নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডার্ক সাইকোলজি (পর্ব – ০১) - Gaslighting & Dark Psychology

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭




ডার্ক সাইকোলজি (পর্ব – ০১)
বিষয়: Gaslighting & Dark Psychology

(বিঃ দ্রঃ আমি গত কিছুদিন ধরে রাইটার’স্ ব্লকে পড়েছি। নিজের সাথে নিজেই একরকম যুদ্ধ করে এই প্রবন্ধটি লিখছি। ভুল তথ্য বা লেখার মধ্যে যে কোনো ধরণের অসামঞ্জস্য থাকলে মাফ করে দেবেন।)

ডার্ক সাইকোলজির এ পর্বে আমি ‘গ্যাস লাইটিং (Gas Lighting)’ সম্পর্কে ধারণা দেবার চেষ্টা করছি। আপনি যদি ভুলক্রমেও এই প্রবন্ধ পড়েন তাহলে আপনি অনেক সৌভাগ্যবান। তবে এই প্রবন্ধটি পড়বার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং এই ম্যানিপুলেশন অন্যের সাথে না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ। এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য আপনাকে সতর্ক করানো।

সাধারণত একজন মানুষের মধ্যে যত বেশি সংশয় বা ‘Self-Doubt’ প্রবেশ করাতে পারবেন তত বেশি তিনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। যদি একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে আপনি কাউকে ‘Gaslighting’ করতে পারেন তবে খুব সম্ভবত তিনি এক জীবনে আর আত্মবিশ্বাস নিজের মধ্যে খুঁজে পাবেন না। তিনি নিজেকে তূলনামূলক কম জোর, কম বুদ্ধিমান, ভীতু এবং অলস মনে করা শুরু করবেন। শুধু তাই নয়, এ কারণে তিনি পাগলও হয়ে যেতে পারেন। এমনকি এই ‘গ্যাস লাইটিং’ প্রক্রিয়া দিয়ে যে কাউকে হিপনোটাইজও করা সম্ভব।

১৯৩৮ সালে একটি নাটক নির্মিত হয়, নাটকটির নাম হচ্ছে, ‘গ্যাস লাইট (Gas Light)’ এবং পরবর্তীতে এই নাটকের সংযোজন ঘটানো হয় ১৯৪৪ সালে নির্মিত হলিউডের একটি সিনেমায়, সিনেমাটির নাম হচ্ছে, ‘গ্যাসলাইট (Gaslight)’। এই সিনেমায় এই সাইকোলজিক্যাল এক্সপ্লইটেশন খুব সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে। সময় করে এই সিনেমাটি একবার দেখে নেবেন তাহলে এই ‘গ্যাসলাইটিং (Gaslighting)’ প্রক্রিয়া কেমন করে কাজ করে সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

এই সিনেমায় দেখানো হচ্ছে, যা নেই তা নিয়ে আপনার মধ্যে সংশয় বা এক ধরণের ‘Perception' তৈরি করা। আপনার মধ্যে সংশয় প্রবেশ করানোর জন্য আপনাকে বুঝানো আপনি যা দেখছেন তা সত্যি নয়। কীভাবে? এই যেমন, রুমের লাইট আস্তে আস্তে কম জোর হচ্ছে আবার বাড়ছে। আপনি তাই-ই দেখছেন কিন্তু আপনার স্বামী এসে বলছেন, “তুমি যা দেখছো তা সত্য নয়, এসব তোমার ‘ভ্রম’। তোমার মাথায় সমস্যা আছে।” আদতে ঐ লাইট স্বামী নিজেই কমবেশি করছিলেন একটি বিশেষ টেকনিকে যার কোনো প্রমাণ স্ত্রীর কাছে নেই। ফলতঃ একসময় স্ত্রী বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, সত্যিই হয়তো তার মাথা ঠিক নেই, সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

যেহেতু ইলেক্ট্রিক ঐ লাইট কেন বাড়ছে বা কমছে এটার জন্য যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তারগুলোর বিন্যাসে কোথাও ঝামেলা থাকতে পারে। কিন্তু সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও যখন প্রমাণ মিলছে না তখন কি করবেন? এক্সাক্টলি! নিজের প্রতি সন্দেহ হতে শুরু করবে। এখন ভাবুন সামান্য এই প্রক্রিয়া যদি বছরজুড়ে আপনার সাথে ঘটেই চলে! তাহলে ঠিক কি হবে?

