নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজহাট রাজবাড়ির ইতিহাস

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১০


তাজহাট রাজবাড়ি বা তাজহাট জমিদারবাড়ি বাংলাদেশের রংপুর শহরের খুব কাছাকাছি তাজহাটে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ বা রাজবাড়ি যা এখন একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রংপুরের পর্যটকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান। রাজবাড়িটি রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

প্রাসাদটি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায় নির্মাণ করেন। মহারাজা গোপাল রায় ছিলেন হিন্দু এবং পেশায় ছিলেন একজন স্বর্ণকার। কথিত আছে তার মনমুগ্ধকর তাজ বা মুকুটের কারণেই এই এলাকা তাজহাট নামে অভিহিত হয়ে আসছে।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রাসাদটি ব্যবহৃত হয় রংপুর হাইকোর্ট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একটি শাখা বা বেঞ্চ হিসেবে।১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাসাদটিকে একটি সংরক্ষিত স্থাপনা তথা স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সরকার এই স্থাপস্ত্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবনে করতঃ ২০০৫ সালে রংপুর জাদুঘরকে সরিয়ে এই প্রসাদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসে।

মার্বেলের সিঁড়ি বেয়ে জাদুঘরে উঠলেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী কক্ষ যাতে রয়েছে দশম এবং একাদশ শতাব্দীর টেরাকোটা শিল্পকর্ম। এখানে রয়েছে সংস্কৃত এবং আরবি ভাষায় লেখা বেশ কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। তার মধ্যে রয়েছে মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের সময়ের কুরআন সহ মহাভারত এবং রামায়ণ। পেছনের ঘরে রয়েছে বেশ কয়েকটা কাল পাথরের হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর প্রতিকৃতি। কিন্তু জাদুঘরের ভিতরে ছবি তোলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রাসাদ চত্বরে রয়েছে বিশাল খালি মাঠ, গাছের সারি এবং প্রাসাদের দুই পাশে রয়েছে দুইটি পুকুর। জাদুঘরে নির্দিষ্ট প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করে প্রবেশ করা যায়। প্রাসাদ চত্ত্বরে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে চাইলে গাড়ীর জন্যও নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।

প্রাসাদটি প্রায় ২১০ ফুটের মত প্রশস্ত এবং চার তলার সমান উঁচু। এর গঠনশৈলী প্রাচীন মুঘল স্থাপত্য থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হয় যার প্রমাণ মেলে মধ্যভাগে বিশাল একটি গম্বুজ এবং দুই পাশে তার ছড়িয়ে যাওয়া দালানগুলোর একটা মসজিদের অবয়ব থেকে।

তবে রাজবাড়ী যেই দিক থেকে বাংলাদেশের অন্য সকল প্রাসাদের থেকে আলাদা তা হল এর সিঁড়িগুলো। সর্বমোট ৩১ টি সিড়ি আছে যার প্রতিটাই ইতালীয় ঘরানার মার্বেল পাথরে তৈরি। সিঁড়ি থেকে উঠে জাদুঘর পর্যন্ত মেঝের পুরোটাও একই পাথরে তৈরি। রাজবাড়ির পশ্চাৎভাগে গুপ্ত সিঁড়ি রয়েছে। এই গুপ্ত সিঁড়ি কোন একটি সুড়ংগের সাথে যুক্ত যা সরাসরি ঘাঘট নদীর সাথে যুক্ত এমন একটা জনশ্রুতি শোনা যায় তবে সিঁড়ি টা এখন নিরাপত্তা জনিত কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

প্রাসাদের সুন্দর ফোয়ারাটি কালের বিবর্তনে শ্বেতশুভ্র মার্বেল এবং তার সবুজাভ নকশা কিছুটা মলিন হলেও এখনো এর জৌলুষ বুঝা যায়। কথিত আছে রাণীর জন্যেই বিশেষ করে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।


তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২৩

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: ধন্যবাদ

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো শেয়ার মামুন ভাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আপনি অনেকদিন থেকে নতুন লেখা দিচ্ছেন না লক্ষ করছি । ঘটনা কি ? শরীর কি অসুস্থ ?

