নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শত শত ধর্মের মধ্যে কোনটা সঠিক?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

আল্লাহ ইবলিসকে বললেন আদম (আঃ)-কে সিজদা করতে, অথচ আমরা জানি ইসলামে আল্লাহ বাদে অন্য কাউকে সিজদা করা শির্‌ক। আবার ধরেন ইসলামে বলে ভাইবোনে যৌনসম্পর্ক অনৈতিক, কিন্তু আদম (আঃ)-এর ছেলেমেয়েদের জন্য আল্লাহ এরকম সম্পর্ক জায়েজ করেছিল। তাহলে আল্লাহ প্রদত্ত নৈতিকতার মানদন্ডও একেক জায়গায় একেক রকম হচ্ছে। তাছাড়া আমরা জানি বিভিন্ন নবীর কাছে নাজিলকৃত ইসলামের মূল ভিত্তি একই হলেও নানাসময়ে তাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-আহকামের (শরীয়তের) মধ্যে পার্থক্য ছিল, মানে নৈতিকতার মানদন্ডে এখানেও সমস্যা আছে। তারমানে শুধু ইসলামের মধ্যেই নানাসময়ে নৈতিকতার মানদন্ড ভিন্ন।

আর আমরা যদি ইসলামে সীমাবদ্ধ না থেকে সবধর্মের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে একধর্মের নৈতিকতা একেকরকম। এমনকি একইধর্মের মধ্যেও সময়-স্থানভেদে নৈতিকতার পার্থক্য আছে। সনাতন ধর্মে একসময় সতীদাহ প্রচলিত ছিল, সেটা এখন কেউ নৈতিক মনে করেনা, বিধবা-বিবাহ অনৈতিক ছিল, সেটা এখন কমন প্র‌্যাক্টিস। তেমনি বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্ম এসবের মধ্যেও অনেককিছু একসময় নৈতিক ছিল যা এখন অনৈতিক, আবার অনেক কিছু একসময় অনৈতিক ছিল যা এখন নৈতিক। তাহলে কোনটাকে আমি নৈতিক ধরব?

আমার আগের দুই পোস্টে বলেছিলাম ধর্ম বাদ দিয়ে শুধু সেক্যুলার এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে নৈতিকতার মানদন্ড ঠিক করা সম্ভব না। অথচ দেখা যাচ্ছে ধর্মের নৈতিকতার মানদন্ডকে ধরে নিলেও আমরা একই সমস্যাই পড়ছি। এটা বেশ ভাবনার বিষয় এবং সেক্যুলার শিক্ষিত লোকদের আদি প্রশ্ন। এ পোস্টে আমি এ বিষয়ে আমার ভাবনা শেয়ার করব।

০১.
যে কোন সমস্যার মুলে রয়েছে ডেফিনিশান, আমরা যদি সংজ্ঞার ব্যাপারে পরিষ্কার হয়ে যায়, তাহলে অনেক কনফিউশানই দূর হয়ে যায়। ইসলাম মতে প্রথম মানবিক জ্ঞান হচ্ছে সংজ্ঞায়ন করতে শিখা। আদম (আঃ)-কে আল্লাহ "সংজ্ঞা" বা নাম শিখিয়েছিলেন, এবং প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন সংজ্ঞা নিয়ে। তেমনি দর্শনের বড় অংশ জুড়েই সংজ্ঞায়ন করার কাজ। আদতে কোন বিষয়কে খুব স্পষ্টভাবে (প্রিসাইসলি) সংজ্ঞায়ন করতে পারার মধ্যেই সে সমস্যা বুঝার সমাধান নিহিত, এজন্য আল্লাহ আদম (আঃ)-কে প্রথম সংজ্ঞার জ্ঞান দিয়েছিলেন।

আমি এখন নৈতিকতাকে সংজ্ঞায়িত করব: সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়ে, তিনি যেসময়ে যেটা করতে বলেন সেটাই নৈতিক, আর যেসময়ে যেটা করতে নিষেধ করেন সেটাই অনৈতিক। কেননা শুধু তিনিই অবজেকটিভ রিয়ালিটি, অন্যসবই সাব্জেক্টিভ। তাই সৃষ্টিকর্তার আদেশ/নিষেধই নৈতিকতা, এবং নৈতিকতা মীমাংসার এটাই একমাত্র অব্জেকিভ মানদন্ড।

