নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ুন আজাদের লেখাচুরি এবং হুমায়ুন আহমেদের ভক্তসকল নিয়ে কিছু কথা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৭

০১।

ঔদ্ধত্য আর নীতিহীনতা নাকি একসাথে যায় না, উদ্ধত মানুষ তার ঔদ্ধত্বের জন্যই নাকি নীচে নামতে পারে না, নিজের সম্পর্কে তার অতিমাত্রায় উচ্চধারণা থাকে, তাই নীতিস্খলন হতে গেলে তার সেল্ফ-রেস্পেট বা ইগোতে লাগে অথবা লোকে কি বলবে সেটা সম্পর্কে সে অতমাত্রায় সচেতন হয়। বিনয়ী মানুষই সুবিধাবদী হয়। বলেছিলেন ডঃ আহমদ শরীফ। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণেও ব্যাপারটা অনেকাংশে সত্য। সবচেয়ে বড় ব্যতিক্রম চোখে পড়েছে ডঃ হুমায়ুন আজাদকে। এই লোকের মত এত উদ্ধত লোক খুব কমই ছিল/আছে, কিন্তু চুরি করে সাহিত্যকর্ম করতে তার তেমন বেগ পেতে হয়নি। একজীবনে যা লিখেছেন তার অর্ধেকই চুরি-চামারি করা, তখন তাঁর ঔদ্ধত্য তাঁকে বাঁধা দেয়নি কেন? উনি কি মনে করেছিলেন তাঁর চুরি সম্পর্কে কেউ কোনদিন জানবেনা? সেজন্যই কি উদ্ধত হওয়া স্বত্ত্বেও চুরি করতে তেমন তাঁর মানসিক যন্ত্রণা হয়নি?


০২ক।

আমরা যখন কোন বিখ্যাত মানুষকে (গায়ক, লেখক, কবি) পছন্দ করি তখন তার সবটুকুই পছন্দ করি, তার ব্যক্তিগত এবং লেখক/কবি/সাহিত্যিক জীবন ইত্যাদি সত্ত্বাকে আলাদা করিনা। তার ব্যক্তিগত জীবনও আমাদের কাছে পাবলিক প্রপার্টী হয়ে যায়। এবং আমরা তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়েও অনেক সময় মুগ্ধ হয়, তার স্ত্রী-পুত্র-কণ্যার ফিলিংস, তার বন্ধু-বান্ধব, তার লাইকস-ডিসলাইকস সবকিছুই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয়। তারপরে একসময় বের হয় যাকে দেবদূত ভেবেছিলাম সে আসলে দেবদূত না, তার ব্যক্তিগত জীবন অত নিষ্কলুষ না। বাঙালিরা সাধারণতা মানুষকে ফেরেশতা এবং শয়তান এই দুই ক্যাটাগরীতে ভাগ করে, তার কাছে ভাল-খারাপের মিশ্রণে স্বাভাবিক মানুষের আবেদন কম। হয় হিরো না হয় ভিলেইন, এই হচ্ছে মোটাদাগে ভাগ। তবে যখন যে ব্যক্তিকে অসম্ভব পছন্দ করা হল, লেখক, গায়ক, কবি বা অন্যকোন সুকুমার বৃত্তির সাথে জড়িত কাউকে, কিন্তু পরে দেখা গেল তার ব্যক্তিগত জীবন অত নিষ্কলুষ না, হয়ত সে তার স্ত্রী ছেড়ে পরস্ত্রীর দিকে তাকাল বা তার বিয়ে ভেঙ্গে গেল, বা তার অন্য কোন অধঃপতন হল। শুরুতে খুবই হতাশ হয় আমরা, এমন একজন লোক কিভাবে এরকম কিছু করতে পারল সেটা ভেবে মনঃক্ষুন্ন হয়, তার সাহিত্য, বই বা গান উপভোগ করবনা আর কোনদিন সেরকম শপথ নিই। তবে আস্তে আস্তে আমরা সেই ক্ষোভ কাটিয়ে উঠি, তাকে সম্পূ্র্ণভাবে হয়ত ক্ষমা করতে পারিনা, কিন্তু অনেকাংশে ক্ষমা করে দই। এ পর্যায়ে এসে আমরা তার ব্যক্তিগত আর শিল্পীগত জীবনকে পৃথক করি, তাকে দুটা স্বত্ত্বা দিই। তার ব্যক্তিস্বত্তাকে তার শিল্পীস্বত্ত্বা থেকে পৃথক করি, ভেবে নিই শুধু তার শিল্পী স্বত্ত্বাকেই আমরা পছন্দ করব, তার ব্যক্তি স্বত্ত্বা নিয়ে ভাববনা। এটা একটা র‌্যাশনালাইজেশান। তবে এই র‌্যাশনালাইজেশান আমাদের জীবনকে সহজ করে। জীবনকে সহজ করার জন্য এই র‌্যাশনালাইজেশানের দরকার আছে। হুমায়ুন আহমেদের ভক্তরা এই শ্রেণীর।


