে আনকারাতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ একটু বেশী। তাই সেখানে বেড়ানোর খুব একটা ইচ্ছে আমাদের ছিল না। তবে, যেদিন কাজ সাইন করাতে বের হয়েছিলাম সেদিন বেড়িয়েছিলাম কিছুটা। আর তার আগের রাতে। আহমেদ সাহেব নিজের গাড়িতে করে লম্বা পথ ঘুরিয়েছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আহমেদ সাহেবের মেহমানদারী ছিল এমনই যে, আমার বিয়েতে আসতে পারে নাই তাই তুরস্কের কালচার অনুয়াযী মারিয়াকে একটি সোনার পয়সা উপহার দিয়েছে।

প্রথমদিন রাতে গিয়েছিলাম প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বাসভবনে। পাশেই বিশাল মিল্লেত মসজিদ আর সু বিশাল লাইব্রেরী। যদিও ভাইরাসের কারনে লাইব্রেরী এখন আর রাতে খোলা থাকে না। মসজিদ ঘুরে আর দূর থেকে এরদোয়ান সাহেবের বাড়ি খানা দেখেই ফিরে এসেছি। শুনেছি এই প্রাসাদের কর্মচারীর সংখ্যা ৪ হাজারের অধিক। সোনায় আবরিত এক একটি পানির কলের দাম প্রায় ২ লাখ টাকার মত। এই মহলের জন্য চলমান থাকা সমালোচনা এখনও বিদ্যমান।
সেই বাড়ী

পরেরদিন গিয়েছিলাম তুরস্কের জনক আতাতুর্কের কবরে। এর আগে যদিও পুরাতন একটি কারাগার, যা এখন মিউজিয়াম দেখতে গিয়েছিলাম। তুরস্কের বিখ্যাত সব মানুষদের রাখা হয়েছিল এখানে। ২০০৪ সালে তুরস্কের আইনে ফাঁসি তুলে দেওয়ার আগ অব্দি মোট ২৭ জন এবং এর মধ্যে আতাতুর্ক একাই তার বিরোধী ৬ জনকে এখানে ফাঁসি দিয়েছিল। পাশে একজন বলছিলেন, মানুষ শুরুতে এখানে আসলে এরপর আর আতাতুর্কের কবর দেখতে যেতে চায় না।

আতাতুরর্কের মাজারে আমি এর আগেও বেশ অনেক বার গিয়েছিলাম। আমার বউকেও একটা ঐতিহাসিক মানুষ সম্পর্কে কিছু জানাতেই এখানে আবার যাওয়া। তবে এখানে তাকে সব থেকে বেশি অবাক করেছে, প্রহরী সেনারা। যারা প্রায় ৬ ঘন্টা একাধারে কোন ধরনের নড়াচড়া ছাড়াই দায়িত্ব পালন করেন। মারিয়া শুরুতে এদের পুতুল ভেবে, পরে মানুষ পরে আবার পুতুল পরে আবার মানুষ হওয়ার বিষয়টিটে সিদ্ধান্ত ঠিক রেখেছে। আতাতুর্কের ব্যবহার করা নৌকা, আর করোনার কারনে বন্ধ থাকা মিউজিয়ামের পাশে থেকে হেটে ফিরে এসেছি। তবে এখানে শপে আতাতুর্কের সাইন সংগবলিত কলম থেকে শুরু করে বহু কিছুই পাওয়া যায় যার মোটামুটি মূল্য প্রায় বাংলাদেশে একজন গার্মেন্টস কর্মীর একমাসের বেতনের কাছাকাছি।

তার্কিশরা একে আনিতকাবির বলে
মারিয়া, আনকারার বালগাটের একটা দোকানের সুপের খুব প্রেমে পরে গিয়েছে। যদিও সুপ তার সব সময়ই ভাল লাগে। তবে সে ভেড়ার গোশত থেকে বরাবরই নসিকা ছিটিয়ে মজাদার কেল্লে পাসা ছুপ থেকে মাহরুম হয়েছে। আবারও ফিরে এলাম সেই সুপের রেস্টুরেন্টে। আহমেদ সাহেব সহ যে যার পছন্দ মত খেয়ে দেয়ে মোটা তাজা হয়ে সন্ধায় ফিরে এসেছি আমাদের প্রিয় শহরে।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই করোনার মধ্যেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনি ভাগবান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.