নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল পৃথিবী তোমার জন্য ভাল কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে।তবে ঠিক ততটুকুই তোমাকে সে দিবে যতটুকু তুমি নিজেকে গড়েছ।

পথিক৬৫

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।

পথিক৬৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্যাতন বন্ধ হোক, মাদ্রাসা না।

১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩০

গতকাল মাদ্রাসায় বড়দের নির্যাতন নিয়ে লেখাটিতে মন্তব্য করে অনেকেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেয়া উচিত কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষায় জাতী কি পাচ্ছে... ইত্যাদি অনেক ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে ব্লগে এই মন্তব্যের সংখ্যা বেশী।



যারা এই নির্যাতন ইস্যুকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা শিক্ষার বিষয়টাকে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের বলছি; আমার মাথা ব্যাথা হলে কি মাথাটাই কেটে ফেলবেন, নাকি চিকিৎসা করাবেন?

গতানুগতিক শিক্ষার থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রদের প্রতি নির্যাতনের ঘটনা একটু বেশী। এটা মেনে নিতে হবে। বিশেষ করে হাফেজী মাদ্রাসাগুলোতে এটাই ধারনা যে, 'না মারলে হাফেজ হয় না।'

কিন্তু এটা নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাকে ঘোলা করার চেষ্টা কতটা ঠিক?

আচ্ছা! আপনার বাড়ির পাশের মসজিদের ঈমাম কিংবা মুয়াজ্জিনের মাসিক বেতন কত? জানেন? একজন বেসরকারী মাদ্রাসার শিক্ষক তার পাঠদানের বিনিময়ে কত টাকা বেতন পান সেটা জানেন?

হাফেজী মাদ্রাসার হুজুর, যিনি কিনা তার পরিবারকে অনেক দূরে রেখে মাসে মাত্র ৫ থেকে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে বছরে ১০-১৫ জন হাফেজ তৈরি করেন। কিন্তু এই টাকায় তার সংসার কিভাবে চলে সেটা প্রশ্ন করেছেন?

হুজুর এখন এই সেবার পাশে একটা আরবি প্রাইভেট পড়াবেন। কারন হুজুর আরবি ছাড়া আর কিছু জানেন না এটাই আপনাদের ধারনা। যাইহোক সেখানে গিয়েও আরবি নাম শুনেই আপনিই তার বেতনের অফার শুরু করেন ৩০০ টাকা থেকে, আর সেটা ৫০০ তে গিয়ে স্বাক্ষর করেন। অথচ অন্য বিষয়ের শিক্ষকে শুরুই করেন ২ হাজার থেকে।

বাবা-মাকে জান্নাতে পাঠাতে দরকার হলেই হুজুরকে ডাকেন। ২ টা মুরগীর পিছ খাইয়ে মনে করেন হুজুর শুধু খায়। আর হাতে ২০০ টাকা ধরিয়ে দিয়েই মনে করেন হুজুরকে কিনে নিয়েছেন।

হুজুর ইমামতি করবে। সমাজের নেতা হবে। কিন্তু মিম্বারে দাঁড়িয়ে কাউকে একটু ইঙ্গিত করলেই বলেন হুজুর রাজনীতি করে। পরের দিন তাড়িয়ে দেন। চাকরীর কোন নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই।

আরো কত কিছুই না করেন হুজুরের সাথে। অনেকেটা হুজুরের জামাটা সাদা বিধায় একটু দাগ বেশীই দেখা যায়।

কিন্তু কখনও হুজুরের সাথে এম্পেথি করেন নাই। তার বন্ধু না হয়ে তাকে সমাজের ২য় শ্রেনীর মানুষ মনে করেছেন। হুজুর কিছু একটা ভুল করলেই সেটাকে সুযোগ বানিয়েছেন। পাঞ্জাবী পরিহিত হুজুর মনের ভুলেও রাস্তায় কোন নারী দিকে তাকালে তাকে তিরস্কার করেন। আর নিজেরা করলে আধুনিকতা মনে করেন। আবার নিজেকে খাটি মুসলিম দাবী করে তৃপ্তির ঢেহুক তুলেন।

আপনার রাষ্ট হুজুরদের কি দিয়েছে?
আমি এমন অনেক শিক্ষক চিনি যারা এমপিও হবে সেই আশায় ২০ বছর বিনা বেতনে চাকরী করে যাচ্ছেন। স্কুল এমপিও দেন ১০০০ হাজার মাদ্রাসায় আসলেই ১০ টাও নাই। কি বিচার!

