নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানবাদ কি ঘৃণার আর গণহত্যার জন্ম দিতে পারে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

ধর্ম কিভাবে মরালিটি/নৈতিকতার মানদন্ড ঠিক করে দেয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম আগের পোস্টে। সেখানে বলেছিলাম ধর্ম ব্যাতিরেকে কোনভাবেই কোনটা নৈতিক আর কোনটা অনৈতিক সেটা জানা/বুঝা সম্ভব না। আগের পোস্ট থেকে কোট করছি, "ধর্মের নৈতিক রূপরেখা ছাড়া আপনি কোনমতেই বলতে পারবেননা মায়ের সাথে সন্তানের যৌনসম্পর্ক অনৈতিক। তেমনি বিয়েপূর্ব যৌনসম্পর্ক নৈতিক নাকি অনৈতিক সেটাও ধর্মের সাহায্য ছাড়া বলা সম্ভব না। সমকামিতা নৈতিক না অনৈতিক সেটাও ধর্মের সাহায্য ছাড়া বলা সম্ভব না। মূলত কোন কিছু ভাল না খারাপ, নৈতিক না অনৈতিক সেটা শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার অস্থিত্বকে স্বীকার করে নিয়ে তার প্রদত্ত বিধানমালাকে মেনে নেওয়া ছাড়া বলা সম্ভব না।"

এসবই ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির আন্তঃসম্পর্কে নৈতিকতা নির্ধারণে ধর্মবিহীন নৈতিকতার মানদন্ডের সমস্যা নিয়ে আলোচনা। এখন আমি জাতির সাথে জাতির বা এক মানব সমাজের সাথে অন্য মানব সমাজের ক্রিয়াকর্মে ধর্মবিহীন মানদন্ডের সমস্যার কথা বিবেচনা করব।

০১.
রিচার্ড ডকিনস দ্বারা অনুপ্রাণিত মৌলবাদি নাস্তিকরা বলে ধর্মীয় নৈতিকতার মানদন্ডের প্রয়োজন নেই, মানুষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে নৈতিকতার মানদন্ড ঠিক করতে পারবে। আব্রাহামিক রিলিজিয়ানগুলো বাদ দিলে মানব সৃষ্টির কাহিনীতে বিজ্ঞানভিত্তিক ন্যাচারেল সিলেকশানের মাধ্যমে বিবর্তনপ্রক্রিয়া কেই সামনে আনতে হয়। এই তত্ত্বের শুধু বৈজ্ঞানিক না, বড় রকমের দার্শনিক এবং নৈতিক মর্ম আছে। সেটা হচ্ছে যে কোন কিছু নৈতিক যদি সেটা সমাজের শক্তিশালী শ্রেণীরা নিজেদের স্বার্থে করে। মানে মানুষ তার নিজের স্বার্থের জন্য, সারভাইভালের জন্য যে কোন কিছু করতে পারবে। মানুষের মধ্যে যে জাতি শক্তিশালী সে দূর্বল জাতিকে কোন কারন ছাড়াই নিশ্চিহ্ণ করে দিতে পারবে, এবং সেটাই নৈতিক। আরো কনক্রিট উদাহরন দিচ্ছি। গত পাঁচশ বছরে সাদারা সবচেয়ে সফল জাতি ছিল, তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিল। সাথে সাথে তারা সারাবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের জায়গাজমি ঘরবাড়ি দখল করেছে, তাদের মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, তাদের সম্পত্তি দখল করেছে। তারা কোটি কোটি কাল মানুষকে দাসবৃত্তিতে বাধ্য করেছে, কোটি কোটি আদিবাসিদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা করেছে। গত পাঁচশত বছরে সাদারা যতবেশি ক্রাইম করেছে, অন্যসব জাতিকে যদি আপনি একত্রে আনেন তাদের সারা ইতিহাসের সব ক্রাইম সাদাদের গত পাঁচশ বছরের ক্রাইমের ১ শতাংশও হবেনা। ধর্মভিত্তিক নৈতিকতার মানদন্ড ছাড়া এসব ক্রাইম সম্পূর্ণভাবে নৈতিক, কেননা সাদারা সবচেয়ে সক্ষম জাতি ছিল, আর বিবর্তনবাদের মূল নীতি হল সক্ষমদের শোষণ জায়েজ।