আমার এক বন্ধু আছে। ওর কাছের বন্ধুরা সবসময় ও কে অবজ্ঞা করে বলে যে, “তোর জীবনে কোনো বান্ধবী নেই, ভেবে দেখ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একজন মেয়েও তোকে বিশেষ কোনো ইঙ্গিত দেয় নি। তোর যেখানে বান্ধবী-ই নেই, তোর কপালে গার্লফ্রেন্ড জুটবে কীভাবে?”

কথাগুলো সত্য। কিন্তু আধা-সত্য। হয়তো সে বান্ধবী রাখতেই চায় নি। হয়তো সে চেয়েছে নিজেকে বেশ গুছিয়ে নিয়ে জীবনের ভালো কোনো পর্যায়ে লাইফ পার্টনার খুঁজে নিতে। কিন্তু এই ‘Self-Doubt’ এর কারণে এখন সে ‘Desperate’ অনুভব করবে এবং যেহেতু সে ‘গে (Gay)’ নয়, সে চাইবে দ্রুত এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে। এবং তাড়াহুড়ো তে ব্যর্থতা বেশি আসে। হুট করেই কাউকে পাওয়া যায় না। জীবন সঙ্গিনীর বিষয়টি তো আরো কঠিন। সুতরাং ৮০%-৯০% শতাংশ সম্ভাবনা আছে তার নিজেকে নিয়ে সংশয়ে ভুগতে। ফলাফল? ডিপ্রেশন বা চরম হতাশায় ভুগে ভুগে নিজের আত্মবিশ্বাসের মা-বোন হয়ে যাবে।

ক্লাস টপারও এই ধরণের ট্রিকস্ খুব হালকাভাবে জেনে বা না জেনে ব্যবহার করে। ক্লাসে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ছাত্র যদি কোনো পরীক্ষায় খারাপ করে তাকে বলে, “দেখ, তুই ভালো ছাত্র। আমি সবসময় চাই তুই অনেক ভালো কর। সবার সামনে থাক। হতে পারে আমার মত রেজাল্ট তুই করতে পারবি না কিন্তু তাই বলে এত পেছনেও থাকিস না!”

এখানে খেয়াল করবেন, সে কিন্তু স্পষ্ট পরোক্ষভাবে বলছে, “চাই তুই যতই চেষ্টা কর, আমার মত রেজাল্ট তুই করতে পারবি না।” ফলে ঐ পেপারে ঐ ছাত্রের এক্সাম দিতে গিয়ে সংশয় আসে এবং এক্সাম আরো খারাপ হতে পারে। কারণ এক ধরণের সংশয় আগে থেকেই ওর ছিলো যে, ও ক্লাস টপার হতে পারে না। এখন নতুন এই যুক্তি তার লক্ষ্য থেকে আরো ছিটকে ফেলে দেয়। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আনে।

‘Power Dynamics’ এ বাবা পর্যন্ত ছেলেদের সাথে এমন আচরণ বেশি করে থাকেন। একটা বয়সের পর নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং নিজের নিয়ন্ত্রণে পুরো পরিবারকে রাখার জন্য নিজ ছেলেকেই ছোট করেন। এমন বাবারা সাধারণত বারবার বলে থাকেন, “তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমার এই ব্যবসা না থাকলে তুই চাকরিও জোটাতে পারতি না। জীবনে ‘X’ অঙ্কের টাকা কামিয়ে দেখাতে পেরেছিস কখনো?”

