নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করা উচিৎ কিনা?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

আপনি যখন বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ধর্মকে বা ধর্মের ঐশীবাণীর সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চান, তখন আদতে আপনি বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিছেন। আপনি বিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিয়ে সে স্ট্যান্ডার্ডে ধর্মের যুগোপযোগিতা পরীক্ষা করছেন। আপনার কাছে ধর্মের দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব মাপের দাড়িপাল্লা হয়ে গেল বিজ্ঞান। এইটা খুবই ভয়ংকর, এবং সাময়িকভাবে এটা কিছু লোকের কাছে খুবই জনপ্রিয় হলেও এটার দীর্ঘকালীন প্রভাব ধর্মের জন্য অপরিসীম ক্ষতির কারন হতে পারে। এই কর্মে যে একধরনের শির্‌ক-এর ছায়া লুকিয়ে আছে, সেটা বুঝা জরুরী।

বিজ্ঞান ইনডাকটিভ রিজনিং ব্যবহার করে। দর্শন, বিশেষ করে ধর্মের দর্শন ডিডাকটিভ রিজনিং ব্যবহার করে। ডিডাকটিভ রিজনিং ইনডাকটিভ রিজনিং থেকে শ্রেয়তর এবং কোন উপসংহারের ১০০% সত্যতার নিশ্চয়তা দেয়, যদি অনুমিতিগুলো সত্য হয়। ইনডাকটিভ রিজনিং আপনাকে কোনদিনই কোন উপসংহারের ১০০% সত্যতার নিশ্চয়তা দিবে না, এমনকি অনুমিতিগুলো সব সত্য হলেও। যেমন গণিতের প্রমাণের ধরণ হচ্ছে ডিডাকটিভ রিজনিং, এটাতে নিশ্চিত প্রমাণ (proof) করা যায়, proof-এর ব্যাখ্যা নৈর্ব্যক্তিক। এজন্যই গণিত আদতে (প্রাকৃতিক) বিজ্ঞান না, বরং এটা লজিক/দর্শনের অংশ। আর মাল্টিভার্স থিয়রী বা বিবর্তনবাদ হচ্ছে বৈজ্ঞানিক থিয়রী, যেটার জন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ (evidence) আনা যায়, কিন্তু কোনদিন নিশ্চিত প্রমাণ (proof) করা যায় না। এই এভিডেন্স কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন সেটাও আপেক্ষিক, নৈর্ব্যক্তিক না।

ধর্মের যে যুক্তি সেটা দর্শনের অন্তর্ভুক্ত, সেটার জন্য ডিডাকটিভ রিজনিং লাগে, সেটা বিজ্ঞানের যুক্তি থেকে অনেক উপরে। যেমন সৃষ্টিকর্তা আছেন, এটা দার্শনিক যুক্তি, বৈজ্ঞানিক যুক্তি না, এবং এই পার্থক্যটা বুঝা অনেক জরুরী। সৃষ্টিকর্তা থাকলে তিনি মানুষ সৃষ্টির জন্য কোন উদ্দেশ্য রেখেছেন, এবং সে উদ্দেশ্য তিনি ঐশীবাণীর মাধ্যমে আমাদেরকে জানাচ্ছেন, এসব দার্শনিক যুক্তি, বিজ্ঞানের আওতার বাইরে। যারা ধর্মকে বিজ্ঞানের পাল্লায় মাপার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন, আমি আপনাদের সততা এবং একাগ্রতা নিয়ে সন্দেহ করছিনা, আপনারা ধর্মকে ভালবেসেই এটা করছেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আরো বড় ক্ষতি করছেন কিনা সেটা ভেবে দেখা জরুরী। সেজন্য আমার অনুরোধ আপনারা আগে লজিকের এসব বিষয় ভালমতে বুঝতে চেষ্টা করেন।