০২খ।

কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় সেই বিখ্যাত লেখক, গায়ক, কবি বা সুকুমারবৃত্তির অনুশীলনকারী ব্যক্তি তার শিল্পকর্মেই অসততার আশ্রয় নিয়েছে। তখন অনেক বড় শক খেতে হয়। তখন তার ভক্তদের দুইটা শ্রেণী বের হয়, একপক্ষকে বলা যায় ব্রুটালো অনেস্ট। এদের পাপপূণ্য মাপার বা ভালমন্দ মাপার নিক্তি খুবই কড়া, এরা নিজেদেরকে যেমন সর্বোচ্চ প্রফেশনাল মান দ্বারা বিচার করবে তেমনি তাদের প্রিয়জনদেরকেও, তাই তার সেই প্রিয় লেখক/কবি/সাহিত্যিকের অধঃপতন দেখে সে সেই লোকেরই গোষ্টী উদ্ধার করতে লেগে যায়। আগে যতটুকু আবেগ নিয়ে যে তাকে পছন্দ করত ঠিক ততটুকু আবেগ নিয়ে সে তাকে অপছন্দ করে এবং অন্যরাও যাতে তাকে অপছন্দ করে সেজন্য সবাইকেই তার কাহিনী বলে বেড়ায়, অন্যেরা কেন তবুও এই লোককে পছন্দ করে সেটা তার মাথায় ঢুকেনা। "এই লোকে অসৎ, তাকে কেন পছন্দ করবা বা কেন তাকে গালি দিবানা" - অন্যদের এই মনোভাব সে বুঝতে পারেনা, চারপাশের মানুষদেরকেই তার ভন্ড মনে হয়। কাছের এরকম অনেক এক্সাম্পল দেয়া যায়, তবে দূরের এক্সাম্পলই দিব। এরকম একজন লোকের উদাহরন হবে ক্রিস্টফার হিচেনস।
অন্য আরেক শ্রেনীর ভক্ত আছে যারা তার প্রিয় লোকের অসততার কথা জানতে পেরেও তার অন্য কোন হায়ার অবজেকটিভের দোহায় দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা করে যাবে, তার অসততাকে দেখবেনা, বা দেখলেও সেটাকে গুরুত্ব দিবেনা। তাদের কাছে সেই হায়ার অবজেকটিভের জন্য যদি কেউ অসৎ হয়, তাতেও আপত্তি নেই। যেমন হুমায়ুন আজাদের ভক্তরা অনেকেই নিজেদেরকে সততার নিক্তিতে উপরের দিকে রাখলেও হুমায়ুন আজাদ চোর ছিলেন সেটা শুনে প্রথমে একটু মনঃক্ষুন্ন হবেন। কিন্তু পরে র‌্যাশানালাইজ করবেন এই ভেবে যে তার আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন অবদান আছে, তিনি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন সারাজীবন, লাল নীল দীপাবলী লিখেছেন, তাই তিনি সাহিত্যকর্মে চুরি করলেও আরো হায়ার অবজেকটিভ "মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে লড়া" সেটা করে গিয়েছেন, তাই তাঁর চুরিকে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখা যায়! তারা সমানে এই চোরের প্রবচন, যেসবে সে বাঙ্গালি সমাজকে/মানুষকে সততার নসিহত করেছেন, সেসব প্রবচন সমানে সবাইকে বলে বেড়াবেন। নরমান ফিংকলস্টাইন আর এলান দারশোয়িজের মাঝেও এরকম কাহিনী ঘটেছল। দারশোয়িজ চুরি করে বই লিখেছিলেন, ফিংকলস্টাইন সেটা ধরে দিলেন। দারশোয়িজ এরপরে ফিংকলস্টাইনের জীবনকে দোজক বানিয়ে ছাড়ল, তার ওয়েবসাইটে ফিংকলস্টাইনের নামে মিথ্যা ছড়াল, হার্ভার্ডের ওয়েবসাইটে আরেকজনের নামে এভাবে মিথ্যা বলাতে ফিংকলস্টাইন রিপোর্ট করলে ডীন মনে করল দারশোয়িজ ইসরাইলের পক্ষের লোক, নামকরা জায়নিস্ট, ফিংকলস্টাইন ফিলিস্তিন-পন্থী। তাই ইসরাইলের এবং জায়নিজমের স্বার্থের জন্য দারশোয়িজের চুরি এবং মিথ্যাকে তেমন আমলে নিলেন না, কারন তাদের কাছে হায়ার অবজেকটিভ হচ্ছে ইজরায়েলের স্বার্থ, সেটা রক্ষা করতে গিয়ে যদি নীতিহীন হতে হয় তাও সই, কেননা হায়ার অবজেকটিভ তো অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ!

