নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা ইতিহাসে কিছু রায়ট

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯


আরব রিভোল্ট ইন প্যালেস্টাইনঃ
১৯৩৬ সালের এপ্রিল থেকে আরববাসী ও অভিবাসী ইহুদিদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়, যার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ত ব্রিটিশ সরকার। অভিবাসী ইহুদিদের ভূমি দখলের প্রতিবাদ থেকে এই দাঙ্গাকে এক অর্থে দখলদারিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলা যায়। শেষ পর্যন্ত যদিও আরব হায়ার কমিটি ও ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগে ১৯৩৯ সালে দাঙ্গা বন্ধ করা হয়, কিন্তু ততদিনে মারা যায় ৫৬০০ মানুষ। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, বর্বর ইহুদিরা ফিলিস্তিনি পুরুষদের প্রায় ১০% কে এই দাঙ্গার সময় মেরে ফেলেছিল।
ডাইরেক্ট অ্যাকশনঃ
পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাঙ্গা, যার নেপথ্য কারণ ধর্মীয় বিদ্বেষ। ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট কলকাতা শহরে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে এই দাঙ্গা শুরু হয়। কে প্রথম শুরু করেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ভয়ঙ্কর এই দাঙ্গা শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সেনারা থামানো আগ পর্যন্ত অফিসিয়ালি মারা যাওয়ার কথা ৪ হাজার বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে ইতিহাসবিদদের ধারণা। শুধু মৃত্যুই শেষ নয়, এর ফলে গৃহহারা হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল অসংখ্য মুসলমানদের, প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিন্দুদের ছাড়তে হয়েছিল পাকিস্তান।
ফার্স্ট ইন্তিফাদাঃ
১৯৮৭ সালের ৮ ডিসেম্বর দখলদার ইসরাইলি সেনাদের ট্যাঙ্কের চাপায় পড়ে ৪ জন ফিলিস্তিনি মারা যায়। আর আহত হয় আরো ৭ জন। নির্লজ্জ ইসরাইলিরা দাবি করে এটা নিছক একটি দুর্ঘটনা। কিন্তু এই খুনের ফলে সৃষ্ট বিক্ষোভ অচিরেই দাঙ্গায় মোড় নেয় এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত চলা এই দাঙ্গায় মোট মারা যায় ২৩২৬ জন। লেখাবাহুল্য, নিহতদের বেশিরভাগই নিরীহ ফিলিস্তিনি।

রোমানিয়ান রেভুলিউশনঃ
নিকোলাইকো এসকুলেসের নেতৃত্বে গঠিত বামপন্থি সরকার এর নানা পদক্ষেপে রোমানিয়ার জনগণ এমনিতেই ক্ষিপ্ত ছিল। তার ওপর বিদ্যুৎ খাবার ও বস্ত্র সরবরাহে ব্যর্থতা এসব নিয়ে জনগণকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। প্রথম জনঅসন্তোষ প্রকাশ পায় ১৯৮৯-এর ১৬ ডিসেম্বর। সরকারবিরোধী প্রচারণায় সক্রিয় যাজক লাজলো টকসকে সরকার চাকরিচ্যুতি ও তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইলে জনগণ প্রতিহত করতে যায়। তখন সরকার পুলিশ লেলিয়ে দেয়। পুলিশ জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও পরের দিন থেকে জনগণ একত্রিত হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। শুরু হয় এক ভয়াবহ দাঙ্গার। ডিসেম্বরের ২২ তারিখ দাঙ্গা মোকাবিলাই বার্থ এসকুলেস হেলিকপ্টারে করে তার বাসগৃহ থেকে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার জন্য পাইলট হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। বিক্ষোভকারীরা এসকুলেসকে আটকায় এবং পরবর্তী সময়ে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু সপ্তাহব্যাপী চলা এই দাঙ্গায় প্রাণ হারায় মোট ১১০৪ জন এবং এর ফল হিসেবে রোমানিয়ায় সমাজতন্ত্রের অবসান ঘটে।
গুজরাট ভায়োলেন্সঃ
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের গুজরাট রাজ্যের গোধরায় হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহন করা এক ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। শিশু ও মহিলাসহ এতে করে মারা যায় ৫৭ জন। ঘটনার পর পরই এ জন্য মুসলমানদের দায়ী করে শুরু হয়ে যায় দাঙ্গা। যদিও বর্তমানে নিরপেক্ষ তদন্তে জানা গেছে, এ ঘটনার জন্য আসলে দায়ী ছিল ওই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুসলমান নিধন করতে সে এই ঘৃণ্য কাজ করায়। যাই হোক এতে সৃষ্ট দাঙ্গায় ৭৯০ জন মুসলমান ও ২৫৪ জন হিন্দু মারা যায়। নিখোঁজ রয়ে যায় আরো ২৩৩ জন। হাজার হাজার মুসলমানকে ছাড়তে হয় ঘরবাড়ি।