উপরে যা বললাম তা থিয়রি/তত্ত্বকথা, বাস্তবে যদি আসেন আধুনিক জামানার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির রাজনীতি/দর্শন সেসব নিয়েও বুঝা জরুরী। যেমন আধুনিক জামানায় একাডেমিক বিজ্ঞানচর্চাটাই এমন যে এখানে সব সত্য কোনদিন প্রকাশ সম্ভব না। ধরেন কোন রিসার্চার প্রমাণ পেল বিবর্তনবাদ ভুয়া, সেটা তিনি কোনদিনই প্রকাশ করতে পারবেন না, তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে, তাকে মার্জিনালাইজ করা হবে। শুধু তাই না, সে রিসার্চার নিজেই তার এভিডেন্স বিশ্বাস করবে না, মনে করবে তিনি এক্সপরিমেন্টে কোথাও ভুল করেছেন, তারপরে যতক্ষণ পর্যন্ত না বিবর্তনবাদের সমর্থনে প্রমাণ পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এক্সপেরিমেন্ট চালাবেন, অথবা এই এক্সপেরিমেন্টটাই বন্ধ করে দিবেন। এখন ধরেন এরকম হাজার হাজার এক্সপেরিমেন্টর প্রমাণ যেহেতু কোনদিন দিনের আলো দেখবেনা, আমরা শুধু সেসব প্রমাণই পাব যা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে। যেসব প্রমাণ বিবর্তনবাদকে প্রশ্ন করে, সেরকম হাজার হাজার লোক প্রমাণ পেলেও সেটা আমরা জানতে পারব না।

তাছাড়া যে লোক ইতিমধ্যেই বিবর্তনবাদ নিয়ে মগজধোলাই হয়ে গেছে পিএইচডি প্রোগ্রামে এবং পোস্টডকে, সে তার এক্সপেরিমেন্টকে সবসময়ই এই বিবর্তনবাদের লেন্স দিয়েই দেখবে, তার ধোলাইকৃত মগজ তাকে এক্সপেরিমেন্টের প্রমাণকে বিবর্তনবাদের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ হিসেবেই দেখাবে। তার মানে আমাদের কাছে আসল সত্য কোনদিনই প্রকাশ হবে না। মনে রাখবেন প্রমাণকে (evidence) ইন্টারপ্রেট করে মানুষ, এবং সে মানুষ/বিজ্ঞানী সবসময়ই পক্ষপাতে দুষ্ট। এর পরে আছে groupthink বা চিন্তার গোষ্ঠীবদ্ধতা। যেহেতু একটা একাডেমিক ডিসিপ্লিনের লোক নিজেদের মধ্যেই কথা বলে সবসময়, তারা নিজেদের বায়াসগুলোকে ক্রমাগত শক্তিশালী (reinforce) করে, যা পরবর্তীতে তাদের এভিডেন্স ব্যাখ্যা করাতে প্রভাব ফেলে।

বিবর্তনবাদ যেমন একটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এরচেয়ে এটা ঢের বেশি রাজনৈতিক তত্ত্ব, বিজ্ঞান তাই সেটা ভুল প্রমান করলেও সেটা টিকিয়ে রাখার জন্য রাজনৈতিক ফোর্স আছে। সমস্ত বস্তুবাদ, এবং পুঁজিবাদের বড় অংশ দাড়িয়ে আছে বিবর্তনবাদের উপর, বিবর্তনবাদ ফুটলে বস্তুবাদও ফুটে যাবে। সকল জ্ঞান এবং জ্ঞানচর্চাই রাজনৈতিক, বিজ্ঞানচর্চা আরো বেশি রাজনৈতিক। এবং রাজনৈতিক দর্শন কোনটাকে আমরা সত্য বলব, কোনটাকে মিথ্যা বলব সেটার উপর প্রভাব বিস্তার করে।

এরপর আছে ডাটাকে পরিসংখ্যানের frequentist বা bayesian কোন দর্শন দ্বারা ব্যাখ্যা করবেন, এই দুইটা পদ্ধতি একই ডাটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপসংহার দিতে পারে।

এখানে আপনাকে বিজ্ঞানের রাজনীতি বুঝতে হবে, বিজ্ঞানের অর্থনীতি, বিজ্ঞানের দর্শন বুঝতে হবে। বিজ্ঞান বাস্তবে কিভাবে চর্চা হয় সেটার পুংখানুপুংখ বুঝতে হবে। তাই আপনারা বিজ্ঞানকে এবং বিজ্ঞানচর্চাকে যেরকম একটা আদর্শ দরবেশীয় পদ্ধতি হিসেবে দেখেন সেটা যাস্ট থিয়রী, বাস্তব অনেক ভিন্ন। এসব ভালমতে বুঝার আগে ধর্ম বা বিজ্ঞান নিয়ে তর্কাতর্কি করে ধর্মের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি কইরেন না।

আপনার যদি ধর্মকে ডিফেন্ড করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে প্রথমে আল-গাজ্জালি পড়েন। ইমাম গাজ্জালির মত মেধাবী দার্শনিক কোনদিন আসেনি, সক্রেটিস বা প্লেটোর চেয়ে ইমাম গাজ্জালি অনেক এগিয়ে আমার মতে। ইমাম গাজ্জালি পড়লে এসব নাস্তিকদের যুক্তি খড়খুটোর মত উড়ে যাবে। তাই সেখান থেকে শুরু করেন। এটার কোন তরিৎ সমাধান নেই, সমাধান একমাত্র ইসলামের পূর্বেকার জায়ান্ট স্কলারদের কাছে ফিরে যাওয়া। সেজন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে, অনেক সময় দিতে হবে। তবে সেটার ফল উম্মাহ্‌র জন্য, ইসলামের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

