নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঊনি একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতার চেতনাতত্ত্ববিদ

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৬

স্বাধীনতার শানিত চেতনা ধারণকারী বিশিষ্ট ওই ব্যক্তি বর্গকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। আর না জানিয়ে উপায় নেই। ওই শুভেচ্ছাটুকু না জানালে স্বাধীনতার বিশ বছর পরে জন্ম নিয়েও স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে যাব। ঊনাকে যদি বলি আপনার বাপজান কলার ছালে পিছলে আছাড় খেয়েছেন। বলবেন, বার্ধক্যজনিত ভুল হতেই পারে। কথাও বেশি বলে বাবা-আমার বোঝেও বেশি! ছোট বিষয়কে বড় করে ব্যাখ্যা করবে।... মানে পিতারও ভুল হতে পারে। পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন, আহমদ ছফা চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তীতে যে কথাগুলো বলেছিলেন তা ঠিক (বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস)। ঊনি তখন বলবেন, সেতো রাজাকার ছিল।

এমনিভাবে কতজনকে ঊনি/ওনারা রাজাকার বলবেন মৃত্যুর আগে যার কাছে সুবিধা পায়নি মৃত্যুর পর তাকে রাজাকার স্বাধীনতাবিরোধী বলতে তার মুখে বাঁধবে না।

যদি কথা বলি দলিল দেখাবে বই দেখাবে…সাহস করে যদি বলি একে খন্দকারও তো লিখলেন মানলেন না যে…সোজা কথা ওটা চেতনার বিপক্ষে গেছে…মানে এরা চেতনা নামীয় সুবিধার পক্ষে।

শর্মিলা বসুর ডেড রেকনিং পড়েও যে স্বাধীনতার পক্ষালম্বন করবে সেই প্রকৃত স্বাধীনতার পক্ষে। বিরোধিতা সহ্য করার ক্ষমতা এদের নেই। এরা শত ঝামেলা পাকিয়ে হলেও নিজের যুক্তিতে অটল। আসলে চেতনা ব্যবসায়ী। চেতনার ব্যবসা করে এদের পূর্বসূরীরা স্বাধীনতার পর আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। আর এখন উত্তরাধিকার সূত্রে এরা।এরা একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানেনা…অপমান করতে দলিল প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়…যার বেশির ভাগই কেউনা কেউ লিখেছেন…যারা একটা পক্ষের লোক ছিলেন…দুই পক্ষের বা একজন নিরপেক্ষ লোকের লেখা এনে দেখান…

এরা কোনদিনই মানবেন না। এখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় যেমন নতুন নতুন নাম দেখা যায়…একইভাবে বাড়ছে রাজাকার তালিকাও…বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এখন এই শ্রেণির ব্লগারের কাছে ‘বিশিষ্ট রাজকার’ পারলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের বাবা নুরু মিয়ার মরণোত্তর বিচার চেয়ে দেখান। বলেন, তার নামে সড়ক স্বাধীন বাংলাদেশে চাই না...

এই ব্লগারদের করুণা হয়। এরা আওয়ামীপন্থী হয়েও বিএনপি’র স্লোগান বুকে ধারণ করে... আর তা হল জিন্দাবাদ...‘সুবিধাবাধ জিন্দাবাদ’।

এদের নোংরামি এমন যে এরা বঙ্গবন্ধুর মত বড়মাপের নেতার বিষয়ে লিখতে পারেন ‘ইসলাম প্রচারে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বই...এই চাটুকাররা জাতির শত্রু বই বন্ধু নয়।

এরা ধর্মের বিরোধিতা করবে...প্রতিবাদ করলে বলবে স্বাধীনতাবিরোধী...
এরা ধর্ষণ, খুন, টেন্ডারবাজি করবে প্রতিবাদ করলে বলবে...স্বাধীনতাবিরোধী...এদের থেকে বড় উসকানি দাতা খুঁজে পাওয়া দায়!

একজন মুক্তিযোদ্ধা সচিবের কাছে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করবে এরা বলবে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া!

এরা পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ দিয়ে সমকামিতার চিহ্ন আঁকবে প্রতিবাদ করলে হতে হবে স্বাধীনতাবিরোধী...

স্বাধীনতার বিশেষ একটা চশমা এদের চোখে এরা ওই চশমা দিয়ে যাই দেখবে তাই সত্য, তাই দেখতে হবে এটাই তাদের কাম্য।

প্রাণ-আরএফএল এর মালিক আমজাদ খান চৌধুরী কেমন ছিলেন তা গোটা বাংলাদেশ জানে...কত মানুষের মুখে তিনি হাসি ফুটিয়েছেন...কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছেন...দেশকে কতটুকু উন্নতির দিকে নিয়ে গেছেন তা সবাই জানে...অথচ তার মৃত্যুর পর তার সমালোচনা-তুলোধনা করছে এই শ্রেণির ফাজিল মানুষ...এরা কি সমালোচনার অর্থ বোঝে...একজন মৃত মানুষকে নিয়ে কুৎসা রটানো কত বড় অপরাধ এরা কি বোঝে না...

এদের ব্যাপারে কিছুই বলার নেই...এরা মানবতার শত্রু...এদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

তাই ওই ব্লগারদের প্রত্যেকে বলতে ইচ্ছে হয়- ‘ঊনি একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতার চেতনাতত্ত্ববিদ’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.