নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের নতুন সাতটি বিস্ময়

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪৮


বিশ্বের নতুন সাতটি বিস্ময় এমন একটি প্রকল্প যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের নতুন বিস্ময়ের তালিকা তৈরি করে প্রাচীনকালের সপ্তাশ্চর্যের ধারণাটিকে পুনঃরুজ্জীবিত করা। সে লক্ষ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন New 7 Wonders Foundation বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ও ফোনের মাধ্যমে বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময়ের তালিকায় ভুক্তির জন্য মনোনয়ন ও ভোট আহবান করে এবং এর বিজয়ীদের তালিকা ৭ জুলাই, ২০০৭ তারিখে পর্তুগালে ঘোষণা করা হয়।সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক New 7 Wonders Foundation এর দাবী এই প্রকল্পে ইন্টারনেট এবং ফোনের মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ভোট পড়েছে। যেহেতু ভক্ত, সরকার এবং পর্যটন সংস্হাগুলো কোন বাধা ছাড়াই যতগুলো ইচ্ছা ভোট দিতে পেরেছে তাই এই ভোটাভুটিকে অনেকেই অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দিয়েছেন।

১। চিচেন ইৎজা । অবস্থান: মেক্সিকো
চিচেন ইত্জা প্রাক-কলম্বিয়ান সময়ের মায়া সভ্যতার একটি বড় শহর ছিল । এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি মেক্সিকোর ইউকাতান রাজ্যের তিনুম পৌরসভায় অবস্থিত ।চিচেন ইৎজা ৬০০খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মায়া সভ্যতার উত্তরাংশে অবস্থিত নিম্নভূমির একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল ।
২। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার (মূর্তি)
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুতে যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি যা বিশ্বের বৃহত্তম আর্ট ডেকো মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূর্তিটি তার স্তম্ভের ভিত্তি ৮ মিটার বা ২৬ ফুট ছাড়াও, ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট লম্বা এবং তার দুই পাশে প্রসারিত এক একটি হাতের দৈর্ঘ ২৮ মিটার বা ৯২ ফুট।এটি তিজুকা ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে শহরকে আড়াল করে রাখা ৭০০ মিঃ বা ২২৯৬ ফুট উচ্চতার কর্কোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ব্রাজিলীয় খ্রিস্টান ধর্মের একটি প্রতীক যা রিউ দি জানেইরু এবং ব্রাজিলের জন্য একটি প্রতিমায় পরিণত হয়েছে। এটি ভিতরে ইস্পাতশলাকা জল ব্যবহার করে দৃঢ়ীভূত কংক্রিট ও সোয়াপস্টোন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এবং একে একজন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি ১৯২২ এবং ১৯৩১ মধ্যে নির্মিত করেছিল। এটি বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি।
৩।কলোসিয়াম
কলোসিয়াম ইতালির রোম শহরে অবস্থিত একটি বৃহৎ উপবৃত্তাকার ছাদবিহীন মঞ্চ। ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মঞ্চ সাধারণত গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রতিযোগিতা এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে কোন প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হত। এর অবস্থান রোমান ফোরামের ঠিক পশ্চিমে যার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ৭০ থেকে ৭২ খ্রিস্টাব্দের মাঝে কোন এক সময়। সেসময় সম্রাট ভেসপাসিয়ানের রাজত্ব ছিল। রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় এই স্থাপনার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট তিতুসের রাজত্বকালে। পরে দোমিতিয়ানের শাসনামলে এটির আরও পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়। এর আদি নাম ছিল ফ্ল্যাভিয়ান নাট্যশালা। ষষ্ঠ শতকের পূর্বে ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এটির পুননির্মাণ ও পরিবর্তন সাধন করা হয়। পরবর্তী শতকগুলোতে কলোসিয়াম অবহেলা, ভূমিকম্প ও এর নির্মাতাদের দ্বারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর বহির্তোরণের এক তৃতীয়াংশের বেশি এখনও টিকে আছে।