শিখণ্ডী বলেছেন: আপনার প্রথম বাক্যটির সঙ্গে একমত। ধর্মের ভিত্তি বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের ভিত্তি কারণ খোঁজার মধ্যে, দুটো পুরাই আলাদা বিষয়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫২

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ। ধর্মের ভিত্তি বিশ্বাস, তবে সেটা অন্ধবিশ্বাস হলে হয়না, যৌক্তিক বিশ্বাস হইতে হবে।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে আপনাকে অধিকার দিল কে?
আল্লা কি কোথাও বলেছে বান্দাকে আল্লার অবস্থান খুজতে?

যাদের ঈমান দুর্বল, সন্দেহপ্রবন তারাই ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে সালাফি,হানাফি,গাজ্জালি,হেকমতি,হরকতি ইত্যাদি শতধারায় বিভক্ত করে গ্যাঞ্জাম খুনখারাপি করে যাচ্ছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫০

নরাধম বলেছেন: আপনার ইমান কি খুব সবল? রহস্যটা কি?

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৪৭

১৯৭১ মুক্তি বলেছেন: বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের 'সত্যতা' প্রমাণ করা মূলত ধর্মের অন্তসারশুন্যতা প্রমান করা। বিজ্ঞান দিয়ে প্রমানিত গোলাকার পৃথিবীর সাথে পাল্লা দিতে যেয়ে নিরুপায় জকির নায়েক শেষমেষ আল কোরাণের ভিতর ডিমের দার্শনিক তত্ব প্রসব করেছেন।

ইসলাম ধর্মের সত্যতা বুঝার জন্য ইনডাকটিভ/ডিডাকটিভ কিচ্ছু দরকার নেই। চটি পুস্তক কোরাণের A টু Z পড়লেই- ভয়, ভীতি, ঘৃনা, বিভাজন, বৈষম্য, হুংকার, আস্ফালন, দলবাজি, প্রতিহিংসা, আজাব,আগুন, অত্যাচার, নির্যাতন........ এবং সর্বপরি অনৈতিক প্রলভনের এক সুবিশাল সত্যতা অনায়াসে চলে আসে। এসব বুঝতে দার্শনিক হওয়ার দরকার নেই। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫০

নরাধম বলেছেন: শিবসেনা নাকি বজরং?

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পোস্ট পড়ে মনে হল অনেকটা hamza tzortzis এর লেকচারে প্রভাবিত। এটা ঠিক ইমাম গাজ্জালী খুব বড় স্কলার। বর্তমান সময়ের কনফিউশনের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে গাজ্জালীর বই খুব কাজে দিবে। উনার বই পড়লে মানুষ অনেক কিছুই বুঝতে পারবে। গ্রেট স্কলার,ফিলোসফার। আন্দালুসিয়ান স্কলারগুলাও গ্রেট ছিল। তাদের সব লিখা আমাদের কাছে পৌছাল না সেটাই দুঃখজনক। ৩ নং প্রতিউওর বেশ মজার। =p~

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

নরাধম বলেছেন: আপনার সাথে একমত। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

মাহিরাহি বলেছেন: Abdul Hakim Murad এর লেকচার শুনেছেন কি?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

নরাধম বলেছেন: আমার অন্যতম ফেভারিট স্কলার!

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: আপনি যখন বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ধর্মকে বা ধর্মের ঐশীবাণীর সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চান, তখন আদতে আপনি বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিছেন।

আপনার এই কথার মধ্যে সামান্য বুঝার ভুল আছে।
ডঃ জাকির নায়েক বা অন্যান্য ইসলামীক স্কলার যারা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়ে ধর্মকে খাটো করছে ব্যাপারটা এমন না।
যারা কথায় কথায় বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্মকে খাটো করতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া হয়। ঈমানী দূর্বলতার জন্য নয়।
যেহেতু তারা বিজ্ঞানকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মনে করে। তাই বিজ্ঞানের মাধ্যমেই তাদের ধর্মের সত্যতা দেখানো হয়। অনেকটা কইয়ের তেল দিয়ে কই ভাঁজার মতো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