ব্লাডি সানডেঃ
কলকারখানাতে কর্মরত শ্রমিকদের নানা সমস্যা ও এর সমাধানের উপায় খোঁজার জন্য ফাদার গাপনের নেতৃত্বে লক্ষাধিক মানুষ রুশ সম্রাট দ্বিতীয় সিজার নিকোলাসকে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য উইন্টার প্যালেসের দিকে রওনা দেয়। শান্তিপূর্ণ এ মিছিল প্রাসাদের সামনে আসার আগেই প্রাসাদের নিরাপত্তার জন্য থামার নির্দেশ দেয় প্রহরীরা। কিন্তু মিছিল এগিয়ে যেতে চাইলে গুলি শুরু করে পুলিশ। এত সৃষ্ট দাঙ্গা ও ভিড়ের মধ্যে পালাতে গিয়ে পায়ের চাপে পড়ে প্রায় ১ হাজার জন মারা যায়। তবে এই দাঙ্গার জন্য সম্রাটকে ঠিক দায়ী করা যায় না। সেই সন্ধ্যাতেই সম্রাট তার ব্যক্তিগত ডায়রিতে এই ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন এবং এত হতাহতে তিনি মর্মাহত হয়েছিলেন, যা পরে প্রকাশ পায়।
মুম্বাই রায়টঃ
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, ইতিহাসের আলোচিত রায়টের মাঝে তিনটিই ঘটেছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে। উগ্র শিবসেনা কর্তৃক বাবরি মসজিদ ভাঙার পর এই জাতিগত দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। ১৯৯২ সালে ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই দাঙ্গা শেষ হয় ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে। প্রায় দেড় লক্ষাধিক লোক এই দাঙ্গায় জড়িয়ে পরে। আনুমানিক ৯শ লোক মারা যায় এবং আহত হয় হাজার হাজার।

ইজিপ্টিয়ান ব্রেড রায়টঃ
১৯৭৪ সালের দিকে মিসরের সাবেক রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাত দেশটিতে অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেন। তিনি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক হারে বেসরকারিকরণের দিকে ঝোঁকেন। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য খাত থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি বাতিল করার ঘোষণা দেন। এর ফলে গণঅসন্তোষ সৃষ্ট হয়। সরকার পুলিশ লেলিয়ে বিক্ষোভ দমন করতে চাইলে শুরু হয় দাঙ্গা যা ১৯৭৭ সালের ১৮-১৯ জানুয়ারি ক্রমান্বয়ে মিসরের সকল প্রধান শহরে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সরকার সংস্কার কার্যক্রম থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলে দাঙ্গা বন্ধ হয়, তবে ততদিনে মারা যায় ৮০০ জন।

সুয়েটো আপরাইজিংঃ
১৯৭৬ সালের ১৬ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার সুয়েটোতে শুরু হয় এই দাঙ্গা। তখনকার দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জাতিবিদ্বেষ ও জাতিগত পৃথকীকরণ নীতির জন্য কুখ্যাত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত ককেশিয়ানরা সকল ক্ষেত্রেই নাগরিক সুবিধা পেত কম। কালোরা শিক্ষা ক্ষেত্রেও চরম বৈষম্যের শিকার হতো। এসব কারণে সৃষ্ট অসন্তোষ থেকে সৃষ্ট হয় এই দাঙ্গার যার ফলে প্রায় ৬০০ জনের মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬

নাইম রাজ বলেছেন: রায়ট আগে এত কিছু জানা ছিল না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: =p~

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: রায়টের ইতিহাস জানা হল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: B:-/

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.