পূনশ্চ১: আমি নিজেও হুমায়ুন আহমেদের ব্যক্তিগত আর সাহিত্যিক স্বত্ত্বাকে আলাদা করে তার সাহিত্যিক স্বত্ত্বাকেই পছন্দ করা শুরু করেছি যখন তিনি গুলতেকিনকে ডিভোর্স দিয়ে শাওনকে বিয়ে করলেন। এর আগে তার ব্যক্তিসত্ত্বাকেও সমানভাবে পছন্দ কর‌তাম।
হুমায়ুন আজাদকে আমি খুবই পছন্দ করতাম, তার নামে ব্লগে আমার পোস্টও ছিল! তারপর একদিন তার চুরির কথা জানতে পারলাম, বিশ্বাস হতে চাইলনা! অধ্যাপক মৃণালকান্তির সাথে যোগাযোগ করলাম, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ফোন করলাম, জানলাম আসলেই আজাদ বিরাট চোর। তারপর থেকে তাকে যতটুকু পছন্দ করতাম তার থেকেও বেশি পরিমান ঘৃণা জমা হতে লাগল!
একই মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টাইপ হতে পারে। তবে হুমায়ুন আহমেদকে মাফ করেছি কারন তিনি বড় রকমের অসততা দেখান নি, অন্তত আমার মনে হয়নি, আজাদ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অসততাগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় অসততা দেখিয়েছন - লেখাচুরি!

আমার টাইপ তো বললাম, আপনার টাইপ কি?

পূনশ্চ২: একটানে টাইপ করেছি, বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে, বাক্যগঠনেও হয়ত তেমন পারদর্শিতার পরিচয় দিইনি, কিন্তু আবার সম্পূর্ন পড়ে এডিট করার ইচ্ছে হচ্ছে না।
পূনশ্চ৩: আগে একবার হুমায়ুন আজাদের চুরি-চামারি নিয়ে পোস্ট দিছিলাম, সেটা কর্তৃপক্ষ ডিলিট করেছিল আর আমাকে জেনারেল করেছিল। এইটাও হয়ত ডিলিট করবে। করুক গে! আমার কী?!

আপডেট: আজাদের চুরি নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে ব্যাপক তোলপাড় হয়, সেটা নিয়ে লেখা। Click This Link

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: আমি হুমায়ুন আজাদকে পছন্দ করি না হয়তবা সেটা আমার নিজেরই অক্ষমতা তবে উস্তাদ হুমায়ুন আহমেদ আমার অনুপ্রেরণা, উনার লেখা আজীবন অনুসরণ করে যাব। উনার সবচেয়ে বড় গুণ উনি কখনও ভালোর মুখোশ পড়া সুশীল সাজার চেস্টা করেন নি। নিজের ব্যাপারে ভাল খারাপ সবই বলে গেছেন। স্বীকার করে গেছেন উনার নানা ছিল রাজাকার, আওয়ামীলীগ তাকে পছন্দ করত কিন্তু তাই বলে তিনি চাটুকার সেজে টুপাইস কামান নি, সাহসের সাথে বলে গেছেন সরকার থেকে দেওয়া বাড়ীটি রক্ষীবাহিনীর লোকজন দখল করে নিয়েছিল।
উপরে উপরে মিনকা ভদ্র না সেজে কিংবা অন্যান্য লেখকদের মত চুপে চুপে কোন নারীর সাথে ইটিস পিটিস না করে তাকে বিয়ে করে সামাজিকভাবে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করে গেছে।
তিনি অন্যান্য সুশীলদের মত ছদ্মবেশী ভন্ড নন তাই তার ব্যাক্তিসত্বাকেও আমি সম্মান করি। আমৃত্যু তাকে কাজে কম্মে অনুকরণ করবো কখনও মানুষের কাছে বেশধারী ভাল সাজার চেষ্টা করবো না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