৪। চীনের মহাপ্রাচীর
চীনের মহাপ্রাচীর হচ্ছে পাথর এবং মাটি দিয়ে তৈরি এক দীর্ঘ প্রাচীর সারি। এগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে খ্রিস্টীয় ১৬শ শতক পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য তৈরি ও রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়। এরকম অনেকগুলি প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল তবে ২২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াঙের অধীনে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি বর্তমান প্রাচীরের অনেক উত্তরে অবস্থিত এবং এর খুব সামান্যই অবশিষ্ট আছে। বর্তমান প্রাচীরটি মিং রাজবংশের শাসনামলে নির্মিত হয়।চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এই প্রাচীর প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার উচু এবং ৬৫৩২ কিলোমিটার লম্বা। এটি শুরু হয়েছে সাংহাই পাস এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে।এর মূল অংশের নির্মাণ শুরু হয়েছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালের দিকে। নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন চৈনিক বা চাইনিজরা কিং সাম্রাজ্যের সময়। চীনের প্রথম সম্রাট কিং সি হুয়াং এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিজের সম্রাজ্যকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ করে নির্মাণ করেছিলেন। এটি চীনের প্রকৃতিক বাঁধাগুলো ছাড়া অন্যান্য অঞ্চল পাহারা দেওয়ার কাজে এবং উত্তর চীনের উপজাতি সুইং নু বিরুদ্ধে এটি প্রথম স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।হান, সুই, নরদান এবং জিং সাম্রাজ্যের সময়ের ইতিহাসেও যে কারণে তারা এটি তৈরি করেছিলেন ঠিক একই কারণে চীনের প্রাচীরের পরিবর্ধন, পরিবর্তন, সম্প্রসারণ, পুনঃনির্মাণের উল্লেখ আছে।

৫। মাচু পাকচু
মাচু পিকচু বা মাচু পিচু কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের আগের সময়কার একটি ইনকা শহর, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ২৪০০ মিটার । এটি পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকার ওপরে একটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত। মাচু পিচুই সম্ভবতঃ ইনকা সভ্যতার সবচেয়ে পরিচিত নিদর্শণ, যাকে প্রায়শঃ ইনকাদের হারানো শহর বলা হয়। এটি ১৪৫০ সালের দিকে নির্মিত হয়, কিন্তু এর এক শ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন স্পেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। কয়েক শ বছর অজ্ঞাত থাকার পর ১৯১১ সালে হাইরাম বিঙাম নামে এক মার্কিন ঐতিহাসিক এটিকে আবার সমগ্র বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণী দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এটিকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে এটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এটি বর্তমান বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময়েরও একটি।
৬।পেত্রা
পেত্রা একটি প্রাচীন আরব শহর। বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রাম ওয়াদি মুসা-র ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। এটি তৈরি হয়েছে গুহার মধ্যে যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া, মাথার ওপরে পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই রয়েছে কঠিন পাথরের দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই প্রাচীন দালানগুলো যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। মন্দিরটি ফারাওদের ধনভান্ডার নামেও পরিচিত। আরো রয়েছে একটি অর্ধগোলাকৃতির একটি নাট্যশালা যেখানে প্রায় ৩০০০ দর্শক একসাথে বসতে পারে।
৭।তাজমহল
তাজমহল ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ নামে পরিচিত তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে। সৌধটির নকশা কে করেছিলেন এ প্রশ্নে অনেক বিতর্ক থাকলেও, এ পরিষ্কার যে শিল্প-নৈপুণ্যসম্পন্ন একদল নকশাকারক ও কারিগর সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন যারা উস্তাদ আহমেদ লাহুরীর সাথে ছিলেন, যিনি তাজমহলের মূল নকশাকারক হওয়ার প্রার্থীতায় এগিয়ে আছেন।তাজমহলকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধীটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তখন একে বলা হয়েছিল universally admired masterpiece of the world's heritage।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:২৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: এগুলো নিয়ে অনেক পোস্ট হয়েছে। আসলে এই পৃথিবীতে বিস্ময়ের শেষ নেই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: হু ঠিক কইছেন ।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৪৬

লেখা পাগলা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো পৃথিবীর নতু বিস্ময়ের ব্যাপারে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: জানার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলাগলো

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০০

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: কিছু কিছু বানান ভূল রয়েছে।
তা ছাড়া,এটি একটি উপকারী পোষ্ট। ধন্যবাদ

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: ঠিক আছে

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

নিউ সিস্টেম বলেছেন: জেনে ভালোলাগলো !

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো । ধন্যবাদ

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.