নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের দুর্বলতার কত সুযোগ নেব আমরা?

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪



একটা মেয়েকে কতবেশি সমাজের ভদ্রবেশী শয়তানদের হয়রানির শিকার হতে হয় তা সেই মেয়েটির অবস্থানে না দাঁড়ালে কল্পনাই করা যায় না। অথচ তারা সেই মেয়েটার কাছেরই লোক, ভিনগ্রহের কোনো এলিয়েন না!

মেয়েটি যখন স্কুলজীবনে বড় হতে শুরু করে তখন কাছের সহপাঠী হিসেবে আমরাই তাকে কতটা যন্ত্রণা দেই। হাইস্কুলটা পার হতে হতে পরিবারকে জানাতে জানাতে হয়তো সে ক্লান্ত হয়।

তুলনামূলক এক শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে একটু অল্প শয়াতানের সহানুভূতিসুলভ ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে। হয়তোবা বিশ্রী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। সম্ভ্রম খোয়াতে হয় বারবার!

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কর্মজীবন একটু ‘একা’ হলেই শত ভদ্রলোক ছুঁই দেয়ার চেষ্টা করে বাজপাখির মত। সবচেয়ে কাছের যে বন্ধু/মানুষটি সেও সুযোগ খুঁজে সর্বনাশের। অথচ মেয়েটির মাথার উপরের ছায়া না, শরীরে উপগত হওয়ার সুযোগ খোঁজে সবাই। নিজের থেকে কম বয়সী, সমবয়সী (সহপাঠী কিংবা সহকর্মী), আবার লালাধারী মধ্যবয়সী কিংবা প্রান্তিক বুড়ো কেউ তাকে একটু স্বস্তিতে থাকতে দেয় না।

একটা চাকরি খুঁজতেই শত হয়রানি। আবার চাকরি পেলে সহকর্মী কিংবা সুযোগ সন্ধানী বস সবারই সুযোগ নেয়ার চেষ্টায় কখনো হয়তবা নিজেকেই খুইয়ে বসতে হয়। একটা মানুষ আর কত সইতে পারে।

দেখা যায়, একটি ছেলে তীব্র ভালোবাসার আবেগ নিয়েই হয়তো তার সামনে দাঁড়িয়েছে। মেয়েটির মুখে তখন মলিন হাসি!!! কারণ যে ভদ্র ছেলেটি তার সামনে দাঁড়িয়েছে নম্বরিং করলে হয়তবা তিন-চারজনের পেছনে দাঁড়িয়েই সে ভালোবাসা প্রার্থনা করে বসেছে!

যে ছেলেটা দিনে একটা ভালোবাসার মেসেজ তাকে পাঠায় সে যদি মেয়েটার মোবাইল কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনুসন্ধানের সুযোগ পায় তাহলে দেখবে অমন শত মেসেজ কত আগে থেকেই পাচ্ছে বিব্রত মেয়েটি। তাই তাকে তার একমাত্র বা আলাদা করে দেখার সুযোগই নেই!

এমন মুহূর্তে মেয়েটি ভাবে হয়তবা ফেসবুকের স্ট্যাটাসটা ‘ফাঁকা’ রাখাতেই এই বিপত্তি! ওটা পরিবর্তন করেও সুযোগ সন্ধানীদের দৃষ্টি থেকে রক্ষার উপায় থাকে না। বিবাহিত মেয়েরা ব্যক্তি জীবনে কতটুকু সুখী অনেক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ তা খুঁটিয়ে বের করে নিজের মতলব হাসিলের চেষ্টা করে।

তাই শত ভদ্রলোক হলেও কোনো মেয়ের ইভটিজারদের তালিকায় নিজের নামটি চলে এলে নিজেকেই ভণ্ড ছাড়া ধোয়া তুলসি পাতা ভাববার কোনো অবকাশ নেই।

মেয়েদেরও দোষ থাকতে পারে কিন্তু আমি আগে নিজের (পুরুষের) দোষটাই দেখবো…নিজেকে বাদ দিয়ে সমাজের নোংরা মানুষের তালিকা করবো কিভাবে? কারণ ফেসবুক মোবাইল কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো না কোনো মেয়ে আমার কাছ থেকেও যে বিড়ম্বনার শিকার হয়নি তার গ্যারান্টিই বা দেব কি করে?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০০

ইব্রাহীম রিয়াদ বলেছেন: আপনার লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে। সবাই যদি এমন ভাবতো। একটক মেয়ে যাকে খুশি শরীর দিবে, এটা তার ইচ্ছে।

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২২

অমিত অমি বলেছেন: ++

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ...

৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

বিপরীত বাক বলেছেন: এক হাতে তালি বাজে না।
কেন সেটা বোঝেন না!

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

গুরুর শিষ্য বলেছেন: তাতো আমি বুঝি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.