নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমুসলিমরা কি দোজখে যাবে?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

অমুসলিমরা কি দোজখে যাবে? বিশেষ করে যারা অসম্ভব ভাল মানুষ, কিন্তু ঘটনাক্রমে অমুসলিম, তারা? ধরেন আম্রিকার এলাবামা রাজ্যের কোন এক বয়স্ক মহিলা, সারাজীবন মানুষের সেবা করেছে, অন্যের জন্য জীবন উজার করে দিছে। কোনদিন কথায় বা কাজে কষ্ট দেয়নি কাউকে। খুব কম সামর্থ্যের মধ্যেও চেষ্টা করেছে কিভাবে অন্যের দুঃখকষ্ট লাঘব করা যায়। তিনি খ্রিস্টান ধর্ম যদ্দুর জানতেন, বুঝেছেন, সবকিছু মেনে চলেছেন, এবং তিনি আসলে অন্য কোন ধর্ম যে পৃথিবীতে আছে সেটাও জানতেন না। তো তার ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা কি? এই প্রশ্নটা এম্নিতেই স্বাভাবিক প্রশ্ন, এবং এই আধুনিক জামানায় যখন মানুষে মানুষে সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ঠ্রীয়, ভৌগোলিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিগত, এবং ভাষাগত সমস্ত সীমারেখা উবে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের প্রশ্ন আরো বেশি প্রাসংগিক। আমরা প্রত্যেকেই কাউকে না কাউকে চিনি যিনি মুসলমান না, কিন্তু খুবই ভাল মানুষ। তাঁদেরকে আল্লাহ দোজখে পোড়াবে?

আমি এ পোস্টে এ বিষয়টাকে ইসলামের মনিষীরা কিভাবে দেখেছেন সেটার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। সূত্র শেষে দেয়া হল। এ পোস্টের সমস্ত ভুল আমার নিজের, আর সমস্ত ভাল কিছুর জন্য আল্লাহর প্রশংসা। আল্লাহ আমার ভুল থেকে আপনাদেরকে হেফাজত করুন! আর ইসলামের যে সমস্ত প্রাথমিক যুগের স্কলার আমাদের জন্য এরকম কঠিন দার্শনিক প্রশ্নের সুন্দর সন্তোষজনকভাবে উত্তর দিয়ে গিয়েছেন, তাদের মর্যাদা আল্লাহ জান্নাতে আরো বাড়িয়ে দিক, তাদের কাছে আমরা কি পরিমাণ ঋণী সেটা আমরা প্রায়ই ভুলে যায়, আল্লাহ আমাদেরকে তাদের প্রজ্ঞা আর জ্ঞান থেকে লাভবান হওয়ার যোগ্য করে তুলুক!

০১.
অন্যধর্মের লোকের পরকালীন বিচার কিরকম হবে এ প্রশ্নটা আদতে প্রত্যেক ধর্মকেই মীমাংসার চেষ্টা করতে হয়। ধর্মসমূহের মীমাংসার মধ্যে এ প্রশ্নের উত্তরের দুটা বিপরীত চরমপন্থী উত্তর আছে।

প্রথমটা হল শুধুমাত্র আমার ধর্মে বিশ্বাস করলেই আপনার পরকালীন মুক্তি আছে। নাহয় আপনি মুক্তি পাবেননা, এমনকি যদি আপনি বৈধ কারনে আমার ধর্ম সম্পর্কে না জানা হেতু আমার ধর্ম গ্রহণ করেননি, তবুও আপনাকে দোজখে যেতে হবে। খ্রিস্টান ধর্ম এই মত গ্রহণ করে। মূলধারার খ্রিস্টান ডক্ট্রিন হল যিশুকে আপনি শুধুমাত্র আপনার প্রভু, ঈশ্বরের পূত্র ঈশ্বর, এবং ত্রাণকর্তা মনে করলেই আপনার মুক্তি আছে। এমনকি যদি আপনি এমাজনের জংগলে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে যিশু সম্পর্কে আপনাকে কেউ বলেনি, তবুও আপনি যিশুতে বিশ্বাস আনতে হবে, না আনলে আপনার পরকালীন মুক্তি সম্ভব না। এটা একটা চরমপন্থি উত্তর। এই চরমপন্থি উত্তরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এটাতে সৃষ্টিকর্তাকে সুবিচারক মনে হয় না। সৃষ্টিকর্তাকে বরং মনে হয় একজন পরাক্রমশালী ডিক্টেটর, যিনি নিরপরাধ মানুষ, যারা সৃষ্টিকর্তার আনুমোদিত ধর্ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না, তাদেরও শাস্তি দিবেন।

অন্য চরমপন্থী উত্তর হল, সবাই মুক্তি পাবে, আদতে যে কোন একটা ধর্ম পালন করলেই হল। এমনকি পালন না করলেও সমস্যা নেই। স্রষ্ঠার সন্তুষ্টির জন্য হাজার হাজার পথ আছে, যত লোক তত পথ, যেকোন একটা কিছু পথ নিলেই আপনার মুক্তি। এটা সনাতন ধর্মের অনেকেই মনে করেন। ইসলামের দর্শণের মধ্যে "পেরেনিয়ালিজম" নামে একটা ধারা আছে, তারাও এই মতের অনুসারি। এ মতের একটা তাৎক্ষণিক আকর্ষণ আছে, বিশেষ করে বর্তমানে যেহেতু ধর্মকে বিভাজন সৃষ্টির অনুঘটক হিসেবে একটা প্রচার আছে, সেজন্য এই মত খুবই জনপ্রিয় এবং পলিটিকালি কারেক্ট। যদিও শুনতে ভাল শুনায় এ মীমাংসা, কিন্তু এটা যুক্তির নিরিখে বিচার করলে খেলো দর্শণ মনে হয়। ধর্মসমূহের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও অমিলও অনেক। এবং অমিলগুলো পরষ্পরবিরোধী। যেমন খ্রিস্টান ধর্মে যিশুকে ঈশ্বর মানতে হবে। ইসলাম বলে যিশু ঈশ্বর না, যিশুকে ঈশ্বর বলা বড় পাপ, শিরকের অপরাধ। দুটো দৃষ্টিভংগীই সঠিক হতে পারে না, কেননা একটা অপরটার বিপরীত। এরকম পারষ্পরিক বিরোধী (মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ) ভিউপয়েন্টের যেহেতু দুটাই সত্য হতে পারে না, তাই সব ধর্মই স্রষ্ঠার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য এটা যৌক্তিক কোন অবস্থান না, এটা বড়দাগে আবেগী অবস্থান।

০২.
উপরে দুই চরমপন্থি অবস্থানের ব্যাখ্যা দেওয়ার পর এখন ইসলামের দিকে তাকানো যাক। প্রথমে এটা স্মরণ করিয়ে দেয়া উচিৎ যে মুসলমান হলেই পরকালীন মুক্তি অবশ্যাম্ভাবী না। কারো পাপাচার থাকলে তাকে সেটার জন্য শাস্তি পেতে হতে পারে যদিনা সৃষ্টিকর্তা মাফ করে দেন। এটা যেহেতু মুসলমানদের পরকালীন মুক্তি নিয়ে পোস্ট না, তাই এ বিষয়ে আর বিশদ ব্যাখ্যায় যাচ্ছিনা।

অমুসলিমদেরকে তিনটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়।
ক. যাদের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছায়নি।
খ. যাদের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছাইছে কিন্তু খন্ডিতভাবে (যেমন ভুলভাবে, প্রপাগান্ডা, বা মিথ্যার মাধ্যমে)।
গ. যাদের কাছে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের বাণী পৌঁছাইছে। (এদের আবার দু'ভাগ: যারা ইসলামের বাণী পরিপূর্ণভাবে শুনেছে কিন্তু বুঝতে পারেনি, আর যারা বুঝতে পেরেছে কিন্তু ইসলাম গ্রহণ করেনি)।

ক) যাদের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছায়নি তাদেরকে আল্লাহ ইসলামের আলোকে বিচার করবেন না। মানে উপরে এলাবামার এক খ্রিস্টান মহিলার কথা বললাম, তিনি ভাল মানুষ, কিন্তু ইসলামের কথা শুনেন নি। বা পূর্বেকার সময়ে দুই নবীর আগমনের মাঝখানে আল্লাহর বাণী অনেকটাই দূর্বল হয়ে যেতে পারে, তখন সেসময়ের মানুষ যেহেতু আল্লাহর বাণী ভালমতে শুনেনি, তাদেরকে ইসলামের আলোকে বিচার করবেন না আল্লাহ। তাদের ইসলাম সম্পর্কে না শুনার ব্যাপারটা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইসলামের কোন কিছু কারো নিয়ন্ত্রণের বাইরে হলে তাকে সেটার জন্য আল্লাহ দায়ী করেন না। এই অবস্থানের রেফারেন্স কোরান-হাদিসে অনেক, তাই এই পজিশান নিয়ে ইসলামি স্কলারদের মধ্যে তেমন কোন দ্বিমত নাই। যেমন কোরানে আছে, "......কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না।" (১৭:১৫)।

খ) দ্বিতীয় শ্রেণীর অমুসলিম হল যারা ইসলামের কথা শুনেছেন কিন্তু প্রপাগান্ডার মাধ্যমে, মিথ্যা মিশ্রিত বয়ান শুনেছেন, বা ভুল বার্তা পৌঁছেছে তাদের কাছে। যেমন ধরেন বর্তমান দুনিয়ায় ইসলামবিরোধী অপপ্রচার তুংগে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে। সাধারণ অনেক মানুষের পক্ষে এ প্রপাগান্ডার আসল উদ্দেশ্য, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা সেটা বিচার করা সম্ভব না। উপরে উল্লেখিত এলাবামার খ্রিস্টান মহিলা হয়ত ফক্স নিউজে ইসলামের কথা শুনেছেন। তিনি জেনেছেন ইসলাম মানে খুন করা, ধর্ষণ করা, লুটপাট, গণহত্যা। এমতাবস্থায় তার পক্ষে ইসলাম নিয়ে ভাল ধারণা থাকার কথা না। এ ব্যাপারে স্কলারদের মত হল কেউ শুধু ইসলাম সম্পর্কে শুনলেই হবে না, বরং ইসলাম যে সঠিক এবং সুন্দর জীবনবিধান, সেটা তার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে হবে। তাই এরকম কারো বিচারও ইসলামের আলোকে হবে না।