এই ডেফিনিশান অনুসারে ইবলিসের উপর আল্লাহর আদেশ ছিল আদম (আঃ)-কে সিজদা করা, তাই সেটাই সে অবস্থায় তার জন্য নৈতিক ছিল। আমাদেরকে আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ব্যতিত কাউকে সিজদা না করতে, সেজন্য আদম (আঃ) বা এমনকি মুহম্মদ (সাঃ)-কেও আমরা সিজদা করাটা অনৈতিক। আবার মুসলমানদের জন্য শুকরের মাংশ খাওয়া নাজায়েজ, কিন্তু কারো কোন রোগের জন্য যদি পর্ক খেলে রোগ সারে তখন তার জন্য সেটা খাওয়া নৈতিক। এখানে একই সময়েও দুজন ভিন্ন মুসলমানের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নৈতিকতা অবস্থাভেদে ভিন্ন, কিন্তু সেটা আমি/আপনি ঠিক করছি না, ঠিক করছেন সৃষ্টিকর্তা। তেমনি আদম (আঃ) সন্তানরা জোড়া জোড়া হয়েছিল, এক ছেলে আর এক মেয়ে, এক জোড়ার ছেলেকে অন্য জোড়ার মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছিল, সেটা ছাড়া বংশবৃদ্ধির কোন ন্যাচারেল উপায় ছিল না। সেটা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত কমান্ড, তাই সেটাই আদম (আঃ)-এর সন্তানের জন্য নৈতিকতা। পরবর্তীতে এরকম সম্পর্ককে আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন, তাই সেটা অনৈতিক হয়ে গেল।

ধর্মের সংজ্ঞায়িত নৈতিকতার মানদন্ডে ধার্মিক মানুষ অনৈতিক কাজ করতে পারে, আবার নাস্তিক মানুষও নৈতিক কাজ করতে পারে। কিন্তু সেই বিচারে যাওয়ার জন্যও আপনার ধর্মপ্রদত্ত নৈতিকতার সংজ্ঞা লাগবে, সেক্যুলার কোন সংজ্ঞা দিয়ে আপনি সে বিচার করতে পারবেন না। যেমন অনেক ধর্মের অনুসারীরা ওপনিবেশবাদ, গণহত্যা, লুন্টন এসবে জড়িত ছিল, কিন্তু এসবকে যদি খারাপ বলেন সেটাও ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকেই শুধু বলা সম্ভব, সেক্যুলার কোন মানদন্ড থেকে না। ধর্মের মানদন্ডে ধার্মিক/নিধার্মিক সবাইকেই বিচার করা যায়, সেক্যুলার মানদন্ডে সেক্যুলার/ধার্মিক কাউকেই বিচার করা যায় না।

০২.
এখানে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে স্বষ্টিকর্তার সংজ্ঞায়িত নৈতিকতার মানদন্ডকে আমরা কিভাবে জানব? বিশেষ করে অনেক ধর্মই তো বলে তারা সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞায়িত নৈতিকতার মানদন্ডকেই মানদন্ড হিসেবে নেয়। হাজার হাজার ধর্মের মধ্যে কোন ধর্মের মানদন্ড সঠিক?

উল্লেখ্য ধর্মবিহীন মানদন্ডের চেয়ে ধর্মের মানদন্ড অনেক বেশি নৈর্ব্যক্তিক। কেননা সেক্যুলার মানদন্ড হবে জোর যার মুল্লুক তার, যার শক্তি আছে সেই ঠিক করবে দুর্বলের কি নৈতিকতা হবে। কোন ধর্মেই কিন্তু এরকম স্বৈরাচারি মানদন্ড স্বীকার করেনা। ধর্মগুলোর মধ্যে কমন অনেক বেশি, আনকমনের চেয়ে। তাই বিশ্বের সবগুলো ধর্মই বলে সত্য বলতে, অন্যের সেবা করতে, দূর্বলকে রক্ষা করতে। এই সহজ-সাধারণ কমন নৈতিকতাও কিন্তু আপনি সেক্যুলার নৈতিকতার মানদন্ড দিয়ে নির্ণয় করতে পারবেন না। তাই আপনি যদি কোন ধর্ম সঠিক সেটা বুঝতেও নাও পারেন, যে কোন ধর্ম অনুসরন করা সেক্যুলার/নাস্তিক হওয়ার চেয়ে নৈতিকতার দৃষ্টিতে শ্রেয়।

