নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘লেখকের কথা’...

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন সবাই কিছু না কিছু লিখতে পারে। বলা যেতে পারে এটা সময়ের বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্ট্যাটাসে নিজের সম্পর্কে দুটো কথাও লিখতে না পারাটা এখন নিতান্ত লজ্জাজনক! আর দু’চার লাইন কবিতা, দুটো ভালো লাগার কথা, ছবি দিয়ে ক’টা সুন্দর কথা লিখে দেয়া।

এগুলো নিশ্চয়ই একসময় লেখার জগতে একটা বিপ্লবের সৃষ্টি করবে। সবাই মিলে লিখে যাবে আর তার কোনো প্রভাব সমাজে পড়বে না তা হতে পারে না...প্রভাব পড়বে এবং পড়ছে...

ডায়েরির কোণে দুটো ভালোলাগার কথা লিখে রাখা বা নিয়মিত ডায়েরি লেখার প্রভাব হয়তো পড়তে পারে...সবাই আর যাই হোক ডায়েরি লিখে আনা ফ্রাঙ্ক হবে না...

তবে লিখে চলছে সবাই আড়চোখ কিংবা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এ হলো সুলক্ষণ...

এর মধ্যে লেখকের সাথে কোনো বিরোধ নেই। আমার গায়ে পড়ে বিরোধ লাগাতে ইচ্ছে করছে ওই সকল পরামর্শদাতাদের জন্য যারা ‘জাতির পরামর্শদাতার দায়িত্ব’ পালন করছেন...হাস্যকর হলেও সত্য সেই মানুষগুলোর ভেতরটা লেখায় প্রকাশিত হয়...ভাষাই বলে দেয় মানুষের প্রকৃতি...

তাই এসব অতিকথকদের পরামর্শ এড়িয়ে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘লেখকের কথা’ বইটা পড়ছি...একবার পড়ে শেষও করেছি...আসল পরামর্শস্থল এগুলোই...এঁরা লিখে পাঠোকোত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের কথা লিখেছেন আর ওরা কেবল পরামর্শক সেজেছেন...বাস্তবে লেখকরা কতটুকু পড়েছেন তাও জানুন...হ্যাঁ যদি কোন লেখক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পিছিয়ে পড়াও হয়ে থাকেন তারপরও সেই লেখক ব্যক্তিগত জীবনে কয়েকবার স্নাতোকোত্তর করার সমপরিমাণ কিংবা তারও বেশি পড়েছেন...

সেই গুণীদের তৎকালীন পারস্পরিক প্রশ্ন ছিলো এমন- ‘কেমন আছেন? এখন কি পড়ছেন? আর কি লিখছেন?’

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার আশাবাদী কথা ভাল লেগেছেঃ

//এগুলো নিশ্চয়ই একসময় লেখার জগতে একটা বিপ্লবের সৃষ্টি করবে। সবাই মিলে লিখে যাবে আর তার কোনো প্রভাব সমাজে পড়বে না তা হতে পারে না...প্রভাব পড়বে এবং পড়ছে..//.


মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘লেখকের কথা’ বইটি আমারও পড়ার ইচ্ছে আছে।

ছোট্ট একটা লেখার অসাধারণ একটা সমাপ্তি টেনেছেনঃ

//সেই গুণীদের তৎকালীন পারস্পরিক প্রশ্ন ছিলো এমন- ‘কেমন আছেন? এখন কি পড়ছেন? আর কি লিখছেন?’//

আপনার লেখার সূত্র ধরেই বলিঃ

‘কেমন আছেন?
এখন কি পড়ছেন?
আর কি লিখছেন?

এই সংস্কৃতি আমরাও যেন গড়ে তুলতে পারি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: গুরুর শিষ্য ,



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন সবাই কিছু না কিছু লিখতে পারে। এটা একদম ঠিক বলেছেন ।

এটা সময়ের বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা বলা যাবে কি ? লেখা সময়ের বাধ্যবাধকতা নয় কিছুতেই । কারন সময়ের বাধ্যবাধকতা হলে এই অস্থির সময়ে সব মানুষকেই অসৎ ও স্বার্থান্বেষী হতে হতো ।

সামাজিক সাইটগুলোতে মানুষ লেখে সাধারনতঃ আবেগ তাড়িত হয়ে । এ লেখা থেকে আমরা লেখকের মন-মানসিকতা, শিক্ষা আর রুচির একটা ছবি এঁকে নিতে পারি । এ ছবিটি যতো পরিচ্ছন্ন আর শালীন ততোই তা সমাজের জন্যে কল্যানকর ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ...আপনাকে...সময়ের বাধ্যবাধকতা হলো...ধরুণ আমার ব্লগ অ্যাকাউন্ট আছে অথচ আমি লিখিনা...একইভাবে ফেসবুকের কথাও বলা চলে...বা অন্যবন্ধুদের লেখায় কমেন্ট করি বা তার পোস্ট দেখে লিখি এগুলোকেউ বুঝিয়েছি...

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল লাগল ভাবনাগুলো

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

বাক স্বাধীনততা বলেছেন: সবাই তো নিজেকে প্রকাশই করতে চায়! !বাট ...........।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ওই কিন্তুটাই... :)

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//এগুলো নিশ্চয়ই একসময় লেখার জগতে একটা বিপ্লবের সৃষ্টি করবে। সবাই মিলে লিখে যাবে আর তার কোনো প্রভাব সমাজে পড়বে না তা হতে পারে না...প্রভাব পড়বে এবং পড়ছে...//

-সহমত!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত পোষণের জন্য...

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষমতা কত তা কিন্তু গনজাগরণ মঞ্চই প্রমাণ করে গেছে। আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
বন্ধ করে দেয়াটা স্রেফ মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই না।
হয়তো দেখা যাবে কিছুদিন পর স্ট্যাটাসগুলোই সাহিত্য হিসেবে গন্য হবে! হতেও পারে। সময় কত কিছুই না দেখায়

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

গুরুর শিষ্য বলেছেন: :)

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পরামর্শদাতাদের,

কিছুক সংখ্যক বুঝে পরামর্শ দেয়।
কিছু সংখ্যক দেয় না বুঝে।
কিছু সংখ্যক দেয় আকর্ষণ পাওয়ার জন্য।
কিছু সংখ্যক দেয় সময় কাঁটানোর জন্য।
কিছু সংখ্যক দেয় মানুষের ভালোর জন্য।
কিছু সংখ্যক দেয় নিজের উপকারের জন্য।

আর
কিছু সংখ্যক দেয়, নিজেকেই পরামর্শ দেওয়ার জন্য।

যাই বলেন - শেষ সংখ্যক মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

তবে হ্যা এটা সত্যি যে, যদি কোন লেখক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পিছিয়ে পড়াও হয়ে থাকেন তারপরও সেই লেখক ব্যক্তিগত জীবনে কয়েকবার স্নাতোকোত্তর করার সমপরিমাণ কিংবা তারও বেশি পড়েছেন

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ...সহমত পোষণ করছি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.