নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দত্ত পরিবার(পর্ব-০৩)

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৭



ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালাম। এখন সময় সন্ধ্যা ৬টা। বিকেলের ঘুম আমার স্বাস্থ্যর জন্য ভাল নয় টের পেলাম। মাথার নিউরন আস্তে আস্তে স্মৃতি গুছিয়ে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে, কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে বটে। হঠাৎ দরজার বাহিরে এক আলোর রশ্মি দেখতে পাচ্ছি। কেউ হয়তো টর্চ-লাইট জাতীয় কিছু নিয়ে আছেন। আস্তে আস্তে আলোর তীব্রতা বাড়ছে। ঠিক যেন ক্রমাগত আলোর ঐ রশ্মি আমার আরো কাছে আসছে।

উঠে দাঁড়ালাম, পাশের পড়ার টেবিলে একটা ছুরি দেখলাম। স্নেহা আমার রুমে এসে প্রায় ওটা দিয়ে আপেলের টুকরো করতো আর আমাকে ওর নিজ হাত দিয়ে খাইয়ে দিত। ওটা আস্তে করে জিন্স প্যান্টের ডান পকেটে ঢুকালাম। এরপর এক পা এক পা করে সামনে এগুতে লাগলাম। দরজার নিকটে যেতেই ভয় লাগা কাজ করতে শুরু করলো। নিজেকে সায় দিলাম। আমাকে এটার মুখোমুখি হতে হবে। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়েই দরজাটা ধ্রাম করে খুলে দিলাম।

কিন্তু আমি অবাক হলাম। প্রত্যাশার বাহিরে কিছু দেখছি। হ্যাঁ, স্নেহা দত্ত। সাদা ড্রেসে পরীর মত লাগছে আজ ও কে। আর তার সঙ্গে চাঁদের আলোর প্রতিফলন পড়ার কারণে আলোর এমন অসাধারণ বিচ্ছুরণ ঘটেছে। চোখে মুখে স্নেহার হাসি। আর সাথে মাথা ঘুরানো যৌন আবেদন। স্নেহা মুখ খুললো,

: ভেতরে আসবো?
: সন্ধ্যায় কি করছো এখানে?
: কেন? সন্ধ্যায় আসা বারণ না কি?
: নাহ্, তা নয়।
: লক্ষ্য করছি আমার প্রতি আপনার গুরুত্ব পূর্বের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। হতে পারে আমার একটু বয়েস কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চয় আপনার চেনা সুন্দরী রমণীদের মত নই আমি। পুরোটা ফর্সাও বোধহয় নই। তাই তো?
: সেটা ব্রিটিশদের দোষ। কিন্তু এই রঙে আমার কোনো আপত্তি নেই।
: স্পর্শ করতে বোধহয় আপত্তি আছে। এতগুলো দিন একসাথে থাকছি অথচ একবার আমার হাতটাও ধরলেন না। আমার মধ্যে নিশ্চয় কোন কমতি থাকতে বাধ্য।
: স্নেহা আমি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছি। আর তুমি ভুলে যাচ্ছো আমি একজন পুরুষ আর মিসেস দত্ত এসব জানলে ভালোভাবে নিবেন না।
: মি. হাসান, আপনি এখনো বালক। পুরুষ হলে এতক্ষণে ভিতরে সাগ্রহে নিমন্ত্রণ জানাতেন।
: প্রমান চাই! তাই তো? তবে তাই হোক।

এরপর স্নেহার হাতে ভয়ে ভয়ে হাত রাখলাম। স্নেহার হাতে হাত রাখতেই মাথায় বিদ্যুৎ চমকালো যেন। ওর কোমর স্পর্শ করতেই বুঝতে পারলাম ওর শরীর তুলোর মত নরম। যা আমাকে আরো বেশি পুলকিত করছে। এরপর এক হেঁচকা টানে স্নেহাকে কোলে তুলে নিলাম। স্নেহা অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তখন তাকিয়ে আছে। কি ভয়াবহ সুন্দর সে দুটো চোখ! আর আবেদনে ভর্তি! তৃষ্ণার্ত চিবুক!

