নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুঘল-ই-আজম ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক ভারতীয় চলচ্চিত্র

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫১


মুঘল-ই-আজম ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক ভারতীয় চলচ্চিত্র আর এর পরিচালনায় ছিলেন ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার কে আসিফ এবং প্রযোজনা করেছেন সফররাজ পাল্লোনঝি। দিলীপ কুমার, মধুবালা, এবং পৃথ্বীরাজ কাপুর অভিনীত এই চলচ্চিত্রে মুলত মুঘল শাহজাদা সেলিমের সাথে মহলের নর্তকী আনারকলির প্রেমকে উপজীব্য করা হয়েছে এবং এই অসম প্রেম নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুঘল-সম্রাট আকবরের সাথে পুত্র সেলিমের সংঘটিত যুদ্ধকে চলচ্চিত্রে বিধৃত করা হয়েছে।পরিচালক আসিফের মুঘল-ই-আজম নির্মাণের অনুপ্রেরণা পান ১৯৪৪ সালে পঠিত একটি নাটক থেকে যা সম্রাট আকবরের সময়ে অর্থাৎ ১৫৫৬-১৬০৫ সালে লিখিত হয়েছিল। আর্থিক অনিশ্চয়তার দরুন এর প্রোডাকশনে বিলম্ব ঘটে এমনকি ১৯৫০-এর সময়ে মুল চিত্র ধারনের পূর্বে প্রযোজক সংকটের জন্য এর শিল্পী নির্বাচনেও পরিবর্তন আসে। সে সময়ে ঐতিহাসিক এই চলচ্চিত্রের নির্মান ব্যয় ছিল অত্যন্ত বেশি যার একটি গানের চিত্রায়নে যে পরিমাণ বাজেট ছিল, সে একই পরিমাণ অর্থে একটা পূণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব হত।ভারতীয় শাস্ত্রীয় এবং ফোক সংগীতের প্রভাবে নির্মিত এর ১২টি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ভারতের স্বনামধন্য গায়িকা লতা মঙ্গেশকর এবং বাদে গোলাম আলী খান।মুঘল-এ-আজম সেসময়কার ভারতীয় চলচ্চিত্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিসরে মুক্তি পায় এবং যার টিকিট প্রাপ্তির জন্য সারাদিন লম্বা লাইনে দর্শক দাঁড়িয়ে ছিল। ১৯৬০ সালের ৫ই আগস্ট মুক্তির পর এই চলচ্চিত্র বক্স অফিসের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে বলিউডের সর্বকালের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান করে নেয় যা ১৫ বছর অক্ষুন্ন ছিল। অন্যান্য অসংখয পুরস্কারের পাশাপাশি মুঘল-এ-আজম একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করে। প্রথম কোন ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে কালার ডিজিটাইলেজেশন করে, ২০০৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে পুনঃবার মুক্তি দেওয়া হয় এবং আবারো ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য অর্জন করে।

সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ
মুঘল সম্রাজ্যের অধিপতি আকবরের কোন সন্তান ছিল না এক পীরের দরগায় প্রার্থনার ফলে জন্ম হয় শাহজাদা সেলিমের। ছেলের জন্মের সংবাদে খুশি হয়ে সম্রাট এক দাসীকে নিজের হাতের আংটি খুলে প্রতিজ্ঞা করেন যে দাসী যা চায় তিনি তাই দিবেন।
শাহজাদা সেলিম বেড়ে উঠতে থাকেন আত্বঅহংকার আর অগোছালো ভাবে ফলে পিতা বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়মনীতি আর শৃঙ্খলা শিখানোর উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন যুদ্ধক্ষেত্রে। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর সেলিম এক নির্ভীকযোদ্ধা হয়ে ফিরে আসে মহলে এবং প্রেমে পড়ে মহলের এক নর্তকী নাদিরার ওরোফে সুন্দরি আনারকলির।

সেলিম আর আনারকলির প্রেমের মাঝে বাধা হয়ে আসেন মহলের আরেক নর্তকী বাহার, যে কিনা সেলিমের মন জয় করে মুগল সম্রাজ্যের ভাবি মালিকা হবার স্বপ্ন দেখে। সেলিম আনারকলির প্রেমের কথা আকবরের কানে পৌঁছায় সে। আর এ ঘটনা জানার পর আকবর ওই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং আনারকলিকে বন্ধি করে।

শাহজাদা সেলিম আনারকলিকে মুক্ত করার জন্য পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং বন্ধি হন। সম্রাট আকবরের আদালত সেলিমের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে তবে সেলিমের মুক্তির শর্ত হিসেবে আনারকলিকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে। আনারকলি আকবরের কাছে নিজেকে সমর্পন করে এবং সেলিম মুক্তিলাভ ঘটে।

আনারকলির জীবনের শেষ ইচ্ছা সে সেলিমের প্রিয়তমা স্ত্রী হিসেবে কিছুক্ষণ তার সাথে কাটানোর ইচ্ছা পোষণ করলে আকবর তা মঞ্জুর করে কিন্তু সেলিমের সাথে বিশেষ কোন সম্পর্ক স্থাপের পূর্বেই সম্রাটের নির্দেশে সেলিমকে বিশেষ চেতনানাশক সুগন্ধি দিয়ে অচেতন করা হয় এবং আনারকলিকে জীবন্ত কবরস্থ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।শেষ দৃশ্যে সেলিমের জন্মের সংবাদ দেওয়ার সময় আনারকলির মাকে দেওয়া ওয়াদার কল্যাণে আনারকলির জীবন রক্ষা পায় তবে শর্ত হিসেবে তার মাকে আনারকলিকে নিয়ে মোগল সম্রাজ্য ছেড়ে বহুদূর চলে যেতে বলা হয় এবং আনারকলি মুক্ত হয় ঠিকই কিন্তু সেলিমের চোখে এবং মোগল সম্রাজ্যের ইতিহাসে তাকে মৃত হিসেবে প্রচার করা হয়।

এ চলচিত্রে যারা অভিনয় করেছেন
পৃথ্বীরাজ কাপুর – সম্রাট আকবর
দিলীপ কুমার – সেলিম
মধুবালা – দাদিরা (আনারকলি)
দুর্গা খোতে – যোদা বাঈ, সেলিমের মা
নিগার সুলতানা – বাহার, নর্তকী
অজিত খান – দুরজান সিং
মুরাদ – রাজা মান সিং
এম কুমার – সাঙতারাস (রাজকীয় ভাস্কর)
শিলা দালায়া – সুরাইয়া, আনারকলির বোন
ঝিল্লো বাঈ – আনারকলির মা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতীয় ছবি দেখি না; ফলে, নামই শুনে যাচ্ছি শুধু

১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: !:#P

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১২

জগতারন বলেছেন: আমিও ভারতীয় ছবি দেখি না। কারন হিন্দি ভাষার প্রতি আমার ওত দরদ নাই। সিনেমা যদি দেখতেই হয় তবে বাংলা সিনেমা দেখবো নইলে সিনেমাই দেখবোনা। বাংলা ভাষা পৃথিবীর স্রেষ্ঠ ভাষা।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: !:#P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.