নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানিত্ব আর বাঙালিত্বের দ্বৈততা।

০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

বাঙাল মধ্যবিত্ত মুসলমানদের মন নিয়া মহাত্মা ছফা লিখেছেন ধর্মগ্রন্থের মত বই, আরো অনেক জ্ঞানী-গুণী মহাপুরুষরা নিশ্চয়ই লিখে থাকবেন। আমার বরং বাঙাল মুসলমানদের, খাঁটি করে বললে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মুসলমানদের মানসিক দ্বৈততার ব্যাপারটাতেই খালি খটকা লাগে। খাঁটি বাঙালি হইতে গিয়া তারা এক সমস্যায় পড়ে, আশরাফ মুসলমান হইতে গিয়া পড়ে আরেক সমস্যায়। খাঁটি বাঙালি হওয়ার তার দ্বিধাদ্বন্ধ বা সমস্যার কথা বলি, কলকাতার ঠাকুরবাড়ি কেন্দ্রিক অভিজাত বাঙালিত্ব চর্চার যে রুপ রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর বেশ পরে গড়ে উঠেছে, যা পাকিস্তানি শাসকদের বিরোধিতায় আরো সবলভাবে নিজেকে জানান দিয়েছে, সে রুপ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালরা ধারণ করতে চায়, তাতে সে কিছুটা হীনন্মন্যতায়ও ভুগে, মনে হয় সে ঠিক নিজের না, অন্যের জিনিস ধারণ করছে, তো সৎমায়ের সৎছেলেকে নিজের ছেলে হিসেবে জাহির করতে চাইলে আপন মায়ের চেয়েও বেশি আদিখ্যেতা দেখানো লাগে, বাঙাল মুসলমানরা তার অ-খাঁটি বাঙালিত্ব ঢাকতে গিয়ে বা হীনন্মন্যতা ঢাকার জন্য কলকাতার বাবু কালচারের বাবুদের চেয়েও বেশি বাবুয়ানা করতে চেষ্টা করে, তাতে যা হয় কলকাতাকেন্দ্রিক বাবুরা নাক সিটকায়, তারা কোন মতেই বাঙাল মুসলমানদেরকে বাঙালি স্বীকৃতি দেয়না, সে পেলেই জিজ্ঞেস করে, "তুমি বাঙালি নাকি মুসলমান?"



ওদিকে আশরাফ মুসলমান হওয়ার চেষ্টা তার আছেই, সে তার পূর্বপুরুষ বাগদাদের কোন বংশ থেকে এসেছে সেটা নিয়ে সচেতন থাকতে চায়, বাঙালিত্ব চর্চা করতে গিয়ে ইসলাম হারিয়ে ফেলছে কিনা সে ভয়েও থাকে কিছুটা।কিন্তু সেখানেও তারে আরব মুসলমানরা খাঁটি মুসলমান হিসেবে স্বীকার করতে চায়না, তার গায়ে পৌত্তলিকতার গন্ধ খুঁজে খালি। এই দোনামনাতে পড়ে বাঙাল শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মুসলমানদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা, কেউ হয়ত এদিকে এক্সট্রিমে যায়, কেউ অন্যদিকে।



আমি বলি তোরা বরং এসব ডিলেমাগিরি বাদ দিয়ে আমার মত নমশুদ্র হ, কুলি-মজুর-মুটে-কৃষক-প্রোলেতারিয়েত হ, গাঁইয়া হ, লুঙ্গিতে ফিরে যা, প্রোলেতারিয়েতরা হাজার বছর ধরে বাঙাল আর মুসলমান দু পরিচয়ই স্বচ্ছন্দে বয়ে চলছে কোন দ্বৈততা ছাড়াই, কোন হীনন্মন্যতা ছাড়াই। তোরা বাঙালি, পশ্চিমা, ইসলামিক, মডারেট, রুচিশীল সব একসাথে বেশি বেশি হতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে জগাখিচুড়ি পাকাচ্ছিস আর হূদা ইস্যু নিয়ে মাথা গরম করছিস। নমশুদ্র হলে অন্যকিছু হওয়ার ঝামেলা থাকেনা, অন্য সবকিছু নমশুদ্র-প্রোলেতারিয়েত পরিচয়ের কাছে বিলীন হয়ে যাবে, তখন তোর একটা মেরুদন্ড থাকবে, স্বাধীন আত্মপরিচয় গড়ে উঠবে, সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেইট বেনিয়াদের সামনে শাভেজের মত খাড়া হয়ে দাড়াতে পারবি।