এখন কোন ধর্মের নৈতিকতার মানদন্ড সঠিক সেটা বুঝার জন্য আমাদের নৈতিকতার ডেফিনিশানে ফিরে যেতে হবে। যেহেতু সৃষ্টিকর্তার আদেশ/নিষেধই নৈতিকতা, সেহেতু যে ধর্ম সৃষ্টিকর্তার হুকুমকে যত বেশি ধারণ করে সেটার মানদন্ড তত বেশি সঠিক।

এই মীমাংসার অনেকগুলো আস্পেক্ট আছে। প্রথমত, ক্যান্ডিডেট ধর্মের একটা কথ্য/লেখ্য ধর্মগ্রন্থ থাকতে হবে, ধর্মগ্রন্থ না থাকলে সেখানে যে কেউ যা ইচ্ছে তাই ঢুকাতে পারে এবং সেটাকেই সৃষ্টিকর্তার বাণী হিসেবে দাবি করতে পারে। দ্বিতীয়ত, সে ধর্মগ্রন্থ নিজেই দাবি করতে হবে যে এটা সৃষ্টিকর্তার আদেশ/নিষেধ ধারণ করে। যদি সেটা না করে, তাহলে সেরকম ধর্মগ্রন্থকে সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত মনে করার কোন কারন নেই। তৃতীয়ত, যে ধর্মগ্রন্থ আমাদের কাছে তার আদিরূপ থেকে যত বেশি অপরিবর্তিত অবস্থায় এসেছে, সে ধর্মগ্রন্থই সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত নৈতিকতাকে ততবেশি ধারণ করে। কোন ধর্মগ্রন্থে যদি মানুষ পরিবর্তন/পরিবর্ধন করে থাকে, তাহলে সে গ্রন্থে কোনটা আল্লাহর আর কোনটা স্বার্থান্বেষী মানুষের সেটা বুঝা মুশকিল। চতুর্থত, যদি ধর্মগ্রন্থ কোন ব্যক্তির কাছে এসে থাকে স্রষ্ঠার কাছ থেকে, তখন সে ব্যক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা/সিনসিয়ারিটি কতটুকু সেটা নির্ণয় করতে হবে। এরকম ব্যক্তি যদি মিথ্যাবাদী হয় বা ধর্মের মাধ্যমে নিজের দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিল করে, তাহলে সেটা আল্লাহর ধর্ম মানা কঠিন। সে ব্যক্তি তার বর্ণিত ধর্মের জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি সেটা দেখতে হবে, উক্ত ব্যক্তি কি তার ধর্মের জন্য জীবন দিতে রাজি আছে? শেষে, ধর্মগ্রন্থের মধ্যে কোন দাবি থাকলে সে দাবিসমূহ নৈর্ব্যক্তিক উপায়ে প্রমাণ/খন্ডন করা যায় কিনা সেটা দেখতে হবে। এই কয়েকটি টেস্টের মাধ্যমে আসলে সঠিক ধর্মের মানদন্ডে উপনীত হওয়া কঠিন না। এরপরে আরো অনেক ক্রাইটেরিয়া আছে যেসবের মাধ্যমে খুব রেশনাল উপায়ে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে সঠিক ধর্ম বেছে নেওয়া কঠিন কিছু না। লেখার আয়তন না বাড়ানোর জন্য আর সেখানে যাচ্ছিনা।

মুলকথা এখানেই শেষ। নীচে ইসলামিক থিয়লজিতে নৈতিকতার মানদন্ডের স্বরূপ কিরকম সেটার উপর সামান্য আলোকপাত করেছি। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।