তাহলে উপরের দুই ক এবং খ শ্রেণীকে আল্লাহ কিভাবে বিচার করবেন? সেটা নিয়ে স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। কেউ বলেন আল্লাহ তাদের যদ্দুর মেসেজ পৌঁছল (যেমন খ্রিস্টান ধর্মে অনেক কিছুই ইসলামের মত, মিথ্যা না বলা, প্রতিবেশিকে সাহায্য করা, মানুষকে ভালাবাসা, সমকামি যৌনতায় লিপ্ত না হওয়া, ব্যভিচার না করা ইত্যাদি), সেটা অনুসারে তাদেরকে বিচার করবেন। আবার অনেকে বলেন আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের জন্য দুনিয়ার মত অবস্থা চালু করবেন, তারপর তাদের কাছে নবী পাঠাবেন। নবীর হুকুম তারা মানলে মুক্তি পাবে, না মানলে পাবেনা।
আর ইসলামের অন্যতম প্রভাবশালী মনিষী আল-গাজ্জালির মতে এদেরকে আল্লাহ বিনা শর্তে ক্ষমা করে দিবেন।

কিভাবে বিচার করবেন সেটা নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও যে ব্যাপারে স্কলারদের কোন সন্দেহ/দ্বিমত নাই সেটা হল, আল্লাহ তাদের প্রতি পরিপূর্ণ সুবিচার করবেন, তাদের প্রতি কোন ধরণের অন্যায়/অবিচার করা হবে না। এবং সে সুবিচার যে পরিপূর্ণ সুবিচার সেটা যাদেরকে বিচার করা হচ্ছে তারাও সম্পূর্ণভাবে মেনে নিবেন, তারাও জানবেন যে তাদের প্রতি আল্লাহ সম্পূর্ণ সুবিচার করেছেন।

উল্লেখ্য মুসলমানদের দায়িত্ব হল ইসলামের বাণী সবার কাছে সঠিকভাবে হিকমতের সাথে পৌঁছে দেয়া, তাই উপরের দু শ্রেণীর লোকের ইসলাম সম্পর্কে না জানার দায়িত্ব মুসলমানদের উপর বর্তায়। এ দায়িত্ব পালন হবে যদি আপনি আপনার সামর্থ্য মত ইসলামের বাণী সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মেহনতের সাথে জড়িত থাকেন। সেই দায়িত্বের আওতা খালি অমুসলিম না, যারা নামে মুসলমান কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে অনেক অজ্ঞ, তাদেরকে আপনি যা জানেন সেটা পৌঁছে দেয়াও দায়িত্ব। এ দায়িত্ব সম্পর্কে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করা হবে।

গ) তৃতীয় শ্রেণীর অমুসলিম হল যাদের কাছে ইসলামের বাণী পরিপূর্ণভাবে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে দুটা ভাগ। একভাগ যাদের কাছে ইসলামের বাণী সম্পূর্ণভাবে এবং সঠিকভাবে পৌছলেও তারা সেটা বুঝতে পারেনি নিজেদের বুদ্ধির বা অন্য কোন সীমাবদ্ধতার জন্য। যেমন কোন একজন অমুসলিমকে আপনি ইসলামের বাণী সম্পূর্ণভাবে পৌঁছালেন, কিন্তু তার মানসিক সমস্যা আছে বা বার্ধক্যজনিত কারনে তিনি মেসেজের সঠিকতা বুঝতে অক্ষম। তাহলে তিনিও উপরের দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষের কাতারে পড়বে।

কিন্তু যারা ইসলামের বাণী পরিপূর্ণভাবে পেয়ে, বুঝে, গ্রহণ করল না, তাদের তো কোন বৈধ এক্সকিউজ নাই। যেমন আবু জাহেল, তার অনেক মেধা/বুদ্ধি ছিল। সে বুঝেছিল ইসলাম সত্য, তবুও গ্রহণ করেনি। সেক্ষেত্রে তার কোন এক্সকিউজ নাই। যারা বুঝল যে ইসলাম সত্য ধর্ম, তাদের জন্য পরকালে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল ইসলাম গ্রহণ করা। আবার তাই যার মেধা যত ভাল, তার বিপদ তত বেশি। দের জন্যই বলা হয়েছে "যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত।" (৩:৮৫)।

অনেক মেধাবী লোক আছে, দুনিয়ার সব কিছুর জন্য তারা অনেক সময় দেয়, কিন্তু কোরান-সুন্নাহ বুঝার জন্য তাদের সময় নেই। তারা টপলজি বুঝে, স্ট্রিং থিয়রি বুঝে, জটিল ইকুয়েশান নিমিশেই সমাধান করে, কারন এসবের জন্য তারা জীবনের পুরা সময়টাই ব্যয় করে। কিন্তু মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, আল্লাহ আমাকে কেন সৃষ্টি করেছেন, এই অস্তিত্বের প্রধাণতম প্রশ্ন, সে প্রশ্ন নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই, সেখানে অনুমানের উপর ভিত্তি করে জীবন চালিয়ে দেন। এটা তাকে দেওয়া আল্লাহর মেধার উপর অবিচার, এবং সে ব্যাপারে তাকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে।

০৩.
উপরের আলোচনায় এটা বুঝা যায় যে ইসলাম যেমন খ্রিস্টান ধর্মের মত "খ্রিস্টান না হলে তার মুক্তি নাই, এমনকি সে বৈধ কারনে খ্রিস্টানিটি নিয়ে না শুনলেও/জানলেও", এরকম চরমপন্থি অবস্থান গ্রহণ করেনা, তেমনি "সব ধর্মই সঠিক, একটা মানলেই হল", এরকম অযৌক্তিক অবস্থানও গ্রহণ করেনা। বরং ইসলাম মধ্যপন্থি, এবং আল্লাহ পরিপূর্ণ সুবিচার দিবেন সবাইকে তার মেধা, তার অবস্থান, তার বুঝ, তার কাছে কতটুকু আল্লাহর বাণী পৌঁছল সেসবের সবকিছুকে পরিপূর্ণভাবে বিবেচনায় নিয়ে।

আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণ সুবিচার এবং অপরিসীম মমতার উপর সম্পূর্ণভাবে ভরসা করি। কেউ আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলে অমুক দোজখে যাবে কিনা, অমুক বেহেশতে যাবে কিনা, আমাদের উত্তর হবে, "তার অবস্থান, কর্ম, বিশ্বাস, তার অন্তরের অবস্থা, তার মেধা, মৃত্যুকালীন তার হালত, এসবের পরিপূর্ণ খবর রাখেন শুধুমাত্র আল্লাহ, এবং আল্লাহ পরিপূর্ণ সুবিচারকারী, অপরিসীম দয়ালু, অভূতপূর্ব মমতাময়, অসীম ক্ষমাকারী। তাঁর বিচারের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। বাকি সবকিছু অপ্রাসংগিক এবং অলস অনুমান।" আর আমাদের নিজেদের জন্য আমরা হাশরের বিচারের ভয়ে ভীত কিন্তু আল্লাহর অপরিসীম মমতার ব্যাপারে আশাবাদি, এ দুয়ের মাঝখানে আমাদের অবস্থান।

শেষে আশা জাগানিয়া এক ঘটনার বর্ণনা করে শেষ করছি। একবার এক মহিলা তার ছোট সন্তানকে হারিয়ে খুবই পেরেশানির মধ্যে ছিল, সবাইকে জিজ্ঞেস করে বেড়ায় তার সন্তানকে কেউ দেখেছে কিনা। সন্তানহারা মাকে কেউ দেখে থাকলে তাহলে কল্পনা করা যায় কি অবস্থা হয়েছিল তার। পাগলপ্রায় হয়ে মহিলা কোন ছোট ছেলেকে দেখলেই তার কাছে গিয়ে তাকে জড়ায়ে ধরে, কিন্তু যখন দেখে তার সন্তান না, তখন তাকে ছেড়ে নিকটে অন্য ছেলের কাছে যায়, তাকে জড়ায়ে ধরে আবার, কিন্তু যখন দেখে সেও তার সন্তান না, তাকে ছেড়ে নিকটে অন্য ছেলের দিকে যায়। উন্মত্তপ্রায় মহিলার এই অবস্থা রাসুল (সাঃ) এবং সাহাবারাও খুবই পেরেশানির সাথে দেখছিলেন, তারাও চাচ্ছিলেন যেন মহিলা তাড়াতাড়ি তার ছেলেকে ফিরে পায়, যখনই কোন ছেলের দিকে যায় মহিলা, সাহাবারা দুরু দুরু বুকে আশা নিয়ে মনে মনে চাচ্ছিলেন, আহা এই ছেলেটাই যেন মহিলার হারানো সন্তান হয়। শেষে মহিলা তার সন্তানকে ফিরে পায়, ফিরে পেয়ে কি পরিমাণ যে মহিলা তাকে চুমু দিয়ে, জড়িয়ে ধরে, আনন্দের কান্না করল। সাহাবারা সবাই খুবই আপ্লুত হয়ে গেলেন এমন একটা স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে। সবার মুখে হাসি, রাসুল (সাঃ) সারা মুখে আনন্দ নিয়ে সাহাবাদের জিজ্ঞেস করলেন, "তোমাদের কি মনে হয় এ মা কোনদিন তার সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করবে?" সাহাবারা অবাক হয়ে বললেন, "না, আল্লাহর রাসুল, কোনদিনই না। সেটা কিভাবে সম্ভব।" রাসুল (সাঃ) বললেন, "মায়ের সন্তানের জন্য যা মমতা তার চেয়ে অনেক বেশি আল্লাহর মমতা তার বান্দার প্রতি।"

