নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশে একটি "মেধা হত্যার" ভূখন্ড...

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৮

ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে দুটি লেকচারার পদের জন‍্য আবেদনকারীদের মধ‍্যে পাঁচজন পিএইচডি করা প্রার্থী ছিলো। কিন্তু তাদের কাউকে তো নিয়োগ দেয়া হয়নি। এমন হবে, এটা তো সবাই জানতো। যারা আবেদন করেছে, তারাও জানে। তবুও হয়তো করেছিলো, স্বপ্ন নিয়ে। আশা নিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে পিএইচডি করা ড. মোরশেদা মাহবুব, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা ড. শুভ্র প্রকাশ নন্দী, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা ড. জিনাত জেরিন হোসাইন ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং ঢাবি থেকে পিএইচডি করা ড. শারমিন জামান ইমনকে বাদ দেয় বাছাই বোর্ড। —কী চমৎকার না বিষয়টা!
তাহলে কাকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে? —যাদের সাথে ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক প্রভাবশালী শিক্ষকের পরিচয় আছে, সম্পর্ক আছে, কিংবা যাদের সাথে সরকারী দলের নেতাদের সম্পর্ক আছে।
অথচ, এই যে ছেলে-মেয়েগুলো যারা বিদেশ থেকে পিএইচডি নিয়ে গেলো, তারা যদি দেশে ফিরে না যেতো, তাহলে আপনারা তাদের চৌদ্দগুষ্ঠিকে গালাগালি করতেন। —বলতেন, ওরা দেশের টাকায় পড়াশুনা করে বিদেশে গিয়ে সাদা চামড়ার কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়েছে।
পিএইচডি করে কেউ কোন দেশে লেকচারার হয় না। পিএইচডি-পোস্টডক থাকলে সরাসরি এসিসট‍্যান্ট প্রফেসর হয়। চীন দেশে সরাসরি এসোসিয়েট প্রফেসর বা প্রফেসর হওয়া যায়! কিন্তু ওরা পিএইচডি করে নিজের দেশে লেকচারার পদে আবেদন করেছিলো! অথচ ওদের বন্ধুরা কিন্তু কোন ডিগ্রি-মিগ্রি ছাড়াই ওখানে এসোসিয়েট প্রফেসর হয়ে বসে আছে।
বিশ্ববিদ‍্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং মায়ের হাতের মোয়া না! বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ‍্যালয়, এশিয়ার র‍্যাঙ্কিং-এ যদি পাঁচশতের মধ‍্যেও থাকে, তাহলেও আমি সন্দেহ করবো। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে চাইবো কারা, কিভাবে, কোন ক্রাইটেরিয়ায় এই র‍্যাঙ্কিং করেছে। এগুলো প্রাচ‍্যের (মানে ব-দ্বীপের) হার্ভাড, এমআইটি আর অক্সফোর্ড হয়ে থাকারই যোগ‍্য।
আওয়ার কান্ট্রি ইজ এ ল‍্যান্ড অব ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ড কিলার!

লিখেছেন: রউফুল আলম।।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: অতি কষ্টের সাথে হজম করছি !!!

এই অনাচার কবে যে বন্ধ হবে কে জানে ?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

পথিক৬৫ বলেছেন: রাষ্টের ভিত্তি নরম থাকলে এগুলো ঠিক হয় না।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: এনারা কি বিসিএস পাশ দেওয়ার চেয়েও বেশী মেধাবী? আজকাল দেশে মেধা যাচাইয়ের একটাই উপায় বিসিএস পাশ চাকরি। এছাড়া বাকিসবকে দেশের মানুষ ও মিডিয়া হিসেবেই ধরে না। কি অদ্ভুত অবস্থা!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০

পথিক৬৫ বলেছেন: কাউকে ছোট করার জন্য বলছি না। তবে মুখস্ত বিদ্যার এই ক্যাডার রাষ্ট গঠনের প্রধান বাধার গুলোর একটা।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দুঃখজনক :(