০৩.
নৈতিকতার এই সংজ্ঞাই (সৃষ্টিকর্তার আদেশ/নিষেধই নৈতিকতা) স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে যে মানুষের জ্ঞান অপরিপূর্ণ, এবং শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার জ্ঞানই পরিপূর্ণ। তাই সৃষ্টিকর্তাই জানেন, আমি-আপনি জানিনা, কোনটা মানুষের জন্য কল্যানকর, কোনটা অকল্যানকর। মানুষের না জানার সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে মানুষ ভবিষ্যত দেখেনা, তাই কোন কর্মের ভবিষ্যত প্রভাব তার এবং সমাজের উপর কি হবে সেটা মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব না। সৃষ্টিকর্তার কাছে সময়ও সৃষ্টি, তাই তিনি অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সমানভাবে জানেন। শুধু তাই না, তিনি প্রত্যেকটা কর্মের এবং তার প্রভাবের কাউন্টারফ্যাকচুয়াল (মানে যদি এটা না হয়ে অন্য কিছু হত তখন সেটার প্রভাব কার উপর কি হত) সেটাও জানেন, মানুষের পক্ষে সেটা জানা কোনদিন সম্ভব না। নৈতিকতার সিদ্ধান্তে আমার কাজে অন্যের উপর কি প্রভাব পড়বে, আমার নিজের ভবিষ্যতের উপর কি প্রভাব পড়বে, আর আমি যদি এ সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্য সিদ্ধান্ত নিই, সেক্ষেত্রে সেটার প্রভাব আমার/অন্যের উপর কি হবে (কাউন্টারফ্যাকচুয়াল), এসব জানা জরুরী। এই জ্ঞান শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার আছে, তাই সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য মেনে নেওয়াই এবং সে অনুসারে নৈতিকতার মানদন্ড ঠিক করাই বুদ্ধিমানের লক্ষণ।

সৃষ্টিকর্তার জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেওয়ার আরেকটা দিক আছে, সেটা হল এই মেনে নেওয়ার মধ্যে মানুষের ইগোর (আমিত্বের) বিলোপ ঘটে। দুনিয়ার সকল সমস্যার মূলে মানুষের ইগো, সেটা যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে সমস্যার সংখ্যা অনেক কমে যায়। শয়তান ইগোতে ছিল, তাই সে গুনাহ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়নি, সে মনে করেছে সে আদম থেকে ভাল, যেটা ইগোর বহিঃপ্রকাশ। আদম (আঃ)-ও ভুল করেছিলেন, কিন্তু তিনি ভুল স্বীকার করে ইগোর উপর আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন, আর আল্লাহ সেজন্য ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাই ইগোকে বশে আনার জন্যও আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করতে হবে।

সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নৈতিকতার মানদন্ডের হাকীকাত (রিয়ালিটি) আমাদের অনেক সময় বুঝে আসতে পারে, আবার নাাও আসতে পারে। যেমন ব্যভিচার, মদপান, মানবহত্যা এসব সৃষ্টিকর্তার নৈতিকতার মানদন্ড অনুসারে অনৈতিক। আমরাও বুঝি যে এসব ব্যক্তিবিশেষের জন্য আনন্দদায়ক বা লাভের হলেও, পুরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর, তাই এসব অনৈতিক হওয়াই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু শুকরের মাংশ খাওয়ার মধ্যে বিশেষ কোন ক্ষতি আছে বলে মনে হয়না, কিন্তু আল্লাহ যেহেতু নিষেধ করেছেন, সেজন্য সেটাই নৈতিক, সেটার পেছনে হাকীকাত আমার বুঝে না আসলেও। আদম (আঃ)-কে গাছের কাছে যেতে নিষেধ করেন আল্লাহ, কিন্তু কেন সেই নিষেধ সেটা বলেননি। আদম (আঃ)-এর নিজস্ব জ্ঞান দিয়ে বুঝেছেন ফল খাওয়াটাই ভাল, কিন্তু পরে দেখলেন ফল খেলে তার বাথরুম পাচ্ছে। সেরকম আমাদেরও যেহেতু আল্লাহর অসীম জ্ঞান/প্রজ্ঞা সম্পর্কে ধারনা নেই, তাই কোন একটা হুকুমের মাহাত্ব্য বুঝে না আসলেও সেটাই মেনে নিতে হবে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে যেমন আপনার কোন একটা অষুধের সারমর্ম, প্রস্তুত প্রক্রিয়া, কর্মপ্রক্রিয়া বুঝে না আসলেও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান অনুসরন করেন সেরকম। কারন ডাক্তার জানে আপনার অসুখ সম্পর্কে, আপনি জানেন না। আল্লাহই মানবসমাজের অসুখের প্রক্রিয়া জানেন, তাই তাঁর প্রেসক্রিপশানই নৈতিকতা।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

