নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখ এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

কালচার ওয়ার বা সংস্কৃতির যুদ্ধ বাংলা মুলুকে পুরোদমেই শুরু হয়েছে। এটা বরং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন/সাম্রাজ্যবাদ, কালচার ওয়ার থেকেও বিপদজনক। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা নামের অযৌক্তিক এবং চরম কুসংস্কারে পরিপূর্ণ পৌত্তলিক ভাবাচার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন/সাম্রাজ্যবাদ বৈ কিছুই না। সাংস্কৃতিক এই বেনিয়া গোষ্ঠী ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদিদের জাতভাই, জেনে হোক, বা না জেনে হোক।

অত্যন্ত বিতিকিচ্ছিরি মুখোশ আর মূর্তির সাথে পৌত্তলিকতার নানা উপসংগকে রকমারি রঙ মাখিয়ে নববর্ষের উৎসবের মধ্যে এসব কুসংস্কারকে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে সবাইরে বলতেছে "এই নাও, এই তোমার বাঙালিত্ব, বাঙালি হতে হলে এই পৌত্তলিকতারে মানতে হবে, নাহয় তুমি পুরাপুরি বাঙালি হতে পারবানা"। আদতে মূর্তিকে নিয়ে শোভাযাত্রা করা, মূ্তির মধ্যে শুভ আর অশুভের দ্বৈততা খুঁজে পাওয়া আর পুরোদমে মূর্তিপূজা করার মধ্যে বড় পার্থক্য নাই, যা আছে তা প্রায়োগিক পার্থক্য, ভাবগত পার্থক্য না।

অথচ এরকম জোরাজোরি করে পৌত্তলিকতা আনয়ন এবং সবার উপর চাপিয়ে দেওয়া বাঙালিত্বের চিহ্নকে দূষিত করে। তবে পৌত্তলিকতা আনয়নের এই সাম্রাজ্যবাদ কিন্তু নতুন না। সংস্কৃতির সাথে নানারকম মূর্তি নিয়ে আদিেখ্যেতার কি সম্পর্ক আছে বুঝা কিছুটা কঠিন হলেও এ বুঝার জন্য আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা মুসলমানদের কিন্তু বাঙালি মনে করে না, শুধু হিন্দুদের বাঙালি মনে করে। বাঙালি হতে হলে আপনাকে হিন্দু হতে হবে, সেই তাদের বয়ান। আর এ বয়ান শুধু সাধারন লোকের মাঝে চালু সেটা না, এ বয়ান শিক্ষিত মানুষের মাঝে প্রচলিত, ভালমতে প্রাতিষ্ঠানিকিকরন হয়েছে এর। আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের ম্যাগাজিন বা পত্রিকাগুলো দেখেন, সেখানে দুর্গাপূজাকে "বাঙালির" "সার্বজনীন" অনুষ্ঠান বলে চালানো হয়, দূর্গামা সকল বাঙালির সার্বজনীন মা। মানে হিন্দু না হলে আপনি বাঙালি হবেনই না।

বাংলাদেশে সংস্কৃতির বরকন্দাজ যারা আছে, তারা মূলত পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পৌত্তলিকতাকেই বাঙালিত্ব মনে করে। এজন্যই বাংলা নববর্ষে তারা পৌত্তলিকতাকে পুরোদমে প্রবেশ করাতে চায়। দেশের নব্বুই শতাংশের কাছাকাছি লোকের বিশ্বাসকে পায়ে ঠেলে যদি পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের সংজ্ঞানুসারে আমাদের সবাইকে বাঙালি হতে হয়, এবং সে বাঙালিত্বের জন্য কুসংস্কার আর পৌত্তলিকতার চর্চা বাধ্যতামূলক হয়, তবে সেটা শুধুমাত্র সাম্রাজ্যবাদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বৈ কিছুই না। এবং এ আগ্রাসন পশ্চিম পাকিস্তানিদের অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মতই, পশ্চিম পাকিস্তানের জায়গায় পশ্চিম বাংলার পৌত্তলিক আগ্রাসন।

পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদ এবং বড় আকারের জাতিগত নিধনের ইতিহাস যদি পড়েন, সেখানে দেখবেন এসবের প্রথম পর্যায় হল পরিচয়কে অবৈধকরন/ডিলেজিটিমাইজ করা, পরের পর্যায় ডিহিউম্যানাইজেশান (বিমানবিকিকরন), এবং শেষ পর্যায় হল নিধন। পৌত্তলিকতার চিহ্নকে বাঙালিত্ব যাচাইয়ের কষ্টিপাথর বানানো হল মুসলমান বাঙালিদের বাঙালিত্বকে ডিলেজিটিমাইজেশানের প্রক্রিয়া, তাই এ পর্যায় যাতে এর পরের স্টেপে না যেতে পারে সেজন্য সবাইকে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে এখনই প্রতিহত করতে হবে। উল্লেখ্য এই প্রতিহত করার রূপ অহিংস হতে হবে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে শুধুমাত্র অহিংস কাউন্টার কালচারের ন্যারেটিভ খাড়া করেই প্রতিহত করা যায়।

কিন্তু কিভাবে প্রতিহত করবেন এই সাম্রাজ্যবাদি আগ্রাসনকে? বাংলা নববর্ষকে পরিত্যাগ করে? না, সেটা হবে চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার মত। আমরা বাঙালি এবং মুসলমান বাঙালি, এবং হিন্দু বাঙালির মত সমানভাবে বাঙালি, কমও না, বেশিও না। বাংলাদেশে যারা হিন্দু বাঙালি আছে, তারাও সমানভাবে বাঙালি। তাদের নিজস্ব ধর্মীয় চিহ্নকে আমরা সম্মান করি, এবং তারা চাইলে বাংলা নববর্ষে সেসব চিহ্ন ব্যবহারও করতে পারে, আমাদের আপত্তি নাই। তবে সেটা সার্বজনীন হবে না, সেটা শুধুমাত্র তাদের ধর্মের আচার হবে। তেমনি মুসলমানরা যদি চায় তারাও নিজেদের মত করে বাংলা নববর্ষে নিজেদের ধর্মীয় চিহ্ন আনতে পারে, সেটাও সার্বজনীন হবে না।

যেটাকে আমরা সার্বজনীন বলব সেটা ধর্মীয় চিহ্নবিহীন হতে হবে, তাই সার্বজনীন নববর্ষের উৎসবকে পৌত্তলিকতা মুক্ত করাই এখন আমাদের কাজ। আমরা সার্বজনীন বাংলা নববর্ষের সমান ওনারশিপ/মালিকানা নিব এবং সেটা সম্পূর্ণভাবে মুসলমান থেকেই। এ সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাড়ানোর প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল এটাকে সাম্রাজ্যবাদি আগ্রাসন হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া, এবং সে আলোকেই এ আগ্রাসনকে দেখা। অনেকে এটাকে ইসলাম বনাম তথাকথিত আত্মস্বীকৃত "মুক্তমনা" ডাইকটমিতে দেখতে চায়, সেটা এই বিতর্কের একটা দিক হলেও তার চেয়েও বড় দিক হল এটা সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদি আগ্রাসন, সে ন্যারেটিভের আলোকে এটাকে দেখাটাই জরুরী। এই ন্যারেটিভের আলোকে দেখার মধ্যে এই সাম্রাজ্যবাদের সমাধান লুকিয়ে আছে। সোস্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ/আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি হওয়া আমাদের নিজেদের বাঙালিত্বের উপর পূর্ণাংগ দাবি প্রতিষ্ঠা করার দ্বিতীয় পদক্ষেপ।

