নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ: 100 Days of Love

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০২





Movie Name: 100 Days of Love
Cast: Dulquer Salmaan, Nithya Menen, Sekhar Menon, Aju Varghese, Vineeth, Parveena, Rahul Madhav, V.K. Prakash, Abhirami Suresh & Jacob Gregory.
Language: Malayalam
Genre: Romantic comedy
Directed by: Jenuse Mohamed
Rating: IMDB 6.4/10, Times of India: 3/5
Personal rating: 7/10
Released worldwide on 26th August 2015
Alert! Alert! Alert!
‘Spoiler’

গল্পঃ বালান.কে.নায়ার(সালমান), সংক্ষেপে নিজেকে সে বলে বি.কে.এন.।বি.কে.এন. বেঙ্গালুরোর একটি বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকার রিপোর্টার।ফেসবুকে সে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব।গল্পের শুরুতে দেখা যায়, বি.কে.এন ঘুম থেকে উঠে যখন সে আবার ফেসবুকে প্রবেশ করে তখন সেখানে তার এক্স-গার্লফ্রেন্ডের ফটো দ্যাখে নতুন বয়ফ্রেন্ডের সাথে।বিষয়টি সে একদম মেনে নিতে পারছিলো না তাই ড্রিংস্ক করে।মদ্যপ অবস্থায় সে তার এক্স-গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘটে যাওয়া, রয়ে যাওয়া কিছু ফটো ফেসবুকে প্রকাশ করে দেয়।এতে করে ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ঝড় উঠে।৯৬টি মেসেজ এবং ৬১৮টি নোটিফিকেশনে সে বুঝতে পারে বাকি ইজ্জতেরও বারোটা বেজেছে।এমনকি এক্স-গার্লফ্রেন্ডের গালি খেতে-খেতে ফোনের লাইনটা কাটার সময় পায় না সে।অন্যদিকে নিজেকে সে একজন ব্যর্থ মানুষ ভাবা শুরু করে দেয়।কারণ তার পরিবারের সবাই ডাক্তার।তার বড় ভাই রকি.কে.নায়ার.ও একজন সফল ডাক্তার।কলামিস্ট হওয়ার জন্য সে তার বাবা-মাকে ছেড়েছিলো।সে বেঙ্গালুরোতে তার একজন খুব কাছের বন্ধু “ওমর(শেখর মেনন)” এর সাথে থাকে।ওমর একজন কম্পিউটার গেমার।ওমর খুব খেতে পছন্দ করে এবং বাকি সময়টা কম্পিউটার গেম খেলে কাটিয়ে দেয়।একদিন বালান তার চাকুরীটা হারায়।তখন ওর মনে হচ্ছিলো জীবনের ভালো কিছু হওয়ার এখানেই সমাপ্তি।বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রাস্তায় একা একা হাঁটছিলো।একসময় একটা টাক্সি ডাকে।টাক্সিটা থামলে, বালান ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে দেখতে পায়, “শিলা(নিথিয়া মেনন)” কে।বালান প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে যায়।একসময় টাক্সিটা চলে যায়।বালান লক্ষ্য করে তাড়াহুড়োতে আগে টাক্সিটা নিতে গিয়ে মেয়েটি একটা ব্যাগ ফেলে রেখে গেছে।সেখানে রয়েছে একটি পুরনো ক্যামেরা সাথে বেশ কয়েকটা ফটো যেসব তোলা হয়েছে বেঙ্গালুরোর বেশ কিছু আলাদা আলাদা জায়গা থেকে।পরবর্তীতে বালান এবং তার বন্ধু ওমর ফটোগুলোকে তথ্যসূত্র ধরে মেয়েটাকে খুঁজতে শুরু করে দেয়।

একসময় বালান সেই আশাও ছেড়ে দেয়।আর ভাবতে থাকে এসব করে কোন লাভ হবে না।এরপর হঠাৎ একদিন এক হাসপাতালে শিলার সাথে বালানের দেখা হয়ে যায় এবং জানতে পারে শিলা তাকে আগে থেকেই চেনে।বালানের স্কুলের দিনগুলো আবার মনে পড়ে যায়, যেখানে এই মেয়েটিই সেই কারণ ছিলো যার জন্য তাকে সবাই “লুজার...লুজার...” বলে ডাকতো।যাইহোক শিলা বালানের সাথে সময় সুযোগ পেলে দেখা করে এবং ভাবটা এমন দেখায় যে, সে বালানের গার্লফ্রেন্ড।কিন্তু বালান ভবিষ্যৎ জীবনে এমন মেয়ের কাছে থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু গল্পটা মোড় নেয় যখন বালানের এক্স-গার্লফ্রেন্ডের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যায় তখন।অন্যদিকে শিলা ব্যাপারটা জেনে যায়।তাই বালান শিলার কাছে ছোট হতে চায় না এবং শিলাকে দেখাতে চায় যে, সে কত বাস্তববাদী।তাই চলে যায় এক্স-গার্লফ্রেন্ডের বিয়েতে, সাথে যায় শিলা।এখানে তার বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়।যে কিনা মনে করে বালানকে দিয়ে আদতেই কিচ্ছু হবে না।এমনকি যে একটা মেয়ে ওকে চাইতো তারও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।তাই বড় ভাইয়ের কাছে পার্ট নিতে গিয়ে বলে ফেলে, শিলা তার গার্লফ্রেন্ড।শিলা সে সময় শুধু বালানের কথার সাথে কথা মিলায়।পরবর্তীতে বালান জানতে পারে ফটোগুলোর মধ্যে একটি ছেলের ফটো ছিলো।ওর নাম “রাহুল(রাহুল মাধব)”।রাহুল অনেক স্মার্ট, অনেক বড় প্রোফাইল এবং মেয়েদের কাছেও অনেক জনপ্রিয়।আরো জানতে পারে, তার সাথে শিলার বিয়ে ঠিক করা আছে।আবার শিলা ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না, সে বেশ বাস্তববাদী।সে বরং “অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে” বিশ্বাস করে।