যারা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চান, তারা নিচের লিংকে আরো পড়াশুনা করতে পারেন।

সূত্র:
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. https://www.youtube.com/watch?v=cR1hhgguS5U

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

আশাবাদী অধম বলেছেন: এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন যা বর্তমান মুসলিমদেরকে ক্ষণে ক্ষণে প্রশ্নবানে জর্জরিত করছে। আলোচনা অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত হতে পারছিনা। আমার জানামতে রিসালাতের ক্ষেত্রে সংবাদ না পৌঁছলে এটা অজুহাত হিসেবে গৃহীত হবে। কিন্তু তাওহীদের ক্ষেত্রে সংবাদ পাওয়া শর্ত নয়। বিবেকের মাধ্যমে হলেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে এবং এককত্বে বিশ্বাস করতে হবে। অন্যথায় রেহাই পাওয়া যাবেনা।

তবে শেষ কথা হচ্ছে- আল্লাহ ন্যায়বিচারক। তিনি পৃথিবীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আদেশ দিয়েছেন। আখেরাতে তিনি নিজেও ন্যায়বিচার সমুন্নত করবেন। আর সব মানুষেকেই আলাদা আলাদা ভাবে আল্লাহর সম্মুখে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেককে তাঁর সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই বিচার করবেন। আর তাঁর শাস্তির তুলনায় ক্ষমা অগ্রগণ্য।

আল্লাহই ভালো জানেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

নরাধম বলেছেন: আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেক স্কলাররা মনে করেন, কোন রেভেলেশান ছাড়াও মানুষের পক্ষে আল্লাহর একত্ববাদে আসা সম্ভব। আমার যদ্দুর মনে পড়ে ইবনে তায়মিয়্যাহরও তাই ধারনা ছিল (আমি নিশ্চিত না)। তাছাড়া মুতাজিলারাও এরকম ধারণা পোষন করত। এর সপক্ষে প্রমাণ হল ইব্রাহিম (আঃ)-র কাহিনী, যেখানে তিনি নিজে চিন্তা করে আল্লাহর একত্ববাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিলেন। আবার অনেক স্কলারের ধারণা হল রেভেলাশান ছাড়া আল্লাহর একত্ববাদে পৌঁছানো সম্ভব না। তাই এক্ষেত্রে কিছুটা মতভিন্নতা আছে, সেজন্যই আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলিনি। আগ্রহী যারা তারা লিংকের লেখা/ভিডিও দেখলে আরো বিস্তারিত জানবেন।

তবে আপনি যা বলেছেন, যেটাই হোক "আল্লাহ ন্যায়বিচারক। তিনি পৃথিবীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আদেশ দিয়েছেন। আখেরাতে তিনি নিজেও ন্যায়বিচার সমুন্নত করবেন। আর সব মানুষেকেই আলাদা আলাদা ভাবে আল্লাহর সম্মুখে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেককে তাঁর সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই বিচার করবেন। আর তাঁর শাস্তির তুলনায় ক্ষমা অগ্রগণ্য।"

তাই আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণ সুবিচারের উপর ভরসা করি, এমনকি সে সুবিচারের স্বরূপের বিস্তারিত না বুঝলেও।

আল্লাহ আপনাকে আমাকে সঠিক বুঝ দান করুক, আমিন!

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: যারা মুর্তি পুজা করে তাদের ছাবেইন বা সাবেইন বলা হয় -------
সুরা ২-- ৬২
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
সুরা ৫--৬৯
নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।

খৃষ্টান ইহুদি ছাবেয়ী ( পৈতলিক) এরা সবাই সৃষ্টি কর্তা এবং পরকালকে বিশ্বাষ করে ---- আল্লাহ বলেছেন তাদের কোন ভয় নাই এবং দু:খিত হওয়ার কারন নাই ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

নরাধম বলেছেন: যার মূর্তিপূজা করে তাদেরকে সাবেঈন বলা হয় এই কথার সোর্স কি? আর হিন্দুরা পরকালকে বিশ্বাস করেনা, তারা পরজনমে বিশ্বাস করে আমার জানামতে।

সে যাই হোক, আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। কোরানের দুটা আয়াত থেকে শরয়ী বিষয়ে ফায়সালা করা যায়না, এজন্য প্রাাসংগিক সব কোরানের আয়াত, সব হাদিস, কোরানের আয়াতের এবং হাদিসের কনটেক্স্ট, রাসুল (সাঃ) এবং সাহাবারা এসব কিভাবে বুঝেছেন, প্রয়োগ করেছেন, এসব অনেক বিষয়ের সমন্বয়ে দীর্ঘসময় ধরে স্কলাররা গবেষণা করে তারপর কোন একটা বিষয়ের জবাব দেন। আমার উপরের পোস্টটা সেরকম মতামতের উপর ভিত্তি করে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার আলোচনা আমার ভালো লেগেছে।
আপনি প্রথম প্রশ্ন করেছেন যে- “অমুসলিমরা কি দোজখে যাবে? যারা অনেক ভালো মানুষ?” সাথে একটি ঘটনাও তুলে ধরেছেন
এখন কথা হলো অমুসলিম কারা? যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন না তারাই কি? না তারা নয়, বিধর্মী/অমুসলিম হলো তারাই যারা শিরকে জড়িত। বিধর্মী কথাটি আসলো কি ভাবে এবং কেনো আসলো? আল্লাহ এবং তার কোন রাসুল তো চাননি পৃথিবীর কোন বান্দাকে বিধর্মী উপধী দিতে। তাহলে কেনো তাদের এই নাম হলো। হুম জানি প্রত্যেকের ধর্ম আলাদা আলাদা। ঠিক যেমন আল্লাহ পৃথিবীতে চারটি ধর্মগ্রন্থ পাঠিয়েছে যুগে যুগে চার রাসুলের নিকট। আর প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে কিন্তু আল্লাহ একই বাণী বলেছেন। তিনি কিন্তু আলাদা আলাদা বাণী শুনাননি। তিনি কিন্তু চারটি কিতাবেই একই নির্দেশ দিয়েছেন “হে বান্দা শিরক করো না, আমাকে অনুসরন করো, আমার পথে চলো, আমাকে ডাকো, আমার প্রতি বিশ্বাস রাখো, আমার নবীদের বিশ্বাস করো। আমাকে ব্যতিতে অন্য কোন পুজারীকে পুজো করো না কিংবা সেজদা করো না। আমি তোমাদের যেটা হুকুম করেছি সেটা তোমরা মানো আর শিরককারীকে আমি কখনোই ক্ষমা করবো না, আমাকে ছাড়া যদি দ্বিতীয় কাউকে ভাবো তাহলে সেই শাস্তি তোমরা পাবে কিয়ামতে মাঠে” এখন আপনিই ভাবুন আল্লাহ তো চার রাসুল (সঃ) দের নিকট একই বাণীর কিতাব পাঠিয়েছেন। সেই সব কিতাবে তো লেখা নাই যে তোমরা যিশুকে আল্লাহর পুত্র মনে করো যিশুকে প্রভু মনে করো, তোমরা মুর্তি পুজা করো, তোমরা গাছ পুজা করো আল্লাহ ব্যতিকে অন্য কাউকে সিজদা করো। আল্লাহ বলেছেন কি? বলেননি। এখন কথা হলো অমুসলিমরা দোজখে যাবে কি না। হ্যা যাবে কারণ তারা আল্লাহর সাথে শিরক করেছেন। শুধু অমুসলিম না মুসলিমরাও দোজখে যাবে কারণ মুসলিমরাও শিরক করে থাকে। আল্লাহ ব্যতিতে কবর সেজদা করে পীর সেজদা করে। সে যেই হোক না কেনো পৃথিবীতে সব থেকে ভালো মানুষ সেও যাবে দোজখে কারণ সে সিরক করেছেন আল্লাহর সাথে দ্বিতীয় কাউকে তুলনা করেছেন। আর শিরককারীকে আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। যতদিন না পযর্ন্ত সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নরাধম বলেছেন: এটা আসলে আমার আলোচনা না। এটা ইসলামের ক্লাসিক স্কলারদের মত। ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: যার মূর্তিপূজা করে তাদেরকে সাবেঈন বলা হয় এই কথার সোর্স কি?
একটু গুগুলস করুন পেয়ে যাবেন ,কোথাও কোথাও বলা হয়েছে সনাতন অথবা পৈতালিক ধর্ম ইত্যাদি ।

কোরানের দুটা আয়াত থেকে শরয়ী বিষয়ে ফায়সালা করা যায়না
অমুসলিমরা বেহেস্তে যাবে কি না এ বিষয়ে মাত্র ৩টা আয়াত আছে ;;;; আমার দেওয়া দুটো এবং সুরা আল ইমরানের ৮৫ -- যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।
আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্থ হওয়া মানে দোজগে যাওয়া বোঝায় না এবগ এখান শুধু তালাশকারিদের ব্যপারে বোঝানো হয়েছে ।
মনে করুন একজন মানুষ সব ধর্ম নিয়ে অনুসন্ধান করে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম গ্রহন করেছে , তখন তার এই ধর্ম গ্রহন আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য হবে না , কিন্তু সে যদি স্রষ্ঠায় বিশ্বাষি , পরকালে বিশ্বাষি এবং সৎ কর্ম করে তখন আয়াত ২-৬২ এবং ৫-৫৯ অনুযায়ি পুরুষ্কৃত হবে কারন তাদের ভয় পেতে মানা করা হয়েছে এবং দু:খ পেতে মানা করা হয়েছে , তারমানে তাদের দোজগে যাবার ভয় নাই । ৩-৮৫ অনুযায়ি সে যদি পরকালে ক্ষতি গ্রস্থ হয় , তার মানি সে হয়ত জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান পাবে না , অন্য বেহেস্ত গুলোতে স্থান পাবে ।
জী তারা যতই ভালো কাজ করুক না কেন তারা দোজগে যাবে -- এই ধরনের কথা সম্বলিত অনেক হাদিস আছে , সেগুলো যেহেতু কোরানের আয়াতের সাথে সংঘর্সিক ( ২-৬২ এবং ৫-৫৯) তাই সেগুলো গ্রহন যোগ্য নহে ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

