নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পুরো পৃথিবীকে জানিয়ে যে সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয় সে সম্পর্কের তিক্ততা দেখে মনটা কেমন যেন হয়ে যায়। পৃথিবীর কোন ‘অমর প্রেমকাহিনী’ বিয়ে পর্যন্ত না গড়িয়ে পূর্ণতা পেয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়েছে তা কি কারো জানা আছে!
বিয়ে বাদে যখন সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন সে সম্পর্ক যেন হয় মধুর…একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা না বলে থাকতে পারে না…দেখা না করে থাকতে পারে না…এমনকি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শয্যায় যেতেও কুন্ঠাবোধ করে না। মধুর আলিঙ্গন গলাগলি, জড়াজড়ি, ওষ্ঠ যুগলের স্পর্শ যেন পরস্পরকে আকুল করে তোলে।
সেই প্রেমিক-প্রেমিকারাই যখন লিখিতভাবে পরস্পরের কাছে চলে আসে তখনো তাদের মঝে তিক্ততা লক্ষ্য করা যায়। পরিণয়ের আনন্দঘন মুহূর্ত পরিণতির বাস্তবতায় বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া স্বাভাবিকভাবে যে সকল বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেগুলোতেও তিক্ততার ‘ভাব ও গাম্ভীর্য’ দুটোই সমানভাবে পরিলক্ষিত হয়।
সন্তানরাও এ জিনিসটা বুঝতে পারে। তাদের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও পড়ে। তখন আর সন্তানদের শান্ত করতে মায়েদের অন্য কিছু বলা লাগে না; তোর বাপ আসছে…এ কথাটি বললেই সন্তানদের চোখের সামনে বাপ নামক একটা প্রাণির ছবি ভেসে ওঠে! প্রাণিটা ভয়ঙ্কর বটে!
নাহ্, কেবল তিক্ত সম্পর্কই না ভালোবাসার সম্পর্কও দেখা যায়। অফিস বা কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে দুয়েকজন স্বামী কিংবা স্ত্রী একজন আরেকজনের জন্য ফুলও কেনেন…বিয়ের পর তাদের এ কাজ দেখেই মনে হয় কতটা প্রশান্ত চিত্তে ঘর করছে তারা।
তিক্ততার সম্পর্ক নেই কেবল তখনই বোঝা যাবে যখন স্ত্রী মন থেকে সার্টিফিকেট দেবে যে তার স্বামী ব্যক্তি হিসেবে ভালো। হাদিসে যেভাবে এসেছে- ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট ভালো।’ অনুরূপভাবে স্ত্রীর ভালোমন্দ সম্পর্কেও একই ধরনের কথা বলা আছে।
মোটকথা লোকদেখানো বা লোকশোনানো নয়- তারা আসলেই পরস্পরের নিকট ভালো। তারা নিজেরা ও তাদের সন্তান-সন্ততি ও স্বজনই এ বিষয়টা কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পারে।
আমরা জানি, শয়তানের ‘সর্বোত্তম’ কাজই হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে তিক্ত করে তোলা ও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো। বোধকরি সে তার ‘শয়তানি দায়িত্ব’ যথাযথই পালন করছে। মোটরসাইকেলের জন্য যখন সন্তান বাবা-মায়ের গায়ে আগুন দিচ্ছে, ঠুনকো অনৈতিক সম্পর্কের কারণে মা যখন সন্তানকে নির্দ্বিধায় হত্যা করছে ইত্যাদিসহ পারিবারিক সম্পর্ক যখন আজ চরম বিপর্যয়ের মুখে তখন বলতেই হয় পৃথিবী, রাষ্ট্র, সমাজ সব ধ্বংসের মুখে।
তাই আমাদের চারপাশের পারিবারিক তথা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কগুলো হয়ে উঠুক তিক্ততামুক্ত, মধুর ও ভালোবাসাপূর্ণ। আমাদের স্বজন পরিজনরাও থাকুক শান্তিতে আনন্দে…নারী ও পুরুষ তথা স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্কই পারে সভ্যতাকে পুনঃনির্মাণ করতে... একটা উত্তম জীবন ব্যবস্থাকে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য নির্ধারণ করতে পারলে এর মাধ্যমেই আসবে সোনালি দিন…
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ঠিকই বলেছেন...
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৫
পথহারা মানব বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় আজকের দিনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু ভালবাসাই দেখা যায়!!! পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ খুব কমই দেখা যায় যার ফলশ্রুতিতে যখন কোন অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন সম্পর্ক গুলো তিক্তায় ভরে যায়।