নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকাম বিকৃতি না সংস্কৃতি?

৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১৮

কিছু জিনিস আছে যা নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভাল বিশেষ করে দুর্গন্ধময় বা পচা জিনিস। হতে পারে মানুষের মল। তাই এই বিষয়টা নিয়েও কথা বলতে চাইনি। একজন প্রখ্যাত এবং পছন্দের ব্লগার তার ফেসবুক স্টাটাসে কমেন্ট চাইলো এ বিষয়ে কমেন্ট দিলাম এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভাল।

তবে এখন গোটা বিশ্বটা এই এতটুকু যাকে আমরা গ্লোবাল ভিলেজ বলে থাকি। তাই বিষয়টা আর এড়িয়ে যেতে চাচ্ছি না। এ নিয়ে কথা বলাই উচিত। ‘নাস্তিক ব্লগার’ শব্দটা আমার সবচেয়ে অপছন্দের শব্দ। যাদের ওপর এ তকমা লাগানো হয়েছিল তাদের সমব্যথি আমি নিজেও। তবে একজন ওই কাতারের ব্লগার সম্প্রতি ‘আযান’ দিয়ে ঘোষণা দিলেন তিনি ‘নাস্তিক ব্লগার’। সমকামিতার রঙ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফেও তিনি লাগাতে কোন প্রকার তোয়াক্কা করলেন না। বিতর্কিত এক লেখিকা যার লেখা আমি পড়েছি পড়ি। যার ‘ক’ বইটা পড়ে আমি বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য মানুষের চরিত্রের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। সেই লেখিকাও দেখছি এর পক্ষে ব্যাপক ওকালতি করছে। কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে ওই ব্লগারের দেখাও হয়েছিল...ফেসবুকে দেয়া তাদের দু’জনের ছবিতে অনেকে কমেন্ট করেছিল চোরে চোরে মাসতুতো ভাই...পরে দেখলাম আসলেই...বিকৃতি প্রচারেই তৃপ্তি বেশি।

বাংলাদেশের উচ্চ শ্রেণির শিক্ষিত মানুষ সমকামের প্রতিবাদ জানাবে না কারণ তারা সবাই প্লেটো এরিস্টটলের ছাত্র! যাদের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ না করলেও তাদের নীতি বিরোধী কথা এরা বলবে না। আর মোল্লারা এটা নিয়ে চিল্লালেই প্রমাণসহ বলবে তোমাদের মাদ্রাসাগুলোতেও এগুলো হয়। এইতো বলাৎকার করতে না পেরে ঢাকার এক মাদ্রাসার বাবুর্চি এক ছাত্রকে খুন করে স্বস্তির ঘুম দিয়েছে...দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটেছে এবং ঘটছে পত্রিকা খুলো প্রমাণ নাও। অতএব ওফ যাও। যদিও ভারতের পত্রিকার মত বাংলাদেশের পত্রিকা লিখতে পারবে না...‘শতবর্ষের ঐতিহ্য সমকামকে অবৈধ বললো আদালত’। বুদ্ধিজীবীরা সমকামী না তবে প্রভূভক্তির কারণে তারা এ বিষয়ে কথা বলবেনা...

কেউ কেউ আবার বলেন, আবাসিক স্কুল কলেজগুলোতেও এসব কাজ হয়। উদাহরণের অভাব নেই।

তবে বাস্তবতা হল এটাকে যদি আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রকাশ্যে রাস্তায় হচ্ছে। আসলে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিই হচ্ছে বিকৃতির দিতে ঝুঁকে পড়া। এটা একটা মানসিক রোগ এ রোগের ওষুধ নৈতিকতা। তথা বোধ ও বুদ্ধি।

যৌনতার বিষয়টা আসবে নারী-পুরুষে যার মাধ্যমে মানব বংশের বৃদ্ধি হবে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে...অন্য কোন উপায় এটা বিকৃতি ছাড়া আর কী?

যারা ধর্ম সম্পর্কে জানেন তারা লুত (আ.) এর সম্প্রদায়ের ধ্বংসের বিষয়ে অবশ্যই জানেন। ওই সম্প্রদায়ে এই বিকৃত মানসিকতা চরম আকার ধারণ করেছিল। তাই আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেন। একজন বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে এটা সবার জন্য দৃষ্টান্ত।

আমার গুরু আহমদ ছফার ‘পুষ্প, বৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরান’ এ আছে- এক ছেলেকে তিনি তার রুমে আশ্রয় দিয়েছিলেন সেই ছেলে তাকে সন্দেহ করতো তার বন্ধুদের ভাষায়- ‘স্যার হে আপনারে সন্দেহ করে, বড় হইলে আপনি তারে ফাকাইবেন।’

হুমায়ুন আহমেদের ‘ঘেটু পুত্র কমলা’ এই বিকৃতির আরেক উদাহরণ।

বাংলাদেশেও এর অনেক অনুসারী রয়েছে...ওরা রাস্তায় নেমে মিছিল করে...ওদের অফিস আছে!!! পত্রিকা আছে!!! ওদের পক্ষে বই আছে...আজিজ মার্কেটে দেখেছি...

বাস্তবে এমন বিকৃত মানসিকতার লোক দেখেছি...ছোট বাচ্চাদের যে ফুসলাতে গিয়ে ধরা খেয়েছিল...

আসলে এসব হচ্ছে মানসিক বিকৃতি...আমাদের সমাজে এখনো পরিবার প্রথা টিকে আছে...উৎসব আর আনন্দে শেকড়ের টান বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে পরিবার...যাদের পরিবার ঠিক নেই তারাই লেজ কাঁটা শেয়ালের মত আমাদের পরিবারে ভাঙন আর বিকৃতি প্রবেশ করাতে তৎপর...আর সমাজবিজ্ঞান বলে পরিবারই হোক বৈধ যৌনতার ভিত্তি...মানব সভ্যতার দাবি তাই...

এসব বিকৃতিকে এড়িয়ে চলে...এসব মানসিক বিকারগ্রস্তকে চিকিৎসার ব্যরস্থা করা উচিত...এরা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়...সচেতনতাই পারে এসব বিকৃত সংস্কৃতি দূর করতে...

বাংলাদেশে এরা আবার হিজড়াদের ব্যবহার করছে কৌশলে...আজ এমন একটা খবর পড়ে অবাকও হলাম।

তাই এখন রংধনু নিয়েও নাড়াচাড়া করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

টু-ইমদাদ বলেছেন: ভালই বলেছেন . . .

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.