ইমাম বা মুয়াজ্জিন নিয়োগগুলো রাষ্ট্রীয়করন করতে পারেন নাই। এলাকার নেতাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। আবার সেই নেতাও আপনাদের দলের। কিন্তু একটা মুসলিম দেশ হিসেবে তাদের সবার চাকরীগুলো সরকারী হওয়া উচিত ছিল।



হুজুর দেখলেই নাক ছিটান । মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে বলেন। মারা গেলে আপনার জানাযা কে দিবে সেটা ভেবে দেখেছেন? হুজুর না থাকলে আপনার বাবা-মাকে জান্নাতে পাঠাতে দোয়ার জন্য কার কাছে যাবেন?

এবার শুনুন মাদ্রাসা ছাত্রদের সফলতার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে ভর্তি পরিক্ষায় ১ম হওয়াদের একটা তালিকা করেন। পেয়ে যাবেন। মেডিকেল, বুয়েট থেকে শুরু করে সুযোগ পাওয়া ছাত্রদের তালিকায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সফলতা আর প্রচেষ্টা একটু বেশিই। দেশে বাহিরে এসেও দেখেছি। যতগুলো দেশে ঘুরেছি। যাদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। বড় একটা অংশ ছিল মাদ্রাসার ছাত্র, যারা বিদেশেও সফল।

তবে দেশে তাদের সুযোগ দেন নাই। BCS দিবে হুজুর। এটা শুনলেও মুচকি হাসেন। শুরু থেকে শেষ অব্দি হুজুর বলে আর কত সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন।

আর নৈতিকতা?
একটা মাদ্রাসা ছাত্রের কাছে যে নৈতিকতা আছে তা আপনি সাধারন ছাত্রের কাছে পাবেন? সাদা জামায় দাগ একটু বেশী দেখা যায় আর তাই অনৈতিকতা সামনে আসলে বেশীই ফুটে উঠে। কিন্তু সেটা বছরে ২-৩ বার।

কিন্তু খুন, রাজহানী, ধর্ষন, হানাহানি সহ দেশে যা যা ঘটে, তার কতগুলো মাদ্রাসার ছাত্র ঘটায়? তো যারা ঘটায়, তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে তো দেশে মাদ্রাসা ছাড়া কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই থাকবে না।

এটা মানতে হবে মাদ্রাসা শিক্ষায় আধুনিকতার অভাব আছে। ধর্মকে সামনে রেখে নানান ভাবে বিভক্ত হয়েছে তারা। আর সবাই শুধুমাত্র তাদেরকেই সঠিক মনে করেন। এটা তাদের অগ্রগতিতে বাঁধা হয়ে আছে। চিন্তার মাঝে পরিবর্তন দরকার। কামিল পাশ করে মুয়াজ্জিনের চাকরী না খুজে দেশের সাধারনের সাথে মিশে যেতে শিখতে হবে। নিজেকে ছোট না ভেবে, বড়দের সাথে মিশে যেতে নিজেকে তৈরি করতে হবে। দেশেরও উচিত হবে তাদের সুযোগ করে দেয়া।

দরবার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেশী মনিটরিং করা উচিত। এই প্রতিষ্ঠান গুলো নিজেদের দরবারকেই শুধুমাত্র ধর্মের বাহক মনে করেন। ছাত্রদের জন্য পাব্লিক টয়লেট যেখানে কিনা লাইনে দড়িয়ে থাকতে হয়, খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, আবার 'খাবারের প্লেটে পোকা না ভাসতে দেখলে আলেম হওয়া যায় না' সহ মাঝে মাঝে শিক্ষদের মুখে ছাত্রদের হেয় করে বলা কথা শুনে তারা নিজেদের ছোট মনে করতে শিখে। ছোট বেলায় ভেতরে জমে যাওয়া ভয়, বৃদ্ধ হলেও বিতারিত করতে পারে না।
সমাজের অন্যদের সাথে মিশে যেতে যা অনেক বড় সমস্যার কারন হয়। আবার সাধারন শিক্ষিত শিক্ষকরাও সেই দরবারী এজেন্ডার অংশ হয়ে যায়, না হলে সেখানে টিকে থাকা দায়।

কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা শিক্ষার অপ্রয়োজনীয়তা প্রমান করতে চাওয়া নিতান্তই মূর্খতা। দরকার ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পরিবর্তন। অসমতা তুলে দিলে মাদ্রাসা, পিছিয়ে থেকে বিষয়গুলোকে ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

নতুন বলেছেন: হুজুর দেখলেই নাক ছিটান । মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে বলেন। মারা গেলে আপনার জানাযা কে দিবে সেটা ভেবে দেখেছেন? হুজুর না থাকলে আপনার বাবা-মাকে জান্নাতে পাঠাতে দোয়ার জন্য কার কাছে যাবেন?


জানাজার নামাজ আসলে একটা দোয়া, এটা কি আপনি বা অন্য কেউ করতে পারে না? আর হুজুরা কি বাবা মা কে জান্নআতে পাঠাতে দোয়া করেন? না কি প্রতিটা সন্তানই করতে পারে?

জান্নাতের ঠিকাদারী তো হুজুরদের কেউই দেয় নাই?



আপনি কি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন?

আপনি কি আপনার ছেলে মেয়েদের মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতে দিয়েছেন?

যদি দুটোই হা হয় তবে ঠিক আছে।

যদি আপনার ছেলে মেয়েদের মাদ্রাসায় না পড়ান তবে কেন আপনি অন্যদের ছেলে মেয়েদের জন্য এটা ভালো মনে করছেন?

১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০০

পথিক৬৫ বলেছেন: জান্নাতে পাঠানোর কথাটা আসলে তিরস্কার করে লিখেছি। আশা করি এটা বুঝতে সমস্যা হয় নাই। জানাযা নামাজ আসলে যে কেউ পড়াতে পারে। কিন্তু সেই শিক্ষাটা কিন্তু আসলে ইউটিউব দেখে হয় না। দুনিয়ার কেহ ঠিকাদার না। যারা এটা করতে চায় তারাই গোমরাহ।

হা আমি মাদ্রাসায় পড়েছি। দেশে সেরা প্রতিষ্ঠানে পরেছি। তবে এখন দেশের বাহিরে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করছি সাংবাদিকতা নিয়ে।

আমার সন্তান নেই। তবে হা। নৈতিকতা শিখতে তাদের মাদ্রাসায় দেব আগামীতে। কিন্তু সেটা আমি যেখানে গিয়েছি সেখানে না। আর বেটার কোথাও।

২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসার পড়ালেখার মান এত নীচু যে, ইহার তেমন কোন মুল্য নেই। যেহেতু দেশের স্বচ্ছল শ্রেণী মাদ্রাসায় পড়ে না, তাই মাদ্রাসা অপ্রয়োজনীয় একটি শিক্ষা ব্যবস্থা। জাতির সব স্বচ্ছল মানুষ'ই চায় যে, গরীবের ছেলেমেয়েরা যদি পড়তে চায়, মাদ্রাসায় পড়ুক। প্রধানমন্ত্রী বা কোনো মন্ত্রী এমপি বা সচিব এর ছেলেমেয়েরা কি মাদ্রাসায় পড়ে?
সরকারের কাছে যেই পরিমাণ সম্পদ আছে, তাতে প্রতিটি শিশুকে ফ্রি পড়ানো, খাবার ও থাকার জন্য বিনিয়োগ করা যাবে অতি সহজেই। মানুষকে ধর্মীয় ভাবে সচেতন, ধর্মীয় শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও ধার্মিক নেতা হবার জন্য মাদ্রাসায় পড়াশোনার মোটেই প্রয়োজন নেই। মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়েও বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় মুসলিম শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদরা সমাজে অবদান রাখছেন।
রাষ্ট্র দরিদ্র শিশুকিশোরদের দায়িত্ব না নিলে তারা এই মাদ্রাসা শিক্ষার দিকেই পা বাড়াবে। এদেরকে কর্মক্ষেত্রের উপযোগী করে তুলতে হলে সরকারকে হয় এদের দায়িত্ব নিতে হবে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এনে। মাদ্রাসা চিরতরে বন্ধ না করলে এরা জাতির জন্য বোঝা হবে। জাতি যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে ততই মঙ্গল। হাজার হাজার অনাথ ও দরিদ্র শিশুদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
আমাদের মুল সমস্যা ধর্মে। ধর্মের জিহাদী শিক্ষায়।