নরাধম বলেছেন: আপনার নিজস্ব মতামত এবং গুগল থেকে খুড়িয়ে পাওয়া জ্ঞান ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক প্রশ্ন সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত না। আপনি মুসলমান বড় স্কলার/দার্শনিক (যেমন আল-গাজালি) বা সাম্প্রতিক কালের মূলধারার স্কলারদের মতামত নিয়ে আসলে তখন কথা বলা যাবে। গুগলের মাধ্যমে পাওয়া বাইট-সাইজ জ্ঞান দিয়ে তর্ক করার ইচ্ছে নেই। এরকম জ্ঞানের কোন বৈধতা নেই।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: "মায়ের সন্তানের জন্য যা মমতা তার চেয়ে অনেক বেশি আল্লাহর মমতা তার বান্দার প্রতি।"
যাক জানে একটু পানি আসলো।

জান্নাত, জাহান্নাম বিষয়ে আল্লাহ তালাই ভালো জানেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর আলোচনা। অনেক কিছু জানা হল।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ""অমুসলিমরা কি দোজখে যাবে? বিশেষ করে
যারা অসম্ভব ভাল মানুষ, কিন্তু ঘটনাক্রমে
অমুসলিম, তারা? ধরেন আম্রিকার
এলাবামা রাজ্যের কোন এক বয়স্ক মহিলা,
সারাজীবন মানুষের সেবা করেছে, অন্যের
জন্য জীবন উজার করে দিছে। কোনদিন
কথায় বা কাজে কষ্ট দেয়নি কাউকে। খুব
কম সামর্থ্যের মধ্যেও চেষ্টা করেছে
কিভাবে অন্যের দুঃখকষ্ট লাঘব করা যায়।
তিনি খ্রিস্টান ধর্ম যদ্দুর জানতেন,
বুঝেছেন, সবকিছু মেনে চলেছেন, এবং
তিনি আসলে অন্য কোন ধর্ম যে পৃথিবীতে
আছে সেটাও জানতেন না। তো তার
ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা কি?""

আমার বয়স যখন ৮-১০ ছিল তখন থেকেই এই প্রশ্নটি মাথায় নিয়ে ঘুরছি।

কিন্তু কোম আলেমকে এই প্রশ্নটা করার সাহস পায়না। তাছাড়া সাধারণ আলেমের উত্তরগুলোও বেশির ভাগ সময়ই অযৌক্তিক হয়।

সে যাইহোক, আমি এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেয়েছি আপনার লেখা থেকে। তবে একটা জায়গাতে সম্পূর্ণ একমত না। মানে এই জায়গাটাতে একটু দ্বিধা আছে আমার।

২ এর ক এবং গ ভালোমতোইই বুঝেছি এবং সহমতও পোষন করছি। আর ৩ নং টা ভালো করে বুঝতে পারেনি আমার জ্ঞানস্বল্পতার কারণে।

২ এর খ এর সাথেই আমার দ্বিমত।

কারো কাছে ইসলামের বানী পৌছেছে মিথ্যাভাবে। যেমন: ইসলাম ধর্ম ধর্ষণ, ভ্যাবিচারে উৎসাহিত করে ইত্যাদি।

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে আল্লাহ এদেরকে ক্ষমা করবেন না।(আবার করতেও পারে) কারণ তারা ইসলাম ধর্ম যাচাই বাছাই না করে তারা তাদের(যাদের কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যা শুনেছে) কথা বিশ্বাস করেছে।

ইসলামে ইজতেহাদ করার কথা স্পষ্ট বলা আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩

নরাধম বলেছেন: সাধারণ মানুষের পক্ষে আসলে মিডিয়ায় প্রচারিত সত্যমিথ্যা যাচাই করা সম্ভব না। ফেসবুকে যারা থাকে তারা তো মোটামোটি শিক্ষিত, অথচ তারাই কি পরিমান মিথ্যা প্রপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়। আর গ্রামের সাধারণ মানুষ তো আরো বেশি প্রভাবিত হবে।

আর ইজতেহাদ করার জন্য অনেক যোগ্যতা লাগে, অনেক বছর ইসলামী জ্ঞান হাসিল করতে হয়।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কোন অংশ না বুঝলে ধৈর্য্য ধরে আবার পড়ার অনুরোধ করছি।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: শেষ বিচারে মহান আল্লাহ্ তায়ালা ফায়সালা করবেন। মহান আল্লাহ্ তায়ালা যেমন রাহমান বা রাহিম (দয়াশীল) ঠিক তেমনি তিনি কাহহার ( কঠিন)।
তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিতে পারেন আবার যাকে ইচ্ছা কঠিন শাস্তিও দিতে পারেন। আমরা সবাই মহান আল্লাহর দয়া কামনা করি।- আমীন

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: শুনুন,,,, আমি সাবেইন শব্দের অর্থ খোজার জন্য গুগল সার্চের কথা বলেছি অন্য কিছু নহে। কোরানের আয়াতের অনুবাদ কি ভুল। দিয়েছি। কোরানে যেটা বলেছে শুধু সেটাই সত্য অন্য কারো ফতুয়া নহে। হাদিসের উপর বেস করে কোরান বিরুধি কোন কথা গ্রহন যোগ্য নহে।
আপনি কোরানের আয়াত থেকে রেফারেন্স দেন না, আমি তো দিলাম। আপনার মতামতের পক্ষে হাদিস নিয়ে আসেন দেখেন কোরানের আয়াতের সাথে মিলে কিনা।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: যার আলাপই হোকনা কেন খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন তুলেছেন । সময় নিয়ে পড়ব । প্রিয়তে রাখলাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: অমুসলিমরা কি দোজখে যাবে ?
বলুন দেখি,
নবী(দঃ)এর পিতা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব কি দোজখে যাবেন ?
নবী(দঃ)এর মাতা আমিনাহ্ বিনতে ওহাব কি দোজখে যাবেন?
নবী(দঃ)কে লালন-পালনকারী চাচা আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিব কি দোজখে যাবেন ?
মুসলিম বিশ্বের প্রিয় বিজ্ঞানী ডাঃ মরিস বুকাইলি কি দোজখে যাবেন ?
নবী(দঃ) জীবনী লেখক বিখ্যাত ব্রিটিশ প্রফেসর মন্টগোমারি ওয়াট কি দোজখে যাবেন ?
আইরিশ ক্যাথলিক সিস্টার ও তুলনামূলক ধর্মতত্বের বিখ্যাত লেখিকা কারেন আর্মস্ট্রং কি দোজখে যাবেন ?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

নরাধম বলেছেন: লেখাটা সম্পুর্ণ পড়লে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার নিজস্ব মতামত এবং গুগল থেকে খুড়িয়ে পাওয়া জ্ঞান ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক প্রশ্ন সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত না

কোরানের আয়াতের অর্থ দিয়ে কিছু বলতে চেয়েছি, অন্য কিছু নয় , আপনার ঐ লিখা তো ,ইসলামের কাট মোল্লা দর্শন, সেটা প্রমাণীত, তাই সেটা পরিতাজ্য । এই দর্শন আল্লাহর ন্যায় বিচারকে প্রশ্ন বোধক করে (নাউযুবিল্লাহ ) । আমি সব জায়গা থেকে জ্ঞান নিতে পারি সেটা গুগল হোক বা অগুগোল হোক যেমন কোরানের আয়াতের জ্ঞান কোরান থেকে নিয়েছে গুগোল থেকে নয় । সাবেঈন অর্থ পৈতালিক বা সনাতন ধর্ম আমি সেটা ইসলামি পুস্তক থেকেই পেয়েছি এবং গুগোলেও আছে , নিজে একটু খুজে বের করেন । মনে হয় খুব দু:খ পেয়েছেন , বিশ্বাষী অমুসলিমরাও বেহেশতে যাবে এর সপক্ষে কোরানের আয়াত দেখে । কোরানের একটা আয়াত এনে প্রমাণ করেন যে অমুসলিম যত ভালো কাজ করুক না কেন দোজগে যাবে এবং ৩-৮৫ নং আয়াত দিয়ে প্রমাণ হয় না যে, অমুসলিম কিন্তু ভালো মানুষ এবং বিশ্বাষিরা দোজগে যাবে ।

আপনি মুসলমান বড় স্কলার/দার্শনিক (যেমন আল-গাজালি) বা সাম্প্রতিক কালের মূলধারার স্কলারদের মতামত নিয়ে আসলে তখন কথা বলা যাবে।

আপনে কোন লেবেলের স্কলার যে আপনি কথা না বল্লে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে । জী আপনার কাট মোল্লা লেকচারের পক্ষে লক্ষ লক্ষ রেফারেন্স পাওয়া যাবে কিন্তু তারা কেউ ২-৬২ এবং ৫-৬৯ এর উদাহরন কখনো দেয় না এবং আপনি ও দেন নি , তারমানি যেনে শুনে সত্যকে গোপন করছেন । তাদের ফতুয়ার পক্ষের হাতিয়ার হোল আয়াত নং ৩-৮৫, যেখানে দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ --- একটি হোল তালাশকারি বা অনুসন্ধানি এবং অপরটি হোল আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া । আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থ এই শব্দটা দিয়ে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে অমুসলিমরা যতই ভালো কাজ করুক না কেন দোজগে যাবে কিন্তু এই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মানে দোজগে যাওয়া কোন ভাবে দাবি করা যায় না এবং এই দাবির বিপক্ষে দুটো আয়াত আছে ( ২-৬২ এবং ৫-৬৯) । আপনার তথা কথিত স্কলারা সহ আপনি নিজে কি কারনে ২-৬২ এবং ৫-৬৯ এর উদ্ধৃতি দেন নাই ???? দিলেতো গল্প খতম হয়ে যায় । আয়াত ৫-৮৫ তে শুধু তালাশকারি বা অনুসন্ধানিদেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা তালাশ করে না , তারা এর ভিতরে পরে না । এগুলোর জবাব দিতে না পেরে, আপনি এখন স্কলারের স্মরণান্ন হয়েছেন , কারন আপনার পক্ষে বহু কাটমোল্লা রেফারেন্স আছে , যারা কোরানের এই দুটি আয়াতের রেফারেন্স কখনো দেয় না ( ২-৬২ এবং ৫-৬৯ ) । যারা এই গুরুত্বপূর্ণ আয়াত দুটোকে ইচ্ছা করে গোপন করে , তাদের মতামতের কি কোন বৈধতা আছে ??