এই পাওয়ার ডাইনামিকস্ এর খেলা এমন ভয়ানক যে, নিজের ছেলে কে সময়-ই না দেওয়া তার নিজের করে কিছু গড়ে তুলবার। এখন যেহেতু সে সময়ই পায় না সেহেতু সে ‘X’ অঙ্কের টাকা কীভাবে উপার্জন করবে? তাই মনে মনে তার সংশয় জাগে। একসময় স্বীকার করেই নেয় যে, বোধহয় সত্যিই আমাকে দিয়ে কিছু হবে না।

এছাড়াও আমি একটি প্রেমের সম্পর্কের অবতারণা করছি যেখানে একটি ছেলে/মেয়ে একজন ছেলে/মেয়ে কে কীভাবে ‘Gaslighting’ করেন তার সম্যক ধারণা দেবো।

আপনি জীবনে যা-ই করছেন তার মধ্যে উত্থান-পতনে আসবেই। জীবন তো কোনো সরলরেখা নয়। যদি আপনার পার্টনার ঠিক এই সময়গুলোতে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে তুমি এই ফাঁদ থেকে আর বের হতে পারবে না।” এটা শুনে আপনি নিশ্চয় জানতে চাইবেন, “আমাকে দিয়ে কেন হবে না?” মেয়েটি বলবে, “আমি আসলে যুক্তি সহকারেই বলছি। দেখো, তোমার শিক্ষাজীবন শেষে আজ পর্যন্ত কোনো জবে টিকতে পেরেছো? পারোনি তো! আসলে তুমি জব ম্যাটেরিয়াল না, তোমাকে দিয়ে আর যাই হোক জব হবে না।”

আপনি এসব শুনে প্রথম প্রথম মন খারাপ করবেন এবং যেহেতু মেয়েটি আপনার অতীত স্টাডি করেই কথাটা বলেছে তাই আপনার মধ্যে সংশয় ঢুকতে বাধ্য। অথবা, সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হুট করেই বলে দেবে, “দেখো, বিসিএসে ৫ লাখে মাত্র ১-২ হাজার জন টিকে থাকে, ভালো করে ভেবে দেখলে এটা তো এক ধরণের লটারি। সবার কপালে থাকে না। এসব বাদ দিয়ে নিজের বাবার ব্যবসায় হাত দাও না কেন?”

ফের আপনি সংশয় বা ‘Self-Doubt’ এ পড়ে যাবেন। আপনার কাছে এই কথাগুলো সত্যি বলে মনে হতে শুরু করবে। শুধুমাত্র একবার বিসিএস ‘Attempt’ এ ব্যর্থ হলেই হইছে।

মেয়েরা পটু হচ্ছে এই Gaslighting করার জন্য। সাধারণত সম্পর্কের ক্ষেত্রে যখন একজন মেয়ে সম্পর্কে থাকতে চাইছে না তখন আপনাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাগাতে থাকবে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতে থাকবে, ভুল ধরবে। কোনো ছেলের যদি ‘Male Ego’ একটু বেশি হয়, মানে আলফা অথবা সিগমা গোত্রের যারা আছেন তারা সম্পর্ক টাই ভেঙ্গে ফেলে।

ছেলেটা ভাবে, সম্পর্ক তো সে নিজেই নষ্ট করেছে সুতরাং দোষও তার। কিন্তু আদতে মেয়েটাই চাচ্ছিলো আপনি খুব করে রেগে যান এবং সম্পর্ক শেষ করুন। মানে এক্সিট ডোর আপনি নিন আগে! আপনাকে রাগানোর জন্য ওদের অনেক টেকনিক আছে,

১. অসময়ে বিয়ের চাপ দেওয়া।
২. আপনার ব্যক্তি পরিচয় কে ছোট করানো।
৩. ছোট ছোট বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়া করা।
৪. সার্বক্ষণিক ‘Temple Run’ করানো। মানে ঐ গেমের মত হাল করে ছাড়বে।
৫. আপনাকে ‘Guilty’ অনুভব করানো চাই সে ভুল যার-ই হোক।
৬. সর্বশেষ, আপনার আত্মসম্মানে আঘাত করা। হোক সেটা আপনার পরিবার অথবা আপনার মাইনে নিয়ে খোটা দেওয়া।

কারো জন্য ১ মাস-ই যথেষ্ট হয়, কারো জন্য ৬ মাস। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গবেই একদিন… ফলাফল? সম্পর্কে ব্রেকাপ এবং ডিপ্রেশন। শুধু তাই নয়, এক জীবন আপনার মনে হবে ঐ সম্পর্ক আপনি ভেঙ্গেছেন, মেয়েটা তো নিরীহ ছিলো!