কিন্তু তারা আমার কথা শুনল না, তারা শুনল ভুট্টো সাহেবের কথা!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: মুসলমান সম্প্রদায় হচ্ছে বাংলার শাসক, বাংলার অধীশ্বর। তাদের আচরণ হবে বাংলার শাসকশ্রেণীর ন্যায়।

যেখানে এদেশের ব্রাহ্মণদের আদিনিবাস গৌড় ছিল বাংলার স্বাধীন সুলতানদের রাজধানী, হিন্দু ব্রাহ্মণরা আমাদের বলত গৌড়েশ্বর। আমরা তাদের ঘাড়ে পা দিয়ে শাসন করতাম।

সেখানে আমরা নমশুদ্র হতে যাব কেন?

০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

নরাধম বলেছেন: ভাল কথা। সেসব মুসলমান শাসকরা কি বাঙালি ছিল?

২| ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমি তো কোথাও দেখি না বাঙ্গালী মুসলিমরা এই দ্বৈত সমস্যায় ভুগছে!

৯/১১ এর পর আমেরিকাতে কিছু মৌলবাদী খ্রীষ্টান মুসলিমদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করা শুরু করে, "তোমরা আগে মুসলিম নাকি আগে আমেরিকান?"

এর রেশ ধরে ভারতে কিছু হিন্দুত্ববাদীও মুসলিমদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া শুরু করে, "তোমরা আগে মুসলিম নাকি আগে ভারতীয়?" উল্লেখ্য যে, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীরা 'ভারতীয়' বলতে আসলে হিন্দু ধর্ম বা হিন্দু কালচারের প্রতি আনুগত্য বুঝায়।

আর বাংলাদেশে যারা মুসলিমদেরকে আগে বাঙ্গালী বানানোর চেষ্টা করছে তারাও 'বাঙ্গালী' বলতে বিশেষ একটি ধর্মের কালচারের প্রতি আনুগত্য বুঝায়।

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নরাধম বলেছেন: না ভুগলে তো খুবই ভাল কথা। আমি এই দ্বৈততাই না ভুগুক সেটাই চাই।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

বাঙলি বলেছেন: আমাদের আরও একটি সমস্যা আছে- তা হলো ইতিহাস সম্পর্কে অস্বচ্ছতা। আমাদের আদি বংশধররা যে নমশূদ্র বা নিম্নবর্ণের হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিলেন তা মানতে আমাদের আত্মসম্মানে বাধে। তাই অনেকে ইখতেয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বাংলায় আগমনকে বাঙালির ইতিহাসের সূচনা বলে চালাতে চায়।

মিরজাফর বাঙালি না হলেও তার সাথে তুলনা করে বাঙালিকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রমাণ করা হয় কিন্তু মোহনলালের বীরত্ব ও বিশ্বস্ততার উপমা দিয়ে বাঙালিকে মহিয়ান করা হয় না, কারণ মোহনলাল হিন্দু।

পলাশীতে নবাব সিরাজৌদ্দলার পরাজয়ের মধ্যে আমরা বাঙালির পরাধীনতার প্রতীক মনে করি। কিন্তু বাঙালি স্বাধীনতা হারিয়ে পরাধীন হয়েছিল আরও অনেক আগে। ইখতেয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক রাজা লক্ষণ সেন পরাস্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই মূলত বাঙালিরা স্বাধীনতা এবং রাজত্ব হারিয়ে বিদেশিদের দ্বারা শাসিত হয়ে আসছি।

আমরা বাঙালি, ভারতীয় সভ্যতার অংশ। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মানব সভ্যতার সূতিকাগার ভারতবর্ষ ইতিহাস-ঐতিহ্যে এতই সমৃদ্ধ যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ছুটে আসত এখানে। ওইসব বিদেশি শাসক- সুলতান-মুঘল- ইংরেজরা লুণ্ঠন করার জন্যই এসেছিল ভারতে।

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নরাধম বলেছেন: লক্ষণ সেন কি বাঙালি ছিল?

৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: //সেসব মুসলমান শাসকরা কি বাঙালি ছিল?//

মুসলিমদের একটি প্রশংসনীয় বিষয় হলো, তারা যেখানে যায় সেখানকার মাটি মানুষকে আপন করে নেয়। মুসলিম শাসকগণ ব্রিটিশদের মতো কলোনী স্থাপন করেননি বাংলায়। বাংলার স্বাধীন সুলতানরা এদেশেরই মানুষ এবং তারাই বাঙালি জাতিসত্ত্বার জনক। হিন্দুরা নয়।

পারলে ব্রিটিশআমলের আগের ইতিহাস পড়ে এসব পোস্ট লিখবেন। কত গৌড়িয় ব্রাহ্মণের মেয়েকে বিছানায় তোলা হল আর এরা এসেছে নমশুদ্রের কাহিনী নিয়ে!

//আমাদের আদি বংশধররা যে নমশূদ্র বা নিম্নবর্ণের হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিলেন তা মানতে আমাদের আত্মসম্মানে বাধে। //

এটি কলকাতার ছড়ানো অসত্যকথন। কারণ পরিসংখ্যান ঘাটলেই দেখা যায়, কলকাতার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ ব্রাহ্মণ। তা নমশুদ্ররা যদি গণহারে মুসলিম হতো, তাহলে পরিসংখ্যানের নিশ্চয়ই এই অবস্থা হতো না।

শুধু এই বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের সব জায়গার ইতিহাসগ্রন্থে লেখা রয়েছে কনভার্টেড মুসলিমরা মূলত ব্রাহ্মণ। কারণ ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যানেও গোটা ভারতের জনসংখ্যার মধ্যেও ব্রাহ্মণদের সংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ।

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নরাধম বলেছেন: হেহে, নমশুদ্র হতে এত আপত্তি কেন মশাই আপনার? ব্রাহ্মণ হতে মন চাই কেন?

৫| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

বাঙলি বলেছেন: //মুসলিমদের একটি প্রশংসনীয় বিষয় হলো, তারা যেখানে যায় সেখানকার মাটি মানুষকে আপন করে নেয়। মুসলিম শাসকগণ ব্রিটিশদের মতো কলোনী স্থাপন করেননি বাংলায়। বাংলার স্বাধীন সুলতানরা এদেশেরই মানুষ এবং তারাই বাঙালি জাতিসত্ত্বার জনক। হিন্দুরা নয়।//

জাতিসত্তা এবং ধর্ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে এমন মন্তব্য করতেন না। অজ্ঞতা দোষের নয়, কিন্তু অজ্ঞ থাকা দোষের। তাই আপনার মন্তব্য অজ্ঞতা দোষে দুষ্ট।

নমশূদ্র থেকেই হোক আর ব্রাহ্মণ থেকেই হোক আমরা হিন্দু থেকে কনভার্টেড মুসলমান। এতে জাতিসত্তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা বাঙালি ছিলাম, আছি এবং থাকব। কাজেই বাঙালি জাতিসত্তা হিন্দুদের সাথেই সম্পৃক্ত- মুঘল, সুলতানদের সাথে নয়।

বিজাতি বিদেশিদের শাসনে-শোষণে বাঙালি সংস্কৃতিতে কিছু নতুন উপাদান যোগ হয়েছে মাত্র।

আর এক দেশে দীর্ঘদিন রাজত্ব করলেই কোনো সুলতান বা মুঘল বাঙালি হয় না। এতটুকু বোধ নিশ্চয় আপনার আছে। কাজেই অন্যকে জ্ঞান দেওয়ার আগে নিজে জানতে হয়।

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

নরাধম বলেছেন: আপনার কথা অনুসারে তো লক্ষণ সেনের পরাজয় কোন ইস্যু না, সেন সাহেব তো বাঙালি ছিল না, আর চরম অত্যাচারি ছিল আপনি ইতিহাস পড়েছেন খুব? আমি কিন্তু অত পড়িনি কিন্তু সেনরা বাঙালি ছিল না সেটা তো জানা কথা।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: লেখক ও বাঙাল, দুই মূর্খকে বলছি আমেরিকায় সাদা চামড়ারা মাত্র ৩০০ বছর শাসন করেছে। সেখানকার খৃস্টানদের কেউ রেড ইন্ডিয়ানদের বংশধর বলেনা।