০২.
এটা খালি ফিলজফিকাল কথা না। ধর্মবিহীন এই বিবর্তনবাদ জন্ম দিয়েছিল বৈজ্ঞানিক জাতিবাদের (সায়েন্টিফিক রেইসিজম)। বিংশ শতকের শুরুর দিকে সাদা বিজ্ঞানীদের বড় অংশ বিশ্বাস করত সাদারা বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে। তাই তারা যদি অন্য জাতিকে বিলোপ করে, তাদের উপর গণহত্যা চালায় সেসব নৈতিক কাজ হবে, সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্টের মর্মানুসারে। মানে ব্রিটিশরা যে বাংলাদেশীদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে, কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করেছে, বাংলাদেশীদের সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে, চাষীদের নীলচাষে বাধ্য করেছে, একটা উন্নত/ধনী সভ্যতাকে ২০০ বছরে পৃথিবীর গরীবতম সভ্যতায় পরিণত করেছে, এসবই বিবর্তনবাদপ্রসূত নৈতিকতার মানদন্ডে নৈতিক কাজ। সাদারা মূলত অন্যজাতিকে হত্যা করেছে, সেটা বাদ দিয়ে যদি নিজের জাতিকে হত্যা করার কথায় আসি, গত শতকে স্টালিন, মাও আর পলপট মিলে কমবেশি ১৫ কোটির মত নিজের দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, এবং সেটা তাদের দৃষ্টিতে নৈতিক ছিল।

০৩.
বৈজ্ঞানিক জাতিবাদের পরবর্তী পর্যায় হচ্ছে ইউজেনিকস। অনেক সাদা বিজ্ঞানীরা বিংশ শতকের শুরুতে এই তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিল। এই তত্ত্বানুসারে সমাজের কানা-লুলা-দূর্বল-প্রতিবন্ধীদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। তাই তাদেরকে হত্যা করতে হবে। কানা-লুলারা সমাজে কোন অবদান রাখছেনা, তাই তাদের বাঁচিয়ে রাখার মানে নাই। হত্যা যদি নাও করা হয়, তাদেরকে বিয়ে করতে দেওয়া যাবেনা, কেননা তারা হয়ত কানা-লুলা সন্তানপ্রসব করবে, আর সেটা সমাজের জন্য বোঝা। এই তত্ত্ব থেকেই জন্ম হয়েছিল হিটলারের আর্য্য জাতিবাদ। হিটলার বৈজ্ঞানিক জাতিবাদের ভক্ত ছিল। তার মতে যেহেতু জার্মানরা আর্য্যজাতি, তাই শুধু তারাই বেঁচে থাকবে এবং বংশবৃদ্ধি করবে, অন্যদেরকে কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করা হবে, এবং এটাই নৈতিক সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানবাদ/বিবর্তনবাদ অনুসারে। হিটলার তাই সমাজের কানা-লুলা-প্রতিবন্ধিদেরকে কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পে নিয়ে তাদেরকে গ্যাসের মাধ্যমে বাষ্পীভূত করার কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

০৪.
বৈজ্ঞানিক জাতিবাদের আরেকটা দিক হচ্ছে নারীদেরকে ঘরের মধ্যে বসে থাকতে হবে, তারা বাইরে কাজ করতে পারবেনা। বিবর্তনবাদের সামাজিক দিক হচ্ছে হাজার বছর ধরে নারীরা ঘরে থাকত, সন্তান-সন্ততি লালন-পালন করাই তাদের কাজ ছিল। পুরুষরা বাইরে কাজ করত, তারা পশু শিকার করত, খাবার-দাবার যোগাড় করত, তারা হান্টার-গেদারার ছিল। যেহেতু এইসব জিন নারী-পুরুষের মধ্যে বংশপরিক্রমায় এসেছে, তাই নারীর আপেক্ষিক সক্ষমতা সন্তানপালনে, ঘরের মধ্যে কাজ করাতে, বাইরের পাওয়ার-পলিটিকসে সে অপরিপক্ব। আর পুরুষরা বাইরের দুনিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে পরিপক্ক, তারা পাওয়ার-পলিটিকসে দক্ষ। তাই বিবর্তনবাদপ্রসূুত নৈতিকতা অনুসারে নারীকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে সমাজের কল্যানের জন্যই, পুরুষ বাইরে কাজ করবে, সেটাও নৈতিক সিদ্ধান্ত। এই ধারণাকে বলা যায় সায়েন্টিফিক সেক্সিজম।