১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

পথিক৬৫ বলেছেন: মাদ্রাসার শিক্ষাকে জেনারালাইজ করা ঠিক হবে না। দেশে অনেক সেরা সেরা মাদ্রাসা আছে। আর সেখানে শুধু অভাব থেকে পড়ে না। জ্ঞানের জন্য পরে। আমার বাবা পুলিশ অফিসার। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের অভাব ছিল না। কিন্তু পড়েছি একটা সময় অব্দি। পরে ভার্সিটিতে।হা, রাষ্টের উচিত দায় নেয়। যাতে এতিম ছেলেদের চাল তুলতে যেতে না হয়।

সমস্যা ধর্মে না। যারা ধর্মকে নিজেদের জন্য ব্যবহার করেন তাদের। ধর্ম মেনে চলি। কিন্তু জিহাদী হই নাই।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫২

ফেনা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আমি আপনার সাথে একেবারে সহমত। তাদের উপযুক্ত সুযোগ দিতে হবে।

ভাল থাকবেন সতত।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: যারা কওমীর সমর্থক এরা কোন না কোনভাবে এসব ধর্মব্যবসায় জড়িত। এদের অনেকেই ব্যাপক ধর্মান্ধ এবং মূর্খ। কওমী মাদ্রাসাগুলোকে সরকার দখল করে আলিয়া মাদ্রাসা বানাক। যার পরিচালনায় থাকবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন একটা ব্যবস্থা ওটা থাকলে নির্যাতন থাকবেই।
কেননা , হুজুররা অতি নিচু মন মানসিকতার লোক।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: উন্নত দেশে পশুকে মারাও আইনের চোখে অপরাধ। হুজুর যাকে মেরেছে, সেই বাচ্চাটা গরীবের। হুজুরটা কি কোনো মন্ত্রী, এমপি ছেলেকে মারতে সাহস পেতো?
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিপাত যাক। মানবতা মুক্তি পাক! সরকার এ দিকটায় মোটেই নজর দিচ্ছে না। তার নজর মোশতাকদের দিকে। সরকারে বোধসম্পন্ন লোকের অভাব?
যে শিক্ষকের মানসিকতা পশুর মতো হিংস্র তার শিক্ষকতা পেশায় না আসাই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর। জাপানে বা কানাডা স্কুলে বেতের ব্যবহার করা হয় নাহ তাপরেও তাদের স্কুলে ভালো ফলাফল , শিষ্টাচার আমাদের দেশের তুলনায় অনেক ভাল হয় কিভাবে?
মেরে যদি কাউকে আদব শেখানো লাগে তাহলে যে মারে তার আদবের ঘাটতি আছে। কওমী মাদরাসা বন্ধ করা হোক। আলিয়া মাদ্রাসাই যথেষ্ট। প্রতিটা হুজুর মার খেয়ে এবং বলৎকারের শিকার হয়ে আজ এই পর্যায়ে এসেছে, তাদের মগজে এই বিষয়গুলো সেট হয়ে গেছে। তাই তারা সুযোগ পেলেই এইগুলো ব্যবহার করে।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার লেখা সব সময় ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে লেখা।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

পথিক৬৫ বলেছেন: আমার ধারনাকে ভুল বলার অধিকার আপনাকে কে দিল? আপনি খুব বেশী বলতে পারেন আমার এটা পছন্দ হয় নাই। এভাবে হলে ভাল হয়। আমি যা বলেছি সেটা আমি চিন্তা, আমার মত। আপনি আপনার যুক্তি তুলে ধরেন পারলে।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