নরাধম বলেছেন: এই সিরিজের শেষ হল এখানে, মোট তিনটা পার্টে আমি নৈতিকতা নির্ধারনে ধর্মের ভূমিকা নিয়ে লিখেছি। এটা খুবই রসকসহীিন বিষয়, ভার্চুয়াল জগতের তড়িৎ আমোদলাভের জগতে এরকম রসকসহীন বিষয়ে এত দীর্ঘাকারের তিনটা পোস্ট যারা পড়েছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই, আপনার ধৈর্য্যের প্রশংসা করতে হয়।

উল্লেখ্য এসব মৌলিক কোন ভাবনা না, ইসলামের শুরুরদিকের স্কলার/দার্শনিকরা এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গিয়েছেন, এরপরেও অন্যান্য ধর্মের অনেক দার্শনিক এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। এখানে এসব চিন্তার সাথে আমার নিজস্ব বুঝ/ভাবনা মিলেমিশে একাকার হয়েছে।

পরিশেষে সমস্ত জ্ঞান/প্রজ্ঞার মালিক আল্লাহ, আল্লাহ যেন এখানে ভূলভ্রান্তি হয়ে থাকলে সেজন্য ক্ষমা করে দেন।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: তিনটিই পড়েছি। মাথার উপর দিয়ে গেছে।।
<<"সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে সঠিক ধর্ম বেছে নেওয়া কঠিন কিছু না।" --------সামাজিকতা আর বাস্তবতায় অন্য ধর্ম গ্রহণ করা, খুবই কঠিন ভাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

নরাধম বলেছেন: প্রথমে পড়েছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু মাথার উপর দিয়ে গেল সেজন্য একটু চিন্তিত, মনে হয় আমার কথাগুলো পরিষ্কার হয় নি।

"সামাজিকতা আর বাস্তবতায় অন্য ধর্ম গ্রহণ করা, খুবই কঠিন ভাই।" এটার সাথে একমত। আমি কিন্তু বলেছি সঠিক ধর্ম চিহ্ণিত করা সহজ, তার মানে কিন্তু এই না যে সেটা গ্রহণ করা সহজ। আবু জাহেল জানত ইসলাম সঠিক, কিন্তু তবুও সে ইসলাম গ্রহণ করেনি।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১২

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার জানার এখনো অনেক বাকি
:)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২২

নরাধম বলেছেন: আপনার সাথে একমত। আমাদের সবার জানার এখনো অনেক বাকি। আল্লাহ যেন আমাদের জানার তাওফিক দান করুন, আমিন!

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আরেক বার পড়লাম। খুব একটা কঠিন না, বোঝা যাচ্ছে।

কিছু নিক আইডি(ভন্ড/নাস্তিক) ধর্মের নামে অপপ্রচার করে। তাই ধর্ম নিয়ে লেখা খুব একটা পড়ি না। এড়িয়ে যাই। আর, এসব নিয়ে ক্যাচাল করতে, ভালোও লাগেনা।।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

নরাধম বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মূলভাবনা খুবই সহজ, আমি মনে হয় জটিল বানিয়ে ফেলেছি। আল্লাহ আপনাকে আর আমাকে বুঝার তাওফিক দান করুন।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

উচ্ছল বলেছেন: পড়লাম। সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। অনেক ভালো লাগলো। গবেষণার দাবী রাখে। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন- এসব নিয়ে চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক রয়েছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১২

নরাধম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: যে কোনো সমস্যার মূলে আছে অজ্ঞতা, গোঁড়ামি। এই দুটো মন থেকে মুছে ফেলতে পারলে আর সমসয়া নাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