০৫.
উপরের বর্ণিত ঘৃণ্য গণহত্যাকে, বৈজ্ঞানিক জাতিবাদ আর সেক্সিজমকে অনৈতিক বলা যাবে তখনই, যদি আমরা ধরে নিই যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন, এবং তিনিই কোনটা নৈতিক আর কোনটা অনৈতিক সেটা ঠিক করে দেবেন। যদি সেরকম এক সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নৈতিকতার মানদন্ড অনুসারে সকল মানুষ - সে কালা-লুলা-প্রতিবন্ধি হোক বা শারীরিক/মানসিকভাবে সক্ষম/অক্ষম হোক - সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে সমান হয় এবং প্রাণ নেওয়া/দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার সেই সৃষ্টিকর্তার হয়, তখনই উপরে বর্ণিত গণহত্যা, জাতিবাদ, সেক্সিজম অনৈতিক। অন্য কোন নৈতিকতার মানদন্ডে এরকম কোন সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব না।

তাই বুঝা যায়, মানুষ নিজেদের সামাজিক কল্যানের জন্য এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের তাগিদে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে হবে। তখনই আমরা কোনটা নৈতিক বা কোনটা অনৈতিক সে প্রশ্ন করার এবং সে দার্শনিক/সামাজিক সমস্যা সমাধান করার কথা ভাবতে পারি।

পরবর্তী মানবীয় সমস্যা হল সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ধরে নিলেও অনেকগুলো ধর্মের মধ্যে কোন ধর্মের নৈতিকতাকে আমরা মেনে নিব? সে বিষয়ে অন্য এক পোস্টে আলোচনা করার ইরাদা আছে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিজ্ঞান হলো জ্ঞানী মানুষদের লব্ধ জ্ঞান; ধর্ম হলো মানুষে আত্মসমর্পণ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

নরাধম বলেছেন: লেদানি শুরু করছেন আবার? খোঁয়াড়ে না ভরলে মনে হয় শান্তি নাই, ম্যাঁ ম্যাঁ করতেই থাকবেন।

"বিজ্ঞান হলো জ্ঞানী মানুষদের লব্ধ জ্ঞান; ধর্ম হলো মানুষে আত্মসমর্পণ" এইসব আজগুবি কথা কইথিকা শিখছেন?

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: জ্ঞানী মানুষদের লব্ধ জ্ঞান দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিনের সমীপে নিজেকে আত্মসমর্পণ করাই হোল ধর্ম ।

সুন্দর পোস্ট । প্রিয়তে নিলাম ।

অনেক ধন্যবাদ



২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান মানূষকে আলোতে নেয়।
ধর্ম মানূষকে অন্ধকারে নেয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২০

নরাধম বলেছেন: অ, তাই?

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনার আর চাঁদগাজীর খুনসুটি খুব ভালো লাগে। আমি অবস্য আপনার পক্ষে।
সব ধর্মই ভালো কথা বলে। যার যা ভালো লাগবে সে তাই মানুক। অপরকে বাঁশ দেয়ার দরকার কী?
আর যার ভালো লাগবে না সে কচু গাছে ঝুলে পড়ুক, না হয় কাঁঠল পাতার খোঁজ করুক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২২

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। চাঁদগাজীর বুদ্ধিমত্তা খুবই নিম্নশ্রেণীর, কিন্তু সেটা সে জানেনা। এরকম মানুষ খুবই বিরক্তিকর।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল লেখা।

নৈতিকতা একটি আপেক্ষিক বিষয়, সেটা স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্নতা দেখা যায়। ধর্মের উপর ভিত্তি করেই এক ধর্মে যা নৈতিক অন্য ধর্মে তা অনৈতিক। যদিও ধর্মের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া।

তবে শিরোনামটা 'ধর্ম কি ঘৃণার আর গণহত্যার জন্ম দিতে পারে?' হলে অালোচনাটা কেমন হত? উত্তরই বা কি হত?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৫

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

"ধর্মের উপর ভিত্তি করেই এক ধর্মে যা নৈতিক অন্য ধর্মে তা অনৈতিক। যদিও ধর্মের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া।" -- এটা ঠিক বলেছেন। নেক্সট পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

"তবে শিরোনামটা 'ধর্ম কি ঘৃণার আর গণহত্যার জন্ম দিতে পারে?' হলে অালোচনাটা কেমন হত? উত্তরই বা কি হত?"

