নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত দোষ, ধর্মঘোষ!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৪

রিচার্ড ডকিনসের "নব্য নাস্তিক্যবাদের" আড়ালে ইসলাম-বিদ্বেষী মৌলবাদি নাস্তিক্যবাদের ব্যাপক প্রচার-প্রসার ঘটেছে গত ১০-১২ বছরে। নব্য-নাস্তিক্যবাদের প্রাথমিক প্রবক্তা ডকিনস, হিচেনস, স্যাম হ্যারিস প্রমুখকে নাস্তিক নারীবাদীরা আবার চরম নারীবিদ্বেষীও মনে করে। অথচ ডকিনস প্রমুখ ধর্মগুলোকেই নারীবিদ্বেষী বলে!! সাম্প্রতিককালে নাস্তিকদের সম্মেলনে নারীদেরকে যৌন হয়রানি একটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে, কিন্তু ডকিনস সেসব হয়রানিকে অগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে (trivialize করে) নারীবাদীদের পেরেশানির কারন হয়েছে। নারীদের যৌন হয়রানি তো আছেই, সাম্প্রতিক নাস্তিক সম্মেলনগুলোতে পুরুষদেরও সমকামী নাস্তিকরা যৌনতার জন্য তাড়া করা শুরু করেছে। কথাবার্তা শুনে মনে হয় নাস্তিক সম্মেলনে যৌনকাতর নাস্তিক পুরুষরা ক্রমাণ্বয়ে পুরুষ এবং নারী দু-লিঙ্গেরই নাস্তিকদেরকে তাদের মারণাস্ত্র পুরুষাঙ্গ হাতে নিয়ে অমানসিকভাবে তাড়া করছে, পশুর মত নিরীহ নাস্তিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। অনেক নারী এবং পুরুষ নাস্তিক তাই নিজেদের সতীত্ব রক্ষার্থে নাস্তিক সম্মেলন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিছে।



তবে আমার এ পোস্টের প্রসংগ ভিন্ন। সাধারণত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যারা পশ্চিমা ধ্যানধারণায় প্রভাবিত এবং সেক্যুলার বলে নিজেদেরকে পরিচয় দেন, তারা বিশ্বের সব সমস্যার জন্য ধর্মকে দায়ী করেন। উপরোল্লেখিত নাস্তিকগন এবং তাদের চেলারা এই ধর্মবিদ্বেষী আন্দোলনের অগ্রপথিক। তাদের মুখ থেকে প্রায়ই শোনা যায় "ধর্ম সকল যুদ্ধ-সন্ত্রাসের" জন্য দায়ী। উল্লেখ্য এই কথাটার কোন ভিত্তি নেই, পুরাটাই অন্ধবিশ্বাস/মিথ। প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অধিকার আদায়, অবিচারের বিরুদ্ধে এবং লোভের জন্য সব যুদ্ধ হয়। ধর্ম অনেক সময় পার্শ-অনুঘটক হিসেবে কাজ করে, ধর্ম যেখানে অনুপস্থিত সেখানে সংস্কৃতি, জাতীয়তা, জাতি ইত্যাকার নানা শ্রেণীবিভেদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।



তবে এসব হল আপেক্ষিক পর্যবেক্ষণ। ধর্ম সব (বা অধিকাংশ) যুদ্ধের জন্য দায়ী কিনা সেটা বুঝার জন্য আমাদের বাস্তবিক প্রমাণ (empirical evidence) লাগবে। এরকম বাস্তবিক প্রমাণ কিন্তু অধর্মই যত নষ্ঠের মূল বলে প্রমাণ করে। যুদ্ধের বিশ্বকোষ (Encyclopedia of wars)-এ স্মরণকালের ইতিহাসে যত যুদ্ধ হয়েছে তার হিসেব করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে মানব ইতিহাসে যত যুদ্ধের হিসেব পাওয়া যায় তার মাত্র শতকরা সাত ভাগ ধর্মের সাথে কোন না কোন সংস্পর্শ আছে, বাকি তিরানব্বই ভাগই ধর্মের সাথে সমপর্কহীন কারনে হয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা এসব যুদ্ধে যত মানুষ মারা গেছে তার মাত্র দু-ভাগ ধর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত যুদ্ধের কারনে হয়েছে। তার মানে যুদ্ধের ইতিহাসে যত হত্যাযজ্ঞ হয়েছে তার আটানব্বই শতাংশই ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন। তবুও কেউ যদি বলে ধর্মের কারনে সব যুদ্ধ হয় তাহলে সে বেকুব বা অন্ধবিশ্বাসী, মৌলবাদী ছাড়া কিছুই নয়।



মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে ধর্মহীন শতক ছিল বিংশ শতক। এই শতকে ইউরোপীয় নানারকম আন্দোলনের প্রভাবে ধর্ম অন্য যেকোন শতকের তুলনায় সবচেয়ে কম প্রভাব বিস্তার করেছে। বিপরীতে অধর্ম, নাস্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সাম্যবাদ নানারকম আন্দোলন শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী শতক হচ্ছে বিংশ শতক, এ শতকে দুটা বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে, অনেক বড় বড় গণহত্যা হয়েছে, স্টালিন-মাও-পলপট গংরা লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, শতকের শুরুতে ইয়াং টার্ক নামে ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমা ধ্যান-ধারণায় উদ্ধুদ্ধ লোকের জন্য আর্মেনিয় গণহত্যা হয়েছে। জাতীয়তাবাদের জন্য বিশ্বযুদ্ধে কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে, কম্যুনিজমের জন্য মারা গেছে আরো বেশি লোক। উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশসমূহে ধর্মনিরপেক্ষ সৈরশাসকরা নিজেদের দেশের মানুষদেরকে অত্যাচার-অবিচারে জর্জরিত করেছে। এসব কিছুই হয়েছে ধর্মহীনতার প্রেক্ষাপটে, ধর্মকে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফেলে দেওয়ার পরে।





ধর্মহীনতার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে পরিবেশ। ধর্মহীন মানুষ তার সবর্বশক্তি দিয়ে প্রকৃতিকে বশে আনতে চেয়েছে, শিল্পের অগ্রগতির জন্য সারাবিশ্বের সমস্ত প্রার্কৃতিক সম্পদকে কুক্ষিগত করে বস্তুগত উন্নতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছে, এতে লক্ষ লক্ষ প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে, পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিপদজনক পর্যায়ে চলে গেছে। ধর্মহীন মানুষ যদি প্রকৃতিকে এভাবে ধর্ষণ করতে থাকে তাহলে মানব প্রজাতি এ বিশ্বে আর এক শতকও টিকতে পারবেনা। ধর্মহীনতা মূলত মানবজাতিকে তার বিলোপের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পক্ষান্তরে সকল ধর্মই প্রকৃতিকে সম্মান করতে শেখায়, প্রকৃতিকে দাস বানিয়ে মানবসেবার লোহবর্ম না পড়িয়ে বরং তার সাথে সহাবস্থান শেখায়।



ধর্মের কারনে নানাসময়ে অনেক সন্ত্রাস হয়েছে, হচ্ছে,অস্বীকার করার উপায় নেই। বৈশ্বিক উগ্রবাদ একটা বড় সমস্যা। কিন্তু অধর্মের কারনে যত সমস্যা-সংঘর্ষ-যুদ্ধবিগ্রহ হয়েছে, হচ্ছে সেসবের তুলনায় ধর্মের কারনে সমস্যা মূলত গণনারও বাইরে। এটা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু না, ফ্যাক্ট-এভিডেন্স এটাই বলে। কেউ এর বিপরিতে বললে তাকে প্রমাণ-ফ্যাক্টস দিয়ে সেটা সমর্থন করতে হবে।



মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৮

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

মিতাহামিদা০০৭ বলেছেন: জয় গুরু ! চালিয়ে যান ! আপনার মতো মুক্তমনা ২/৪ টে নয় , একজনই যথেষ্ট!
এমন দীক্ষা আরো চাই ! কজন পারে এমন স্বচ্ছ হিসাব দিতে ? এই বিরান ময়দানে এমন নরাধম গুরুর শিষ্যত্ব লাভে আগ্রহী ! গুরু দক্ষিণা কি দিব জানিনা, শুধু অবারিত শান্তি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক আপনার উপর, এই শুভকামনা সর্বদা !
এমন লিখা আরো চাই !

