নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নীল.... বেদনার অপর নাম....

নিলয় আহসান নিশো

নিরুপমা,তোমার রুপ আর তোমার কথা.... দুটোই এখন রুপকথা....

নিলয় আহসান নিশো › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুর্নতায় নিরুপমা....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩



পুর্নতায় নিরুপমা...
লেখক: নিলয় আহসান নিশো
..
(1)
..
বাইরে একটা কাজ শেষ করে এসে মাত্র অফিসে বসতেই আমার ইয়ে মানে বউয়ের ফোন।
রিসিভ করে হ্যালো বলতেই শুরু হয়ে গেল প্রশ্নবাণ।
তুমি এখন কই নিলয়?
তুমি শাহবাগ এ?
আমি চুপ করে আছি...
এবার প্রশ্ন না করে সরাসরি বললো আমি সিওর তুমি এখন শাহবাগে আছো..
তুমি অফিস টাইমে শাহবাগ এ কি করো নিলয়?
আমি বললাম আরে বাবুনি আমি এখন অফিসে।
না তুমি অফিসে না আমি শাহবাগে, আর আমি তোমার স্মেল পাচ্ছি শাহবাগ এ।
তুমি শাহবাগ এ আছো নিলয়।
এটা কিন্তু বাড়াবাড়ি করে বলছো নিরুপমা,
আরে পাগলী এত মানুষের ভীরে তুমি আমার স্মেল কেমনে বুঝতে পারবে, আমি অফিসে।
আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না।তুমি ইমু অন করো আমি ভিডিও কলে তোমাকে এখন অফিসে দেখবো।
..
...
আমার অতি আহ্লাদী একটা মাত্র বউ।
বাধ্য হয়ে ইমু তে কল দিয়ে প্রমান করলাম আমি অফিসেই বসে আছি।তখনো সে মানতে নারাজ। কিন্তু
অফিসে আছি তাই কথা না বাড়িয়ে ফোন রাখলো। আমিও নিশ্চিন্ত হয়ে অফিসের কাজে মন দিলাম।
..
...
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম...
বাসায় একটা থম থমে ভাব বিরাজ করছে।
আমি বেডরুমের বেলকুনিতে গিয়ে দেখি আমার নিরুপমা আনমনে বসে আছে আমার গতদিনের পড়া
আধোয়া একটা শার্ট গায়ের উপর জরিয়ে।
আমি গিয়ে পাশে বসতেই বললো,
নিলয় আমি ভুল হলাম কি করে?
আমি তোমার স্মেল পেয়েছিলাম শাহবাগ এ।
তাহলে তুমি অফিসে কি করে থাকো?
..
...
আমি আলতো করে দুহাত দিয়ে নিরুপমার গাল দুটো ধরে মাথা টা আমার বুকের মধ্যে চেপে ধরি আর
প্যান্টের পকেট থেকে নিরুপমার পছন্দের বেলীফুলের মালা টা তার খোঁপায় বেঁধে দেই।
এবার নিরুপমা রেগে আগুন.....
তুমি শাহবাগ গিয়েছিলে নিলয়, তুমি আমাকে মিথ্যা বলেছ।
তুমি তখন শাহবাগ এ ছিলা আমি তোমার স্মেল পেয়েছি। তুমি কি মনে করো আমি তোমার বডি স্মেল
চিনিনা?
বলেই আমার বুকে কিল ঘুসি মারতে মারতে কাদতে কাদতে আমার বুকে মুখ গুঁজে দিল।
..
...
বাবুনি,
আসলে আমি তখন শাহবাগ এ ছিলাম না। তখন আমি অফিসেই ছিলাম। কিন্তু তুমি ফোন দেবার আগে আমি
শাহবাগ এ অফিসের একটা কাজে গিয়েছিলাম। আমি শাহবাগ যাবো আমার লক্ষি বউয়ের জন্য
বেলীফুলের মালা আনবো না সেটা কি হয় বলো?
..
...
কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝি না...
আমি শাহবাগ এ ১ঘন্টা আগে ছিলাম সেখানে তুমি আমার স্মেল পেলে কি করে? সেটাও এত জনবহুল
একটা জায়গায়?
কিভাবে বুঝতে পারলে আমি শাহবাগ এ গিয়েছিলাম অথবা শাহবাগ এ আছি?