পরবর্তী পদক্ষেপ হল নববর্ষের সার্বজনীন চিহ্ণ আনয়নের জন্য বাংলা নববর্ষের "সার্বজনীন" উৎসব থেকে পৌত্তলিকতাকে বিদায় জানাতে হবে। আমাদেরকে বাঙালিত্বের উপর আমাদের হক দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং আমরা বাঙালি হব আমাদের নিজস্ব পন্থায়, সেটা সংস্কৃতির বরকন্দাজরা ঠিক করে দেবেনা। আমরা নিজেরা বাঙালিত্বের বিকল্প ন্যারেটিভ খাড়া করব, সেটাতে পৌত্তলিকত্বের নামগন্ধ থাকবেনা। সেটা তখনই হয়ে উঠবে প্রকৃত অর্থে সার্বজনীন। ঢাকায় চারুকলায় যে শোভাযাত্রা বের হয় তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটা এ পদক্ষেপের অংশ, কেননা এটা সাম্রাজ্যবাদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের সবচয়ে বড় চিহ্ন। এ চিহ্নের প্রবক্তারা বলে বেড়ান তাদের শোভাযাত্রার মত পৌত্তলিকতা আর মূর্তি নিয়ে আদিখ্যেতা নাকি সার্বজনীন বাঙালিত্ব। এ ভুল এবং সাম্রাজ্যবাদি বয়ানকে প্রতি পদে প্রশ্ন করতে হবে। শোভাযাত্রার কমিটিতে কারা আছে তাদের সাথে কথা বলা, তাদেরকে প্রশ্ন করা কেন তারা পৌত্তলিকতারে সার্বজনীন বলে সাম্রাজ্যবাদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে জায়েজ করছে। তারা যদি না শুধরায়, তাহলে যারা এই শোভাযাত্রার ফান্ড করে তাদেরকে বয়কট করা। শোভাযাত্রার ফান্ডিংয়ে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করুন, কোন কোম্পানি থাকলে তাদেরকে জানান যে যদি এর ফান্ডিং বন্ধ না করে তাহলে আমরা তাদের পণ্য বয়কট করব। পেটে লাথি পড়লে কুত্তার লেজও সোজা হয়ে যায়, সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদি এবং তাদের ক্রীড়নকরাও হবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: মঙ্গল শব্দটা নিয়ে আপনাদের এত এলার্জি==== কিসের মধ্য কি পানতা ভাতে ঘিয়ের মত দুনিয়ার কোথায় কোথায় এই শব্দ ব্যবহার হয়েছে তার ঠিকুজি চর্চা শুরু করেছেন । তাহোলে এবার মালেক, খালেক , রব ইত্যাদি নাম নিয়ে একটু চর্চা করেন না একটু। এই নাম গুলোতো আল্লাহর নাম তাই না , যখন ঐ নামে কোন মানুষকে সন্মোধন করেন তখন কি শিরকি করা হয় না করান মানুষকে কি আল্লাহর নামে ঢাকা যায় ( নাউযুবিল্লাহ) অথবা যদি কাউর নাম মুসা, ঈশা, ইউনুস, ইব্রাহিম হয় তখন কি তিনি ঐ সব নবিদের পর্যায় চলে যান ( নাউযুবিল্লাহ ) ......। মঙ্গল শব্দ নিয়ে যখন এত ঠিকুজি চর্চা করতে পারেন তাহোলে ঐ সমস্ত নাম গুলো নিয়ে একটু ঠিকুজি চর্চা করলে ভালো হয় না ।
মঙ্গল শোভা যাত্রায় ভা্স্কর্য প্রদশর্নের কিছু মাসকট যদি অন্য ধর্মের আইডলের সাথে মিলে যায় ---- তাহোলে এই প্যারেডটা পুজা হয়ে যায় এমন খোড়া যুক্তির যে ত্যানা পাচানো কাহিণী দিয়েছেন তার কিন্তু সঠিক জবাব আছে , ( উল্লেখ পুজা বিহীন ভাস্কর্য হারাম নহে এর পক্ষে সূরা সাবা ১২ এবং ১৩ নং আয়াতটা পড়ে দেখতে পারেন যেখানে নবী হযরত সোলায়মান ( আ: ) ইচ্ছায় নগর জুড়ে ভাস্কর্য নির্মান করা হয়ে ছিল )

