নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্যাপারে জানতে চান ?লিখা শুরু করলে তো অনেক কিছুই লিখতে হবে।সংক্ষেপে শুধু এটা জেনে রাখুন, আমি একজন \'বইপোকা\'।জ্বি, আমি খুব বেশি অধ্যয়ন করি।লিখতে ভালোবাসি সেই ছোটবেলা থেকেই।এ জন্যেই ব্লগে আমার আগমন।ধন্যবাদ।

মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম

মুসলিম

মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. জাকির নায়েক ও কিছু কথা

১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অনেকে অনেক কথাই বলছেন।
'পিস টিভি' বন্ধের দাবিতে কোথাও কোথাও আন্দোলনও হচ্ছে।
আন্দোলন করছেন তথাকথিত 'হক্কানী' আলেমবৃন্দ !!!
শুনলাম, দেখলাম এবং বুঝলাম।
হিস্ট্রী রিপিটস ইটসেলফ !!!
যখন চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে তাতারীদের উত্থান ঘটেছিলো, তখনকার ইতিহাস জানেন ???
তখনকার সবচেয়ে বড় শক্তি তাতারীরা ছিল না।
ছিল মুসলিমরা।
'বাগদাদ' আর 'খারেজম' দুই পরাশক্তি যখন একে ওপরের গলা কাটতে ব্যস্ত ছিল, তখনই উত্থান ঘটেছিলো তাতারীদের।
ওরা মিসমার করে দিয়েছিলো শহরের পর শহর।
কিন্তু আব্বাসীয় খেলাফত এ ব্যাপারে ছিল সম্পূর্ণ উদাসীন।
আলাউদ্দিন মুহাম্মদ খারেজম শাহ প্রথমে তাতারীদের তুচ্ছজ্ঞান করে লড়াই শুরু করেছিলেন।
সে লড়াইয়ে পরাজয় তাকে যতটা ব্যথিত করেছিল, ততটাই খুশি করেছিল বাগদাদের খলিফাদের।
ওরা সতর্ক হয়নি।
বরং আলেমদের এক বিরাট অংশ তাতারীদের বিরুদ্ধে জিহাদকে 'অপ্রয়োজনীয়' ও 'আত্মহত্যার শামিল' বলে ফতোয়া দিয়েছিলো।
অনেক 'আলেম' (!) তো চেঙ্গিস খানকে 'মুক্তিদাতা' বলতেও কুন্ঠিত হয়নি।
ইতিহাসের কি মিল পাওয়া যাচ্ছে ???
হালাকু খান যখন বাগদাদ আক্রমণ করে, তৎকালীন খলিফা তখন ছিলেন শরাব আর মদের নেশায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত।
সেদিন দুই লাখ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাগদাদ।
"খলীফাতুল মুসলিমীন"(!)-কে হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট করে হত্যা করেছিল ওরা।
হাঁকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো বাগদাদবাসীকে ফোরাত নদীর দিকে।
বাগদাদবাসী ফল পেয়েছিলো তাদের মূর্খতার, অসেচতনতার আর নির্বুদ্ধিতার।
যখন আলাউদ্দিন খারেজম শাহ তাতারীদের কাছে পরাজিত হচ্ছিলেন, ওরা তখন ব্যস্ত ছিল তথাকথিত ফতোয়াবাজ আলেমদের বাকযুদ্ধ দেখায়।
এসব 'বাহাস' শুরু হতো 'পরমতসহিষ্ণুতা'র মহান বাণী দিয়ে।
আর শেষ হতো হাতাহাতি এমনকি দাড়ি ধরে টানাটানি দিয়ে।
যখন আলাউদ্দিন খারেজম শাহের পুত্র জালালউদ্দিনের দূত 'ঐক্য প্রস্তাব' নিয়ে পৌঁছেছিল বাগদাদের দরবারে, তখন কোনো 'ইহুদি'/'খ্রিষ্টান'/'হিন্দু'/'তাতার' তাকে ব্যর্থ করে ফিরিয়ে দেয়নি।
তাকে ব্যর্থ করেছিল তথাকথিত আলেম সমাজ !!!
ফতোয়ার জালে বেঁধে তাড়িয়ে দিয়েছিলো সে দূতকে।
আফসোস !!
আজ একবিংশ শতাব্দীতেএসেও আমরা এখনো আমাদের প্রকৃত শত্রুকে চিনতে পারিনি।
চিনতে পারিনি 'আলেম' নামক সেসব কালসাপদের, যারা যুগে যুগে ব্যক্তিগত মতকে, হিংসা-বিদ্বেষকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে সবার উপর।
যারা আল্লাহ'র কালামকে বিক্রি করেছে সস্তা মূল্যে !!!
হায় !!!
আমাদের শত্রু তো ইহুদি , নাসারা নয়।
আমাদের শত্রু তো তারাই, যারা বন্ধুর মুখোশ পরে জাতিকে বিকিয়ে দেবার গভীর ষড়যন্ত্রে নিমগ্ন।
আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত করুন।

