নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,

নাহিদ২৯

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখ...।

নাহিদ২৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব অফারই অফার নয় (গ্রামীন ফোন)

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬



১১ জুন। সকাল ৮ টা ২৮ মিনিট। GP Offer থেকে একটা SMS আসে শায়লার কাছে। লিখা ছিল “গ্রামীন ফোনের গ্রাহক হিসেবে আপনি ৪২,৫২,০০০/- টাকা বা একটি গাড়ী জিতেছে”। বিশ্বাস করেননি শায়লা। তিনি উচ্চ শিক্ষিতা, চাকরি করেন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে, স্বামী প্রবাসী। তিনি জানেন, এভাবে প্রতারিত হয় মানুষ। আমলে নেননি বিষয়টি। পরদিন আবার একটি SMS আসে Govt Info থেকে। শুভেচ্ছা জানায়। জানানো হয়, আয়করের পরিমাণ ২,১০,০০০/- টাকা। পুরস্কার পেতে হলে সরকারকে দিতে হবে এটা। তিনি যেন প্রতারিত না হন সেজন্য তার বাসায় আসবেন আয়কর কর্মকর্তা, গ্রামীন ফোন প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সরকারী লোক।



এবার একটু বিশ্বাস হয় শায়লার। ফোন করেন GP Offer এ থাকা নম্বরটিতে। রিসিভ করেন জিএম নাহিদ, জানান অভিনন্দন। শুরু হয় পুরস্কার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া। জিএম নাহিদের পরামর্শে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। মনে মনে ভাবেন, পুরস্কার পেয়ে সবাইকে চমকে দিবেন। তাই বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন স্বামীর কাছে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রথমেই বিকাশের মাধ্যমে ১২,৬৫০/- টাকা পাঠান শায়লা। এরপর তাকে দেওয়া হয় রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ৫৪৯২৬৬৪৯৬। ফরম পূরণ বাবদ নেওয়া হয় ৪৪,৫০০/- টাকা। এরপর টাকা বুঝে নেওয়ার জন্য পাঠানো হয় স্ট্যাম্প, চাওয়া হয় ২,৮০,০০০/- টাকা। এই টাকা পাঠান এসএ পরিবহনে। এর মাঝে কথা হয় অপর্না নামে GP’র আরেক কর্মকর্তার সাথে। এরপর আবার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। বাড়ীর দলিল তৈরী, ইনকাম ট্যাক্স, ম্যাজিষ্ট্রেটের সাইন, সরকারী লোকের খরচ। সবগুলোর জন্যই চাওয়া হয় টাকা। শায়লাও পাঠিয়ে দেন সরল বিশ্বাসে। এভাবে ধাপে ধাপে খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ লাখে।



অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৬ জুন, শায়লাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে পুরস্কারের টাকা। নেওয়া হল তার একাউন্ট নম্বর ও বাড়ীর ঠিকানা। বিকেলে ৫ টায় একাউন্টে আসবে সেই টাকা। সোয়া ৫ টায় একাউন্ট চেক করেন শায়লা। টাকা আসেনি। ফোন করেন জিএম নাহিদকে, তার ফোন বন্ধ। ফোন করেন অপর্নাকে, বন্ধ তার ফোনও। রাত ৯ টায় SMS আসে নাহিদের মোবাইল থেকে। সেখানে লেখা “অভাবে পড়ে এ কাজ করেছি, ক্ষমা করে দিবেন”।



সব অফারই অফার নয়। বাল্ক SMS এর মাধ্যমে এভাবে প্রতারিত হন শিক্ষিতরাও।



সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন।



মোঃ বাবুল আক্তার, বিপিএম, পিপিএম (বার)

অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কেএসরথি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

ধুমধাম বলেছেন: আপনি কি বাবুল আক্তার নাকি?

২২ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

নাহিদ২৯ বলেছেন: না

৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৬

শেখ মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদের লোভ নিয়েই প্রতারকদের ব্যবসা ।

৪| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

হাসিব০৭ বলেছেন: বুঝলাম না গ্রামীনফোনের অফারে বিকাশ ঢুকবে কেন? তারা যদি সত্যি হত তাহলে তারা টাকাটা ক্যাশ অথবা চেক নিবে বিকাশে কখনই গ্রামীনফোন বা আয়কর কর্মকর্তারা ব্যবহার করবে না এটাতো পাগলেও বুঝবে আর উনি শিক্ষিত হয়েও বুঝলেন না :( :( :(

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৩

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: বলদগুলার এই অবস্থাই হয়। টাকা কি বলদার পু*কি দিয়া আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.