নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিন্দনীয় হত্যাগুলো ‘নিরেশ্বরবাদের প্রচারণা’?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮



ব্লগার রাজীবকে চিনতাম না...তার হত্যাকাণ্ডের পর জানলাম তিনি কি লিখতেন! তেমনিভাবে পর্যায়ক্রমে অভিজিত রায়েরও হত্যার খবর জানার পরে জানলাম তার মতাদর্শ...বেশির ভাগ হত্যার শিকার ব্লগারের ক্ষেত্রেই দেখছি তারা নিরেশ্বরবাদে বিশ্বাসী!

এগুলোর সবই কেউ বলে দিচ্ছে তা না...বলছে তাদের লেখনি বা জীবন পদ্ধতি...ফেসবুক স্ট্যাটাস বলছে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল...‘লিভ টুগেদার (ধর্মের বালাই না রেখে), সমকামিতা, ধর্মান্ধতার কথা বলে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষ, নবি-রসুল, কোরান-সুন্নাহ এগুলোকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস, উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন ইত্যাদি...
প্রকাশক দীপন কেবল ব্যতিক্রম...

বাস্তবে তাদের এসব কার্যক্রম জানলে ফেসবুক বা ব্লগেই প্রতিবাদ জানাতাম...

একইভাবে কিছু অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকেও দেখছি...তাদের যদি সন্ত্রাসীরা হত্যা করে তাহলে প্রমাণ হিসেবেই রেখে দিচ্ছে তার আদর্শ।এদের বেশির ভাগই ‘নিরেশ্বরবাদী’।

আর হত্যার ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির চাইতেও তাদের মতাদর্শকে বেশি হাইলাইট করছে একটা গোষ্ঠী...আসলে এদের সম্পর্কে কেবল খুন হওয়ার পরই আমরা জানছি কেন এ প্রশ্নটা থেকেই যায়...খুনিরা কি নিহতদের আদর্শ প্রমাণের দ্বার উন্মুক্ত করে দিচ্ছে? না প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা আসলেই ‘নিন্দনীয়’ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল...


দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশেষ করে জামাত-শিবিরের বিরোধিতা এদেশের বড় একটা অংশই করে এটা স্বাভাবিক...দলগুলো স্বাধীনতার সময় থেকেই বিতর্কিত ভূমিকার জন্য নিন্দনীয়...এখন বিচারের সম্মুখীন...জামাত প্রধানও ফাঁসির প্রহর গুনছে...

ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরোধিতাও আমার ধর্ম...তাই বলে একটা গোষ্ঠী যাচ্ছেতাই করবে..

আমি মুসলিম এজন্য গর্ব করি কারণ আমার আছে পবিত্র কুরআন...আরবি ঠিকমত না পারলেও আমি মাতৃভাষা বাংলায় পুরো কুরআনটা পড়েছি...বাংলায় অনূদিত কয়েকটা হাদিসগ্রন্থও ইসলামিক ফাউন্ডেশন (গ্রামের মসজিদভিত্তিক পাঠাগার) থেকে নিয়ে পড়েছি...বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র থেকে গোলাম মোস্তফার ‘বিশ্বনবী’ সংগ্রহ করে পড়েছি...কেবল খতনা দিয়ে নয় আমি বুঝে শুনে মুসলিম...নানা কারণে না হলেও নামাজ পড়ার চেষ্টা করি...তাই আমি মুসলিম এ দাবিটা বরাবরই করি...

আমি রবীন্দ্রভক্ত বাঙালিও তাঁর দুইবিঘা জমি পড়ে আমিও কাঁদি আর আল্লাহর কাছে বলি ‘তুমি আমাকে অনেক ভাল রেখেছ প্রভু...’

আমি ইকবালও পড়েছি তারমতই আল্লাহর কাছে আমার ‘শিকওয়া’ আছে...

তাই বলে কেউ নিরেশ্বরবাদে বিশ্বাসী হবে না এমনটা নয়...কেউ যদি অমন হয় তাহলে সে যেন আমার ধর্মকে আঘাত না করে...

যার বর্তমানে এসব হীনকাজ করছে তাদের বলবো :

তোমার আমার বিতর্ক হতে পারে খোলা মাঠে, ফেসবুকে কিংবা ব্লগে (উত্তম যুক্তিতর্ক ও তথ্য প্রমাণ দিয়ে....অহেতুক গালিগালাজ নয়)... নিজের সীমাব্ধতা থাকলে প্রয়োজনে তুমি তোমার পক্ষ থেকে একজন দেবে আমি আমার পক্ষ থেকে একজন দেব...বিতর্ক শেষে আপন-আপন গৃহে প্রত্যাবর্তন করবো...কেন মিছে খুনোখুনি আর ষড়যন্ত্র?

মনে রেখ- সত্য সমাগত মিথ্যা দূরীভূত...ফুৎকার দিয়ে সুমহান আলোকে কেউ নিভিয়ে দিতে পারবে না...এগুলো আমার নয় কোরানেরই কথা...

তুমি চাইলে এমন একটা কোরান লিখে একে ‘ভিভ্রান্ত মতবাদ’ হিসেবে প্রমাণ করতে পারো...এটাও কোরানেরই চ্যালেঞ্জ...

তুমি কি দেখনা ‘জঙ্গি আর অস্ত্র’ বানিয়ে ইসলামকে যেই কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ইসলামের অনুসারী ততই বাড়ছে...

অবিশ্বাসী বন্ধু ফিরে এস শাশ্বত পথে...পরকাল বারে বারে উঁকি মারে জীবনাকাশে...

নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীর মহাষড়যন্ত্রকারী...

মোল্লাদের জন্যও একই কথা কোনো ব্যতিক্রম নয়...

হত্য জঘন্যতম অপরাধ...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

মিখু বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: হত্যার ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির চাইতেও তাদের মতাদর্শকে বেশি হাইলাইট করছে একটা গোষ্ঠী...আসলে এদের সম্পর্কে কেবল খুন হওয়ার পরই আমরা জানছি কেন এ প্রশ্নটা থেকেই যায়...খুনিরা কি নিহতদের আদর্শ প্রমাণের দ্বার উন্মুক্ত করে দিচ্ছে? না প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা আসলেই ‘নিন্দনীয়’ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল...


-
-
-
আমি ইকবালও পড়েছি তারমতই আল্লাহর কাছে আমার ‘শিকওয়া’ আছে...

তাই বলে কেউ নিরেশ্বরবাদে বিশ্বাসী হবে না এমনটা নয়...কেউ যদি অমন হয় তাহলে সে যেন আমার ধর্মকে আঘাত না করে...

যার বর্তমানে এসব হীনকাজ করছে তাদের বলবো :

তোমার আমার বিতর্ক হতে পারে খোলা মাঠে, ফেসবুকে কিংবা ব্লগে (উত্তম যুক্তিতর্ক ও তথ্য প্রমাণ দিয়ে....অহেতুক গালিগালাজ নয়)... নিজের সীমাব্ধতা থাকলে প্রয়োজনে তুমি তোমার পক্ষ থেকে একজন দেবে আমি আমার পক্ষ থেকে একজন দেব...বিতর্ক শেষে আপন-আপন গৃহে প্রত্যাবর্তন করবো...কেন মিছে খুনোখুনি আর ষড়যন্ত্র?

------ভালো লাগলো।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: প্রতিবাদের সুস্থ পন্থাটিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে সালাম। ভাল থকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.