এক সেকেন্ড, ছেলেরাও কিন্তু ভাঙ্গনে কম যায় না। তবে এদের বিষয়গুলো বেশি স্পষ্ট আকারে আপনার চোখে ধরা দিতে পারে। আপনি হয়তো অনেক সেজেগুজে আপনার পার্টনারের সাথে দেখা করতে গেছেন এখন যদি ছেলেটা বলে, “এত সাজতে হবে কেন? বাইরের মানুষকে দেখানোর জন্য?” আপনি ঘাবড়ে যাবেন আর মিন মিন করে হয়তো বলবেন, “আমি তো তোমার জন্যই সেজেছি।” যা সত্য এবং ছেলেটাও জানে। এরকম করে আপনাকে বিভিন্ন কথায় আঘাত করতে থাকবে,

১. তুমি না অত আধুনিক না!
২. তুমি অত মেধাবী না, তোমাকে দিয়ে হবে না।
৩. তোমার আউটফিট যা তা!
৪. মানুষের সাথে কথাও ঠিক মতন বলতে পারো না!
৫. এই শাড়িতে তোমাকে একদম মানায় নি! (চাই আপনাকে সেটা যতই মানাক)।

এসবেও কাজ না হলে দেখবেন, যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে। কথা বলা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। সম্পর্কের শুরুর দিকে যে ছেলে অনেক কথা বলতো সে এখন আর অত কথা বলে না। এবং এই সমস্ত কিছুর জন্য আপনার মনে হবে আপনি দোষী। এখানেও ফলাফল একই আসে… কারণ আপনি ধৈর্য্যশীলা যতই হোন, ছ’মাস টিকতে গেলেও জীবন তামা হয়ে যাবে। এই ‘Blaming Game’ কখনোও সত্যিকার মানুষ আপনার সাথে অন্তত খেলবে না।

এর মধ্যেও যদি বুঝতে না পারেন যে আসল ঘটনা কি? তাহলে এক বাক্যেই এর উত্তর দিচ্ছি, সে আপনার জীবন গোছাতে আগ্রহী নয়, সমাজে আপনার পরিচয় গড়ে তুলতে সাহায্য করতে আগ্রহী নয় বরং চার দেয়ালের মধ্যে আপনাকে কীভাবে রাখা যায় সেটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এরপরের বিষয়টি হচ্ছে, প্রচুর মিথ্যা কথা বলবে। ভুল তথ্য দিয়ে আপনাকে প্রভাবিত করবে। এই মিথ্যে বা তথ্যের ক্ষেত্রে আধা-সত্যও থাকবে। বিষয়গুলো শুধু প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঘটবে তা নয়, আমি শুধু বুঝার সুবিধার্থে এই ক্যানভাস ধরে উদাহরণ টানছি।

এই মিথ্যে তথ্য বা মিথ্যা কথা দিয়ে আপনার মানসিক নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত নিয়ে নেবে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবে। আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা সরাসরি বলবে, “তুমি চরিত্রবান নও, তোমার আশেপাশের সবাই তাই বলে… তুমি তো বিছানাতেও গেছো। তোমার ভাগ্য ভালো তোমার কপালে আমার মত কেউ জুটেছে।”

সাধারণত, যদি আপনি আপনার পার্টনার কে খুব ভালোবাসেন তাহলে চাইবেন না সম্পর্ক নষ্ট হোক। কিছু কথা হজম করতে চাইবেন। কিন্তু ঐ যে, “মিথ্যে কথা বারবার বললে সত্যের মতন হয়ে যায়” – তাই এই ফর্মুলা দিয়ে আপনার মানসিক নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেবে। এমনকি সম্পর্কের শেষ দিনেও অনুভব করাবে আপনি বরাবর ভুল মানুষ ছিলেন।