জগতারন বলেছেন:
মাদ্রাসা হাল জামানার ওয়াজি তৈয়ারির কারখানা।
- মামুনুল হকের মতো এ সমস্ত ছাগল ওয়াজি’রা কি দেয়
বাংলাদেশের অর্থ জগতে ?
- কিচ্ছুইনা,
- শুধু দেশের জনগনের কঠিন পরিশ্রমের অর্থ নেয়।
- লক্ষ করে দেখুন প্রত্যেক টি ওয়াজী কোটীপতি।
- এরা কী জানে;
- মেধা, জ্ঞান, কোশল, প্রত্তুম্পন্নিতা ও পরিশ্রম করে টাকা কামাই করতে
কী করা লাগে একজন লোকের ?
- দিনের পর দিন শুধু বকর বকর করে,
আজইরা খায় আর নূরানী চেহারা বানায়। আর
- হেলিকপ্টারে করে দেশের এখানে সেখানে যেয়ে
অভদ্র গোড়া ভাষায় ওয়াজ করে,
- একে অপরে নিন্দা, এবং
- হিংসা করে আর কোটীপতি হয়।
- এরা বিবেকবান মানুষ হলে গরীব দেশের জনগনের টাকায়
হেলিকপ্টারে করে ওয়াজে যেতে পারে না।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নতুন বলেছেন: হা আমি মাদ্রাসায় পড়েছি। দেশে সেরা প্রতিষ্ঠানে পরেছি। তবে এখন দেশের বাহিরে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করছি সাংবাদিকতা নিয়ে।

আমার সন্তান নেই। তবে হা। নৈতিকতা শিখতে তাদের মাদ্রাসায় দেব আগামীতে। কিন্তু সেটা আমি যেখানে গিয়েছি সেখানে না। আর বেটার কোথাও।


আপনি দেশের বাইরে মাস্টার্স করছেন সাংবাদিকতা নিয়ে। দেশেও মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থাতেও উচ্চশিক্ষা আছে। তাহলে আপনার কাছেই মাদ্রসার উচ্চশিক্ষার চেয়ে বিদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্তা ভালো মনে করছেন।

আপনি আপনার নিজের সন্তানকে পুরাপুরি কেন মাদ্রসা শিক্ষায় দেবেন না?

তাহলে আপনি বলুন যে শিশুদের নৈতিকতা শেখানোর জন্য মাদ্রসা শিক্ষার দরকার আছে। তারপরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের কলেজ।

আপনি নিজেই যেটা করছেন না সেটা অন্যের জন্য ভালো কেন বলছেন?

১০| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম মানুষ কে বিবেকহীন করে।তাদেরকে ধার্মিক করে।কিভাবে একটা বিবেক সম্পন্ন মানুষ বলতে পারে আমি আমার ছেলে মেয়ে ,বাবা মার থেকে বেশি ভালবাসি নবীকে।এটা কোন বিবেক সম্পন্ন মানুষের কথা।ধর্ম মানুষকে মানুষ বানায় না তাদের কে ধার্মীক বানায়।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১১

মাহিরাহি বলেছেন: মেডিকেল শিক্ষার জন্য উত্সর্গীকৃত বেশ কয়েকটি মেডিকেল মাদ্রাসা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ১৫ শতাব্দীর দামেস্কের ১৫৫ টি মাদ্রাসা কলেজগুলির মধ্যে তিনটি মেডিকেল স্কুল ছিল

১২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনারা সচেতন লোক নিজ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবেন আমি আমার গ্রামের মাদ্রাসা স্কুলে যাই দেখি

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের সফলতার পরিসংখ্যানটি দিতে পারবেন কি ?
নির্যাতনের কারণে মাদ্রাসা বন্ধ নয় বরং অধিকাংশ মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো কর্মদক্ষতার অভাবের কারণেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংখ্যা সীমিত করা প্রয়োজন। আর সেটা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রকে গোটা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থারই আমূল পরিবর্তন করে বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুগোপযোগী করে তোলার পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এই হতদরিদ্র শিশু-কিশোরদের দায়িত্ব রাষ্ট্রের নেয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকেই।

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:১৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫০

নতুন বলেছেন: হা আমি মাদ্রাসায় পড়েছি। দেশে সেরা প্রতিষ্ঠানে পরেছি। তবে এখন দেশের বাহিরে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করছি সাংবাদিকতা নিয়ে।

