অপ্রাপ্তির অপেক্ষায় ......

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

অপ্রাপ্তির অপেক্ষায় ......
লেখকঃনিলয় আহসান নিশো(বৃষ্টিহীন বর্ষাকাল)
.
.
.
আমি নিরুপমা,
আমি একটা ছেলেকে ভালবাসি। ছেলেটির নাম হল নিলয়।আমি নিলয় কে যতটা ভালবাসি তার থেকে কয়েক গুন বেশি নিলয় আমাকে ভালবাসতো *
খুব বেশি দিনের সম্পর্ক ছিল না আমাদের। তবুও অনেকটাই ভালবেসে ফেলেছিলাম আমার নিলয় কে।
..
...
বৃষ্টিতে একসাথে ভেজা, কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে হাতে হাত রেখে হাটা, মায়াবী চাঁদনী রাতে নিলয়ের কাঁধে মাথা রেখে নিলয়ের গীটারের টুংটাং শুনা। নিলয় খুব ঘুম কাতুরে ছিল। বেঁচারা আমার জন্য সেই ভোরবেলা ঘুম থেকে ঊঠে আমার কোচিং এর সামনে দাড়িয়ে থাকতো। অনেকদিন কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে একসাথে হেটেছি দুজন মিলে।
..
...
আমাদের প্রথম দেখা টা একেবারে সিনেমার মত ছিল।সেদিন বিকেলে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি একটা নীল ড্রেস পড়ে ছিলাম আর নিলয় ব্লাক টি শার্ট পরে ছিল। দুইজনই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার অবস্থা হয়ে গিয়েছিলাম। ২জনই ভিজতে ভিজতে একটা ঔষধ এর দোকানের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম।আর ওখানেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল।তারপর কিছুদিন পর আবার একই যায়গায় একই সময়ে দেখা হয়ে যায় দুজনার।
..
...
তারপর থেকে ঐ সময়টাতে প্রায় নিলয় কে ঐ ঔষধের দোকাম টার সামনে দেখা যেত।তার একটা কারন ও ছিল, আমি ঐ দিক দিয়েই কোচিং করতাম আর ঐ দিকেই যাওয়া আসা ছিল আমার।
এইভাবে ৩মাস আমাকে ফলো করতো নিলয়।তার মাঝে একদিন আমাকে কিছু বলতে আসছিল।কিন্তু আমি তাকে সেদিন আমাকে ফলো করার জন্য অনেক বকা দিয়েছিলাম।
..
...
বকা দেয়ার পর আরা কখনো আমাকে ফলো করে নি।তবে দুরে দাড়িয়ে থাকতো।এভাবেই কাটলো আরো ৩মাস। সেদিন আমি নিলয়কে ডেকে নিয়ে নিজেই বললাম যে, কাল সকাল ৯টায় ঐ যায়গায় থাকতে হবে। আর ও তখন সকাল ৯টা শুন্র হা করে তাকিয়ে থেকে বললো, ১০টায় আসলে হবে না?
আমি বলেছিলাম আসলে ৯টায় আসতে হবে।
..
...
তারপর আমার বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই দিন টা আসলো।নিলয় সেই দিন আমার আগেই চলে এসেছিল। সেদিন আমরা ২জনই নীল রং এর ড্রেস পড়ে এসেছিলাম। আমাদের দেখা হবার পর প্রথমেই আমরা দুজন দুজনের ড্রেসের দিকে তাকিয়ে হাসতেছিলাম।আমরা দুজনই অবাক হয়ে গেছিলাম এতটা মিলে যাবার জন্য।
..
...