নরাধম বলেছেন: ঠিক কথা, তবে পোস্টের সাথে অপ্রাসংগিক।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন আমি যা জানি তা তোমরা জানো না। আর আমার কিতাব নিয়ে তোমরা সন্দেহ করো না। আমার কিতাব পড়ে যারা বুজবে তারাই হলো সর্বজ্ঞানি।
আল্লাহ দু’জন মানবকুল থেকেই পৃথীবিতে মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন। এটা আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ্য করে দিয়েছেন। তাই তো তিনি বলেছেন আমি যা জানি তা তোমরা জানো না।
আদম (সঃ) কে সৃষ্ট্রির পর ফেরেস্তাদের সেজদা করতে বলেছেন। তার মানি এই নয় যে তাকে সমস্ত মানবকুলকে সেজদা করতে বলেছেন। তিনি তো বলেই দিয়েছেন। আমি আমার সৃষ্ট্রির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকুল মানবজাতিকে সৃষ্ট্রি করেছি। সেখানে তার সৃষ্ট্রাকে শেষ্ঠা বানানো জন্যই হয়তো এটা ফেরেস্তাদের বলেছেন। তাই বলে তো আমাদের কে সেজদা করতে বলেনি । যে হে মানবকুল তোমরা আদম (সঃ) কে সেজদা করো।
পররর্তী শেষ্ঠ সৃষ্টি হলো তার কিতাব আল-কুরআন। যেখানে তিনি সর্বকিছু জানার জন্য বলে দিয়েছেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০০

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক কথা, তবে পোস্টের সাথে অপ্রাসংগিক।

পৃথিবীতে কোনো ধর্মই সঠিক নয়। ধর্ম আর আফিমের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০১

নরাধম বলেছেন: ঠিক বলেছেন যে অনেকের জন্য ধর্মের সাথে আফিমের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে আপনার মত যারা একটু বেকুব কিছিমের তাদের জন্য।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শত শত ধর্মের মধ্যে কোনটা সঠিক?

মানলাম ইসলাম।
কিন্তু ইসলামেও শত শত বিভক্তি - সিয়া, সুন্নি, সুন্নির ভেতরও ৪০-৫০ ভাগ। আরো আছে হানাফি, সালাফি, কাদিয়ানি, হাক্কানি, ওহাবি ... ইত্যাদি। এর ভেতর যে কোন একটা সহি। (সবাই অবস্য নিজেদের টা সহি মনে করে)।
আপনার দৃষ্টিতে কোনটা?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৬

নরাধম বলেছেন: মেনে নিছেন? এত সহজেই? ধন্যবাদ অনেক।

উল্লেখ্য এ পোস্ট নৈতিকতার মানদন্ড নির্ণয়ে ধর্মের ভূমিকা নিয়ে কথা।

শিয়া-সুন্নির বিভক্তি অনেকটাই রাজনৈতিক, পরে সেটা কিছুটা ধর্মীয় পার্থক্যেও ধরা দিছে। কিন্তু নৈতিক মানদন্ডে কোন পার্থক্য নেই। শিয়াদের ইমাম জাফর সাদিক সুন্নিদের ইমাম আবু হানিফা আর মালিকের ওস্তাদ ছিলেন, আবার জায়েদী শিয়ারা ইমাম আবু হানিফাকে ইমাম মানেন। তার মানে বুঝতেই পারছেন নৈতিকতার মানদন্ডে বড় কোন পার্থক্য নেই, এবস্ট্র্যাক্ট দার্শনিক বিষয়ে পার্থক্য আছে।

কাদিয়ানিরা যারা গোলাম আহমদকে নবী মানে তারা অমুসলিম, তাই তারা ইসলামের বাইরে।

সালাফ/ওহাবি একই জিনিস। হানাফি, শাফেয়ী, হাম্বুলি, মালিকি, সালাফি এসব ফিক্বহ বুঝার মেথডলজি, এক স্কুল অন্য স্কুলের ওভারল ভ্যালিডিটি মেনে নেয় এরা, মাইনর বিষয়ে পার্থক্য আছে। তাই নৈতিকতা বুঝার ক্ষেত্রে এদের মধ্যে মানদন্ডে বড় পার্থক্য নেই। কেউ বলবেনা সমকামিতা জায়েজ বা বিবাহপূর্ব যৌন-সম্পর্ক জায়েজ। তাই নৈতিকতার মানদন্ডে এরা সবাই সহি।