কোন কিছু অন্য ধর্মের রিচুয়ালের সাথে মিলে গেলেই সেটারে হারাম হারাম বলে যখন মাতন তুলতে পারেন তাহোলে নীচের কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিন ----
১) হিন্দুরা পুজার আগে আহবান করে এবং সেটা মুসলমানরা ও আহবান করে তাহলে কি এই আহবান জানান কি ঠিক ( নাউযুবিল্লাহ ) ------ উল্লেখ হিন্দুরা উলু ধবনি দিয়ে আহবান করে , মুসলমানরা আজান দিয়ে আহবান করে
২) হিন্দুরা পুজার আগে পানি দিয়ে হাত পা মুখমন্ডল ধুয়ে পবিত্র হয় ঠিক তেমনি মুসলমানরা পানি দিয়ে ওজু করে পবিত্র হয় ( এই ক্ষেত্রে উভয় পানি ব্যবহার করে )
৩) হিন্দুরা তাদের ডিভাইন থেকে মন্ত্র পাঠ করে পুজা করে , মুসলমানরা তাদের ডিভাইন থেকে সূরা পাঠ করে নামাজ পরে ( এখানে ডিভাইন থেকে পাঠ করটা মিলে যাচ্ছে)
৪) হিন্দুরা পুজার সময় পদ্মাসনে এবং বজ্রাসনে বসে , মুসলমানরা নামাজে বসার আসনটাও বজ্রাসনের মত ( এখানে আসনটা মিলে যাচ্ছে )
৫) হিন্দুরা পুজার সময় ধুপ জালায়। আগরবাতি জালায় , গোলাপ পানি ব্যবহার করে ---- মুসলমানরা আগরবাতি গোলাপ পানি ব্যবহার করে ....। ( এখানে ও কিছু জিনিস মিলে যাচ্ছে )
৬) হিন্দুরা পরিষ্কার কাপড় পরে পুজা করে , মুসলমানরা ও পরিস্কার কাপড় পরে নামাজ পরে । ( এখানেও মিলে যাচ্ছে )
৭) হিন্দুদের ডিভাইনের অনেক শ্লোকের সাথে , মুসলমানদের কোরানের অনেক আয়াত মিলে যায় -- যেমন হিন্দু ধর্মে বলে পাপ কোরলে নরকে যাবে , ইসলাম ধর্মে বলে গুণাহ করেল দোজখে যাবে । হিন্দু ধর্মে বলে ভালো কর্মে স্বর্গবাস , মুসলমান ধর্মে বলে পূর্ণ কর্মে পাবে জান্নাত । ( এখনে অনেক শ্লোকের সাথে আয়াত ম্যাচ করে যাচ্ছে ) ।

আপনার যদি মঙ্গল শোভা যাত্রা নিয়ে এ রকমের ত্যানা প্যাচাতে পারেন তাহোলে উপরের ৭ বিষয়ে আপনার মতামত কামনা করছি.

কোন কিছু অন্য কিছুর সাথে ম্যাচ করে গেলে সেটা যে সে জিনিস হয়ে যায় না সেটা আপনারা মানতে চান না । কয়েকটা মুদ্রা মিলে গেছে বলে পুজা আর নামাজ এক হয়ে যায় না ( নাউযুবিল্লাহ ) ।
ধর্মের সাথে সম্পর্ক বিহিন বিষয়কে ধর্মীয় মোড়ক দেওয়ার ঠিকুজি চর্চা বন্ধ করলে ভালো হয়, তানা হোলে সেই খাদে পড়ে যাবেন আবার । ধন্যবাদ