এছাড়াও ভাবুন তো, যে পরিবারে সারাক্ষণ ঝগড়া হয়, কথা কাটাকাটি হয়, কঠিন আর্থিক সংকট এবং ডিস্টার্ব নয়েজে ভরপুর সে পরিবারের কোন লোক যখন বাইরে আসেন তখন তিনিও এসবের দ্বারা এত ভয়ানকভাবে প্রভাবিত থাকেন যে, তার থেকে ভালো কিছু আচরণ প্রত্যাশা করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ঐ পরিবার যা করেছে তার সাথে সেটা থেকে বের হওয়া অত সহজ নয়। প্রায় কয়েক বছর এই ‘Gaslighting’ চলমান থাকায় তার মানসিক অবস্থা বিগড়ে গেছে।

আমাদের পরিবার, বন্ধু, সমাজ এরা জেনে হোক বা না জেনে হোক এই ধরণের প্রাকটিস করতে পারেন। আপনার মানসিক অবস্থা তার/তাদের হাতে নিয়ন্ত্রণে রখার চেষ্টা করতে পারেন। যেহেতু এটি ওভারনাইট প্রক্রিয়া নয় সেহেতু সাবধান থাকুন। আপনাকে ঘিরে সমালোচনা যদি কেউ দীর্ঘায়িত করেন তাহলেও আপনি ‘Gaslighting’ হয়ে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ওমন মানুষ থেকে ১০০ গজ দূরে থাকুন।

আপনার স্মৃতি শক্তি কমজোর, আপনার আর্থিক সংকট ভয়ানক এবং তা আর শোধরাবে না, আপনি যা মনে করেন তার সবই ভুল, আপনি মানসিক বিকারগস্ত মানুষ, আনফিট, এবনরমাল, আন-সোশ্যাল এবং আপনাকে দিয়ে হবে না… এই ট্যাগগুলো কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে-ই দিক তার কাছে থেকে ১০০ গজ দুরত্ব বজার রেখে চলুন। আপনার ‘Instinct’ এবং ‘Gut Feelings’ কে বেশি অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান।

ছবি: InTheBlack

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




আপনাকে ঘিরে সমালোচনা যদি কেউ দীর্ঘায়িত করেন তাহলেও আপনি ‘Gaslighting’ হয়ে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ওমন মানুষ থেকে ১০০ গজ দূরে থাকুন।


বিকেলকে থ্যাংকস এতো চমৎকার একটি পোষ্ট লেখার জন্য।

পোষ্ট পড়ে মাথায় অনেকগুলো প্রশ্ন আসলো কিন্তু আলসেমির জন্য লিখতে ইচ্ছে করছে না।


১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১১

মি. বিকেল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

ফেনা বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১১

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: এমন কথা অনেকবার শুনেছি:

- তুমি তো খুবই কনফিউজড
- তুমি তো কোনো ডিসিশনে আসতে পারো না
- তুমি কিছু জানো না বোঝো না
- আগেই জানতাম তুমি এই ভুল করবেই।

মাত্র কিছুদিন আগে জানতে পারলাম এগুলোকে বলে গ্যাস লাইটিং। আপনার পোস্ট পড়ে গ্যাস লাইটিং সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১২

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা!

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ‘গ্যাসলাইটিং (Gaslighting)’এর দেখার জন্য লিংক থাকা দরকার ছিলো ।
...........................................................................................................
মানুষে র জীবন দিন দিন জটিল হচ্ছে ।
আমাদের চাহিদা , সামাজিক মর্যাদা, আকাং্খার অপূর্ণতা
ইত্যাদি সমাজে অনেক বৈষম্য তৈরী করে ।
দুর্বল চিত্ত যাদের তারাই এর দ্রুত স্বীকার হয় ।
এই মনোদৈহিক মনস্তাত্বিক বিষয়টি অভিজ্ঞ সাইকোলজিষ্ট আরও সুন্দর
ব্যাখ্যা দিতে পারেন ।
............................................................................................................
‘গ্যাসলাইটিং (G মেয়েরা পটু হচ্ছে এই Gaslighting করার জন্য। aslighting)’
ঢাকা শহরে একারনে পরকীয়া যেমন বেড়েছে তেমনি ডিভোর্স ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে ।
ধন্যবাদ আপনাকে , একটি ভিন্নধর্মী টপিক নিয়ে আলোচনা করার জন্য ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যেত সাথে সহমত প্রকাশ করছি।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমরা নিজের অজান্তেই গ্যাস লাইটিং'র শিকার মনে হচ্ছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