সেটা তো তোমাকে বলা যাবে না আমার লক্ষি জামাই টা। বলেই একটা লক্ষি হাসি দিয়ে আমাকে
অনেক শক্ত করে বুকে জরাই ধরলো।
আমিও নিরুপমার কপালে একটা আদর দিলাম।
..
...
নিরুপমা বলে উঠলো,
আমি কিভাবে বুঝি তোমার বডি স্মেল কিভাবে পাই সেটা বলবো যদি তুমি আজকে সারা রাত ছাদে
তোমার কোলে বসিয়ে গান শুনাও...
আমি অবাক হয়ে বললাম সারা রাত কেন?
নিরুপমা কপট রাগ দেখিয়ে বললো আজকে পুর্ন চন্দ্রিমা....
রাজি থাকলে বলো, নাহলে গেলাম.....
আমি বাধ্য হয়ে বললাম রাজি... শর্ত একটা তুমিও গান শুনাবে...
নিরুপমা বললো দেখা যাক....
..
...
তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো আমি তোমার নাস্তা আর কফি নিয়ে আসছি।
আজকে এখানেই নাস্তা করবো...
বলেই নিরুপমা নাস্তা আনতে গেল আর আমিও ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি বেলকুনিতে নাস্তা রেডি।
আমার সামনে নাস্তা দিয়ে নিরুপমা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, আমিও নাস্তায় হাত লাগাচ্ছি না কারন
টা হল,
নিরুপমাকে কোলে বসিয়েই আমরা প্রতি সন্ধ্যার নাস্তা টা করি।তাই বেঁচারি চুপচাপ আমার কোলে
এসে বসে আমার মুখে নাস্তা তুলে দিতে দিতে বলতে লাগলো...
..
...
বললো শুনো তাহলে আমি কিভাবে তোমার বডি স্মেল পাই...
আমি বললাম বলো....
..
...
তোমার মনে আছে নিলয়?
আমাদের বিয়ের আগে আমি তোমাকে হুট হাট শার্ট, টি শার্ট গিফট করতাম আর বলতাম এটা এখনি পড়ো।
তুমি বাধ্য হয়ে গায়ের টি শার্ট টা খুলে নতুন টা পড়তা আর আমি তোমার গায়ের টি শার্ট টা নিয়ে
আসতাম আমার সাথে করে।
সেটা কেন নিয়ে আসতাম জানো?
প্রশ্ন করলাম আমি... কেন?
আরে পাগল ওই শার্ট এ তোমার ঘাম লেগে থাকতো, তোমার ঘামের ঘ্রাণ লেগে থাকতো, তোমার বডি
স্মেল থাকতো আর তোমার ঘামের ঘ্রাণ, তোমার বডি স্মেল আমাকে পাগলের মত টানতো, আমার নেশা
হয়ে গিয়েছিল তোমার বডি স্মেল এর।তাই ওগুলো নিয়ে এসে সব সময় নাকে নির শুকতাম। আর রাতে
ওগুলো গায়ে দিয়েই ঘুমিয়ে যেতাম।মনে হত তুমি আমাকে জরিয়ে আছো....
আর তাই এই স্মেল টা আমি খুব ভাল করেই চিনি আর বুঝতে পারি আমার লক্ষি জামাই টা...
বলেই আমার কপালে একটা চুমু একে দেয়...
আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি...
এই মেয়ের পাগলামি দেখে,তাই কিছু না বলে শুধু নিরুপমাকে বুকে চেপে ধরে আলহামদুলিল্লাহ বলে,
আল্লাহ এর শুকরিয়া করলাম এত সুন্দর মনের একজন জীবন সঙীনি আমাকে দান করার জন্য....
..
নিরুপমার এমন খুনশুটি আর ভালবাসায় সংসার জীবনের ৪টা বছর কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারি নি
দুজনেই।
..
(2)
..
নিরুপমার সাথে আমার বিয়ে টা পুরোপুরি লাভ মেরেজ ও না আবার পুরোপুরি এরেঞ্জ মেরেজ ও না...
দুইটার মাঝামাঝি...
.
খানিকটা অভিমান, কিছুটা খুনশুটি, অর্ধেক টা এরেঞ্জ আর পুরোটাই ভালবাসার সংসার আমাদের....
আমাদের এই ভালবাসার সংসার টা কিভাবে শুরু সেটাই বলি....
..
...