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

ইনাম আহমদ বলেছেন:
আপনাদের হাস্যকর যুক্তিচিন্তার জন্যেই নববর্ষ শোভাযাত্রাটা আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।

আমি সাধারণত মানুষজনকে বিরক্ত করিনা, তবে আপনাকে শোভাযাত্রায় সামিল করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আপনারাও আছেন কিন্তু র‌্যালীতে। যতগুলো পেঁচার ছবি দেখছেন, ওগুলো নববর্ষে আপনাদের চাঁদবদনের প্রতীক। বলি সারারাত নামাজ পড়ে সকালে আবার পোস্ট দেবার এতো তেল কোথায় পান আপনারা?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

নরাধম বলেছেন: পূজোর ছবিগুলো সুন্দর এসেছে। আপনার পুজোচর্চা ভাল লাগে খুব? কোন দেবদেবী আপনার প্রিয়? শিবলিং?

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

এ আর ১৫ বলেছেন: It's better to remain silent and be thought an idiot than to speak and remove all doubt.

মহা ইডিয়েট তো আপনি । ইউনিভার্সিটির মাস্টার আর গবেষক ----- এদের ভাষা যদি এমন হয় তাহোলে , তাহোলে বুঝেন এনারা কত বড় প্রতারক । নিজেরকে মিথ্যা পরিচয় দেয় ,

পূজোর ছবিগুলো সুন্দর এসেছে। আপনার পুজোচর্চা ভাল লাগে খুব? কোন দেবদেবী আপনার প্রিয়? শিবলিং?

গরুর ৪টা পা আছে এবং হাতীর ৪টা পা আছে । গরুর ১টা লেজ আছে এবং হাতীর ১টা লেজ আছে । গরুর ২ টা কান আছে ২টা চোখ আছে এবং হাতীর ঠিক তাই আছে । সুতরাং গরু আর হাতী এক জিনিস ... কত বড় ইডিয়েট এটাই তার প্রমাণ । আমার উপরের ৭ প্রশ্নের জবাব কেন দিলেন না । প্যারেড কবে থেকে পুজা হইলো ? মানি গরু ও হাতি এক জাতিয় প্রাণী এই রকমের যুক্তির মত । :) :) :)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০০

নরাধম বলেছেন: রাগ করেছেন বাবুসোনা?

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নরাধম ,





আপনার নিকের শুরুতেই লিখেছেন, “ Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man.... ...."।
মহান “আল্লাহতায়ালা” শব্দটি লেখেন নি । আপনার থিওরী মতে আপনিও তো অন্য কোনও সংষ্কৃতির বন্দুকটা নিজের কাঁধেই রাখলেন । ইংরেজীতে “লর্ড” শব্দটি লটকে রেখেছেন ওখানে , ওটা তো খেরেস্তানদের ভাষা । আপনিও কি খেরেস্তান ? নিকের লেখায় মনে হয় তো তা-ই ।
আবার লিখে রেখেছেন – He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"
এটাতে যে লর্ড এর আপনি পুজারী ( নাকি লিখতে হবে , বান্দা বা আমলকারী ? ) তাকেই তো অবমাননা করলেন প্রকাশ্যে নিজের গোত্র পরিচয়ের সার্টিফিকেটে নামখানি “ নরাধম” রেখে । অর্থাৎ আপনি “নর” এর অধম , মানে “শয়তান “ যে কিনা মানুষের চেয়ে নিকৃষ্ট । আপনার লর্ড দেখি একজন মানব সন্তানকে মানুষ না বানিয়ে অমানুষ বানিয়ে ফেলেছেন ! আপনার থিওরী মতে এটা লর্ডের বড় ভুল । আপনার লর্ড এমন করেই কি কলমের ব্যবহার করতে শিখিয়েছেন আপনাকে ? ফিৎনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টিতে ?