গুগলের মাধ্যমে পাওয়া বাইট-সাইজ জ্ঞান দিয়ে তর্ক করার ইচ্ছে নেই। এরকম জ্ঞানের কোন বৈধতা নেই।

ও আপনার জ্ঞান বুঝি বাইট-সাইজ জ্ঞান এবং গুগোলের মাধ্যমে পাওয়া তাই আপনার তর্ক করার ইচ্ছে নেই, আপনার এই জ্ঞান নিয়ে ( যেটা আপনার বাক্যে লিখা আছে) এবং আপনাকে ধন্যবাদ স্বীকারোক্তির জন্য যে আপনার জ্ঞানের কোন বৈধতা নেই । তারমানি আপনি লিখেছিলেন যে অমুসলিম যত ভালো হোক সে দোজগে যাবে --- এই দাবির কোন বৈধতা নেই এবং আপনার এ উপলদ্ধি হয়েছে এই আয়াত দুটো পড়ার পর । ধন্যবাদ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

নরাধম বলেছেন: ভাই, লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন, আপনি প্রথম প্যারাগ্রাফ পড়েই কমেন্ট করছেন।

আর আপনি কি কলকাতার দাদা? আপনার লেখা আর কমেন্ট পড়ে আপনাকে মুসলমান মনে হয় নি, কোলকাতার বিজেপি/শিবসেনা/বজরং মনে হয়েছে। সেরকম হলে ইসলামের দার্শনিক বিষয়ে অযথা তর্ক করে লাভ নেই। ভাল থাকবেন।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সব দুষ্ট লোকেরাই দোযকে যাবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

পুকু বলেছেন: এইসব ফালতু ও unproductive জিনিষের উপর কথার কচকচানি না করে সত্যি কারের কিছু ভাল কাজ করুন যাতে আপনার চারপাশে থাকা লোকজনদের জীবনে কিছু পরিবর্তন হয়।ভাল কাজ করার জন্য কোনো ধর্মের stamp এর প্রয়োজন পড়ে না।কাজটি নিঃস্বার্থ হওয়া উচিত।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

নরাধম বলেছেন: লেখাটা পড়ে তারপর মন্তব্য করুন। বেকুবের মত না পড়ে মন্তব্য করলে লোকে হাসে।

১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

ক্স বলেছেন: @ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ,
আপনি রাসূলের (সঃ) জীবনী নিয়ে লেখা সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে আলোচিত গ্রন্থ 'আর রাহীকুল মাখতুম' গ্রন্থটি সংগ্রহ করে পড়ুন। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। দোজখে যাবার যেসব ক্রাইটেরিয়া আছে, রাসুলের (সঃ) পরিবারের কেউই তাতে জড়িত ছিলনা, তাই তাদের দোজখে যাবার প্রশ্নই আসেনা। তবে হ্যাঁ, বেহেশতে যাবে কিনা সেই প্রশ্ন তোলাই যায়।

আপনি যেসব খ্রিস্টান লেখকের নাম বললেন, তারা যদি ঈমান এনে থাকেন, তাহলে মুক্তি পাবেন, না হলে দোজখে যাবেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

নরাধম বলেছেন: ভাল উত্তর, ধন্যবাদ।

১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

হারানোপ্রেম বলেছেন: ৭২ হুর নিয়ে াপনারা থাকেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

নরাধম বলেছেন: কেন, আপনি থাকবেন না? আপনি নপুংসক হলে অবশ্য অন্য কথা।

১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ক্স ভারতীয় লেখক আল্লামা শফি-উর রহমান মোবারকপুরী লিখিত আর-রাহীকুল মাখতুম (মোহরান্কিত জান্নাতী সুধা) প্রকাশ (১৯৭৯) বাদ দিয়ে আসুন সরাসরি কোরআন-হাদীস থেকে বিযয়টি জানার চেষ্টা করি।
নবী মুহাম্মদের(দঃ)এর চাচা,অভিভাবক,পৃষ্ঠপোষক ও প্রতিরক্ষা
বিধায়ক,হজরত আলী (আঃ)এর পিতা আবু তালিব জেনে শুনে,নবীর(দঃ) অনুরোধ সত্বেও ইসলাম গ্রহণ করেন নাই এবং কাফির হিসাবে মৃত্যুবরণ করেন।
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব তার পিতা মুসাইয়্যাব(রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,"যখন আবু তালিব মুমূর্ষু অবস্থায় উপনীত হলেন রাসুল(সাঃ) তার কাছে গেলেন,আর আবু জেহেলও সেখানে ছিলো,নবী(দঃ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন "ও আমার চাচা!আপনি একবার শুধু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ কলেমাটি পড়ুন,তাহলে আমি আল্লাহ্-র কাছে আপনার জন্য সুপারিশ করতে পারব। তখন আবু জেহেল ও আবদুল্লাহ ইবনু আবু উমাইয়া বলল, হে আবু তালিব!তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম থেকে ফিরে যাবে ? আবু তালিব বলল, আমি আবদুল মুত্তালিবের মিল্লাতের উপরেই আছি। রাসুল(সাঃ) এতে খুব কষ্ট পান তবুও তিনি বলেন, আমি আপনার জন্য দোয়া করবো আল্লাহ্-র কাছে, যতক্ষণ না তিনি আমাকে নিষেধ না করেন।,রাসুল(সাঃ) এই কথা বলার পরে আল্লাহ্ পাক এক আয়াত নাযিল করেন "নবী ও মুমিনদের পক্ষে উচিত নয় যে,তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে মূশরিকদের জন্য যদি তারা নিকটআত্মীয়ও হয়, যখন তাদের কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তারা জাহান্নামী" (সুরা তওবা ১১৩)। আরো নাযিল হলো, " আপনি যাকে ভালোবাসেন,ইচ্ছা করলেই তাকে হিদায়াত করতে পারবেন না" (সুরা কাছাছ:৫৬) (বুখারী হা/৩৮৮৪, আনসারদের মর্যাদা অধ্যায়,আবু তালিবের কাহিনী অনুচ্ছেদ)।
আবু সাঈদ খুদরী(রঃ) হইতে বর্ণিত "রাসুল (সাঃ) বলেন,আবু তালিবকে হালকা তাপের আগুনে ফেলা হবে,সেই আগুনে উনার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে।"(বুখারী খন্ড ৫৮,হাদিস ২২৪)
আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)থেকে বর্ণিত "তিনি একদিন নবী(সাঃ)কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আপনার চাচার (আবূ তালিব) জন্য কি উপকার করেছেন ? তিনি তো আপনার হেফাজত করতেন ও আপনার জন্য লড়াই করতেন। নবী(সাঃ) বললেন, বর্তমানে তিনি (আবু তালিব) মাত্র পায়ের গিরা পর্যন্ত আগুনে ডুবে আছেন,যদি আমি না থাকতাম, তবে জাহান্নামের গভীর গহবরে পড়ে থাকতেন।(বুখারী-কিতাবু মানাকিবিল আনসার)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যার যার ধর্ম তার তার কাছে। কে কোথায় যাবে এতো আগে কি ভাবে ফায়সালা করতে পাবেন। সবই আল্লাহ জানেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: শুনেছি শেষ বিচারে ৭২ কাতারে মুসলিমরা থাকবে তার মধ্যে ৭১ কাতার ই জাহান্নাম যাবে, তো নিশ্চিত থাকুন মুসলিম দের সংখ্যাই বেশি হবে, কাতার গুল নিশ্চই ২০/৩০ জন দিয়ে শেষ হবে না। কে জান্নাত যাবে আর কে যাবে না এটার বিচার আল্লাহ্‌ স্বয়ং করবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই, লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন, আপনি প্রথম প্যারাগ্রাফ পড়েই কমেন্ট করছেন।

জী এই ভালো করেই পড়েছি , কার কাছে হেদায়েতের বাণী পৌছেছে কার কাছে পৌছেনি ই্ত্যাদি , পৌছানোর পর না গ্রহন করলে কি হবে , এই ধরনের নানা ফিরিস্তির হাজার বৎসরের পুরান কাটমোল্লা লেকচার এবং যথারিতি --- এই বিষয়ে কোরানের অন্যতম প্রধান ৩ টি আয়াতের ২টিকে আড়াল করে ফতুয়া । ৩-৮৫ আয়াতকে কিছু হাদিসের সহযোগিতায় প্রমাণ করার চেষ্টা যে অমুসলিম যত ভালো হোক দোজগে তার স্থান । এই সব লিখায় ইচ্ছাক্বত ভাবে এই আয়াত ২ ( ২-৬২ এবং ৫-৬৯) কে আড়াল করা হয় কারন তাদের গোটা ফতুয়াটাই ভেস্তে যাবে ।