আমি ও কে হালকা করে খাটে শুইয়ে দিলাম। এরপর ওর গোলাপ রাঙা ঠোঁটের দিকে এগুতে শুরু করলাম। ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেই বুঝলাম আমি হারিয়ে যাচ্ছি। আমার মধ্যে সচেতন বা জাগ্রত থাকার মত আর অবস্থা নেই। আমি ওকে চুমু খেতে লাগলাম। বেশ কয়েকবার চুমু খেলাম। প্রত্যুত্তরে সেও আমায় চুমু খেতে লাগলো। এক সময় স্নেহা আমাকে জড়িয়ে নিলো। তারপর আমরা বন্য হয়ে একে অন্যকে যেন রীতিমতো ছিঁড়ে খেতে আরম্ভ করলাম।

ঠিক যেন ওর রতিক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হবার আগেই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। যৌনমিলনের অভিজ্ঞতায় এত বাজে পারফরম্যান্স আমার ছিলো না। যেহেতু স্নেহা তখনো তৃপ্ত নয়। তাই আমার ঠোঁটে গালে অসংখ্য চুমু খেতে লাগলো।

হঠাৎ টের পেলাম স্নেহা হিংস হয়ে উঠেছে। ও কে তৃপ্ত না করতে পারায় বোধহয়। একসময় সে আমার বুকে চেপে বসলো তারপর ওর দাঁতগুলো লম্বা হতে শুরু করলো। তখন হুশ ফিরেছে এবং আমি সতর্ক হয়ে উঠছি। এক সময় সে দাঁতগুলো নেমে আসতে লাগলো আমার চোখের দিকে। দরজা দিয়ে বেয়ে আসা চাঁদের আলোয় সেটা অস্পষ্ট হলেও আমি নিশ্চিত ছিলাম।

এবার ওকে এক পাশে ছুঁড়ে ফেললাম। কিন্তু হলো তার উল্টো মানে সে অন্য পাশে গিয়ে পড়লো। ব্যাপারটা বুঝে উঠার আগেই সে আবার আমার উপর আক্রমণ করে বসলো। লম্বা দাত দিয়ে একসময় আঁচড় কাটলো আমার শরীরে। শরীর থেকে টপটপ করে রক্ত পড়তে লাগলো। এর মধ্যে জিন্স প্যান্ট এক পাশে সরিয়ে রেখেছিলাম। সেটা খুঁজতে যাওয়া বোকামি হবে। তাই নিজেকে ডিফেন্ড করার কোন বুদ্ধি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

এক সময় ধস্তাধস্তি শুরু হলো আমাদের মধ্যে। এবং আমাকে টেনে আবার বিছানায় শুয়ানো হলো। ওর হাতে এত শক্তি যে আমি কোনভাবেই নিজেকে সামলাতে পারছি না। এক পর্যায়ে সে আমার গলা টিপে ধরলো। এমন ভাবে টিপে ধরেছে যেন, "কোন অদম্য অশরীরী শক্তি আমার উপর ভর করেছে"। আমি বুঝলাম আমার মৃত্যু হতে যাচ্ছে আজ তাই একসময় আত্মসমর্পণ করে হাতদুটো ছড়িয়ে নিলাম।

হঠাৎ টের পেলাম আমার হাতের পাশেই সেই ছুরিটা। আর এবার কিছু না ভেবেই আমি স্নেহার গলায় ছুরি চালালাম। ওর রক্তে ভেসে যেতে শুরু করলো আমার শরীর। একসময় পুরো শরীর গরম রক্তে জাপটে ধরলো এবং মনে হলো জীবনে প্রথম কোন খুন করলাম।

একটুবাদেই, স্নেহার ঘর থেকে কোন একজনকে ডাকতে শুনলাম,
"মি. হাসান?... মি. হাসান? আপনি কি ঠিক আছেন?"

কিন্তু ওটাও তো স্নেহার কন্ঠ! তবে আমার উপর যে লাশ পড়ে আছে সেটা কার? স্নেহার কি কোন জমজ বোন আছে? যে কিনা কোন যাদুমন্ত্রে রিক্ত হস্ত?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো হয়েছে। মানে ভালো লিখেছেন।
আমি লিখব বসু পরিবার নিয়ে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যাদু মন্ত্রে সিদ্ধহস্ত হবে। রিক্ত মানেতো খালি বা শূন্য।

গল্পটা সুন্দর হয়েছে এ পর্বে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

মি. বিকেল বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন।

এটা কে অযত্ন মনে করবেন না, গল্পটির সম্পাদনা এখনো নেওয়া হয়নি।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই চমৎকার পোস্ট স্যার।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

মি. বিকেল বলেছেন: "স্যার" শব্দটা লিখে যেতে বাধ্য করলো..

আমি সাধারণ মানুষ। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: কদিন আগেই ব্লগে ভৌতিক গল্পের ঢেউ গেলো, সেটা যেতে না যেতেই আপনার এই গল্প! বেল লাগছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২

মি. বিকেল বলেছেন: ভৌতিক গল্পে এটা আমার প্রথম কাজ নয়

খুব শীঘ্রই এমন কিছু গল্পের সংকলন কলকাতায় বই আকারে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে।


ধন্যবাদ

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লেগেছে। ++
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮

মি. বিকেল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। গল্পটির পর্ব সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ধৈর্য্য রাখার জন্য অনুরোধ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.