মি. বিকেল বলেছেন: অনেকক্ষেত্রে তাই...

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকুক। শুভ কামনা সবার জন্য। গ্যাসলাইটিং মুক্ত সমাজ হউক।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আমি এই প্রথম জানলাম গ্যাসলাইটিং সম্পর্কে!! সত্যিই আপনার পোষ্টটি চমৎকার! এইরকম আরো পোষ্ট সামনে চাই!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

মি. বিকেল বলেছেন: নিশ্চয়, লিখবো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নামটা সম্পর্কে পরিচিত না হলেও এর পরিধি সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম !

আমি নিজেই এর স্বীকার হয়েছি অনেক । একসময় নিজেকে রুদ্ধ করে ফেলেছিলাম , এখনও আছি ! তবে পরিত্রাণের একটা উপায় বের করেছিলাম !

হায়েনারা যখন আক্রমণ করে তখন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে । আপনি প্রতিপদে বুঝতে পারছেন আপনার দিকে হায়না এগিয়ে আসছে আপনার পুরো শরীর থেকে মন এই ব্যাপারে একদম তটস্থ । হায়নার হাসি আপনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন । কী করবেন আপনি ? হাতে একটা চ্যালা কাঠ নিন এরপর জোরছে গর্জন করুন ! আপনার গর্জন শুনলে হায়নারা আর কাছে আসবে না । আপনি যদি দাঁত দেঁখিয়ে গর্জন করেন তো আরও ভালো !

নেকড়েদের থেকেও এভাবে মুক্তি পাওয়া যায় । যদিও অন্যথা আছে বটে !!

এরপর যে আমার সাথে সমালোচনা করতে আসতো কিংবা যেই বা আমার মতের বিরুদ্ধে কথা বলতো আমি ততটাই অনুসন্ধানী হয়ে উঠতাম । চুলচেরা বিশ্লেষণ করতাম । এতে কম বিপদে পড়িনি তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে জেনেছি ।

আমাকে আমার এক স্যার এই থেকে বাঁচার জন্য একটা কথা বলেছিলেন , " হাতি যখন হেঁটে যায় নেড়ি কুকুর অনেক ঘেউ ঘেউ করে । হাতি কিন্তু ফিরেও তাকায় না !!"

আপনার পোস্টটা বরাবরের মত দারুণ হয়েছে । কোন অসংগতি নেই । অনেক কথা বলেছি সেই জন্য আমি মার্জনাপ্রার্থী !!

ভালো থাকবেন !

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৫

মি. বিকেল বলেছেন: জেনে আনন্দিত হলাম যে, লেখায় অসংগতি পান নি। ধন্যবাদ!

৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

নতুন বলেছেন: এই কারনে আত্নবিশ্বাস পক্ত করতে হবে যাতে এই রকমের মানুষকে সুন্দর করে জবাব দিয়ে দেয়া যায়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৬

মি. বিকেল বলেছেন: আত্মবিশ্বাস পোক্ত নয়, বন্ধু এবং পরিবেশ সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে।

১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৭

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৭

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: সবচেয়ে বড় ব্যপারটি হলো কিছু মানুষ পরিণতি না জেনে অজান্তেই এমন করে। তাদের ভেতরটা স্বচ্ছতায় ভরে উঠুক। খুব ভাল লেগেছে আপনার লেখা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

মি. বিকেল বলেছেন: "সবচেয়ে বড় ব্যপারটি হলো কিছু মানুষ পরিণতি না জেনে অজান্তেই এমন করে।" - যথার্থ বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.