আর আপনি কি কলকাতার দাদা? আপনার লেখা আর কমেন্ট পড়ে আপনাকে মুসলমান মনে হয় নি, কোলকাতার বিজেপি/শিবসেনা/বজরং মনে হয়েছে।
এই ধরনের ছেচড়ামি করার কি কোন প্রয়োজন ছিল ?? যুক্তি তর্কে সুবিধা করতে পারলে মানুষ এই ধরনের ছেচড়ামির আশ্রয় নেয় । এই লিখাটি যে আপনার নয়, সেটা আপনার ছেচড়ামি থেকে প্রমাণ করে যে,এটা একটা কপি পেষ্ঠ। নিজের লিখা যদি হতো, তাহোলে আপনার পক্ষের দলিল এনে এনকাউন্টার করার চেষ্টা করতেন । আমি ২-৬২ এবং ৫-৬৯ এর রেফারেন্স দিয়েছি বলে আমি অমুসলমান হয়ে গেছি , তারমানি আপনি মনে করেন মুসলমান হতে হলে কোরানের ঐ ২ আয়াতকে লংঘন করতে হবে ( নাউযুবিল্লাহ) । এটা করলে মমিন মুসলমান হওয়া যাবে ( নাউযুবিল্লাহ )

সেরকম হলে ইসলামের দার্শনিক বিষয়ে অযথা তর্ক করে লাভ নেই। ভাল থাকবেন।

লিখাটা যদি আপনার নিজের বিদ্যাবুদ্ধি থেকে লিখতেন তাহোলে তর্ক করতে পারতেন , কপি এবং পেষ্ট করেছেন বলে ছেচড়ামির আশ্রয় নিচ্ছেন ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

নরাধম বলেছেন: যুক্তিতে সুবিধে করতে পারার কি আছে? আমি তো আপনার সাথে তর্কে যাইনি। মুর্খ আর অতি জ্ঞানী, এ দু ধরণের লোকের সাথে তর্কে যাওয়া বোকামি।

যাই হোক আপনি লেখা পড়েছেন দাবি করলেন। তাহলে আমার আর বলার কিছু নেই। লেখা পড়ে বুঝলে আপনার আগের সব কমেন্টের উত্তর পেয়ে গেছেন। আর না বুঝলে আমার কর্ম নয় আপনাকে ক খ শিখানো।

ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাকে অকারণে আক্রমণ না করে, নিজের ব্লগিং'এ মনযোগ দেন।

সুন্দর একটা "নিক" নেন, ব্লগারেরা সন্মান করবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

নরাধম বলেছেন: ব্লগিং একটা বিনোদনমাত্র। এতে মনযোগ দেওয়ার কিছু নাই।

আপনাকে আক্রমণ করি কারন আপনি বেকুব আবার অহংকারী। বেকুব অহংকারী আমার দু চক্ষের বিষ।

২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি ভাল লাগলো, তবে এ ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান নেই বিধায় কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখতে পারছি না।
পোস্টের একেবারে শেষে উল্লেখিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিসটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এবং একজন শাস্তিদাতার চেয়ে পরম করুণাময়, পরম অনুগ্রহকারী একজন প্রভু হিসেবে তাঁকে দেখে থাকি। বাকিটুকু তাঁরই ভরসায় সমর্পিত!
এ আর ১৫ এর প্রশ্নের উত্তরগুলো আরেকটু ধৈর্যের সাথে ব্যাখ্যা করে বুঝাতে কিংবা যুক্তির অবতারণা করতে পারতেন বলে আমি মনে করি।
আলোচনাটির জন্য ধন্যবাদ। + +

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

এআর১৫-এর উত্তর পোস্টে ভালমতেই দেওয়া আছে। তিনি প্রথম ১ প্যারাগ্রাফ পড়েই কমেন্ট করেছিলেন। পরে সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করলাম, মনে হয়না পড়েছেন।

২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব খায়রুল আহসান সাহেব ;;;;; এ আর ১৫ এর প্রশ্নের উত্তরগুলো আরেকটু ধৈর্যের সাথে ব্যাখ্যা করে বুঝাতে কিংবা যুক্তির অবতারণা করতে পারতেন বলে আমি মনে করি।
যেহেতু ভদ্রলোক মহাদয় কপি পেষ্ট করেছেন , তাই উত্তর তার জানা নেই , যার কারনে তিনি বাকি সব কাট মোল্লারা যা করে সেই ছেচড়ামি পনা শুরু করেছেন , আপনি মুসলমান নন , কাফের , মুরতাদ , নাস্তিক ইত্যাদি ।
এই যে এই প্যাকেজ লেকচারটা দেওয়া হোল সেটা সম্ভব হয়েছে পবিত্র কোরানের অমুসলিমদের ব্যাপারে অন্যতম দুটি আয়াতকে উপেক্ষা করে ( ২-৬২ এবং ৫-৬৯ ) । এই আয়াত দুটির উল্লেখ করলে আলোচনা এক প্যারাতেই শেষ হয়ে যায় ।
এই ধরনে মতলবি আচরনে অনেক উদাহরন পাবেন , যেমন ইসলামি ব্যাংকের ব্যবসা পদ্ধতির ব্যপারে , এই ব্যবসাটা পুরো পুরি গড়ে উঠেছে কিছু হাদিস এবং সুরা আল বাকারার কতকগুলো আয়াতকে ভিত্তি করে । তারা পাতার পর পাতা লিখে ফেলেছে এই হালাল ব্যাংকিং এর পক্ষে , কিন্তু সম্পুর্নভাবে সুরা আল ইমরানের ১৩০ তম আয়াতটাকে ( ৩-১৩০ ) অদৃশ্য রেখে । এই আয়াত টা আনলে তাদের ব্যবসার ব্যপক ক্ষতি হবে ।
অমুসলিমরা কি দোজখে যাবে, এই লেকচারের ভিতর ও তেমনি ভাবে ২ রিলিভেন্ট আয়াতকে আড়াল করা হয়েছে ।
একজন কপি পেষ্ট বাজের কাছে ছেচড়ামি মার্কা উত্তর ছাড়া কিছুই পাবেন না । তিনি যে আমাকে অমুসলিম বল্লেন তার ভিত্তি কি ?? এর কোন সদউত্তর তিনি দিতে পারবেন না ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৫

নরাধম বলেছেন: এই লেখার বড় অংশই অনুবাদ, তাই আপনার কমেন্ট অনেকটাই সঠিক যে এটা কপি-পেস্ট পোস্ট। সেটা তো শুরুতেই স্বীকার করে নিছি। বলা যায় এটা ইমাম গাজালির লেখার অনুবাদ অনেকটাই।

এখন আপনার মত গুগলে একটা তরিৎ সার্চ দিয়ে প্রথম কোয়েরিতে যেটা পায় যাচাই বাচাই না করে সেটা দিয়েই আল্লাহর বাণী বুঝব নাকি ফিকহ শাস্ত্রের মাধ্যমে রাসুল (সাঃ) আর সাহাবা (রাঃ) যেভাবে বুঝেছেন সেভাবে বুঝব, সেটাই হল সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমার কাছে রাসুল (সাঃ) এবং সাহাবারা (রাঃ) যেভাবে বুঝেছেন সেভাবে কোরান বুঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাছে গুগলেের প্রথম সার্চে যা আসে তা দিয়ে বুঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই হল গিয়া পার্থক্য!

আর কোরানে অমুসলিমদের পরকালীন মুক্তি হবে কি হবে না নিয়ে কমপক্ষে ১০০টা আয়াত আছে। আপনি কোরান পুরাটা মন দিয়ে পড়েননি, তাই দুটা আয়াত গুগলের সার্চে পেয়ে সেটা নিয়েই পড়ে আছেন। আর যদি পরোক্ষ রেফারেন্স যায় তাহলে কোরানে এ বিষয়ে আয়াতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। সবগুলো আয়াত এখানে যদি আনি এবং এই আয়াতের ব্যাখ্যার হাদিস আনি, তাহলে পোস্টের কলেবর অনেক বৃদ্ধি পাবে। তবে আমি যেসব লিংক দিয়েছি, সেখানে আরো অনেক বিস্তারিত একাডেমিক আলোচনা আছে। ওগুলো ইংরেজিতে লেখা, আপনি মনে হয় সেজন্য ওসব পড়ার ইচ্ছা পোষন করেন নি, অবশ্য আপনার এটেনশান স্প্যান গুগলের প্রথম সার্চেই সীমাবদ্ধ, এই লেখাটায় পড়েন নি শুরুতে, আর অত ইনটেন্স একাডেমিক আর্টিকল পড়বেন বা পড়ে বুঝবেন সে আশা করা বৃথা।

আপনি লেখাটা একবার পড়েন সম্পূর্ন, তাহলে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৪

নরাধম বলেছেন: আর আপনাকে অমুসলিম বলিনি, সাধারণ বাংলা না বুঝলে আপনি দুই মিনিটের গুগল সার্চে কোরানের অনেক জটিল বিষয় বুঝে যাবেন সেটা কেমনে আশা করেন সেটাই বুঝিনা।


বলেছিলাম, "আর আপনি কি কলকাতার দাদা? আপনার লেখা আর কমেন্ট পড়ে আপনাকে মুসলমান মনে হয় নি, কোলকাতার বিজেপি/শিবসেনা/বজরং মনে হয়েছে। সেরকম হলে ইসলামের দার্শনিক বিষয়ে অযথা তর্ক করে লাভ নেই।"


আপনার লেখা আর বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে আপনি মুসলমান না, তো বুঝতেই পারছেন সেটা আপনার লেখা/কমেন্টের দোষ। বলেছি যদি অমুসলিম হন, তাহলে এসব নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই। তার মানে এই না যে "আপনি হিন্দু" সেরকম দাবি করেছি।

কেন আপনার লেখা/কমেন্ট পড়ে লোকের আপনাকে অমুসলিম মনে হচ্ছে সেটা নিয়ে চিন্তা করুন, আখেরে লাভ হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যে রেফারেন্স গুলো দিয়েছেন, সেগুলোকি ঠিক মত পড়েছেন .. আপনার প্রথম লিংক জোনাথন ব্রাউনের লিখা . থ্রি এপ্রোচের ২ নাম্বারটা দয়া করে আবার পড়ুনতো কি লিখেছে . বিলিফ ইন গড এন্ড ডুইং গুড ডিডস .

