নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার বিশাল এক ঘাটতির বাজেট ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার !:#P !:#P

০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০০

তথ্যসূত্র
২০১৬সাল থেকে ১৭ সাল অর্থ বছরের জন্য প্রায় শত লাখ কোটি টাকার বৃহৎ ঘাটতির বাজেট ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার এই বাজেটের প্রায় ২৯ শতাংশই ঘাটতি বা ঋণনির্ভর। বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমান হচ্ছে প্রায় ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এই ঘাটতির ৩৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। তার মধ্যে আট হাজার ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে আগের নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ করতে। সে হিসাবে নিট বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। :||

আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৪৩ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০১৬ সাল থেকে১৭সাল পযন্ত অর্থবছরের এই প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেন। আর একই সঙ্গে চলতি ২০১৫ সাল থেকে ১৬সাল অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং অর্থবিল ২০১৬ সংসদে উপস্থাপন করেন । প্রস্তাবিত বাজেটে টেকসই উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, মধ্য আয়ের দেশে চূড়ান্ত পদার্পণের লক্ষ্যে সরকারের সাফল্য এবং ব্যাপক কর্মযজ্ঞের কথা বললেও উপেক্ষিত হয়েছে প্রান্তিক এবং মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী। বাজেটে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে অনেক বেশি। তবে ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নমনীয়তা দেখানো হয়েছে বাজেটে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। আর তার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা।আর তার ৭১ শতাংশেরও বেশি আসবে ভ্যাট এবং আয়কর খাত থেকে। রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রস্তাবিত বাজেটে কর আর ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হয়েছে। আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানোয় জনগণের ওপর করের বোঝা এবং সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য বাড়বে। সার্বিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় এবং কাক্সিক্ষত বৈদেশিক সহায়তা অর্জন বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বাজেট ২০১৬ সাল ও ১৭ সাল প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার বা ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এটা জিডিপির ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৪৫ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭৬ হাজার ৪০ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০১৫ ও ১৬সাল অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে এটা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তাছাড়া বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। সম্পদ আহরণ, ঘাটতি এবং অর্থায়ন এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এটা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৩৪ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৬৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা বেশি।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের বাইরে প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এটা জিডিপির ৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে পরবর্তীতে ঘাটতি আরো বেড়ে যাবে। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি ৫০৮ কোটি টাকা বেড়েছে। বাজেট ঘাটতি মূলত পূরণ করা হবে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে। তার মধ্যে বৈদেশিক ঋণ বাবদ ৩৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে এই খাতে ছিল ৩২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা আর বৈদেশিক অনুদান বাবদ ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা আর চলতি অর্থবছরে এই খাতে ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা এবং ব্যাংকিং খাত থেকে ৩৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা । চলতি অর্থবছরে এই খাতে ছিল ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ২২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে এই খাতে ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

ব্যাংক বহির্ভূত খাতের মধ্যে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে সে খাতে ছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে এই খাতে ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা । সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা অধিক ঋণ নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

রোষানল বলেছেন: আবুল মাল আবদুল মুহিত

আর কি কমু এটাই তো আজব চীজ্‌

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: ভাই চমৎকার মন্তব্য করেছেন আর কি কমু এটাই তো আজব চীজ্‌ সত্যিই ।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: মুল বাজেটের আকার বড় থাকে। সংশোধিত বাজেটেই আকার কমে যাবে। ঘাটতির শতকরা হারও কমে যাবে। তবে দুঃখের বিষয় হলো বাজেট বরাদ্দের পরেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের টাকা করচ ক্রা সম্ভব হয় না। প্রতিবছর তাই হচ্ছে। এবং প্রতি বছর ব্রাদ্ধ থাকবার পরেও এই ব্যয় না করতে পারা অর্থের পরিমান একটা পদ্মা সেতু তোইরীর মুল খরচের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। এই হচ্ছে অবস্থা।

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

মামুন ইসলাম বলেছেন: অবস্থা চলতে থাকুক আর আমরাও পাঠার বলি হই আর কি করার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.