নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম ও শেষ কবিতা ছিলো মৃত্যুকে ঘিরেই...

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩



কবির লেখা শেষ কবিতাটি সম্পর্কে নিশ্চিত হলেও প্রথম কবিতা নিয়ে শংশয় আছে। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞের মতে ১৮৭২ সালের কোনো এক সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভানুসিংহ ছদ্মনামে প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন। কবিতাটি হলো-

‘মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান
তাপ বিমোচন করুণ কোর তব
মৃত্যু অমৃত করে দান
তুঁহু মম শ্যাম সমান।’


তারপর জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন কবি। একে একে সৃষ্টি করেছেন অবিনাশী সব কবিতা। যা মানুষের মনে প্রাণে মিশে আছে রক্তপ্রবাহের মতো।

৩০ জুলাই ১৯৪১ (১৪ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোয় জীবন সায়েহ্নে কবি রচনা করলেন শেষ কবিতা। কবি প্রায় আচ্ছন্ন অবস্থায় বলেছিলেন। লিখেছিলেন রানী চন্দ-

তোমার সৃষ্টির পথ
-------------------------
তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে
হে ছলনাময়ী!
মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে
সরল জীবনে!
এই প্রবঞ্চনা দিয়ে মহত্ত্বেরে করেছ চিহ্নিত;
তার তরে রাখ নি গোপন রাত্রি।
তোমার জ্যোতিষ্ক তারে
যে পথ দেখায়
সে যে তার অন্তরের পথ,
সে যে চিরস্বচ্ছ,
সহজ বিশ্বাসে সে যে
করে তারে চিরসমুজ্জ্বল।
বাহিরে কুটিল হোক, অন্তরে সে ঋজু
এই নিয়ে তাহার গৌরব।
লোকে তারে বলে বিড়ম্বিত।
সত্যেরে সে পায়
আপন আলোকে-ধৌত অন্তরে অন্তরে।
কিছুতে পারে না তারে প্রবঞ্চিতে,
শেষ পুরস্কার নিয়ে যায় সে যে
আপন ভাণ্ডারে।
অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে
সে পায় তোমার হাতে
শান্তির অক্ষয় অধিকার।


[সংগৃহীত]

আসলে আশেপাশে কাছাকাছি আর সমবয়সীদের মৃত্যু দেখে নিজেরও ওই চিন্তা জেগে উঠেছে...অনেকে আবার এমন মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথের কবিতাকে বাঁকা চোখে নেবে!!! তাদের বলি- ‘তোমরা না ইকবালকে নিয়েছ না রবীন্দ্রনাথকে, যাকে যতটুকু দরকার তাকে ততটুকুই নাও না...’

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৯

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: শেষের কবিতা

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

গুরুর শিষ্য বলেছেন: না শেষের কবিতা না... :(

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জগন্য বিশ্রী, নিম্ন মানসিকতার পোস্ট

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

গুরুর শিষ্য বলেছেন: আপনি আর কখনো আমার ব্লগে না এলে খুশি হবো...

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর কবিতাগুলো যে রবীন্দ্রনাথের প্রথম কবিতা এটা আপনাকে কে বললো? এইসব আজগুবী তথ্য পান কই ?

এইখানে দেখুন কবির "জীবনস্মৃতি" তে তিনি তার শুরুর দিকের কবিতা-রচনা বিষয়ে কি লিখেছেন:


কবিতা-রচনারম্ভ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

গুরুর শিষ্য বলেছেন: আমিতো প্রথমেই বলেছি সংশয়ের কথা...শুরুর দিকের কবিতা নিয়ে বলেছি ‘কবির লেখা শেষ কবিতাটি সম্পর্কে নিশ্চিত হলেও প্রথম কবিতা নিয়ে শংশয় আছে। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞের মতে ১৮৭২ সালের কোনো এক সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভানুসিংহ ছদ্মনামে প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন।’ ক্ষ্যাপা সন্নাসী হলে চলবে না...

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

গুরুর শিষ্য বলেছেন: তথ্য দিতে পারতেন অপরকে হেয় করে- ‘এইসব আজগুবী তথ্য পান কই?’এভাবে বলেন কেন??? সংশোধনীর বিষয়ে নমনীয় হবেন...এমন না নিজের পোস্টকে ১০০ ভাগ ঠিক দাবি করেছি...পারলে শেষ কবিতাটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন...আমার সাবজেক্ট মেটার ছিল মৃত্যু...

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকে হেয় করাটা উদ্দ্যেশ্য ছিল না । তবে যখন কোন পোস্টে আপনি কিছু তথ্য দিচ্ছেন সেই তথ্যগুলো তো আংশিক হলেও সত্য হতে হবে । "তোমার সৃষ্টির পথ" এই কবিতাটিতেই বা আপনি কোথায় মৃত্যু খুজে পেলেন ? এটা মৃত্যুর কবিতা হলে তো গীতাজ্ঞলির অধিকাংশ আর নৈবেদ্যর সবগুলো কবিতাই মৃত্যু বিষয়ক।

আমার মন্তব্যের জবাবে আপনি লিখলেন "রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞের মতে ১৮৭২ সালের কোনো এক সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভানুসিংহ ছদ্মনামে প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন।’" এই তথ্যটাই বা আপনি কোথায় পেলেন? ১৮৭২ সালে রবির বয়স ছিল ১০ বছর। এর কোন কবিতাই অন্ততপক্ষে ১৪ এর আগে লেখা নয়। ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর প্রথম কবিতা যেটা তিনি লিখেছেন সেটা হল " গহনকুসুমকুঞ্জমাঝে / মৃদুল মধুর বংশি বাজে। "
এখানে দেখুন:

ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

গুরুর শিষ্য বলেছেন: আমি রবীন্দ্র গবেষক নই...যা লিখেছি তা অনলাইন থেকে সংগৃহীত ও আমি বলেই দিয়েছি...সে সংগ্রহে ভুল থাকলে কিছু করার নেই...আর শেষ কবিতাটা নিয়ে আমি এজন্য দৃঢ়চেতা যে, একজন খ্যাতিমান আবৃত্তিকার এটা শুনিয়ে বলেছিলেন; এটা শেষ কবিতা...তবে এই একটা পোস্ট আমি নিজস্ব পড়ার গণ্ডির বাইরে দিয়েছি...আপনার কথাও অনলাইন নির্ভর তাই ও থেকে রেফারেন্স বিশ্বাস করলে আরো ভুলের দোষে দুষ্ট হতে পারি...তারপরও পড়াশোনার জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো...আর এক বছরের বেশি সময় নিলাম নিজের জন্য...রবীন্দ্রসমগ্র শেষ করবো...তারপর কথা...আসলে এভাবে নিজের না পড়া বিষয় নিয়ে আর কথা বলবো না...আর এমন আজগুবি তথ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম ও শেষ কবিতা’ লিখে সার্চ দিন...আমার মত আপনিও পাবেন...

ধন্যবাদ আপনাকে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমার অজ্ঞতাগুলো দেখিয়ে দেয়ার জন্য...আসলে অনলাইন নির্ভর হওয়াই উচিত না...মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুটো কথা লিখতে চেয়ে সার্চ দিয়ে যা পেয়েছি তাই লিখেছি...যা আমার উচিত হয়নি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.