আর যদি তাদের কপালে হেদায়াত না থাকে তাহলে তাদের ধ্বংস করুন।
বাগদাদবাসীর মতো পরিণতি যেন আমাদের না হয়।
আমীন।
‪#‎WeStandWithZakirNaik‬
‪#‎WeAreZakirNaik‬
‪#‎SupportZakirNaik‬

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: এইগুলা আলেম নামের জালেম

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই ভাই

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

আহলান বলেছেন: জকির নায়েক বহু বিতর্কের উদ্ভাবক ও প্রচারক। হেদায়েতের সাথে সাথে গোমরাহীও প্রচার হয়। ৭৩ ফের্কার এক ফের্কা বাদে বাকি সবাই বাতিল। কোনটা সেই সহিহ ফের্কা? সেটা কি জাকির নায়েকের থেকে শুরু হয়েছে বলে মনে হয়? তবে যে উছিলায় তাকে বয়কট করা হচ্ছে সেটা প্রমাণ স্বাপেক্ষ বিষয়। অনলাইন আশ্রয়ী ধর্ম প্রচারে তিনি অগ্রগামী .... প্রাক্তন বিজ্ঞ আলেম ওলামা এই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে সহজে মেনে নিতে চান নাই বা অনেকেই জায়েজও মনে করেন না, আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন লা মাযহাবপন্থী নায়েক সাহেব।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

আহলান বলেছেন: আর একটা কথা না বল্লেই না, যারাই নায়েকের সমালোচনা করেন, নায়েক পন্থীদের কাছে তারা সবাই তথা কথিত আলেম, তারা জালেম, এক কোথায় নায়েক পন্থী বা লাগে মাযহাব পন্থী ছাড়া আর সব আলেম ওলামাই বাতিল বে এলেম ব্লা ব্লা ব্লা ... পিস টিভির শিক্ষা কি সুন্দর!! বিভেদ আর বিভ্রান্তির শিক্ষা ... শয়তানের সাফল্য ..

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেছেন: মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার বা দ্বীনের দাওয়াত দেয়া 'নাজায়েজ' মনে করার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।
জাকির নায়েকের সাথে আমাদের হয়তো অনেক ব্যাপারে দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু মৌলিক একটা বিষয়. 'ইসলাম প্রচার' এ ব্যাপারে কেন আমরা এক থাকতে পারি না???
তার মাধ্যমে যারা ইসলামের ছায়াতলে এসেছে,তারা কি কেউ নিজেদেরকে 'জাকিরনায়েকপন্থী' বলেছে। 'জাকির নায়েকপন্থী' বলে কি কিছু আছে ??? আমরা 'মুসলিম' এটাই তো আমাদের প্রথম ও একমাত্র পরিচয়। একটা 'ইসলাম প্রচারের মাধ্যম' বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে কেন আমরা খুশি হবো ???
যারা জাকির নায়েকের ব্যাপারে ভারতের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে কথা বলে ফায়দা লুটতে চাচ্ছেন, তাদের মাধ্যমে কতজনই বা ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন?? তারা তো কেউই ইসলামের বাণী প্রচারে জাকির নায়েকের মতো সফল না।
অত:পর অপর মুসলিমের ক্ষতিতে খুশি হওয়া, বক্তব্যকে কাটছাট করে প্রচার করা, ইসলাম প্রচারের একটি শক্তিশালী মাধ্যমকে বন্ধ করার দাবিতে মানব বন্ধন করা কতইনা অপূর্ব কাজ !!!
আহ !!!
শয়তানের সাফল্য !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.