অন্যদিকে বালানের একমাত্র বন্ধু ওমর তাকে জানায় যে, সে ইউ.এস. যাবে এবং বাবার সাথে কাজ করবে।এরমধ্যে বালান তার চাকুরীটা আবার ফিরে পায়।বালানের অফিসে যোগ দেয় একজন নতুন সম্পাদক।যিনি সত্যিই কর্মনিষ্ঠ একজন মানুষ।তাই বালান চিন্তা করে তার আঁকানো কার্টুন ডায়েরী নতুন সম্পাদককে দেখাবে।কিন্তু শেষমেশ সেই ডায়েরীটা স্থান পায় ডাস্টবিনে।যেটা দেখে সে চাকুরীটা ছেড়ে দেয়।সবমিলিয়ে বালানের জীবনটা অনেক বেশি অগোছানো হয়ে যায়।ওমরের যাবার পর বালান অনেক বেশি মদ খেয়ে ফেলে এবং ভুলে যায় সেদিন শিলার বাবা-মার ২৫তম বিবাহবার্ষিকী ছিলো।শিলা এই দিনে ঐ ফটোগুলোকে বাবা-মাকে দেখাতে চেয়েছিলো।ফটোগুলো ভালো করে গোছানোর দায়িত্ব নিয়েছিলো বালান।ফোন করে শিলা বালানকে বেশ খারাপ ভাবে কিছু কথা বলে।বালান সেদিন কোনমতে সময়মত ফটোগুলোকে শিলাকে পৌঁছে দেয়।অন্যদিকে শিলা যখন আবার বালানের কাছে ক্ষমা চাইতে আসে তখন বালান তাকে জানায় যে, এটা তার জন্য সহজ ঠিক রাহুলের মতো হয়ে যাওয়া কিন্তু সে একজন কার্টুনিস্ট হতে চায়।সে হতে চায়, নিজের “অরিজিন্যাল”।
আশা করছি বাকিটা সহজেই অনুমেয়।

মন্তব্যঃ মুভির শুরুতেই এমন কিছু কথা আছে যে আপনি চাইলে তা উক্তি আকারে ডায়েরীতে লিখে রাখতে পারেন।এবং এই কথাগুলোই আপনাকে বাধ্য করবে পুরো মুভিটা অন্তত একবার দেখতে।আপনার সুবিধার্থে কথাগুলো আমি বাংলায় সাজিয়ে তুলে দিলাম,
“আপনি কি কখনো প্রেমে পড়েছেন? তাহলে সিনেমাতে ভালোবাসার যে অভিব্যক্তি সেটা আপনি বুঝতে পারবেন।ভালোবাসার গল্পগুলোতে যে মধুর সমাপ্তি দেখানো হয় সেটা আসলে মিথ্যা! বাস্তবজীবনে আসলে প্রেমের কোন সুখময় সমাপ্তি নেই।একজন নায়ক সূর্যাস্তের পানে নায়িকাকে বাহুডোরে আবদ্ধ করে স্লো মোশনে সামনের দিকে হেঁটে যায়।যেটা আপনি সিনেমাতে অহরহই দেখতে পাবেন।কিন্তু বাস্তব জীবনে আপনি আমার মত হতাশাগ্রস্ত লোককেই বেশী দেখতে পাবেন।
এখন আমি আপনাকে আমার ভালোবাসার ১০০দিনের গল্প বলবো.....”
যাইহোক, আবহ সংগীত ছিলো সত্যিই অসাধারণ।এত সাধারণ একটি গল্পকে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।অন্যদিকে ঠিক তেমনি বেশ রসিকতায় ভরপুর।সময় সময় হাসি আটকানো সম্ভব হবে না।মালায়ালাম মুভি খুব কম দেখা হয় কিন্তু সালমানের অভিনয়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ।সবমিলিয়ে অনেকদিন পর একটা ভালোলাগার মত রোমান্টিক মুভি দেখলাম এবং বেশ উপভোগ্য ছিলো।
(মুভিটি দেখার জন্য খুব সহজেই বাংলা সাবটাইটেল ইন্টারনেটে গোগল সার্চ দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.