ভালো ভালো ....... নিজের আসল নাম ব্যবহারে যার অনীহা বুঝতে হবে তার জন্মের রহস্য প্রশ্নবিদ্ধ কারন পিতামাতার দেয়া নামকে অস্বীকার করে এই “নরাধম” নামটি নিয়েছেন । পিতামাতার যোগ্য সন্তান বটে ।
ওদিকে আবার প্রথম মন্তব্যটি বাদ দিয়ে ২নম্বর মন্তব্যের জবাবে বলেছেন – “পোস্টের সাথে প্রাসংগিক কিছু বলার মত মগজ নাই, তাই না ?
এটা তো আপনার বেলায় শতভাগ প্রযোজ্য । আপনি তো উপরের দিকেই থুঁ থুঁ ফেললেন ! আপনি যে, বুদ্ধিতে সাধারন “নর” এরও অধম তা এই খোলা মাঠে ঘোষনা করলেন , এ আর ১৫ এর করা ১ নম্বর মন্তব্যের জবাব এড়িয়ে । আপনার নিজেরই ঘটে কি তেমন বুদ্ধি , মগজ, চিন্তাশক্তি , বিবেচনাবোধ মোটেও নাই ? তাই জবাব দেন নি ? তাই তো ! নরাধম যখন তখন নরের মতো মগজ কোথায় পাবেন , সেটা একটা বড় প্রশ্ন বটে !

নামাজ পড়েন তো পাঁচ ওয়াক্ত ? দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ১৭ রাকাত ফরজ আদায় করতে হয় , জানেন তো ? ঐ ১৭ টি রাকাতে ১৭ বার সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হয় যার একটি আয়াতের অর্থ হলো – “আমাকে সহজ সরল পথে চালাও বা পথ দেখাও ..........”
আপনি কতোবার সহজ সরল পথে চলেছেন দিনে ? নিজেকে প্রশ্ন করুন । যদি একবারও করতেন তবে বাঙালীর প্রানের উৎসব নিয়ে এই নোংরা খেলা খেলতেন না । অবশ্য আপনি নরাধম বলে , বাঙালী নরদের প্রানের খবর রাখবেনই বা কি করে !

এরকম ধর্মীয় আগ্রাসন ও কাঠমোল্লাদের সাম্রাজ্যবাদ ছড়ানো এজেন্ডা থেকে বিরত থাকুন । গোমরাহীতে ভুগবেন না । আপনার নিকে মহান “আল্লাহতায়ালা” সম্পর্কে উল্লেখিত এই বাক্যটি He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not" র অর্থ মোতাবেক যা জানেন না তা জেনে নিতে চেষ্টা করুন। এতে আপামর নিরীহ সাধারন মুসলমানদের ই মঙ্গল ।
মহান আল্লাহ আপনার সহায় হোন .......................

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

নরাধম বলেছেন: কিসব আউলফাউল কথা বলেন!

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: বৈশাখ আনন্দের একটি বিষয়।
বৈশাখ কে সুন্দর ভাবে থাকতে দিন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

নরাধম বলেছেন: একমত। সেজন্য পৌত্তলিকতা সরাতে হবে।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

ক্স বলেছেন: @ এ আর মহাশয়, মদিনায় প্রথম মসজিদ নির্মাণ হবার পরে রাসুল (সঃ) সাহবীদের কাছে পরামর্শ চাইলে তাকে উলুধ্বনি, ঘন্টা বাজানো, সানাই বাজানো সম্পর্কে বলা হয়। তিনি সেগুলো কাফেরদের সংস্কৃতি বিধায় বাতিল করে দেন।
https://www.jagonews24.com/religion/news/345034

ইসলামে ওজু হচ্ছে পবিত্রতা অর্জনের তিনটি উপায়ের একটি। পাক পানি দিয়েই এটি করা যায়। আর পূজার জন্য মন্ত্রপূত বিশেষ এলাকার পানি লাগে।

হিন্দুদের ডিভাইনের কোন ঠিক ঠিকানা নেই। এক এক এলাকার হিন্দুদের ডিভাইন এক একেকটা। কিন্তু ইসলামের অভ্যুদয়ের পর থেকেই মুসলিমদের ডিভাইন এক এবং অনন্য - পার্থক্যটা ধরতে পেরেছেন?