এ বিষয়ে আপনি পোস্ট দেন, আলোচনা করা যাবে। তবে গত শতাব্দী ছিল সবচেয়ে ধর্মবিহীন শতাব্দী, এবং গত শতাব্দীর মানুষের জন্য সবচেয়ে যুদ্ধময় এবং ধ্বংসাত্মক শতাব্দী ছিল। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার প্রশ্নের উত্তর কি হতে পারে।

এ বিষয়ে আরো ডিটেলসে আমার পোস্ট আছে: Click This Link

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার ইরাদা আল্লাহ কবুল করুক। ভালো লাগলো , প্রিয়তে রাখলাম :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৬

নরাধম বলেছেন: আমিন!
আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

নতুন বলেছেন: ০১- সাদারা বিজ্ঞানবাদ না বরং বিভিন্ন দেশে খৃস্টিয়ান ধমের মিসনারী হিসেবেই সেইখানে গিয়েছিলো।
শুরুতে আফ্রিকার দাসত্বের পক্ষে বাইবেলের ব্যবহার করেছে তারা পরে অবশ্য অনেক পাদ্রী এই দাসত্বের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং তাদের এই কাজ দাসত্বের বিলুপ্তের জন্য অনেক কাজ করে।
http://www.bbc.co.uk/religion/religions/christianity/history/slavery_1.shtml

০৪- বিজ্ঞানবাদ কখনো নারীদের ঘরে রাখতে বললো !!! << আমিতো এখন পযন্ত বোরকা পরার জন্য বা নারীদের শুধুই ঘরে থেকে সন্তানের দেখাশুনার কোন বিজ্ঞানবাদীকে কথা বলতে দেখিনাই।
আমি তো ১৫ নারী বিজ্ঞানীর নাম জানি যারা নোবেল পাইছে।
http://mentalfloss.com/article/53186/15-women-who-have-won-science-nobel-prizes-marie-curie

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩০

নরাধম বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় কমেন্টের উত্তর নিচে বারিধারা ২ ভালভাবে দিয়েছে।

আপনার প্রথম কমেন্টের সাথে অনেকটাই একমত। পাদ্রীরা শেষে দাসত্ব বিলোপে কাজ করেছে সেটা তাদেরকে তাদের মতে ঈশ্বরপ্রদত্ত বাণী ছিল বলেই। শুধুমাত্র বিজ্ঞানবাদ দিয়ে এরকম কোন কনক্লুশানে পৌঁছানো সম্ভব না। মানে বিজ্ঞানবাদের মাধ্যমে অর্জিত লজিক বরং বলবে দাসত্ববাদ ভাল, খারাপ কিছু না, কেননা সেটা সক্ষমের অক্ষমকে শোষন জায়েজ করে।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

বারিধারা ২ বলেছেন: @নতুন, বিজ্ঞান কাউকে কিছু করতেও বলেনা, নিষেধো করেনা। বিজ্ঞান দেয় ধারণা, সেই ধারণার উপর গড়ে ওঠে যুক্তি। নারীর বাইরে না বের হবার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য হলঃ নারীর শরীর পরিশ্রমে অভ্যস্ত নয়, নারীর ত্বক বায়ু এবং তাপে অধিক সংবেদনশীল, নারী প্রজননে সবচেয়ে উপযুক্ত, তাই সন্তান জন্মদান এবং তাদের শিক্ষা দীক্ষা তথা দুনিয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তোলাই নারীদের একমাত্র কাজ। নারী দৈহিকভাবে দুর্বল ও খর্বকায় - তাই পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। নারী পুরুষের হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা হয়ে থাকে।

কাজেই বিজ্ঞানের যুক্তি অনুযায়ী নারীরা পুরুষের সমকক্ষ নয় - বাইরে যেতে হলে তাদেরকে ধর্মের আশ্রয় নিতে হয় - বোরখাই এই কাজে সবচেয়ে উপযোগী।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩০

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সামুব্লগ অনেক বদলে গেছে, ১০ বছর আগে ধর্ম নিয়ে লিখে অনেক বড় লেখক হয়েছিলেন অনেক ব্লগার, ওরা সবাই চলে গেছেন, এখন এসব নিয়ে ক্যাচাল হয় না, আপনিও ২/১টা পোষ্ট লিখে ক্লান্ত হয়ে যাবেন; এখন অন্য জেনারেশনের ব্লগারেরা দরকারী বিষয়ে লিখছেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৩

নরাধম বলেছেন: ধর্মের চেয়ে বেশি দরকারি কোন বিষয় নাই।

আর জনপ্রিয় হওয়ার কোন ইচ্ছে নেই, থাকলে ব্লগিংয়ে অনিয়মত হতাম না। একসময় অনেক জনপ্রিয় ছিলাম, এখনো কয়দিন চেষ্টা করলেই জনপ্রিয় হতে পারি, কিন্তু ওসবে কোন আগ্রহ নেই। একটা ব্লগে জনপ্রিয় হয়ে লাভ কি? এটা আমাকে খাওয়াবে নাকি পড়াবে?