সব জায়গাতেই একই অবস্থা
বছরজুড়ে কেউ আবকাশিকে থেকেও কাজ না করেও দেখেছি এক্সসিলেন্ট রিপোর্ট পেতে
আর কেউ সারা বছর কাজ করেও পায় বড় জোড় ভেরি গুড। এসব দেখে মন খারাপ হয় :(

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

পথিক৬৫ বলেছেন: একটা থিসিস প্রোপোজল রেডি করব বলে গত ৩ মাস শুধু ভেবেই যাচ্ছি। সেই প্যারায় বয় এখন থিসিসকে নিজের সতীন মনে করা শুরু করেছে। গুড আর বেরি গুডের কথা কি বলব বলেন।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাবির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রধান যোগ্যতা এখন নীল দলের চেতনা ধারন। আর তাই রাজনৈতিক সুপারিশ এখন প্রধান যোগ্যতা। মেধা, ডিগ্রী এসব বরং অযোগ্যতা।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি সহ সমস্ত সরকারী প্রতিষ্ঠান দেশের সাধারন মানুষের জন্য না। ওইসব প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, তারা মনে করেন এস প্রতিষ্ঠান তাদের বাপ দাদার।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখকের নাম সম্ভবত ভুল লিখেছেন। আজকে এই লেখাটা অনেক শেয়ার হচ্ছে। মুল লেখার পাশাপাশি যদি আপনি এই সম্পর্কে কিছু লিখতেন তাহলে পোস্টটি ভালো হতো।

সম্ভব হলে মুল লেখার লিংকটি এখানে যুক্ত করুন।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: রাজনৈতিক নিয়োগ আগেও ছিল এখনো চলছে তবে একটু বেশি মানে কামান দাগিয়ে । শেখ মুজিব ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে মুলত তার পরিচিতি বাড়ানোর কাজটি সম্পন্ন হয়েছে হেফাজতের মাধ্যমে । এই যারা এখন নিয়োগ পাচ্ছেন তারা লীগের ক্রান্তিকালে দাঁড়াবে পাশে এসে । এমাজুদ্দিনের মত ভি সি মিসেস জিয়াকে ফোন করে বলে পিকু অক্সফোর্ডে কিছু শর্ট কোর্স করছে না কেন ? আমি বলি চুরির শর্ট কোর্স তো দেশেই করেছে এখন ডাকাতির শর্ট কোর্স নামি জায়গায় করুক । এই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় আর তার ভি সি দের কাহিনী । এরা পারেনা এমন কিছু নেই , এদের লজ্জা নামক বিষয়টি শরীর থেকে ঝরে গেছে ।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৩

সোহানী বলেছেন: কম দু:খে দেশ ছাড়ি নাইরে ভাইজান। মেধার মূল্যায়ন হলে এতোদিনে দেশ সিঙ্গাপুর হতো। ..........

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: চোখ, কান মুখ বন্ধ রাখুন- যদি নিশ্বাস চালু রাখতে চান।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০৭

কালো যাদুকর বলেছেন: ওরা যে কেন শুধু শুধু দেশে ফেরত গেল ৷ মাঝে মাঝে ফিরতে চাইলে আশে পাশের মানুষজন বলে" এটজাস্ট" করতে পারবেন না। এখন বুঝলাম এই " এটজাস্ট" মানে কি ৷

অবস্থা দেখে মনে হয় - আমরা যেন পন করেছি যেভাবেই হোক লেভেল প্লেইন ফিল্ড কোনভাবেই হতে দেব না"

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ইশ্ ! এইসব কথা শুনলে কি যে কষ্ট লাগে সেটা আমি কোন ভাবেই ব্যক্ত করতে পারবোনা।

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১০

আখেনাটেন বলেছেন: আমি একজনকে জানি...........যিনি এমআইটি থেকে স্নাতক, স্ট্যানফোর্ড থেকে স্নাতকোত্তর, ও ক্যামব্রিজ থেকে পিএইচডি। দেশে এসে ঢাবিতে জব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রাচ্যের অক্সফোর্ড উনাকে যোগ্য মনে করেন নাই। দেশকে ভালোবাসেন। বেচারা। দেশেই থাকলেন.......এখন দেশের একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ান। বুঝুন এখন অবস্থা। কোথায় আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.