নরাধম বলেছেন: সবারই তো ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকবে, তবে এই পোস্টে আমি সেটার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করিনি। আমি বরং ভক্তদের মানসিকতা কিরকম হয় সেটা নিয়ে কথা বলতে চেয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নীতিস্খলন হতে গেলে তার সেল্ফ-রেস্পেট বা ইগোতে লাগে অথবা লোকে কি বলবে সেটা সম্পর্কে সে অতমাত্রায় সচেতন হয়। বিনয়ী মানুষই সুবিধাবদী হয়। বলেছিলেন ডঃ আহমদ শরীফ।

সম্পূর্ন মিথ্যা কথা। বিনয়ী, অহম বোধ - এসব মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট। মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে নানা ভাবে। এর সাথে সুবিধাবাদিতার সম্পর্ক নেই। সুবিধাবাদিতার সাথে তোষামোদির সম্পর্ক থাকতে পারে, বিনয়ের নয়।

আমি ব্যক্তি জীবনে বিনয়ী কারন আমি ঝামেলা অপছন্দ করি। আমি এটাকে আহামরি কোন গুন মনে করি না, স্রেফ চারিত্রিক বৈশিষ্ট।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০

নরাধম বলেছেন: হতে পারে, আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে কথাটার কিছুটা সত্যতা থাকতে পারে, অথবা উল্টোভাবে বলা যায় অনেক ব্রুটালি অনেস্ট লোকে হয়ত কিছুটা আত্মগরিমায় ভুগেন, সো সম্পর্কটা অন্যদিকে দিয়েও হতে পারে। তবে সুবিধাবাদিতার সাথে তোষামোদের সম্পর্কে আছে সেটাও স্বীকার করছি।

আমার পোস্টের মূল বিষয়বস্তু এসব না যদিও।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

পাহাড়ী নদী বলেছেন: আমি হুমায়ন আযাদ কে পছন্দ করি। চুরি করে লেখা নিয়ে পোস্টটির লিংক ( অন্য ব্লগের) কি দিতে পারবেন ?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

নরাধম বলেছেন: এখানে দেখুন। আমিও আজাদকে পছন্দ করতাম একসময়! :)



Click This Link

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

স্বপনবাজ বলেছেন: ঔদ্ধত্য আর নীতিহীনতা নাকি একসাথে যায় না, উদ্ধত মানুষ তার ঔদ্ধত্বের জন্যই নাকি নীচে নামতে পারে না, নিজের সম্পর্কে তার অতিমাত্রায় উচ্চধারণা থাকে, তাই নীতিস্খলন হতে গেলে তার সেল্ফ-রেস্পেট বা ইগোতে লাগে অথবা লোকে কি বলবে সেটা সম্পর্কে সে অতমাত্রায় সচেতন হয়। বিনয়ী মানুষই সুবিধাবদী হয়। বলেছিলেন ডঃ আহমদ শরীফ। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণেও ব্যাপারটা অনেকাংশে সত্য
লাইন কটা মনে ধরেছে !

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

নরাধম বলেছেন: আহমদ শরীফের কথা খুবই শার্প হয়। ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-<

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

নরাধম বলেছেন: কিছুই তো বুঝলাম না! খুশি হলেন নাকি বেজার হলেন?! :(

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

প‌্যাপিলন বলেছেন: বিনয়ী হওয়াটা অবশ্যই গুরুত্বপুর্ণ তবে বিনয়ীদের প্রতি সম্মান প্রায়ধিকারের কারণে কালক্রমে সুবিধা লাভের জন্যই বিনয়ী হওয়ার প্রচলন বেড়ে গেছে। বর্তমানে উদ্দেশ্যবিহীন বিনয় দুর্লভ হয়ে গেছে। হুমায়ুন আজাদের লেখা এখনও পছন্দ করি, তবে লেখা চুরি বিষয়ে খুব জানা নেই, তবে অভিযোগের প্রতি খুব একটা আস্থা নেই এ কারণে যে লেখা চুরি করে হুমায়ুন আজাদের মতো ব্যক্তিত্ব হওয়া কি আদৌ সম্ভব!!!!!! বিশেষ করে তিনি সে যুগেই লিখতেন যখন দলীয় লেজুরবৃত্তি বা স্বজনপ্রীতি, কোন বিশেষ মহলের আস্থাভাজন হওয়া ব্যতীত শুধু পাঠকের কল্যানেই লেখক হওয়া যেত