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

মিতাহামিদা০০৭ বলেছেন: জয় গুরু ! চালিয়ে যান ! আপনার মতো মুক্তমনা ২/৪ টে নয় , একজনই যথেষ্ট!
এমন দীক্ষা আরো চাই ! কজন পারে এমন স্বচ্ছ হিসাব দিতে ? এই বিরান ময়দানে এমন নরাধম গুরুর শিষ্যত্ব লাভে আগ্রহী ! গুরু দক্ষিণা কি দিব জানিনা, শুধু অবারিত শান্তি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক আপনার উপর, এই শুভকামনা সর্বদা !
এমন লিখা আরো চাই !

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৯

নরাধম বলেছেন: হাহাহা, আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

পালের গোদা বলেছেন: "ধর্মের কারনে নানাসময়ে অনেক সন্ত্রাস হয়েছে, হচ্ছে,অস্বীকার করার উপায় নেই। বৈশ্বিক উগ্রবাদ একটা বড় সমস্যা।"

এনাফ সেড। ৭% কে ঠিক নগন্য বলতে পারছি না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০

নরাধম বলেছেন: সেটাই, কিন্তু অধর্মের কারনে বাকি ৯৩%-কে নগন্য বলতে পারছেন!! বা বাকি ৯৮% মৃত্যু ধর্মহীনতার কারনে হচ্ছে সেটাকে নগন্য মানছেন। মাইরি দাদা, কি যুক্তির বলিহারি।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

বিপ্লবী বেদুঈন বলেছেন: গুরু চালিয়ে যান! যখন যেভাবে যেদিক থেকে আঘাত আসবে ঠিক তার থেকে কঠোর ভাবে তা প্রতিহত করা হবে!!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪১

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

দারুণ লিখেছেন।++

এরকম লেখা আরো দিন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪১

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রিফাত ২০১০ বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪১

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০

মিতক্ষরা বলেছেন: কত দিন পরে লিখলেন। ভাল আছেন তো?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪২

নরাধম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভাল। আপনি?
ঃ্হ্যাঁ অনেকদিন পর। ব্লগে আসার সময় পাইনা বা আগ্রহও সেরকম নাই। ভাল থাকুন।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৬

মিতক্ষরা বলেছেন: আমি ভাল আছি।

হাস্যকর বিষয় হল অভিজিত রায়কে ইসলাম বিদ্বেষী বলেছি বলে আমি এই ব্লগে জেনারেল। অভিজিৎ নিজে সারা জীবন মহানবী (সা) কে পেডোফাইল, খুনী, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক বলে দাবী করল, তার নিজের রচনায় যা এসেছে অসংখ্যবার। এখন অভিজিতের সেই পরিচয় মুছে দিয়ে তাকে মুক্তবুদ্ধির অতিমানব বানানোর একটি সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

হত্যাকান্ড সর্বাবস্থায় নিন্দনীয়। কিন্তু নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হলেই কেউ মুক্তবুদ্ধির অতিমানব হয়ে যায় না। এই লেখাটুকু এই সামহোয়ার ব্লগের মডারেটরদের কাছে আপত্তিকর ঠেকেছে। তো এরা কি করে নিজেদের মুক্তবুদ্ধির বলে দাবী করে?

মুক্তমনার শুরুর কথা আমি ভুলে যাই নি। একের পর এক প্রোপাগান্ডা মূলক লেখা কি ওখানে ছাপা হয় নি? ইয়াহু গ্রুপটা খুলে দিক না। সব প্রমান ওখানে রয়েছে।

হয়ত এই মন্তব্যটা করার জন্য আমি ব্যান হয়ে যেতে পারি। তাতে কি? আমি তো মিথ্যা কথা বলিনি। সত্য কথাগুলো বড় তিতা মনে হয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

