নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেহেতু বাল্যকাল থেকে যৌবনের শুরুটা গ্রামেই কেটেছে তাই গ্রামের বৈশাখী ইমেজ বেশ মনে আছে...আর বড় হয়েছি এমন এলাকায় যে এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই বেশি। মা কোনো কোনো সময় বাংলা দিন তারিখ এমনকি রোজা কিংবা ঈদ কবে হবে এগুলোর জন্য কাকীদের পঞ্জিকা দেখতে বলতেন।তারাও দেখে বলে দিতেন। দেখেছি তাদের কথা অনেক সময় মিলে যেত।
ছেলেবেলায় বৈশাখের পোশাকী ইমেজ খুব একটা চোখে পড়তো না...যা পরবর্তীতে বেড়েছে। বিশেষ করে ডিস অ্যান্টেনার আবির্ভাবের ফলে তা বেড়েছে।
ইলিশেরও আধিপত্য ছিল না...তবে পানতা ছিল আর ছিল ভর্তা (আলু কিংবা শুটকি)...সাথে পেঁয়াজ-মরিচ, আর এক প্রকার জিনিস ছিল তা হল তিঁতা শাক...যেটা শহুরেদের মাঝে কখনই দেখিনি!
আমরা আরো কিছু মজার জিনিস খেতাম। সেগুলো হলো; চালভাজা, ছোটো ছোটো আলু ভাজা, ছোলাসহ আরো কয়েক প্রকার ভাজা জিনিস যেগুলোর নাম মনে নেই...এমনকি সারাদিন এগুলো চিবিয়ে খেতেই দিন যেত...বাসায় মা যতটুকু বানাতো তার থেকে বেশি বাইরে থেকে আসতো...পাশের বাড়ির কাকী-পিসিরা দিত...
গ্রামে বিভিন্ন ধরনের মেলা হতে দেখেছি...মাসব্যাপি সার্কাসও চলতো...এলাকার ফুটবল টুর্নামেন্টগুলোতেও দর্শকের আগ্রহের কমতি ছিল না...
গ্রাম থেকে যাযাবর মেস জীবনে আজ প্রায় অর্ধযুগ...আর গ্রামের বৈশাখে যাওয়া হয় না...এখন যদিও দিবসভিত্তিক পোশাকের রমরমা ব্যবসা চলছে সব জায়গায়...মানুষের রুচিতে এসেছে পরিবর্তন...
তবে টুকরো অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি আগের সেই বৈশাখ নেই...এখন এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা...পকেটে টাকা না থাকলে আর পোশাকী বাহার না থাকলে উৎসবের আমেজও পানসে মনে হয়...
সবাইকে সূর্যোদয়ের পর নববর্ষের শুভেচ্ছা...
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ...
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
কামরুল হাসান বলেছেন: আমিও এমনই দেখেছি।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: গ্রামেইতো আসল সংস্কৃতির রূপ থাকে...
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
কালনী নদী বলেছেন: শোভেচ্ছা আপনাকেও, আর আপনার শৈশবের স্মৃতিটাও তুলে রাখছি প্রিয়তে!