নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নীল.... বেদনার অপর নাম....

নিলয় আহসান নিশো

নিরুপমা,তোমার রুপ আর তোমার কথা.... দুটোই এখন রুপকথা....

নিলয় আহসান নিশো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার ঘ্রানে.....

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

ভালবাসার ঘ্রানে.....
লেখকঃনিলয় আহসান নিশো(বৃষ্টিহীন ববর্ষাকাল)
.
বিয়ে বাড়ি.....
আজ নিলয় সাহেব এর একমাত্র ভাইয়ের একমাত্র মেয়ের বিয়ে হচ্ছে।নিলয় সাহেব তার ভাইয়ের মেয়ের বিয়েটা নিজে, নিজের খরচে দিচ্ছেন।তিনি নিজেই সব তদারকি করছেন।
.
বিয়ে বাড়ি আগত অতিথিদের পদচারনায় মুখরিত। নিলয় সাহেব বিয়েতে জাঁকজমক এর কোন কমতি রাখেন নাই।সব ধরনের ব্যবস্থা তিনি নিজেই করেছেন। কারন একটাই মাত্র তার ভাতিজি। তাই তার বিয়েতে আনন্দের বন্যা বইয়ে দিতে চান তিনি।
.
নিলয় সাহেব বাড়ির উপরে উঠতে গিয়ে কিছু মেয়েকে দেখে থমকে দাড়ালন।আস্তে আস্তে মেয়ে গুলোর কাছে গিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে নিঃস্বাস নিচ্ছিলেন।মেয়ে গুলো তার ভাতিজী এর বান্ধবী হতে পারে।মেয়ে গুলো তাদের বান্ধবীর চাচ্চু এবং প্রায় চল্লিশোর্ধ একজন মানুষের এমন আচরনে অনেক টা অবাক হয়ে যায়। কারন নিলয় সাহেব এর বউ বাচ্চা কেউ নাই।এমন মানুষের আচরণ খারাপ হতেও পারে।
.
নিলয় সাহেব মেয়ে গুলোর অনেক কাছে গিয়ে এমন আচরণ করায় মেয়েগুলো ভয় পেয়ে যায়।হঠাত নিলয় সাহেব একটা মেয়ের খুব কাছে চলে আসে।বাকিদের দিকে তার কোন নজর নেই। হুট করে নিলয় সাহেব ওই মেয়েটিকে ডেকে নেয়। মেয়েটা ভয় ভয় করলেও মানুষ টাকে ওই ভয় টা পাচ্ছিল না যেই ভয় টাকে মেয়েরা ভয় পায়।
.
মেয়েটিকে নিলয় সাহেব ড্র‍য়িং রুমে ডেকে নিয়ে বসল।মেয়েটি চুপচাপ গিয়ে তার সাথে বসল।
:তোমার নাম কি নীলিমা?
:জ্বী, আমার ডাক নাম নীলিমা।
:তোমার আম্মুর নাম নিরুপমা আহসান ঐশী?
:জ্বী, কিন্তু আপনি জানলেন কি করে?
:এমনি মনে হল, আচ্ছা তোমার আম্মু কি এখনো ৪টা বালিশ নিয়ে ঘুমায়?
:হম ( আশ্চর্য হয়ে)।
: তোমার আম্মু রাগ করলে অনেক জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয় এখনো?
:আপনি এসব জানেন কি করে?
:আমারই জানা কথা শুধু( দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়ে), তোমার আম্মুর নাম্বার আছে?
:জ্বী আছে।
:একটু কল দাও তো তোমার আম্মু কে.....কল দিয়ে আমাকে দাও।
.
অতঃপর মেয়েটি তার আম্মুর নাম্বারে কল দিয়ে ফোন টা নিলয় সাহেব কে দিল।
নিলয় সাহেব ফোন টা কানে নিয়ে শুধু মাত্র
খুব জোরে ২টা দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ফোন টা মেয়েটিকে দিয়ে দিল।
ফোন টা মেয়েটি কানে নিয়ে হ্যালো বলতেই
তার আম্মু বলে উঠলো
:কোথায় পেলে তুমি ওই লোকটাকে?
:আম্মু!!!!!!! ওই দ্বীর্ঘশ্বাস টা যে একটা লোকের ছিল সেটা তুমি জানলে কি করে?