ভার্সিটি তে আমি ফাইনাল ইয়ারে।
ক্যাম্পাসে সবার পরিচিত মুখ।এই ভার্সিটি লাইফে অনেক মেয়ের প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি কিন্তু
আমি আসলে কোন ধরনের সম্পর্কে জড়াতে চাইনি তাই যখনি প্রপোজ পেতাম তাদের কে ঝুলিয়ে না
রেখে তখনি মেয়েটিকে সুন্দর করে বুঝিয়ে না করে দিতাম।
..
...
এমনি করেই শেষ বছর টাও হয়তো কেটেই যেত আমার যদি না নিরুপমা নামক ঝড় টা সেদিন আমার জীবনে
না আসতো....
ঝড় বললাম নিরুপমাকে অবাক লাগছে তাই না?
আরে নিরুপমা ও সেটাই করেছিল আমাকে অবাক..
..
...
ক্যাম্পাসে একা আমার ডিপার্টমেন্ট এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, হুট করে কোথা থেকে যেন একটা
মেয়ে আসলো এসে হুট করে জিজ্ঞেস করলো,
এই আপনি নীল ভাইয়া না?
আমি অবাক কারন আমাকে নীল বলে ডাকার অধিকার শুধু আমার একান্ত আপনজন দেরই আছে...
.
আমাকে বলার সুযোগ না দিয়েই বলতে শুরু করলো...
শুনুন আমি আপনার জুনিয়র কিন্তু তবুও আমি আপনাকে তুমি করে ডাকবো, আর হ্যা নিলয় নাম টা অনেক বড়
লাগে নীল টা আমার ভাল লাগছে।
তাই আমি নীল বলেই ডাকবো আর তোমাকে ভাইয়া বলে ডাকতে পারবো না...
আর শুনো, আমি তোমার জুনিয়র এজন্য ভুলেও আমাকে তুই তুকারি করবা না...
আমার এসব পছন্দ না....
আচ্ছা বুঝলাম, কিন্তু আপনি কে আসলে?
সেটা অন্য দিন বলবো এখন আমার ক্লাস আছে আমি গেলাম...বলেই গায়েব হয়ে গেল মেয়েটি।
..
...
পরের দিন ক্যাম্পাসে বসে আছি,
হুট করে মেয়েটি কোথা থেকে জানি উড়ে এসে পাশে বসলো,
তারপর বলা শুরু করলো,
কি নীল বাবু কি খবর?আমি নিজের দিকে তাকালাম কোন এঙেল থেকেই নিজেকে বাবু মনে হল না।
তার পর আবার বলা শুরু করলো,
শুনো নীল বাবু, কাল থেকে আমি তোমাকে টিউশন দিবো কিভাবে মেয়েদের সাথে কথা বলতে হয়,
চলতে হয়।আমি শুনেছি তুমি মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারো না, মেয়েদের সাথে চল না, মেয়েদের
কে ভয় পাও....
আজব তো কে বলছে এসব আপনাকে...
আমার কথা শেষ করার আগেই মেয়েটি উঠে যেতে যেতে বললো বাকি কথা কাল হবে এখানে থেকো
এই সময়... আমার ক্লাস আছে আমি গেলাম...
..
...
আরেক দিন একই ভাবে আমি ক্যাম্পাসে আছি।
মেয়েটি আসলো, এবার আমি মেয়েটিকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করলাম,
এই মেয়ে প্রবলেম কি তোমার?
নাম কি তোমার?
কোন ডিপার্টমেন্ট এ?
কোন ইয়ার?
মেয়েটি হাসতে হাসতে পাগল প্রায়...
আমি রেগে বললাম এখানে হাসার কি হল?
মেয়েটি হাসতে হাসতেই উত্তর দিল,
প্রশ্ন গুলো মুখস্ত করতেছিলা নাকি? এক বারে উগড়ে দিলা মনে হচ্ছে।
আমি এবার রেগে ধমক দিয়ে বললাম পিচ্চি মেয়ে উত্তর দাও...
মেয়েটি আরো হাসতে লাগলো।হাসতে হাসতে বললো, ক্যাম্পাসের মিস্টার কুল দেখি রাগতেও
পারে।
আচ্ছা বলছি নীল বাবু...
আমি নিরুপমা,
ডিপার্টমেন্ট ফিজিক্স
আর তোমার থেকে মাত্র ২বছরের জুনিয়র যেটাকে জুনিয়র না বললেও চলে।
আজকে আসি কাল কে ১নাম্বার গেট এ থেকো ১২টায় আমি তোমার টিউশন নিবো...