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৪১

নরাধম বলেছেন: জোনাথান ব্রাউন অসাধারণ একডেমিক ইসলামিক স্টাডিজের, হাদিস নিয়ে তার গবেষণা। উনি জর্জটাউন ইউনির প্রফেসর, রাইসিং স্টার একাডেমিয়াতে, খুবই কমিটেড (কনভার্টেড) মুসলিম। এমরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আল আজহারের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। তবে তাঁর লেখা আর্টিকলটা নিজের মৌলিক লেখা না, বরং ইসলামের স্বর্ণযুগের মনিষীদের কোরান-হাদিস বুঝে এ বিষয়ে কিভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেসবের একটা সামারি। আমি আমার লেখাটাতে তাঁর লেখা থেকে অনেক কিছুই নিয়েছি।

প্লিজ, দুলাইন পড়ে আবার কমেন্ট করা শুরু করবেন না। আপনাকে নিয়ে মহা সমস্যা, আপনি ধৈর্য্য ধরে সম্পূর্ণ লেখা পড়েন না, তার আগেই সিদ্ধান্তে চলে আসেন। পড়ার পর লেখার বিষয়বস্তু ভালমতে বুঝার জন্য সময় দিতে হয়। এসব একাডেমিক লেখা, ডাইজেস্ট করতে সময় লাগে। আমি নিজে একজন এমরিকায় ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, গবেষণা আমার পেশা এবং নেশা, তবুও আমাকে একাডেমিক আর্টিকল পড়ে অনেকক্ষন ভাবতে হয় আত্মীকৃত করার জন্য।

দয়া করে ভালমতে পড়ুন, ইংরেজি বুঝতে সমস্যা হলে কয়েকবার পড়ুন, তাহলে বুঝে যাবেন। আপনি যা লিখছেন বেশ কয়েকটা কমেন্টে সেসবের উত্তর পেয়ে যাবেন, এবং কম্প্রিহেনসিভ উত্তর, খন্ডিত না।

আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন! আপনার সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই, আগের কমেন্টসমূহে কড়া কথা বলেছি সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার গুগলে সার্চ দিয়ে ইসলামের বিষয় নিয়ে তরিৎ সিদ্ধান্তে চলে আসাটাতে আমি বিরক্ত হয়েছিলাম। আল্লাহ আমাকে ধৈর্য্যশীল হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন!

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: জনাথন ব্রাউন আসলেই দারুণ স্কলার। তার "মিসকোটিং মুহাম্মাদ" পড়েছেন?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

নরাধম বলেছেন: জনাথন ব্রাউন আসলেই দারুণ স্কলার, সেটাই। তারসাথে আমার মাঝে মাঝে ইমেইল চালাচালিও হয়, খুবই চমৎকার লোক।

হ, পড়ছি। মিসকোটিং জিসাস পড়ছেন, বার্ট এরম্যানের।

তবে ব্রাউনের হাদিস গ্রন্থ সংকলনের ইতিহাস নিয়া বইটাই আমার সবচেয়ে প্রিয়। বইটা পড়ার আগে আমার হাদিস নিয়ে অনেক সংশয় ছিল, সেক্যুলার শিক্ষার দোষ আর কি। বইটা পড়ে হাদিস ছাড়াও আমাদের পূর্বেকার স্কলারদের নিয়া আমার এপ্রিসিয়েশান অনেক বাড়ছে। আল্লাহ উনাকে কবুল করুন, আমিন!

২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা ২-- ৬২
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
সুরা ৫--৬৯
নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
“Indeed, those who believe, and the Jews, and the Christians, and the Sabians, those who believe in God and the Last Day and work righteousness, they shall have their reward with their Lord; no fear need they have, neither shall they grieve.” (2:62)
এবার দেখা যাক কিছু মুসলিম স্কলারের শত বৎসর ধরে ধারন করা অভিমত ঐ আয়াতটার উপর --- Muslim scholars over the centuries have understood verses such as ‘no fear need they have and neither shall they grieve’ either as referring only to those People of the Book who had also affirmed belief in Muhammad ﷺ’s message,
দেখুন এই আয়াতে স্পষ্ঠভাবে খৃষ্ঠান ,ইহুদি এবং সাবেয়িনদের ( এরা পিপল অব বুক নহে কিন্তু পন্ডিতরা দাবি করছেন পিপল অব বুক হতে হবে ))নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এবং রসুল (সা:) বার্তা মানতে এবং কিতাবের অনুসারি হতে হবে তাদের এ ধরনের কোন কথা নেই এই আয়াতে এবং একই ধরনের টেক্সট সম্বলিত আয়াত ৫-৬৯ এ । তবে অনেক স্কলারদের এই অভিমত পোষন করেন এবং সেটার পিছনে কিছু হাদিসের ভুমিকা আছে , যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে অমুসলিমা বেহেস্তে যেতে পারবে না তারা । এটা যে একটা খোড়া ব্যাখা , যার কারনে জোনাথন সাহেব মাত্র কয়েক লাইন লিখেছেন এ্ই ব্যাপারে । রসুল (সা:) অভিমত মানতে হবে এবং সেই সাথে কিতাবের অনুসারি হতে হবে , এমন কথাটা কেন নেই ২-৬২ এবং ৫-৬৯ আয়াতে এবং কেন সাবেয়িনদের নাম উল্লেখ আছে যারা কিতাবের অনুসারি নহে । শুধু একটি নয় ২ টি আয়াতে লিখা আছে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে ----- এই দুটি আয়তের কোথাও লিখা হয় নি রসুল (সা: ) এর বার্তার উপর বিলিফ থাকতে হবে এবং কিতাবের অনুসারি হতে হবে ।

or as being abrogated (mansūkh) by verses revealed later that stress Islam’s exclusive claim to truth and salvation.
ভাই শুনন ঐ আয়াত দুটোকে মানসুখ করলো কে ??? রসুল (সা:) ছাড়া কি কেউ কোন আয়াত মানসুখ করতে পারে । মানসুখ হওয়া আয়াত কি ডিভাইনের ভিতর থাকতে পারে । তার মানে যারা অমুসলিমরা দোজখে যাবে, এমন বিশ্বাসে বিশ্বাসি তারা নিজেরা একমত নহে ..... এক পক্ষ মনে করে রসুল (সা:) মেসেজের উপর বিশ্বাসি হতে হবে এবং অপর পক্ষ মনে করে আয়াত গুলো মানসুখ হয়ে গেছে ।

এই যুক্তি যে কত দুর্বল সেটা আপনি নিজেই বুঝতে পারে ছিলেন তাই , এতবার বলা সত্ত্বেও এই অংশটা উল্লেখ করেন নি ।
এবার বলুন তো নীচের আয়াত গুলো কি মানসুখ হয়েছে কিনা ( নাউযুবিল্লাহ ----- মানসুখ হলে কোরানের ভিতরে থাকে কি করে )
২--১১১ ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রীস্টান ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর।
২-১১২ হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পন করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।

৩-১১৩ তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমনও আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে এবং রাতের গভীরে তারা সেজদা করে।
৩-১১৪ তারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং কল্যাণকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়; অকল্যাণ থেকে বারণ করে এবং সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে। আর এরাই হল সৎকর্মশীল।
৩-১১৫ তারা যেসব সৎকাজ করবে, কোন অবস্থাতেই সেগুলোর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হবে না। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বিষয়ে অবগত।
And among the People of the Book is an upright community who recite God’s signs in the watches of the night while they prostrate. They believe in God and the Last Day, enjoin right and forbid wrong, and hasten unto good deeds. And they are among the righteous. Whatsoever good they do, they will not be denied it. (Qur’an 3:113-115)

২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা ২-- ৬২
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
সুরা ৫--৬৯
নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
“Indeed, those who believe, and the Jews, and the Christians, and the Sabians, those who believe in God and the Last Day and work righteousness, they shall have their reward with their Lord; no fear need they have, neither shall they grieve.” (2:62)
এবার দেখা যাক কিছু মুসলিম স্কলারের শত বৎসর ধরে ধারন করা অভিমত ঐ আয়াতটার উপর --- Muslim scholars over the centuries have understood verses such as ‘no fear need they have and neither shall they grieve’ either as referring only to those People of the Book who had also affirmed belief in Muhammad ﷺ’s message,
দেখুন এই আয়াতে স্পষ্ঠভাবে খৃষ্ঠান ,ইহুদি এবং সাবেয়িনদের ( এরা পিপল অব বুক নহে কিন্তু পন্ডিতরা দাবি করছেন পিপল অব বুক হতে হবে ))নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এবং রসুল (সা: ) বার্তা মানতে এবং কিতাবের অনুসারি হতে হবে তাদের এ ধরনের কোন কথা নেই এই আয়াতে এবং একই ধরনের টেক্সট সম্বলিত আয়াত ৫-৬৯ এ । তবে অনেক স্কলারদের এই অভিমত পোষন করেন এবং সেটার পিছনে কিছু হাদিসের ভুমিকা আছে , যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে অমুসলিমা বেহেস্তে যেতে পারবে না তারা । এটা যে একটা খোড়া ব্যাখা , যার কারনে জোনাথন সাহেব মাত্র কয়েক লাইন লিখেছেন এ্ই ব্যাপারে । রসুল (সা: ) অভিমত মানতে হবে এবং সেই সাথে কিতাবের অনুসারি হতে হবে , এমন কথাটা কেন নেই ২-৬২ এবং ৫-৬৯ আয়াতে এবং কেন সাবেয়িনদের নাম উল্লেখ আছে যারা কিতাবের অনুসারি নহে । শুধু একটি নয় ২ টি আয়াতে লিখা আছে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে ----- এই দুটি আয়তের কোথাও লিখা হয় নি রসুল (সা: ) এর বার্তার উপর বিলিফ থাকতে হবে এবং কিতাবের অনুসারি হতে হবে ।

or as being abrogated (mansūkh) by verses revealed later that stress Islam’s exclusive claim to truth and salvation.
ভাই শুনন ঐ আয়াত দুটোকে মানসুখ করলো কে ??? রসুল (সা: ) ছাড়া কি কেউ কোন আয়াত মানসুখ করতে পারে । মানসুখ হওয়া আয়াত কি ডিভাইনের ভিতর থাকতে পারে । তার মানে যারা অমুসলিমরা দোজখে যাবে, এমন বিশ্বাসে বিশ্বাসি তারা নিজেরা একমত নহে ..... এক পক্ষ মনে করে রসুল (সা: ) মেসেজের উপর বিশ্বাসি হতে হবে এবং অপর পক্ষ মনে করে আয়াত গুলো মানসুখ হয়ে গেছে ।

