নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,

নাহিদ২৯

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখ...।

নাহিদ২৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ডায়েরীর পাতা থেকে : পর্ব- ২

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২



মুল লেখকঃ কমান্ডার হাসান জামান খান



আমার ডায়েরীর পাতা থেকে : পর্ব- ১



সড়কপথে প্রায় ৪৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে রিভেরিয়া গলফ ২ এসে পৌঁছলাম। অভিজাত আবাসিক এলাকা। ১০ তলা ফ্ল্যাট বাড়ির ৬ তলার একটি এপার্টমেন্টে বাংলাদেশী সামরিক পর্যবেক্ষকদের বসবাস। বাসাটি BANGLADESH MILOBs HOUSE নামে অন্যান্য দেশের সামরিক পর্যবেক্ষকদের কাছে বেশ পরিচিত। যাহোক বাসায় প্রবেশ করতেই অপেক্ষমান সকল বাংলাদেশী অফিসারদের কাছে নিজ দেশের আতিথেয়তার ছোঁয়া পেলাম। পথের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো । বিশাল বারন্দার এক পাশে দাড়িয়ে উপভোগ করছিলাম শেষ বিকেলের সূর্যের আলো। কি চমৎকার, রক্তিম আভা ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ার দৃশ্য । রাতের আঁধার নেমে আসতেই রকমারি আলোতে ঝলমল করতে লাগলো রাজধানী আবিদজান। রাত ১১ টা। বাহিরে তখনো গাড়ির আওয়াজ । তবে বাসার আশে পাশের ঔষধের দোকান আর খাবারের দোকান ছাড়া অন্যান্য সব দোকান এবং শপিং সেন্টারগুলো সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শহর জুড়ে আলোর ঝলক দেখে বুঝতে পারছিলাম এদেশে বিদ্যুৎ খুব একটা লুকোচুরি করে না । মনের কষ্ট না বাড়িয়ে নিজ কক্ষে একটু বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করছিলাম । টিক টিক করে ঘড়ির কাটা বাংলাদেশের সময়ের কথা তখনও আমাকে স্মরণ করাচ্ছিল, যাত্রা পথে সময় পরিবর্তন করা হয় নি বলে ঘড়িতে তখন ভোর ৫ টা। মনে মনে ভাবছিলাম, এ সময়ে ঘুম থেকে কি না জাগার কথা, তা না ঘুমাবার চেষ্টা ! তবে দৈনন্দিন রুটিনের এমন পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক কারণ আইভরি কোস্টের স্থানীয় সময় (GMT+০০), সময়ের দিক থেকে বাংলাদেশ ৬ ঘণ্টা এগিয়ে। যা হোক শত চেষ্টা করেও যখন ঘুম আসছিল না তখন এপাশ ওপাশ করতে করতেই রাত পোহালো। জানালার গ্রিলের পাশে নাম না জানা পাখির কিচির মিচির আওয়াজ। এমনি সময়ে দূর থেকে আযানের মধুর ধ্বনি ভোরের বাতাসে ভেসে আসছিল । জানালা খুলে বাহিরে তাকাতেই দেখি কি চমৎকার একটি মসজিদ। শৈল্পিক রূপ দেখে খুব ভালো লাগলো। ভোরের সূর্য আলো ছড়াবার পূর্বেই শহর জুড়ে শুরু হয়েছে মানুষের ব্যস্ততা। নারী, পুরুষ ছুটে চলছে যে যার কাজে। সবাই ঘড়ির কাটা নিয়ে ব্যস্ত. দেরী না করে আমিও প্রস্তুতি নিলাম UN FORCES HEAD QUARTERS এ যাবার জন্য। মিশন এলাকায় আমার আগমনের বার্তা জানাতে এবং পরবর্তী দিক নির্দেশনা গ্রহণ করতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করে নিলাম নৌবাহিনীর পোশাক ও জাতিসংঘের নীল রঙের টুপি (UN BLUE BARRET) দিয়ে । তারপরঃ লালসবুজের পতাকা আর জাতিসংঘের মনোগ্রাম বাম হাতে প্রদর্শিত অবস্থায় বাসা থেকে বের হলাম, বের হতেই চমৎকার আভিজ্ঞতা, যার সাথে দেখা হচ্ছে সেই ফরাসী ভাষায় “বো জু মসিও”, “বো জু মসিও” (অর্থাৎ , শুভ দিন জনাব ) বলে আমাকে সম্বোধন করতে লাগলো। খুব গর্ববোধ করছিলাম বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে। জবাব দিচ্ছিলাম “মেরছি, বো জু” (ধন্যবাদ, শুভ দিন) বলে। আইভরিয়ানদের মুচকি হাসিতে আর বুঝতে দেরী হোলো না, ফরাসী ভাষায় আমার উচ্চারণের ভঙ্গি কোন পর্যায়ে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.