বলেই চলে গেল...
..
...
পরের দিন ১২টায় আমার একটা ক্লাস ছিল ক্লাস শেষ করে বের হতেই দেখি মেয়েটা আমার সামনে
দাঁড়িয়ে। তারপর আমাকে বললো গেট এ থাকি নি কেন?
আমি বললাম আমি পুচকে মেয়েদের কথা শুনি না আর আমার ক্লাস ছিল।
মেয়েটা আমার হাত ধরে টানতে টানতে ক্যাম্পাসের মধ্যে একটা রিক্সায় উঠালো।
তারপর রিক্সা অয়ালা কে যেতে বললো।
সেদিন সারা দিন হুদাই ঘুরালো তার সাথে।
..
...
এভাবে এক এক দিন এক কান্ড কারখানা করতে লাগলো,
হঠাত একদিন খেয়াল করলাম এভাবে অনেক দিন হয়ে গেল।আমি কেন জানি মেয়ে টাকে না করতে
পারি না। ভাল লাগতে শুরু করলো মেয়ে টাকে। তার যখন যেখানে ইচ্ছা আমাকে নিয়ে ঘুরতে যায়।
আসলে মেয়েটা আমার নিত্যদিনের একটা অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছিল। প্রতিদিনের অন্য সব রুটিনের মত
মেয়েটির সাথে সময় কাটানো টাও একটা রুটিন হয়ে গেল আমার।
প্রতিদিন দেখা হত, প্রতিদিন আমাকে কিছু না কিছু নিয়ে অবাক করতো।
..
...
এভাবে চলতে চলতে একটা বছর শেষ হয়ে গেল।আমিও ভার্সিটি শেষ করলাম। মেয়েটির সাথে আর দেখা
হবে না।আমি বিদায় নিয়ে আসলাম মেয়েটি সেদিন ও আমাকে আর দশ টা দিনের মতই বাই বলেছিল।
..
...
তারপর মেয়েটির সাথে ফোনে কথা হত। খুব নরমালি কথা বলতো নিরুপমা। কিন্তু আমি অনেক মিস করতাম
নিরুপমার সাথে কাটানো সময় গুলো।
কিন্তু আর যাই হোক প্রেম করার মত বয়স আর তখন আমার নাই।আর নিরুপমাকেও মনে হয় না আমাকে
ভালবেসে এসব আড্ডা দুষ্টুমি করে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল আমি নিরুপমাকে ভালবেসে ফেলেছি এত
দিনে।কিন্তু তাকে বলা হয়নি।আর এখন বলার মত অবস্থাও নেই।এভাবেই চলতে লাগলো।
..
...
কয়েক মাস এর মধ্যে আমার একটা ভাল জব হয়ে গেল।তারপর বাড়ি থেকে বিয়ের কথা বললে আমি
নিরুপমার বাসায় প্রস্তাব দিতে বলি। অবশেষে পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে টা হল।
..
...
(৩)
..
...
বাসর রাতে নিরুপমাকে প্রশ্ন করলাম...
.
আমি: বর হিসেবে আমাকে আশা করো নি নিশ্চয়?
.
নিরুপমা: শুধু তোমাকে, শুধুই তোমাকেই চেয়েছিলাম নিলয় আমার বর হিসেবে।
.
আমি: তাহলে কখনো বলনি তো আমাকে?
.
নিরুপমা: হ্যা বলি নি, আর বলি নি বলেই তোমাকে স্বামী হিসেবে পেলাম।
.
আমি: বুঝলাম না...বুঝাই দাও...
..
...
তাহলে শুনো,
আমি ভার্সিটি তে তোমাকে প্রথম দেখে ক্রাশ খাই আমার ১ম বর্ষের ফাইনাল সেমিষ্টার এর পরিক্ষার
সময়।
পরে ২-৩মাস ধরে তোমার সম্পর্কে খোজ নিয়ে জানতে পারি শুধু আমি না অনেক মেয়েই তোমার উপর
ক্রাশ আর অনেক জন তোমাকে প্রপোজ করে সরাসরি রিজেক্ট হয়েছে।
তাই আমি সেই দলে গেলাম না।
তোমাকে আজগুবি আজগুবি সব কথা বলে আমাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করলাম।
তারপর তোমার সাথে সময় কাটানো শুরু করলাম।আর তোমার ভাল লাগা খারাপ লাগা গুলো আমি আগেই
জেনে নিয়ে ছিলাম।
..