ইসলাম ২০০ কোটি মত মানুষের ধর্ম, দুনিয়ার সব জায়াগায় ছড়িয়ে আছে। তারা একই সোর্স থেকে নৈতিকতার মানদন্ড নির্ধারণ করলেও বুঝার কিছু পার্থক্য থাকবে যেহেতু প্রত্যেকটা ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতা, ইতিহাস, প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সে হিসেবে মাজহাবগুলো একটা আশীর্বাদ, কেননা এগুলোর মাধ্যমে রাসুল (সাঃ)-এর বিভিন্ন সুন্নাতকে আল্লাহ টিকিয়ে রাখছেন। তাছাড়া ঐতিহাসিকভাবে এসব বিভাগগুলো মানুষের জন্যও আশীর্বাদ ছিল, যেমন শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে বিচারক অনেক সময়ই মাজহাবগুলোর মধ্যে যেটা সবচেয়ে কম কঠিন শাস্তি দেয় সেটা বেচে নিত।

মুলকথা হচ্ছে দুশ কোটি মানুষের ধর্মে আন্ডারস্ট্যান্ডিং কিছুটা ডিফরেন্ট হবে সেটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা মূল নৈতিকতার মানদন্ডের ক্ষেত্রে পার্থক্য তৈরী করে না। সবাই আল্লাহর বাণী এবং রাসুল (সাঃ)-এর উদাহরনকে মানদন্ড মেনেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিভাবে আল্লাহর প্রদত্ত নৈতিকতাকে বুঝা এবং প্রয়োগ করা যায়।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিধাতা একটি ধর্ম আর একটি ভাষা দিলেই পৃথিবীর অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তিনি তা দেননি।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

নরাধম বলেছেন: বিধাতা একটি ধর্ম আর একটি ভাষা দিলেই পৃথিবীর অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত সেটা আপনি কেমনে বুঝলেন? আপনি নিশ্চয়ই বিধাতার থেকে বেহসি বুঝেন না।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: শত শত ধর্মের মধ্যে কোনটা সঠিক?
যদি ধর্মের প্রকৃত ভাবার্থ ধারনে সক্ষম এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই তাহলে প্রশ্নটি অবান্তর হয়ে যায়। যখন উপলব্ধি ছাড়াই কেউ বিধাতা বা সৃষ্টি কর্তা রুপে কাউকে আরোপ করে, এবং নানা ভাবে সেই আরোপিত কর্তাকে আর এক জনের উপর চাপাতে উদ্যত হয় তখনি সঠিক বা বেঠিক এর প্রশ্ন সামনে এসে পড়ে । ধর্ম কখনই সমষ্ঠীগত হতে পারে না, ধর্ম একান্ত বেক্তিগত উপলব্ধি বলেই আমার অভিমত।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

নরাধম বলেছেন: "ধর্ম কখনই সমষ্ঠীগত হতে পারে না, ধর্ম একান্ত বেক্তিগত উপলব্ধি বলেই আমার অভিমত।"

এটা নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত অভিমতই বটে।

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:১২

১৯৭১ মুক্তি বলেছেন: আল কোরাণে ক্রিতদাসীর সাথে বিয়ে বহিঃভুত যৌনতা নৈতিক, কিন্তু আজ সেটা অনৈতিক। আলকোরাণে ইহুদী-খ্রীষ্টানের সাথে বন্ধুত্ব করা অনৈতিক, কিন্তু ইহুদী-খ্রীষ্টান এর সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না এই কথা এখন মোমিন মুসলিমরা ধানাইপানাই করে ধামাচাপা দি্তে চায় । এই আর কি। ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

নরাধম বলেছেন: আলোরানে তোমার মত ছাগলকে খোয়াড়ে ভরতে নিষেধ করছে, অথচ সেটাই ভাল ছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.