সেখানে মুসলিমরা শাসন করেছে ৮০০ বছর। সুতরাং সবাইকে হিন্দুর বংশধর বলাটা মূর্খতা। চট্টগ্রামের মুসলিমদের ইতিহাস নিয়ে যতগুলো বই আছে সবগুলোতেই বলা হয়েছে তারা সমুদ্রপথে আসা আরব ব্যবসায়ীদের বংশধর।

এরকম গোটা দেশেই রয়েছে। তবে হ্যাঁ, ইংরেজদের মত আমরা যেখানে গিয়েছি সেখানকার আদিবাসীদের মেরে সাফ করিনি। এজন্য হিন্দুরা টিকে রয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে মুসলিম হয়েছে।

যাই হোক লেখক যদি মনে করে যে, ব্রাহ্মণ হতে পারাটা গর্বের ব্যাপার। তাহলে আমি বলব সে একটা মূর্খ। ইতিহাস বলছে মুসলিমরা হিন্দু রাজকন্যাদের বিয়ে করত। ব্রাহ্মণকন্যাদের তো ঘাটেঘাটে পাওয়া যায়।

বাঙালি জাতিসত্ত্বা অবশ্যই স্বাধীন সুলতানদের সাথে সম্পৃক্ত। বাংলার ইতিহাস থেকে তাদের কেউ আলাদা করার সাহস করেনি। বাংলার সর্বাপেক্ষা গৌরবের ইতিহাস তার স্বাধীন সুলতান আর নবাবদের ইতিহাস। আর শোষণের ইতিহাস হলো সেনরাজা আর হিন্দু জমিদারদের ইতিহাস।

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নরাধম বলেছেন: আপনি লেখাটা পড়েছেন? পড়লেও কি বুঝেছেন?
আমি রাজা-মহারাজা, সুলতান-নবাবদের ইতিহাস নিয়ে তেমন চিন্তিত না, আমি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ইতিহাস নিয়েই ভাবিত। এখানে "আমরা" বলতে আপনি কি নিজেকে কোন আরব বাদশার বংশধর দাবি করছেন? আপনি কোন নমশুদ্র হিন্দুর বংশধর না সেটা নিশ্চিত হলেন কি করে?

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নরাধম বলেছেন: আর আপনি এত জ্ঞানের গোঁসাই কেমনে হলেন সেটা একটু জানাবেন,আমারও জ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

বাঙলি বলেছেন: আমার জানায় ভুল থাকতেই পারে, কারণ in depth ইতিহাস পড়া হয়নি, আমার জানা মতে লক্ষ্মণ সেনই ছিলেন সর্বশেষ স্বাধীন বাঙালি রাজা।

আপনার প্রশ্নে একটু খুঁজে দেখলাম- ইন্টারনেটের বদৌলতে সহজেই আমার ভুলটা ধরতে পারলাম- সেন রাজারা কর্ণাটকের বাসিন্দা ছিলেন।

আপনাকে ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ। লক্ষণ সেন খুবই অত্যাচারি রাজা ছিলেন এবং ছিলেন চরম কাপুরুষ, সেটাও মনে রাখতে হবে। সিরাজউদ্দৌল্লাহর পতনকে কেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের পতন মনে করা হয় সেটা আপনি পারভেজ আহমেদের একটা লেখায় পাবেন পলাশী নিয়ে, চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: এখানে "আমরা" বলতে আপনি কি নিজেকে কোন আরব বাদশার বংশধর দাবি করছেন?