আমার সন্তান নেই। তবে হা। নৈতিকতা শিখতে তাদের মাদ্রাসায় দেব আগামীতে। কিন্তু সেটা আমি যেখানে গিয়েছি সেখানে না। আর বেটার কোথাও।

আপনি দেশের বাইরে মাস্টার্স করছেন সাংবাদিকতা নিয়ে। দেশেও মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থাতেও উচ্চশিক্ষা আছে। তাহলে আপনার কাছেই মাদ্রসার উচ্চশিক্ষার চেয়ে বিদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্তা ভালো মনে করছেন।

আপনি আপনার নিজের সন্তানকে পুরাপুরি কেন মাদ্রসা শিক্ষায় দেবেন না?

তাহলে আপনি বলুন যে শিশুদের নৈতিকতা শেখানোর জন্য মাদ্রসা শিক্ষার দরকার আছে। তারপরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের কলেজ।

আপনি নিজেই যেটা করছেন না সেটা অন্যের জন্য ভালো কেন বলছেন?

১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

পথিক৬৫ বলেছেন: আমি করি নাই এমন না কিন্তু। আর সবাইকে অনেক কামিল পড়তে হবে এমন না। আমার যখন মনে হয়েছে আমি জেনারেল লাইনে এসেছি। তাই বলে মাদ্রাসা খারাপ বলে আসি নাই। কাউকে জোর করে পড়তেও বলছি না। তবে যারা পড়ে তাদের কিভাবে আধুনিক ভাবে শিক্ষা দেয়া যায় সেটা ভেবে দেখা উচিত।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমপাড়া চেনেন ? বাংলার যেমন বাল্যশিক্ষা আছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশে আরবী শিক্ষায় আমপাড়া আছে। এই আমপাড়ায় মানব জীবনের ধর্মীয় অতি ব্যাবহার্য সুরা ও নিয়ম কানুন স্পষ্ট আকারে দেয়া আছে। এই জানাজা বিয়ে জন্ম মৃত্যু বার্ষিকির জন্য এই আধা পাগল উন্মাদ মানষিক বিকারগ্রস্থ লোকদের আলাদা করে দরকার পরে না। এই মাদ্রাসায় পড়া মানুষ গুলো দাম্ভিক ও ক্ষয়িষ্ণু ও ছোট মনের হয়। এরা আলো সহ্য করতে পারে না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি মশাই।

এক একটা মাদ্রাসার হুজুরের শারীরিক গঠন দেখেছেন? মাশাল্লাহ হাতির সমান, আর ছাত্র গুলা টিকটিকির মত, এদের ঘুমের জায়গা বসার জায়গা খাওয়ার জায়গা স্বাস্থ্য সম্মত নয়। শিক্ষকের সেবার নামে ছাত্রদের দিয়ে মজুরের কাজ করায়। মাদ্রাসার দিকে সরকারের দৃষ্ট আকর্ষন করছি। এই নিরিহ বাচ্চাগুলাদের বাচান।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

স্থিতধী বলেছেন: **"আপনি দেশের বাইরে মাস্টার্স করছেন সাংবাদিকতা নিয়ে। দেশেও মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থাতেও উচ্চশিক্ষা আছে। তাহলে আপনার কাছেই মাদ্রসার উচ্চশিক্ষার চেয়ে বিদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্তা ভালো মনে করছেন।"

**আপনি আপনার নিজের সন্তানকে পুরাপুরি কেন মাদ্রসা শিক্ষায় দেবেন না?

**আপনি নিজেই যেটা করছেন না সেটা অন্যের জন্য ভালো কেন বলছেন?

ব্লগার নতুনের এই পর্যবেক্ষণ ও প্রশ্ন এবং আপনি এর যাই ই উত্তর দিবেন; এগুলোর ভেতরে আমাদের সমাজের অনেক রূড় সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা ফুটে আসছে।

যে "ভালো" কেউ নিজের জন্য না রেখে শুধু অন্যের জন্য দেখতে চায় সেই "ভালো" কে সন্দেহ ও প্রশ্ন করার অধিকার সবারই আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.