এই যুক্তি যে কত দুর্বল সেটা আপনি নিজেই বুঝতে পারে ছিলেন তাই , এতবার বলা সত্ত্বেও এই অংশটা উল্লেখ করেন নি ।
এবার বলুন তো নীচের আয়াত গুলো কি মানসুখ হয়েছে কিনা ( নাউযুবিল্লাহ ----- মানসুখ হলে কোরানের ভিতরে থাকে কি করে )
২--১১১ ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রীস্টান ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর।
২-১১২ হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পন করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।

৩-১১৩ তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমনও আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে এবং রাতের গভীরে তারা সেজদা করে।
৩-১১৪ তারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং কল্যাণকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়; অকল্যাণ থেকে বারণ করে এবং সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে। আর এরাই হল সৎকর্মশীল।
৩-১১৫ তারা যেসব সৎকাজ করবে, কোন অবস্থাতেই সেগুলোর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হবে না। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বিষয়ে অবগত।
And among the People of the Book is an upright community who recite God’s signs in the watches of the night while they prostrate. They believe in God and the Last Day, enjoin right and forbid wrong, and hasten unto good deeds. And they are among the righteous. Whatsoever good they do, they will not be denied it. (Qur’an 3:113-115)

২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: প্লিজ, দুলাইন পড়ে আবার কমেন্ট করা শুরু করবেন না। আপনাকে নিয়ে মহা সমস্যা, আপনি ধৈর্য্য ধরে সম্পূর্ণ লেখা পড়েন না, তার আগেই সিদ্ধান্তে চলে আসেন। পড়ার পর লেখার বিষয়বস্তু ভালমতে বুঝার জন্য সময় দিতে হয়। এসব একাডেমিক লেখা, ডাইজেস্ট করতে সময় লাগে।
হাদিসের ব্যপারে কিছুই আলোচনা করলাম না । অমুসলিমরা দোজখে যাবে এমন টেক্সট সম্পন্ন অনেক হাদিস আছে , ঐ সমস্ত হাদিসকে ভিত্তি করে , কিছু পন্ডিত ২-৬২ ভিতরে কিছু সংযোজন করেছেন --- যেমন রসুল (সা: ) এর বার্তার প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে এবং কিতাবের অনুসারি হতে হবে ।
আরেক পক্ষ সে দিকে না গিয়ে আয়াত মানসুখ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে , অতচ কে ঐ আয়াত মানসুখ কোরলো এবং সেই অধিকার তারা কোথায় থেকে পেল , তার কোন উল্লেখ নেই ।

আমি নিজে একজন এমরিকায় ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, গবেষণা আমার পেশা এবং নেশা, তবুও আমাকে একাডেমিক আর্টিকল পড়ে অনেকক্ষন ভাবতে হয় আত্মীকৃত করার জন্য।
আপনি যদি শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহোলে , আপনার মতের সাথে না মিলার জন্য -- কাট মোল্লাদের মত আচরন কেন করলেন । আপনি বলেছেন --- আপনার লেখা আর বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে আপনি মুসলমান না, তো বুঝতেই পারছেন সেটা আপনার লেখা/কমেন্টের দোষ।
আমি যদি বলি এটা আপনার দৃষ্ঠি ভঙ্গির দোষ এবং সম্ভত আপনি শিবিরে ক্যাডার ছিলেন , যার কারনে নিজের মতের সাথে না মিল্লেই অমুসলিম ভাবতে শুরু করেন । যাদের মডারেট দৃষ্ঠি ভঙ্গি --- তারা কিন্তু আমার লিখার ভিতর দেখতে পায় অসম্প্রদায়িক চেতনা , ধর্মীয় মিথ্যা ডকট্রিনের বিরুদ্ধে ডিভাইন থেকে রেফারেন্স নিয়ে এসে সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা । এই জিনিস অন্ধ ফেনাটিকরা মানুষিক ভাবে গ্রহন করতে পারে না । এই বাইন্ড ফেনাটিকদের কাছে আমার লিখার ভিতর দোষ খুজে পাবে , তাদের মনে হবে অমুসলিম । আপনার মতে আমার লিখার দোষ কিন্তু আমার মতে আপনাদের মন মানসিকতার দোষ । ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

নরাধম বলেছেন: আচ্ছা ঠিকাছে, আমার মনমানসিকতা খুব খারাপ।

আপনার মতের সাথে আমার মিল হয়নি কে বলল? আপনি তো লেখাই পড়েননি আমার। সেজন্য জানেনই না মতের অমিল হয়নি। আপনার এতগুলো কমেন্টে এমন কিছু নাই যা আমার পোস্ট পড়লে বুঝা যাবে না। আপনি হুদাই ত্যানা পেঁচাইতেছেন। আপনি পোস্ট না পড়েই ধরে নিছেন আমি বলছি অমুসলিমরা সোজা জাহান্নামে যাবে। অথচ "অমুসলিমরা সোজা জাহান্নামে যাবে" এই ধারণাটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই এ পোস্টের মূল উদ্দেশ্য।

আচ্ছা আপনি সংক্ষেপে ৫-১০ বাক্যে বলেন তো আমার পোস্টের মূল বক্তব্য কি? আপনার সাথে আমি তর্কে যাচ্ছিনা কারন আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়েননি। আপনি সংক্ষেপে পোস্টের মূল বিষয়বস্তু আপনার ভাষায় বলেন, তাহলে বুঝব আপনি পোস্ট বুঝেছেন কিনা, আর আপনার সাথে আমার মতের অমিল আসলেই আছে কিনা। তারপর না হয় তর্ক করা যাবে।

২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মিসকোটিং মুহাম্মাদ নামানোর সময় জিসাস এর ও সন্ধান পাইছি। নামাই নাই। ঠিকই। হাদিস নিয়ে উনার ভিডিও গুলো দেখলে মনে হয়, আরে এই লোক মনে হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথেই ছিল আর আরব দেশের লোক। হাদিস এর ব্যাকগ্রাউন্ড বর্ণনা করে সুন্দরভাবে মিস কন্সেপ্ট গুলা দূর করে দেয়। জাস্ট ওয়াও !

hakim archuletta এই লোকের ভিডিও দেখছেন নি ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩০

নরাধম বলেছেন: হাদিসের ভিডিওগুলা দারুন, তবে বইটা আরো অসাধারণ, যেহেতু সেখানে ব্রাউন অনেক ডিটেলসে সূত্রসহকারে লিখেছেন। বইটা পড়লে মনে অনেক আত্মবিশ্বাস আসে হাদিস নিয়ে।

hakim archuletta-এর একটা দুইটা ভিডিও দেখেছি, তবে খুব বেশি না, তবে ভালই লেগেছে। রাসুল (সাঃ) নিজে ভেষজ/প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিয়ে খুবই আগ্রহী ছিলেন, hakim archuletta মনে হয় এই জিনিসটা নিয়ে অনেক ভাবেন।

আমার বেশি ভাল লাগে আব্দাল হাকিম মুরাদকে, একাডেমিক লোকের প্রতি কিছুটা পক্ষপাতিত্ব আছে আমার, নিজের গোত্রের সেজন্য। আর নন-একাডেমিকদের মধ্যে হামজা ইউসুফ, জায়েদ শাকির, ওমর আব্দাল্লাহ এদের ভাল লাগে। আরো অনেকে আছে আসলে। যেমন খালিদ ব্ল্যাংকিনশিপের ইতিহাসে লেকচার ভাল লাগে। আরো কত লোকের যে লেকচার শুনি তার ইয়ত্তা নেই, শত শত লোকের কাছে শিক্ষা নিছি, এরা সবাই আমার শিক্ষক বলা যায়। আল্লাহ এদের সকলকে কবুল করুন, আমিন!

৩০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩২

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: শুরু থেকে শেষ, একেবারে আমার মনের কথাগুলো বললেন। এতদিন মনের ভেতর রেখে দিয়েছিলাম। আজ আপনিই লিখে দিলেন।

আমি কিছু মনোকষটে ছিলাম। কারন, কিছু "আলেম" বলেন, "আজকাল সব অমুসলিমরা জাহান্নামে যাবে কারন এই যুগে easily reachable media, google, youtube, ও facebook -এর কারনে কোন knowledge-ই অজানা না। ইসলাম কি বলে তা-ও না। তাই তারা সঠিক মেসেজ পায়নি এটা বলতে পারবে না। " এমন রাগ লাগে কথা গুলো শুনলে! যেন নিজে নিজে সব পড়ে হিদায়াত পেয়ে যাওয়া যায়! কতো ওয়ায-ই তো মুসলিমদের দেয়া হয়। Every Friday খুতবা হয়। কই, সব মুসলিম তো তাতেও মুসলিমের মতো চলে না। আর ওই আলেমরা আশা করেন একজন Hindu নিজে নিজে বই পড়ে মুসলিম হয়ে যাবে!

I don't know how to put it on my preferred list but it is good to know that someone out there thinks like me.

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৯

নরাধম বলেছেন: জাজাখাল্লাহ।

এসব কিন্তু আমার চিন্তা না, এটাই কিন্তু অর্থডক্স ইসলাম। বরং ইমাম গাজালির মত সবচেয়ে অর্থডক্স মনিষী আমি যা লিখেছি তার থেকেও বেশি লিবারেল! আমার লেখাটা ইমাম গাজালির লেখা থেকে ধারকৃত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.