লেখক, বর্তমানের পরিস্থিতি আর তৎকালীন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন আরবদের শাসকশ্রেণী টাকার গরম দেখিয়ে এদেশের মানুষকে অবজ্ঞা করে। কিন্তু তখন ভারতবর্ষ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনসম্পদে পরিপূর্ণ স্থান। তখন আরবরা এদেশে এসেছিলেন, বসতি স্থাপন করেছিলেন। এটাই ইতিহাস।

আর মুসলিম শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের বংশধররা বাংলার মুসলিমদের মাঝেই মিশে গিয়েছে। এটাও সত্য।

ব্রাহ্মণরাই তখন আমাদের দিনরাত খিদমত করেছে এবং তাদের মধ্য থেকেই কনভার্টেড মুসলিমদের অধিকাংশ এসেছে। এজন্যই ভারতবর্ষে হিন্দু ব্রাহ্মণ মাত্র ৫ শতাংশ।

৯| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: [img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/124463/small/?token_id=b81f57bd7f349e354f151caa651fc1d5

১০| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বাঙলি বলেছেন: ঝড়-বাতাসের কথা, আপনার উদাহরণটা কি ঠিক হলো? আমেরিকার ইতিহাস থেকে তো এটা সবাই জানে যে, বর্তমান আমেরিকার বসতি এবং সভ্যাতার সূচনা করেছিল ইউরোপীয়রা- ব্রিটিশ, পর্তুগিজ, স্পেনিশ, ডাচ, ওলান্দাজরা। আর রেড ইন্ডিয়ানদের তো ঝারে-বংশে নির্মূল করেছিলেন কলম্বাস বাহিনী।

আর একটা বিষয় বুঝতে পারছি না- আপনি বারাবার জাতি আর ধর্ম গুলিয়ে ফেলছেন কেন?

বাঙালি খ্রিস্টানও তো আছে, তাদেরকে বাঙালি বলা হয়, রেড ইন্ডিয়ানের বংশধর বলা হয় না।

মুসলমানরা মাত্র ৮০০ বছর ভারত শাসন করেছে- আর ভারতীয় সভ্যতা সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো। মুসলমানরা যখন ভারতে এসেছে তখন ওই সভ্যতার বয়স সাড়ে চার হাজার বছর, আর বৈদিক তথা হিন্দু সভ্যতার বয়স আড়াই হাজার বছর।

আর শুনুন, হিন্দু রাজাদের নিপীড়ন এবং শ্রেণি-বর্ণ বৈষম্যের কারণেই তখনকার নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মুসলমান হয়- তার মানে এই নয় যে তারা বাঙালিত্ব ত্যাগ করেছিল। তারা আগেও বাঙালি ছিল, মুসলমান হওয়ার পরও বাঙালি ছিল।

সত্য এটাই যে, সুলতানিরা কোনো কালেই বাঙালি ছিল না। কাজেই তাদের দ্বারা বাঙালি জাতিসত্তার সূচনা হয়েছিল- এটি সর্বৈব অসত্য এবং মনগড়া কথা।

১১| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: নিন্মবর্ণের হিন্দুরা যদি মুসলিমই হয় তাহলে ব্রাহ্মণের পার্সেন্টেজ এত কম কেন হিন্দুদের মাঝে?

হিন্দুধর্ম শুধু নমশুদ্রই নয়, নারীরও অধিকার দেয় না। কিন্তু হিন্দু নারীরা অনেক বেশি ধার্মিক হিন্দু পুরুষদের তুলনায়।

ঠিক সেভাবে নিচুশ্রেণীর হিন্দুরাও যে বেশি ধার্মিক, এটাও চাক্ষুষ সত্য। তারা গণহারে মুসলিম হয়েছে, এটা একটি ফালতু কথা। পরিসংখ্যান এটি স্বীকার করে না। বাংলাদেশের কিছু ব্রাহ্মণ্যবাদী ইতিহাসের বই ছাড়া এসব কথা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সুলতানিরা এই বাংলার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করেছে, বিপরীতে হিন্দুরা ব্রিটিশআমলে করেছে উল্টোটা। তাছাড়া ব্রিটিশআমলের আদমশুমারীতেও বাংলায় হিন্দুদের সংখ্যা মুসলিমদের তুলনায় কম ছিল। হিন্দুদের অবস্থান এখানে মুসলিমদের পরে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

নরাধম বলেছেন: শেষের লাইনটা বুঝলাম না।

১২| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:০০

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন:
সত্য এটাই যে, সুলতানিরা কোনো কালেই বাঙালি ছিল না। কাজেই তাদের দ্বারা বাঙালি জাতিসত্তার সূচনা হয়েছিল- এটি সর্বৈব অসত্য এবং মনগড়া কথা।