...
তারপর দিনের পর দিন তোমার সাথে ঘুরলাম ফিরলাম সময় কাটিয়ে আমাকে তোমার অভ্যাসে পরিনত
করলাম।একটা সময় আসলো যখন আমার বদলে আমার ক্লাস শেষ হওয়ার জন্য তুমি ক্যাম্পাসে আমার জন্য
অপেক্ষা শুরু করলা।আমি বুঝতে পারলাম তুমিও আমাকে ভালবাসতে শুরু করেছো মিস করতে শুরু করেছ।
তবুও তোমাকে সেদিন হাসি মুখে বিদায় দিলাম।
সত্যি বলছি আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছিল।
..
...
তারপর তুমি জব পেয়ে বিয়ের প্রপোজাল দিলে বাসায়।আর আমার বাসায় আগে থেকেই তোমার কথা
জানতো। আর তাই আমি আজ তোমার বউ....
..
...
এখন বুঝলে,
সবাই ভালবাসি বলে রিজেক্ট হয়েছিল,আর আমি ভালবাসি কথা টা বলা ছাড়া সবকিছুই করেছিলাম।
আমিও যদি সরাসরি তোমাকে ভালবাসি বলতাম তাহলে তুমি আমাকেও রিজেক্ট করতা....
কিন্তু তোমাকে যে আমার চাই নীল.... তাই একটু কষ্ট হলেও শেষ হাসি টা আমি ই হাসলাম....
..
...
আমি তোমার অভ্যাসে ছিলাম...
অবকাসে নয়.....
.
আমি সেদিন শুধু মুগ্ধ হয়েছিলাম নিরুপমার কথা শুনে....
হঠাত মনে পড়লো,
.
Beauty with brain =Dangerous combination...
.
এই কথা টা শুধু নিরুপমার জন্যই খাটে...
..
...
(৪)
..
...
রাতের খাবার শেষে নিরুপমা বললো তুমি ছাদে যাও আমি আসছি....
আমিও গীটার টা হাতে নিয়ে চুপ চাপ ছাদে গেলাম...
২৫-৩০মিনিট পর নিরুপমা এক মগ কফি হাতে নিয়ে এসে আমার কোলে বসে গলাটা জড়িয়ে ধরে কপালে
একটা চুমু দিয়ে বললো
নাও এখন গান শুনাও....
আমিও নিরুপমার কপালে একটা চুমু দিয়ে নিরুপমার হাত টা হাতে নিয়ে গীটারের স্ট্রীং এ টুংটাং
করতে করতে গাইতে শুরু করলাম....
..
...
নিরুপমা,
তোমার কথা ভাবতে গেলেই চাঁদ হয় অভিমানী
বলে - জোৎস্নার চেয়ে মুখটি কি তার অনেক বেশি দামী ?
তোমার গান গাইতে গেলেই পাখি দের অভিযোগ
বলে - এত গান গাই তোমার জন্য তবু ওর দিকে চোখ ?
আমি কি করি কি করি কোন দিকে যাই কোন পথে হারাই
.
রক্ত প্রবাহে শ্লোগান উঠেছে ... নিরুপমা তোমাকে আমার চাই...
..
...
নিরুপমা আসতে করে আমার গলা জড়িয়ে ধরে কানে কানে বললো.....
.
বাবাই বাবাই ডাকার জন্য জুনিয়র নীল আসতেছে আমাদের বাড়িতে...
.
বলেই আমাকে শক্ত করে জড়াই ধরলো....
আমি অনেক কষ্টে তাকে আলাদা করে নিরুপমার মুখের দিকে তাকাতেই পুর্ন চন্দ্রিমাকে ম্লান করে
দিয়ে আমার নিরুপমা একটা লাজুক হাসি দিল.....
..
...
আমি গীটার ফেলে দিয়ে নিরুপমা কে কোলে তুলে নিলাম....
আর আবার জিজ্ঞেস করলাম নিরুপমাকে....
আমি বাবা হবো?
নিরুপমা শুধু মাথা ঝাকিয়ে সাঁয় দিয়ে আমার বুকে মুখ লুকালো.....
..
...
দোয়া করবেন আমাদের জন্য...
আর আমাদের অনাগত সন্তান এর জন্য....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটি। দোয়াও রইল।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

জামিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাচেলরদের কষ্ট বাড়ায়ে দিলেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.