আর এসব পোস্ট আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস, সেখানে অনেক আলোচনা হইছে, এখানে ব্লগারদের সাথেও শেয়ার করছি।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

নতুন বলেছেন: @ বারিধারা ২ << উপরে ১৫ জন নবেল জয়ী বিজ্ঞানী যারা নারী তাদের লিস্ট দিয়েছি... নারী শিক্ষা, নারীকে বাল্যবিবাহ না দিতে বিজ্ঞান সবাইকে উতসায়ীত করে....

আর আপনি পাইলেন যে বিজ্ঞানবাদ নারীদের ঘরে সন্তানপালনের জন্য রাখতে চায়.... :-B :-B :-B

আপনি সত্যি জিনিয়াস... এতো দূরদৃস্টি বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষেরই হয়নাই বলেই আমার মনে হয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৬

নরাধম বলেছেন: আপনি বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানবাদিতা, এ দুটাকে গুলিয়ে ফেলছেন। সেজন্যই ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে। বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই আসলে বিজ্ঞানবাদি না, কেননা তারা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা জানে। আবার বিজ্ঞানবাদীদের বড় অংশ বিজ্ঞান কি সেটা বুঝেওনা। যেমন বাংলাদেশে সেক্যুলার/নাস্তিক শ্রেণীদের বেশিরভাগই বাংলা/ইতিহাস/চারুকলা/সোসিওলজি পড়া লোক। অথচ বুয়েট/মেডিকেলে পড়া লোক খুব একটা বিজ্ঞানবাদি হয়না।

বিজ্ঞান একটা টুল, টুল কাউকে কিছু বলেনা, সে কাউকে ঘরে থাকতেও বলেনা, ঘর থেকে বের হতেও বলেনা। সে জড়বস্তু, তাকে যেভাবে ব্যবহার করবে সে সেভাবে ব্যবহৃত হবে।

আর বিজ্ঞানবাদিতা একটা মতাদর্শ, সেটার সামাজিক, নৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক, দার্শনিক দিক আছে।

বিজ্ঞানবাদিতা নিয়ে পড়ুন এখানে:

https://en.wikipedia.org/wiki/Scientism

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রথমত: এসব ধর্মীয় ক্যাচালকে ব্লগিং না বলে ম্যাঁওপ্যাঁও বলা হয় আজকাল; সময় বদলে গেছে!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:০১

নরাধম বলেছেন: সমস্যা নাই, ব্লগিং বলেন বা ম্যাঁওপ্যাঁও বলেন, কাজ একই, নিজের মতামত অন্যকে জানানো। নামে কিছু আসে যায় না।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

বারিধারা ২ বলেছেন: নতুন, আমি কইলাম কি, আর আপনের সারিন্দা বাজায় কি? আমি বলেছি বিজ্ঞান বলে নারীর শরীর পরিশ্রম বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজের উপযোগী নয়, কিন্তু বাচ্চা পালা আর সংসার সামলানোর উপযোগী। এর মধ্যে আপনি বিজ্ঞানবাদ পেলান কোথায়? বিজ্ঞানের কোন থিওরী নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করে বলুন তো? যুক্তিবিজ্ঞান তো বলে যে নারী বেশি শিক্ষিত হতে পুরুষের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর শরীর বিজ্ঞান বলে ১৬ বছর বয়েসে একটা মেয়ে সেক্স করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী - বিজ্ঞানের কোন থিওরী বলে বাল্যবিবাহ ক্ষতিকর? রবীন্দ্রনাথের সাথে মৃণালিনীর বিয়ে যখন হয়, তখন তিনি ৯ বছরের বালিকা। মেয়ে রেণুকা দেবীর বিয়ে দেন মাত্র সাড়ে ১০ বছর বয়সে - উনারা কি বিজ্ঞান কম জানতেন?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

নতুন বলেছেন: @ বারিধারা ২ << ভাই আপনি যখন বিজ্ঞান পড়ে বুঝলেন যে বাল্যবিবাহ ভাল... কারন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞান বেশি জানতেন তাই তিনি তার মেয়েকে ১০ বছরে বিয়ে দিয়েছিলন..... তাই আপনাকে সালাম জানিয়ে ক্ষমা চাইছি। আপনার সাথে বিজ্ঞানের আলোচনা করার ক্ষমতা সবার নাই :)

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

নরাধম বলেছেন: বিজ্ঞান বাল্যবিবাহ ভাল বা খারাপ কিছুই বলে না, বিশেষ করে বিজ্ঞানের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ খারাপ বলার কোন উপায়ই তো নেই। আপনি আসলে বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানবাদের পার্থক্যটা বুঝেন নি। খুবই দুঃখজনক যে আমাদের বেসিকেই সমস্যা অথচ আমরা আল্লাহ-ধর্ম-ইসলাম নিয়ে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি বেসিক না বুঝেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.