বাংলাসাহিত্য রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল সুলতানদের হাতে। এবং মুসলিমরা, হোক সে পাঠান, মুঘল কিংবা কনভার্টেড, কাজ করেছে বাংলার স্বাধীনতার জন্য। হিন্দুরা কাজ করেছে স্বাধীনতার বিপক্ষে, ব্রিটিশদের পক্ষে। এটাই সত্য।

মুসলিমরা হলো বাংলার শাসকশ্রেণী। বিপরীতে হিন্দুরা হলো প্রজা, তার ওপর বিশ্বাসঘাতক। তাদের শেকড় বাংলার মাটিতে অনেক দূর্বল। ইতিহাস তাই বলে।

১৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:০৭

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: সুলতানিরা বাঙালি নয় তবে তাদের বংশধররা বাঙালি জাতিগোষ্ঠীরই অংশ। বাংলার মুসলিমরা স্বাধীনচেতা কেন? কারণ তারা ঈশা খাঁ, আলীবর্দী ও সুলতানদের রক্ত বহন করে।

বিপরীতে বাঙালি হিন্দুরা পরাধীন মানসিকতার। তারা সবসময় অবাঙালি মনিব বেছে নিয়েছে। তাদের কোন স্বাধীন ভূখন্ড নেই।

অনেক উদাহরণ দেয়া যায়, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় মুসলিম বাঙালি ও হিন্দু বাঙালি দুটো আলাদা জাতি। একটি শাসন করে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে। অন্যটি হানাদারদের হাতে হাত মিলিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে।

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪০

নরাধম বলেছেন: অনেক মন্তব্য করে ফেলেছেন দেখই, সব পড়া হয়নি এখনো। কিন্তু বাঙালি মুসলমানরা স্বাধীনচেতা বললেন, তাদেরকে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বানালেন, কিন্তু এ দিকে ৭১-এ জামাতিরা তো পাকিস্তানের পক্ষে গেছিল, তাহলে তারা পরাধীনতার পক্ষ নিল কেন তখন? আপনার মন্তব্য কাম্য।

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪০

নরাধম বলেছেন: মীর জাফর, মীর কাশিম এরা কিন্তু মুসলমান ছিল, মোহনলাল ছিলেন হিন্দু।

১৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:১২

ঝড়-বাতাসের কথা... বলেছেন: সুলতানিরা বাঙালি না হলেও তারা বাংলার স্বাধীনতা এবং ভাষার জন্য বহু অবদান রেখেছিলেন। তাদের হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস শুরু হয়েছে। তারা বাঙালি জাতিসত্ত্বার জনক, এটি সত্য।

আফটার অল, বাংলা, বাঙালি এসব শব্দের জনক কিন্তু মুসলিমরা। হিন্দুরা নয়।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৯

নরাধম বলেছেন: কি নিয়ে কথা হচ্ছিল সেটাই ভুলে গিয়েছি এতদিন পর। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

বাঙলি বলেছেন: একজন শিক্ষার্থীর ওপর তার শিক্ষকের অনেক অবদান থাকে, তাই বলে শিক্ষক সব শিক্ষার্থীর বাবা হয়ে যান না, এ কথাটা না বুঝলে আপনি সত্যিকারের নাদান।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৯

নরাধম বলেছেন: আচ্ছা, ধন্যবাদ।

১৬| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪

শিক্ষানবিস বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
আমার প্রিয় শিক্ষক আল্লাম শফী প্রায়ই বলেতন : দু রঙ্গি কো ছোড় দো এক রঙ্গি হো যা - ছরাছর মোম হো ইয়া ছঙ হো যা

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১০

নরাধম বলেছেন: উর্দুটা বুঝিনাই।

১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

মুহিব বলেছেন: ভাই, একটু মেইল করবেন প্লিজ। [email protected]

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫০

মিতক্ষরা বলেছেন: একই কনটেন্ট। কিন্তু আপনি সিরিয়াসলি লিখেছেন, আর সাইফ শেরিফ লিখেছেন স্যাটায়ার হিসেবে।

বাংগালী হলেই ইসলাম বিসর্জন দিতে হবে - এ আশা করাটা বোকামি। অথচ অনেকেই এমন দাবী করেন। কেন ভাবতে পারে না, বাংগালীদের মধ্যেও নানা মতের মানুষ থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.