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মালিকের বংশধরেরা কোথায়?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই। আছে হয়ত কোথাও মরে বেঁচে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজবাড়ীটির সুন্দর সুন্দর ছবি ও ইতিহাস তুলে ধরার জন্য । এর সাথে অআরো কিছু ইতিহাস যুক্ত করে গেলাম ।
জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের মৃত্যু পুরীর উপর নির্মিত রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি সত্যিই ইতিহাসের এক অপূর্ব নিদর্শন। গোবিন্দ লাল রায় ছিলেন এই জমিদারের পঞ্চম পুরুষ। ১৮৭৯ সালে দত্তক হিসেবে তিনি তাজহাট জমিদারির উত্তধাধীকারী হন। তিনি ছিলেন খুব স্বাধীন চেতা এবং জনপ্রিয় জমিদার। ফলে ১৮৮৫ সালে তিনি রাজা উপাধী এবং ১৮৯২ সালে রাজা বাহাদুর উপাধী গ্রহণ করেন। ১৮৯৭ এর ভুমিকম্পে নিজ বাড়ির ধ্বংস স্তুপের নীচে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯০৮ সালে তার ছেলে মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায় জমিদারির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং পিতার ধবংস যজ্ঞের উপর নির্মান করেন স্বর্গতুল্য দর্শনীয় নির্মাণ শৈলী তাজহাট রাজবাড়ি।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ডাঃ এম এ আলী ভাই ।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:১৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: নাটকে দেখেছিলাম মনে হচ্ছে। তবে তা যে রংপুরে সেটা জানতাম না। ++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রিফাত ভাই । এখনত জানলেন তা জেনে নিশ্চয় ভালো লাগছে !

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

অর্ক বলেছেন: chotpbelay half pant pore kheladhulo korechi er samner mathe. apnar lekhati pore nostalgic hoye uthlo mon. dhonnobad.

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অর্ক ভাই ।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: জেনে রাখলাম ইতিহাস, রংপুর গেলে যাব।

ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ও সুুন্দর এবং সবসময় পাশে থাকার জন্য জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইল রিফাত ভাই ।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

মানবী বলেছেন: আমাদের দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মূল্যায়নের শুরুটা অনেক অনেক দেরীতে হয়েছে ফলে অধিকাংশ সমৃদ্ধ স্থানের জিনিসপত্র লুটপাট, বিক্রী হয়ে গেছে।

শৈশবে এই রাজবাড়ি দেখে্ছি, আজ জানলাম সেই রাজা স্বর্ণকার ছিলো! মনে আছে রংপুর কারমাইকেল কলেজের বেশ কাছেই এই রাজবাড়ি, রংপুর ক্যাডেট কলেজও কাছাকাছি। রংপুরের ধনাঢ্যর বাসায় এই রাজবাড়ির আসবাব পত্র দেখেছি। শ্বেত শুভ্র মার্বেল পাথরের একটি বিশাল গোল টেবিলের কথা এখনও মনে আছে! কোন এক সময় উচ্চমূল্যে সেসব সাধারন/ধনাঢ্যজনদের কাছে বিক্রী করেছিলো প্রাসাদের পক্ষ থেকেই কেউ।

মামুন ইসলাম, ভাইয়া আপনার পর পর দুটো পোস্ট শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত। এখন আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি পরের পোস্টের, মনে হচ্ছে সেটা আমার সম্পূর্ণ অদেখা কিছু হবে :-)

অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মানবী আপু ।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

নাইম রাজ বলেছেন: ভালো লাগল জেনে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাইম রাজ ভাই ।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো ভাই ।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দারুন শেয়ার।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

blogermassud বলেছেন: ভালো লাগল।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পুরোনো বাড়িগুলো এখন আর এতো ঝকঝকে দেখা যায়না এটা তো বেশ চমৎকার অবস্থায় রয়েছে, তাছারা অন্য বাড়িগুলোর রং সাধারণত হলদে থাকে এটার সফেদ রংটাও প্রাসাদের সাথে বেশ মানিয়ে গেছে.......আশা করছি কোন এক সময় দেখা হয়ে যাবে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৩৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । এগুলোতে পাকা রং এর কারিগরেরা রংগাইছিলেন,তাই হয়ত,
যাক সে কথা, তবে যত দ্রুত সম্ভব দেখে নিবেন । না হলে হয়ত ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ লেগে গেলে আর দেখা হয়ে উঠবে না। :-B

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: এটাকি তাজা না মরা তাজা না হলে মরার স্বাদ নিয়া লাভ নাই । :-B

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফরিদ আহমদ চৌধুরী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.