নরাধম বলেছেন: অভিজিত নিজে চরম মৌলবাদি ঘৃণাবাদি ছিল, তাকে অন্য মৌলবাদিরা মারছে অথবা দেশে জঙ্গিবাদি আছে সেটা কায়েম করে ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বার্থবাদিরা মারছে। অভিজিত এবং তার সমগোত্রীয়দের অনুদান-প্রাপ্ত ঘৃণার প্রচার এবং অন্য মানুষের মৃত্যুতে তাদের নিজেদের উপহাস উল্লাসের মতই এখন তাকে মারাতে অনেকে খুশি হইছে। একশ্রেনীর ঘৃণাবাদীদের সাথে অন্য মতাদর্শের ঘৃণাবাদীদের টক্কর চলছে। অভিজিত নিজে আরো হাজার জনকে মৌলবাদি ঘৃণাবাদি করে রেখে গেছে, তাই ঘৃণার এই চর্চা অব্যাহত থাকবে। তবুও একজন মানুষ মারা গেছে, তা সে ঘৃণাবাদি হোক, সেটা খারাপ লাগছে। খবরটা শুনে এবং লাশ দেখে খুবই বিমর্ষ লেগেছিল অনেকক্ষণ। ঘৃণার চর্চার জন্য মৃত্যু উপত্যকা হয়ে গেছে আমার দেশ। তবে এখন যারা মায়াকান্না করছে তারাই নগ্ন উল্লাস করেছিল মাদ্রাসার এতীম ছাত্রদের মৃত্যুতে।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪৬

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: যথারীতি ব্রিলিয়ান্ট!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: আহারে মুসলমান! আহারে ইসলাম! আহারে শান্তির ধর্ম

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ ইসলাম যে শান্তির ধর্ম সেটামেনে নেওয়াতে। অনেকেই বুঝতে চায় না!

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:৪৭

মিতাহামিদা০০৭ বলেছেন: দাদা! কিছুদিন আগে একজন প্রবাসী তার বোন সহ এভাবেই ক্যাম্পাসে রক্তাক্ত হয়েছিলেন ! তিনি তার বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে সোনার ছেলেদের হাতে এতটাই রক্তাক্ত হয়েছিলেন যে অভিজিতের মতো মারাই যেতেন ! ফেবুতে অনেকেই সেটা পড়েছিলেন ! তার সে করুন বর্ণনা চোখে পানি এসে গেছিলো !তিনি যদি মারা যেতেন , তাহলে অভিজিতের মতো কি এতো আলোড়ন সৃষ্টি হতো ? আপনার কি মত? আমার তো মনে হয় হতো না !কারণ তিনি তো অভিজিতের মতো ইসলাম নিধনের শপথ করেন নি ! হয়তো নিরবেই তার জানাজার পর সব শান্ত হয়ে যেত ! সেদিন আরেফিনরা যদি দায়ীত্ব নিয়ে সেই পশুগুলোকে খুঁজে শাস্তি দিত তাহলে হয়তো অভিজিতকে এভাবে মরতে হতো না ! কি বলেন ভাইয়া ?
আমরা ক্রস ফায়ারে আর পেট্রোল বোমায় ও আর কোন অভিজিত বা আবদুল্লাহ , কারো মৃত্যু চাই না ! এর দায় পুরোটাই অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর !
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক ! আপনি স্বয়ং নিজেকে ভালো রাখতেপারেন না , তাই সবার মতো বলতে পারলাম না ভালো থাকবেন ! ভালো রাখা যার কাজ তার উপরই দায়ীত্বটুকু না হয় ছেড়ে দিলাম !