:তোমাকে এত কিছু জানতে হবে না।তুমি কোথায় এখন?
:আমার বান্ধবীর বিয়ে তে..... মৌনতা দের বাড়িতে।
: তুমি ওখানেই থাকো ওই লোকটার কাছে।আমি আসতেছি। আমি না আসা পর্যন্ত ওই লোকটিকে ছাড়বা না।
★★
★★★
আচ্ছা নিলীমা, একটা গল্প বলবো, শুনবা? নিলয় সাহেব বললেন।
বলেন শুনি।( নিলীমা)
..
একটা ছেলে আর একটা মেয়ের গল্প।ছেলেটা তখন MBA করছে তখন তার ভালবাসার মানুষটি অনার্স শেষ বর্ষে।মেয়েটির বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ দিতে থাকে।মেয়েটির এত সাহস ছিল না যে সে তার ভালবাসার কথা তার পরিবার কে বলবে।তার আব্বু ছিল না।অভিভাবক বলতে চাচা ফুপি রা।আম্মু ছিল শো পিচ এর মত। তার আম্মুর মতামত এর মুল্য ছিল না।
.
বিয়ে ঠিক হবার এক সপ্তাহ আগে মেয়েটি ছেলেটির কাছে চলে আসে।এসে বলে আমাকে বিয়ে করো আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।ছেলেটি যদিও চাকরি করতো না তখন তবুও মেয়েটি তার ভরসায় খালি হাতে, নিজের লাগেজ ছাড়াই তার কাছে চলে এসেছে। তাই মেয়েটির বিশ্বাস নষ্ট করতে চায়নি।মেয়েটিকে বিয়ে করে নেয়।কিছুদিন পরে তার MBA শেষ করে একটি জব করতে থাকে।
.
এভাবেই চলছিল।বিয়ের দেড় বছর পর তাদের রাজকন্যার মত ফুটফুটে একটি মেয়ে হয়। ছেলেটির কাজে খুশি হয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা তাকে প্রমোশন দেন।ব্যাংকের ব্রাঞ্চ প্রধান হয়ে যায় ছেলেটি। জীবন, সংসার যেন স্বপ্নের মত কাটছিল। তিন জনের সংসারে যেন আল্লাহ নিজ হাতে খুশি তে ভরিয়ে দিচ্ছিলেন।
.
কিন্তু এটা তো পৃথিবী আর পৃথিবীতে যদি বেহেস্তের সুখ মানুষ পেয়ে যায় তাহলে তো আর মানুষ বেহেস্ত চাইবে না। তাই হয়তো আল্লাহ এত সুখ দিতে চায় নি। ছেলেটির কাজের চাপ বেশি হয়ে যাচ্ছিল দিন দিন।কিন্তু মেয়েটি সেটা বুঝতে চাইতো না।সে বলতো আমি তোমাকে পাওয়ার জন্য তোমার কাছে এসেছি।আর সেই তোমাকেই তো পাচ্ছি না।
এভাবেই টুকটাক মনোমালিন্য চলছিল।
মেয়েটির কোন দোষ ছিল না।সে তার স্বামীর কাছে একটু বেশি সময় চাইতেই পারে।আবার ছেলেটির ও করার কিছুই ছিল না।ব্রাঞ্চ প্রধান হিসেবে তার উপর কাজের চাপ ছিল বেশি।
.
তারিখ টা ছিল ১৫ই জুন....
সেদিন ছিল তাদের বিবাহবার্ষিকী। মেয়েটি ছেলেটিকে তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিল।ছেলেটিও সেটাই চাচ্ছিল।সন্ধ্যার পরপরই মেয়েটা বেশ সেজেগুজে বসে ছিল ছেলেটির জন্য।ছেলেটি রাত ৯টা বাজার পরেও বাসায় ফিরছে না তখন সে ছেলেটিকে ফোন করে।ছেলেটির মোবাইল বন্ধ ছিল।
তখন মেয়েটি ছেলেটির কলিগ হাবিব কে ফোন দেয়। হাবিব বলে, স্যার তো সন্ধ্যায় বের হয়ে গেছেন আমাদের এক কলিগ তৃষ্ণা কে নিয়ে।
.
আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মেয়েটির মাথায়।সেদিন রাতে ছেলেটি বাসায় ফেরে না।পরের দিন সকাল ১০টায় বাসায় এসে দেখে থমথমে ভাব বিরাজ করছে পুরো বাসায়।বেডরুম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.