নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশাচর

মোহাম্মদ ফাহাদ মোল্লা

অবসর প্রাপ্ত ছাত্র

মোহাম্মদ ফাহাদ মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

""দুঃখী রাজকুমারীর অসমাপ্ত গল্প""

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

অদ্ভুত কিসিমের মেয়েটি যার ভাবনার জগত জুড়ে উদ্ভট সব পাগলামো। তাকে বোঝা বড় দায়, দুষ্টুমিতে ক্লাস সেরা বলা যায়, তার হাতে রেহাই নেই ক্লাস টিচার এমনকি রাস্তার ছেলে গুলুর নাজেহাল অবস্থা প্রায়শই। তার দস্যিপনায় প্রায় সকলেই মুগ্ধ। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি যা তাকে সব কিছুতেই অনেকাংশে এগিয়ে রাখে। কিছুটা বদমেজাজি বলা যায় কিন্তু তা ধর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গলেই হয়তো। কোনোভাবে তার মিল খুঁজে পাওয়া মুস্কিল অন্য মেয়েদের সাথে, সত্যি অদ্ভুত। বন্ধুদের সাথে মজারু বলেই সবার হৃদয়ে তার যায়গাটা পাকা, বন্ধুদের বিপদে তার অবস্থান বরাবরই পাশে। এভাবেই কাটছিল দিনখন তবে তার উশৃংখল জীবনে কোনো এক সকাল বেলার ঝড়ো বৃষ্টির শেষে হল কাঙ্ক্ষিত কেমিস্ট্রির অনাকাঙ্ক্ষিত আগমন, সেই ঝড়ের গতিতে বদলাতে লাগলো তার জীববনের প্রতিটি মুহুর্ত, শৃংখলার আবেশে পরিপাটি হতে বেশী সময় নেয়নি কিন্তু কিছু জিনিস হয়তো বদলাবেনা, অশ্রু রোদন তার নীরবতার সঙ্গী। অল্পতে খুশি হতে না পারলেও অল্পতেই হরিণীর মত মায়াবী চোখ দুটিতে অঝোর ধারার প্লাবন সৃষ্টি করে দিতে পারে খুব সহজেই, তার আনন্দের ভাষা উল্লেখযোগ্য নয় তবে দুঃখের ভাষা নীরব ও দীর্ঘস্থায়ী যেন দুঃখটাই তার কাছে বেশ উপভোগ্য। আনন্দের চেয়ে কষ্টই তার মনে অধিক দাগ কাটে সর্ব ক্ষেত্রেই তা পরিলক্ষিত। নীরবে ভালোবেসে যায় যার গভীরতা নির্ণয় করা খুবই কঠিন। তাহার ভালোবাসা বুঝার ক্ষমতা বোকাটার আদৌ হয়নি। বোকাটা একটু পাগলাটে স্বভাব এর অল্পতেই রেগে আগুন হয়ে যেতে পারে। রাগী মানুষেরা নাকি অনেক ভালোবাসতে জানে আর দয়ালু হয়। বলতে গেলে প্রতি ঘন্টায় দু চার বার ঝগড়া হয় তাদের তবে ঝগড়া করে দু চার মিনিট এর বেশী কথোপকথন না করে থাকতে পারেনা একেই বুঝি বলে ভালোবাসা টান। দিন যত বাড়ছে দুঃখ কষ্ট তার যেন ততোই বাড়ছে। তাদের কোনকিছুই যেন আর বনাবনি হচ্ছিলোনা একটা না একটা ঝামেলা লেগেই থাকছে অথচো পারিপার্শ্বিক অবস্থা ছিল খুব অনুকূলে তারপরেও তেলে জলে মিশ খাচ্ছিলোনা। যেসব এর জন্য ঝামেলার সৃষ্টি আসলে ঐ বেপার গুলা মানুষের বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রে কোন কাজেই আসেনা, মেয়েটা খুব বেশি ভারচুয়াল লাইফটা ইমপরট্যান্স দিতো আর অন্য দিকে ছেলেটা ভারচুয়াল লাইফ এর খারাপ দিক গুলু তার কাছে উপস্থাপন করতো আর এখানেই গন্ডোগোল। মেয়েটার চালাকির কাছে বরাবরই ছেলেটা অসহায়। যদিও মেয়েটা বয়সে কাঁচা সেজন্য সবখানে ছাড়া পেতো। অতঃপর তৃতীয় কোন ব্যক্তির বাম হাত এবং সম্পর্কের আরো অবনতি ভুল বুঝাবুঝি ও সম্পর্কের পরিসমাপ্তির দিকে ধাবিত। হয়তো কোনকিছুই তাদেরকে আলাদা করতে পারবেনা..........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.