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

নরাধম বলেছেন: অভিজিতের জন্যও অনলাইনে কিছু উগ্রবাদিরা মায়াকান্না করছে আর কি, কিন্তু বাস্তবে খুব বেশি মানুষ তার জন্য দুঃখিত না মনে হয়। এর কারন হচ্ছে অভিজিতরা টক্সিক মানুষ, এরা মানুষের কাছ থেকে সব প্রাণশক্তি কেড়ে নেয়। নেগেটিভ মানুষরা শুধু নেগেটিভ মানুষদেরকে আকর্ষণ করে, অন্যরা তাদের ধারেপাশে গেলে বিমর্ষ হয়ে পড়ে। এজন্য দেখেন আ'লীগ-বিএনপি কেউ তার মৃত্যুর ব্যাপারে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এর কারন হচ্ছে অভিজিতের রাজনৈতিক মূল্য নেগেটিভ। উগ্রবাদি নাস্তিকরা এখন ব্যস্ত কিভাবে অভিজিতের মৌলবাদি লেখাগুলো মানুষের হাতে না যায়, যেহেতু এসব হাতে গেলে ভদ্র নাস্তিকরাও অভিজিতকে ঘৃণা করবে, মুসলমানদের কথা বাদই দিলাম। নাস্তিকদের মধ্যে যারা ভদ্র এবং টক্সিক না, তারাও তেমন চিন্তিত বা দুঃখিত না অভিজিতের মৃত্যু নিয়ে। নেগেটিভ মানুষ কারও হৃদয়ে প্রচন্ড ভালবাসা জাগায় না।
অভিজিত ছিল নব্য সাম্রাজ্যবাদীদের, নিও ওয়ার্ল্ড অর্ডার কায়েমের ইচ্ছুক হাতিয়ার এবং ধ্বজাধারী, এদের স্বার্থ রক্ষা করাই অভিজিতদের কাজ। এদের স্বার্থ রক্ষা করে অভিজিতরা উপকৃত হয়, নিজের আখের গোচায়। তাই অভিজিতের মৃত্যুতে নব্য সাম্রাজ্যবাদীরা গোস্বা করেছে, তারা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



নাস্তিকতা বলতে কিছু নেই বলে আমার মনে হয়।

মানুষ সবকিছুর ব্যখ্যা করছে ক্রমেই।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৭

নরাধম বলেছেন: মানুষ আসলে কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারে না তেমন, মানুষ যা জানে বা জানার ক্ষমতা রাখে সেটা যা জানেনা তার তুলনায় ০.০০০০০০০০১ শতাংশও না। মানুষ এখনও তার নিজেকেও বুঝেনা, নিজের শরীরবৃত্তিয় কর্মকান্ডকেও বুঝেনা, নিজের স্বপ্নকেও জানেনা।

তবে মানুষ একটা জিনিস বুঝতে পারছে, তারা যতই জানতেছে ততই কত বেশি জানেনা সেটা জানতে পারছে। সেটা তাকে আরো নম্র করে, এজন্যই জ্ঞানী লোকরা এত হাম্বল হয়।

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ইসলাম ধর্ম ভাল না মন্দ সে বিষয়ে অমুসলিমরা কী কী বললো সেটা খুব গুরুত্বের সাথে নিই । অনেক মডারেট মুসলিমও চান ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যা ও কায়দা-কানুন গুলো যুগের সাথে এমনভাবে বদলাক যাতে অমুসলিমরা পাল্টা প্রশ্ন বা বিদ্বেষ ছড়াতে না পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই গতকাল এক জুম্মার খুতবায় শুনলাম সাহসী এক কথা---

ইহুদি-খ্রিস্টানরা সবসময় চাইবে এবং দাবি করবে তাদের মত করেই মুসলিমদের চলতে হবে, তাহলেই বিবাদ মিটে যাবে। কিন্তু আসল ঘটনা হয় খ্রিস্টান-ইহুদিদের পছন্দ মত চললেও তাদের ঘৃণা-বিদ্বেষের বাইরে আসা সম্ভব না । তাদের বিরোধিতা সর্বক্ষেত্রেই থাকবে।

কাজেই আমাদের উচিৎ খ্রিস্টান-ইহুদিদের খুশি করার ব্যর্থ চেষ্টা না করে আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টা করা।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:০৬

নরাধম বলেছেন: আমার মনে হয় সমস্যাটা ইহুদী-খ্রিস্টানদের থেকেও পশ্চিমা সেক্যুলারিজম দ্বারা প্রভাবিত আধুনিক শিক্ষিত মুসলমানদের নিয়ে। এদের আত্মপরিচয়ে প্রচন্ড সমস্যা, পশ্চিমারা কি বলল এবং পশ্চিমাদের ঠিক করে দেওয়া নৈতিকতার স্ট্যান্ডার্ডকে ধ্রুব ধরে এরা সবকিছুকে দেখে, মূলত পশ্চিমাদের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার চোখ দিয়েই তারা সবকিছু বিচার করে। পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে তারা বিশাল সংখ্যক শিক্ষিত মুসলিমকে নিজেদের তাঁবেদার বানাতে পেরেছে, অথচ এই তাঁবেদাররা সেটা নিজেরাও জানেনা যে তারা তাঁবেদার। তারা সবসময় হাত কচলাতে থাকে পশ্চিমাদের দেখলে, কখন জানি সাদা প্রভুরা দোষ ধরবে এই ভয়ে থাকে।