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

নরাধম বলেছেন: অভিযোগের প্রতি আস্থা না থাকলে কি আর করা? অন্ধবিশ্বাস আর টীনএইজ ভালবাসা, এইসব সত্যা বা যুক্তি মানে না। তবে চুরি করেছেন সেটা প্রমাণিত সত্য।

জানতে চাইলে নিচের লিংকে যান। অনেক ধন্যবাদ।

Click This Link

আরো বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্টের কমেন্টে পড়ুন:
http://tinyurl.com/a4j4oex

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: প্রায় এক বছর পর এলেন। লেখাটি সকালে চতুরে পড়েছি । সেখানে আমার একাউন্ট নেই তাই এটাকেই প্রিয়তে রাখলাম

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মানিকভাই। আপনার লেখার একজন ভক্ত আমি।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

এপসাইন বলেছেন: হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: আমি হুমায়ুন আজাদকে পছন্দ করি না হয়তবা সেটা আমার নিজেরই অক্ষমতা তবে উস্তাদ হুমায়ুন আহমেদ আমার অনুপ্রেরণা, উনার লেখা আজীবন অনুসরণ করে যাব। উনার সবচেয়ে বড় গুণ উনি কখনও ভালোর মুখোশ পড়া সুশীল সাজার চেস্টা করেন নি। নিজের ব্যাপারে ভাল খারাপ সবই বলে গেছেন। স্বীকার করে গেছেন উনার নানা ছিল রাজাকার, আওয়ামীলীগ তাকে পছন্দ করত কিন্তু তাই বলে তিনি চাটুকার সেজে টুপাইস কামান নি, সাহসের সাথে বলে গেছেন সরকার থেকে দেওয়া বাড়ীটি রক্ষীবাহিনীর লোকজন দখল করে নিয়েছিল।
উপরে উপরে মিনকা ভদ্র না সেজে কিংবা অন্যান্য লেখকদের মত চুপে চুপে কোন নারীর সাথে ইটিস পিটিস না করে তাকে বিয়ে করে সামাজিকভাবে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করে গেছে।
তিনি অন্যান্য সুশীলদের মত ছদ্মবেশী ভন্ড নন তাই তার ব্যাক্তিসত্বাকেও আমি সম্মান করি। আমৃত্যু তাকে কাজে কম্মে অনুকরণ করবো কখনও মানুষের কাছে বেশধারী ভাল সাজার চেষ্টা করবো না ,,,, akmot...ajad akjon chor abong lompot srenir lok :@

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১

নরাধম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে আজাদ চোর সেটা প্রমাণিত হলেও তিনি লম্পট কিনা সে ব্যাপারে আগ্রহ নেই। ওটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে আপনার ধারণা একেবারেই কম। আমার ধারণা তাঁর লেখা আপনি পড়েছেনও খুব কম। তাঁর অর্ধেক লেখা চুরি করা, এটা আপনি মিথ্যাচার করলেন। তিনি কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন ৭টি- কার কবিতা চুরি করেছেন? উপন্যাস কারটা মেরেছেন? মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা দরকার।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

নরাধম বলেছেন: আজাদ সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম সেটা স্বীকার করি। কবিতা কয়েকটা পড়েছি, খুবই ভাল লেগেছে, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল শুরু করেছিলাম, অর্ধেকের কাছাকাছি পড়েছিলামও, তবে শেষ করতে পারিনি, সে অনেককাল আগের কথা। তাঁর অর্ধেক লেখা চুরি না হয়ে যদি এক-তৃতীয়াংশ বা এক-দশমাংশ বা শুধুমাত্র একটা লেখা চুরি হয় তাতেও তিনি চোর। আপনি আগে আজাদের মিথ্যাচার নিয়ে চিন্তিত হোন, আমি চুনোপুটি, আমার মিথ্যাচারের তেমন কিছু যায় আসেনা। ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রসিক বাঙ্গাল বলেছেন: আজাদের চুরির প্রমাণ দেখালে ভাল লাগতো। আশায় রইলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ। উপরে কমেন্টের জবাবে লিংক দিয়েছি। তাছাড়া অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, উনি যদিও এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাননা, তবে হয়ত ভালমতে জিজ্ঞেস করলে বলবেন। তাছাড়া লিংকে দেখুন।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: vlo lglo......
tobe proved chai