নরাধম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করছিনা, তবে আমার মতে "যারা কথায় কথায় বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্মকে খাটো করতে চায়" তাদেরকে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আগে বুঝাতে হবে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা বুঝাতে হবে, সেটা না বুঝিয়ে বিজ্ঞান দিয়ে ইসলাম প্রচার করতে যাওয়া বোকামি, সেটার মাধ্যমে বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

নতুন বলেছেন: ধম`কে প্রশ্নের উদ্ধে` রাখতে চাইলে.... বিজ্ঞান পরবেন না। এবং শুধুই বিশ্বাসের উপরেই বিশ্বাস করবেন।

আপনার কথার সাথে সহমত যে যারা বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ধম`কে প্রমান করতে চায় তারা মনে করে মানুষ এখন ধমের চেয়ে বিজ্ঞানকে বেশি মানে তাই তাদের বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ধমের` মহিমা দেখাতে চায়।

একটা জিঙ্গাসা আপনার কাছে যদি সৃস্টিকতা` চাইতেন যে বিজ্ঞানিক প্রমান যুক্তি দিয়ে ধম` প্রমানিত হউওয়া উচিত..... তা হলে কি তিনি সরাসরি প্রমান রাখতে না?

আপনি যদি বিশ্বাসই করেন তবে যুক্তির কি দরকার। ধম` শুধুই বিশ্বাসের উপরেই মেনে নেয়া উচিত.... প্রমান খোজা উচিত না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

নরাধম বলেছেন: ধর্মের বিশ্বাস অন্ধ অযৌক্তিক বিশ্বাস হওয়া উচিৎ না, যৌক্তিক বিশ্বাস হওয়া উচিৎ। ধর্মের বিশ্বাসের সাথেও প্রমাণ থাকতে হবে, তবে সেটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হওয়ার দরকার নেই। সেটা ঐতিহাসিক প্রমাণ হতে পারে, সাহিত্যিক (যেমন কোরান) প্রমাণ হতে পারে, দার্শনিক প্রমাণ হতে পারে। তাই যুক্তির দরকার আছে বিশ্বাসের জন্যও। সেটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণও হতে পারে, তবে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর অতিবিশ্বাস বা নির্ভরতা রাখার দরকার নেই, কেননা বৈজ্ঞানিক প্রমান ইনডাকশান নির্ভর, তাই সেটা প্রতিদিন পরিবর্তনীয়। বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা বুঝানোই এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য। বৈজ্ঞানিক প্রমাণের চেয়ে ডিডাকশান নির্ভর দার্শনিক যুক্তি অনেক বেশি কনভিন্সিং এবং গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই বুঝাতে চাইছি।


"একটা জিঙ্গাসা আপনার কাছে যদি সৃস্টিকর্তা চাইতেন যে বিজ্ঞানিক প্রমান যুক্তি দিয়ে ধর্ম প্রমানিত হউওয়া উচিত..... তা হলে কি তিনি সরাসরি প্রমান রাখতে না?" ---- এইটা কোন যুক্তিই না। কেননা অনেকেই বলবে সৃষ্টিকর্তা হাজার হাজার প্রমাণ রাখছেন, সারা জগতটাই সে প্রমাণে ভরপুর। আমার এ পোস্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বা বৈজ্ঞানিক থিয়রির উপর নির্ভরতা বিষয়ে, বৈজ্ঞানিক ফাক্ট, তথ্য, আর বিধি নিয়ে না। এ দুই জিনিসে ব্যাপক পার্থক্য। যেমন মহাকর্ষ শক্তি একটা বিধি, কিন্তু বিবর্তনবাদ ইনডাকশান-নির্ভর একটা বৈজ্ঞানিক থিয়রি/তত্ত্ব, তাই এই দুই প্রমাণের নির্ভরযোগ্যতার অনেক পার্থক্য আছে, সেটা বুঝা গুরুত্বপূর্ণ।

আমার কাছে আপনার সাথে কথা বলে গত কয়েক পোস্টে মনে হয়েছে আপনি এসব বিষয়ের নুয়ান্স বুঝেন না, তাই অনুরোধ করব এসব বিষয়ে আরো অনেক পড়াশুনার। গোড়া থেকে শুরু করেন। বেশিরভাগ নাস্তিক ব্লগার বৈজ্ঞানিক থিয়রি কি সেটাই জানেনা, তারা বিজ্ঞান কিভাবে চর্চা হয় সেটা সম্পর্কে কোন জ্ঞানই রাখেনা, কিন্তু বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে জান দিয়ে ফেলে। জ্ঞানের অভাবে ইসলাম নিয়ে বেকুবের মত কথা বলে, বিজ্ঞান নিয়েও। তাই আরেকটা সিরিয়াসলি এসব জানার অনুরোধ করব। তাহলে ক্রিটিকালি চিন্তা করতে পারবেন, আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন!


৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৭

নতুন বলেছেন: আমি তো ভাই জানারই চেস্টা করছি মাত্র.... সময় পেলে বিজ্ঞান, ধম` বিষয়ে একটু জানার চেস্টা করি আরকি।

আমি নিজের মত দেবার চেয়ে জানতে বেশি পছন্দ করি। তাই হয়তো বেশি প্রশ্ন করি।

আপনি যেমন বললেন যে সবাই পক্ষপাতিত্ব করে সিদ্ধান্ত নেয়.... তেমনি আপনিও তো মনে হয় বিবত`ন বাদযে ঠিক না সেটা বিশ্বাস করেই সেই বিষয়ে জানার চেস্টা করেছেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

নরাধম বলেছেন: আমি আসলে বিবর্তনবাদ ঠিক না সেটা মনে করিনা। আমি বিবর্তনবাদের অনেক কিছুই বিশ্বাস করি, যেমন এডাপ্টেশান বিশ্বাস না করার কোন কারন নেই। ইসলামের সাথে বিবর্তনবাদের বড় সংঘর্ষ নেই, যেমনটা আছে ক্রিস্টিয়ানিটির। ইউটিউবে ক্লাসিক স্কলারের দুইটা লিংক দিলাম (১ আর ২), যারা বিবর্তনবাদকে ইসলামের সাথে অসামন্জস্যপূর্ণ মনে করেন না। ইন ফ্যাক্ট ডারউইনের ১ হাজার বছর আগে মুসলমানরা বিবর্তন নিয়ে কথা বলেছে, সে থিয়রীর নাম ছিল "মুহাম্মাদান থিয়রি অফ এভলুশান"। আপনি গুগলে সার্চ দিতে পারেন এ বিষয়ে আরো জানার জন্য।

আমার কাছে ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসগত সমস্যা না, বরং বৈজ্ঞানিক প্রমাণগত সমস্যা। বিবর্তনবাদিরা ডারউইনবাদ বা নয়া-ডারউইনবাদের এককোষী জীব থেকে সব সৃষ্টি হওয়ার এবং বিবর্তন ট্রির যে ধারনা দেয়, সেটার জন্য তেমন কোন প্রমাণই নেই (থার্ড লিংক দেখুন, নামকরা বিবর্তনবাদি প্রফেসরদের ইন্টারভিউ)। পুরাটাই কল্পকাহিনী। এর জন্য ধর্মের চেয়ে হাজারগুন বড় অন্ধবিশ্বাস লাগে, নাহয় এ কল্পকাহিনী বিশ্বাস করা সম্ভব না। আর অনেক প্রমাণ আসলে ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিপক্ষে যায়। এসব বিপক্ষে প্রমাণ আসলে ডারউইনবাদিরা তাদের থিয়রিকে পরিবর্তন করে কিছুটা সেসব প্রমাণকে একমডেইট করে। এটা কোন বৈজ্ঞানিক থিয়রির বৈশিষ্ট্য না। আমি একাডেমিক, একাডেমিক হিসেবে প্রমাণের যে বৈশিষ্ট্য এবং ব্যাপ্তি, সেটা মানদন্ড ধরলে ডারউইনবাদ কল্পকাহিনী ছাড়া কিছুই মনে হয় না। ধর্মীয় দিক দিয়ে আমার বিবর্তনবাদ নিয়ে আদতে সমস্যা নেই। বরং ইসলাম আদতে উইদিন স্পিসিস বিবর্তনকে সমর্থন করে। কোরানে স্পষ্ট আয়াত হচ্চে সকল লিভিং বিয়িং পানি থেকে এসছে, এটা বিবর্তনবাদের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ। আপনাকে ধন্যবাদ। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উইদিন স্পিসিস বিবর্তন আর ডারউইনের বিবর্তনবাদ একই জিনিস না।

১. https://www.youtube.com/watch?v=DPuoGVlCjZ0
২. https://www.youtube.com/watch?v=g66o9Pkyq08
৩। https://www.youtube.com/watch?v=TnRMViEXMAc



তবে আপনার মন্তব্যের সাথে একমত যে, অন্য সবার মত আমিও পক্ষপাতিত্ব করে সিদ্ধান্ত নিই, এটা মানবিক বৈশিষ্ট্য, তাই আমি এর থেকে মুক্ত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.