তারপর আমাদের অনেক কথা হল।কিন্তু নিলয় তখন আমাকে বার বার ভালবাসি বলতে গিয়েও পারছিল না।আটকে যাচ্ছিল বারবার।আমি তখন নিলয়কে আপনি করেই বলছিলাম।তখন ও বললো যে আমাকে তুমি করে বল।কিন্তু আমি রাজি হচ্ছিলাম না।তারপর আমি শর্ত দিলাম যে, ঠিক আছে তুমি করেই বলবো কিন্তু তার আগে #ভালবাসি বলতে হবে। নিলয় তখন বললো, এইটা কোন ব্যাপার নাকি?? আমি হাসতেছিলাম ওর কথা শুনে কারন আমি জানতাম ও বলতে পারবে না।আমি প্রায় ৩০মিনিট দাড়িয়ে ছিলাম নিলয়ের মুখ থেকে ভালবাসি কথাটা শুনার জন্য।তারপর সে কি বললো জানেন?
হাতের ২টা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললো তুমি আমার #পিচ্ছি বউ হবা?
আমি ওর কথা শুনে হা করে তাকিয়ে ছিলাম.....
..
...
আমাকে ওইভাবেই তাকিয়ে থেকে ও বললো "এই পিচ্চি দেখো, এই এত টুকুন তুমি"।
আর আমাদের খুনশুটি গূলো ঠিক ওই সময় টা থেকেই শুরু হয়ে যায়। এদিকে নিলয় আমাকে ভালবাসি বলে নাই তাই আমিও আপনি করেই কথা বলে যাচ্ছিলাম। তারপর নিলয় আমাকে ১ঘন্টা বসিয়ে শুধু তুমি করে বলা শিখিয়েছিল।
..
...
সেদিন অনেকটা সময় একসাথে ছিলাম।অনেক কথা হয়, নিজেদের ভালোলাগা, খারাপ লাগার কথা।পরের দিন আবার দেখা করলাম। তারপর তৃতীয় দিন যেদিন দেখা করলাম সেদিন সে আমার হাত ধরে বললো, এই তুমি এত পিচ্চি কেন? আমি বললাম যাও তাহলে বড় দেখে কোন আন্টির কাছে। ও বললো না থাক আমার পিচ্চি বউ ই ভাল লাগে।তারপর সেদিন ও আমার হাত ধরে প্রথম ভালবাসি বলেছিল। আমি আর কিছু বলি নি।তারপর যখন চলে যাচ্ছিলাম দুজনই তখন আমি নিলয় কে পিছন থেকে ডেকে বলেছিলাম
"নিলয়, আমিও তোমাকে ভালবাসি "
..
...
এভাবেই চলছিল সব কিছুই।রোজ দেখা করা, রোজ আমাদের খুনশুটি,রোজ আমাকে রাগানো ওর একটা রুটিন হয়ে গিয়েছিল।আমাকে না রাগালে ওর আর ভাত হজম হতো না।এত্ত বেশি দুষ্ট ছিল নিলয়। আর আমি একটু শান্ত টাইপের ছিলাম।মাঝে মাঝে নিলয় কে যখন খুব সকালে এসে আমার সাথে দেখা করতে বলতাম তখন ছেলেটা সারারাত ঘুমাতো না, সারা রাত জেগে থাকতো।আর এসে বলতো যদি ঘুমাই যাই তাহলেলে তো আর তোমার সাথে দেখা করতে পারবো না।এখন দেখা হয়ে গেলো, দাও এবার তোমার কাঁধ টা। তোমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাই।ছেলেটা সত্যি সত্যি আমার কাঁধে মাথা রেখে বলতো এই পিচ্চি মাথায় হাত বুলাই দাও।আমি ঘুমাবো এখন। আর আমি ওকে চিমটি মেরে জাগাই দিতাম।
..
...
আমার চুল গূলো অনেক বড় ছিল।নিলয় আমার চুল অনেক পছন্দ করতো।মাঝে মাঝে ও আমার চুল ধরে টানতো। নিলয় কাঁচের চুড়ি ও অনেক পছন্দ করতো।আমাকে একদিন বলেছিল, বিয়ের পর সবসময় শাড়ি পড়তে হবে, হাতে চুড়ি পড়বা।
তুমি যখনি কাজ করবে চুড়ির টুন টুন শব্দ হবে। আমার আমি চুপচাপ তোমার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ শুনবো।
..
...

এভাবে চলছিপ, একদিন হঠাৎ করে আমার বাসায় সব জেনে যায়।তখন আমাকে অনেক চাপের উপর রাখতো। আমি খুব কষ্ট করে ন

০ টি +০/-০