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক, উপরে কমেন্টের লিংক দেখুন।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ভাল লাগছে পোষ্ট । :) :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক। :)

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: ক্ষমতাবানের বিনয় তার উচ্চ গুনের পরিচায়ক, আর ক্ষমতাহীনের বিনয় চাটুকারীতা আর সুবিধালাভের উপায় বৈ ত আর কিছু নয়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

নরাধম বলেছেন: কথাটা কি আজাদের?

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪১

ক্লান্ত কালবৈশাখি বলেছেন: "ঔদ্ধত্য আর নীতিহীনতা নাকি একসাথে যায় না, উদ্ধত মানুষ তার ঔদ্ধত্বের জন্যই নাকি নীচে নামতে পারে না, নিজের সম্পর্কে তার অতিমাত্রায় উচ্চধারণা থাকে, তাই নীতিস্খলন হতে গেলে তার সেল্ফ-রেস্পেট বা ইগোতে লাগে অথবা লোকে কি বলবে সেটা সম্পর্কে সে অতমাত্রায় সচেতন হয়। বিনয়ী মানুষই সুবিধাবদী হয়।"

অসাধারণ...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

নরাধম বলেছেন: ডঃ আহমদ শরীফের কথা, অসাধারণ হওয়ারই কথা।

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: লেখার সাথে মোটামুটি একমত।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

নরাধম বলেছেন: :) ধন্যবাদ।

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: না, আমারই কথা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২২

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ, কথা পছন্দ হয়েছে!

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: গুলতেকিনকে ডিভোর্স দিয়ে শাওনকে বিয়ে করা ঠিক কোন দৃষ্টিকোণ থেকে অসততার মধ্যে পড়ে?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

নরাধম বলেছেন: আমার মতে তো সেটা কোন অসততা না। দুপক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হইছে, কারো কিছু বলার নাই।

১৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

শিক্ষানবিস বলেছেন: ধর্ম-বিদ্বেষীদের কোন আদর্শ নেই। তাই তারা সব অপরাধই করতে পারে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ। থিয়রেটিকালি হয়ত আপনার কথাটা সত্য হতে পারে।

১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

ফারাহ দিবা জামান বলেছেন:
এটা সত্যি??
লেখা চুরি?
আমি জানতাম না তো!!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১১

নরাধম বলেছেন: কত অজানা এই দুনিয়ায়! এটা সত্য, এক্কেরে তিন সত্য।

২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: নীতিহীনতা আর ঔদ্ধত বর্তমান যুগে একসাথে যাওয়ার প্র্যাকটিস গড়ে উঠেছে বলেই আমার ধারনা। পার্থক্য একটাই নীতিহীন কাজগুলোও লাউডলি করতে হচ্ছে।

ইসরাইলের পলিটিশিয়ান্স, রিপাবলিকান্স, বঙ্গ নাস্তিক, এরা ভ্রান্ত মতবাদগুলোকেই লাউডলি প্রচার করে, প্রমান করার চেষ্টা করে। নীতিহীনতাই একটা নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে সেটা যদি লেজিট হয়ে যায় তবে অন্য কথা অবশ্য।

----------------

আমিও হায়ার অবজেকটিভের দোহাই দেয়ার কাতারে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

নরাধম বলেছেন: দুঃখের বিষয় কিন্তু সত্যতা আছে আপনার কথায়!

২১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

সাধারণ মুসলমান বলেছেন: ধন্যবাদ। চুরির কথা আমি কিছুই জানতাম না এর আগে। কে জানাবে দেশটাকে। এমন মানুষের অনুসরণ থেকে প্রজন্মকে মুক্ত করা খুব দরকার। নাহয় কপট আত্মপ্রেমী নেতিবাচক মানুষ তৈরি হতে থাকবে।
আবারও ধন্যবাদ।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: লেখাটি মনপুত হয়েছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!

২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

নরাধম বলেছেন: সম্প্রতি ফেসবুকে আজাদের চুরিদারি নিয়ে ব্যাপক কথাবার্ হয়, সেটা নিয়ে একটা লেখার লিংক দিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.