অথচ পশ্চিমা সভ্যতা মানেই ডাকাতদের সভ্যতা, সাদা মানেই মূলত বর্বর ডাকাতদের বংশধর। ডাকাতদের শিখানো নৈতিকতার মান দিয়ে আমি অন্য কাউকে বিচার করতে রাজি না, নিজেদেরকে তো নয়ই।

বর্তমান বিশ্বে যত সমস্যা তার সব সম্যার জন্য পশ্চিমারা দায়ী, সব সমস্যার মূলে গেলে সেটঐ বড় সমস্যা। এই জিনিসট বুঝার মত খাড়া মেরুদন্ড পশ্চিমা শিক্ষিত সেক্যুলারদের অনেকেরই নাই, অনেকের থাকলেও অন্ধ তারা।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নাস্তিক বলতে কিছু নেই।

১৬| ০১ লা মে, ২০১৫ ভোর ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম নিজকে লজিক্যালি ব্যাখ্যা করতে পারলে ধর্ম বদলাবে না কোনদিন।

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:১১

নরাধম বলেছেন: কি আবুল তাবুল বকে যাচ্ছেন। পোস্টের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।

১৭| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনার পোস্ট কিসের উপর?
এটা কি তাবিজের মত বহু উদ্দেশ্যে লেখা?

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

নরাধম বলেছেন: অ, আপনি আমার পোস্ট কিসের উপর সেটা বুঝতে পারেন নি এখনো, এম্নিতেই লেদাচ্ছেন? চেষ্টা করে যান, বেশ কয়েকবার পড়েন, না বুঝলে বানান করে করে পড়েন। একসময় হয়ত বুঝে যাবেন।

১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:০৯

মাসূদ রানা বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটি :)

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি গত শতাব্দীতে বসবাস করছেন, মনে হয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

নরাধম বলেছেন: আমি কোন শতাব্দীতে বসবাস করছি সেটা এ পোস্টে অপ্রাসংগিক। তাছাড়া আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি খুব নিম্নমানের, তাই আপনার সাথে কথা বলার আগ্রহ পাচ্ছিনা।

২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

কোলাহল বলেছেন: বানান করে পড়তেছি। দেখি কিছু বোঝা যায় কিনা!

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

আছিমভ বলেছেন: অনেক ভাল লেখা....+++

২২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫১

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: (ক)যুদ্ধ:(মানব ইতিহাসে একটি চরম বাস্তবতা)
1.ধর্মের সাথে সমপর্কহীন কারনে যুদ্ধ
2.ধর্মের কারনে যুদ্ধ
এখানে ধর্ম বলতে কি বুঝাচ্ছেন বা কোন উপাদানকে বুঝাচ্ছেন?
তাহলে ধর্মের নামে শান্তি না শান্তির নামে ধর্ম!
(খ)পরিবেশ ও শিল্পান্নোয়ন/বস্তুবাদ এর সম্পর্ক ধনাত্মক না ঋণাত্মক সেটা ধার্মিকতা দিয়ে নির্ধারিত হলে
1. ধর্ম হলে ধনাত্মক ; তো সেই ধর্মের স্বরূপ কেমন হবে বা সেটা ইউটোপিয়া হবে কিনা এবং মানব ইতিহাসে এমন ধর্মানুসারী জাতির উদাহরণ আছে কী?
2. ধর্মহীন হলে ঋনাত্মক; এই বাস্তবতাই তো ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়।
তাহলে কুরানে উল্লেখিত বিভিন্ন জাতির ধ্বংসের কারন ধর্মহীনতা নাকি বস্তুবাদ নাকি উভয়ই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.