হিন্দুদের পুরোটা পূজা আসনেই সমাপ্ত হয়। মুসলিমদের সালাত আদায় করতে ক্বিয়াম, রূকু, সিজদা ও বৈঠকের প্রয়োজন হয়। মুসলিমদের পূজায় কোন মূর্তি লাগেনা।

মুসলমানদের কোন ইবাদতেই আগরবাতি বা গোলাপজলের প্রয়োজন পড়েনা। মিলাদে আগে ব্যবহার হত। মিলাদ এখন বিদআত হিসেবে চিহ্নিত হওয়াতে আগরবাতি/গোলাপজলের ব্যবহারও এখন আর নেই। তবে পীরের দরগাহ ও মাজারে এর ব্যবহার এখনো রয়ে গেছে - যদিও তারা মূলধারার ইসলামের কোন অংশ নয়।

পরিষ্কার কাপড় যেকোন রুচিশীল ব্যক্তিই পরিধান করে - সে হিন্দু মুসলিম বা অবিশ্বাসী যেই হোক না কেন । পূজা/সালাত বা যে কোন উপাসনায় পরিষ্কার কাপড় মনোযোগ বাড়ায় এবং উপাসনাকে কার্যকর করে থাকে - এর সাথে ধর্মীয় কোন ব্যাপার জড়িত নেই।

পাপ করলে নরকে, আর পূণ্য করলে স্বর্গে যাবে - এটা কোন ধর্মে না বলে? এখানে তো ইসলামের সাথে আফ্রিকার গহীনে কোন জংলী ধর্মের সাথেও মিল পাওয়া যাবে। ইসলামের সাথে অন্য সকল ধর্মের একটাই পার্থক্য - তাওহীদ। অন্য কোন ধর্মেই তাওহীদের উপর এত জোর দেয়া হয়নি। শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাপ, কিন্তু অন্য ধর্মে এটাকে তেমন কোন অপরাধই ধরা হয়না।

দুনিয়াতে এত কিছু থাকতে নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম 'মঙ্গল' শোভাযাত্রাই দিতে হল কেন?
বাংলাদেশের এত বিচিত্র প্রাণী থাকতে সবাই প্যাঁচা নিয়ে এত মেতে ওঠে কেন?
এত রং থাকতে সবাই লাল-সাদা রংকেই এই দিনে এত গুরুত্ব দেয় কেন?







১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

নরাধম বলেছেন: ওসব বলদের সাথে তর্ক করে লাভ নাই। বলদকে বলদের মত থাকতে দিন।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: নরাধম , সালাফিস্ট হওয়া উত্তম বিষয় নয়। আপনার আগের কিছু লেখা ভালই লেগেছিল এবং আপনাকে যুগোপযোগী মানুষ ভেবেছিলাম । আজ তো আপনার মুখোশ উন্মোচন হল । আমি একজন ভাস্করশিল্পি , আমাকে কখনই ভাস্কর্য পুজো করতে হয়না কারন কসমিক শক্তির ভাব অনুধাবন যদি মন মননে ধারন করতে পারি তবে মূর্তি পুজার কোন উপকারিতা দৃশ্যমান হয়না। এই ডিজিটাল যুগে এসে পৌত্তলিকতার জু জু ভয় নিতান্তই বাল্যখিল্যতা । এসব সাজসজ্জা । এসব সাজসজ্জায় গেল গেল রব তুল্লেও মানুষ হাসে । যাদের ইমানি ঘাটতি আছে তারা এর বিরুদ্ধাচারন করবে এটাই স্বাভাবিক ।

আপনার ভালো লাগেনা আপনি এসবে যোগ দেবেন না । কিন্তু পৌত্তলিকতা নিয়ে কথা বললে হিন্দু বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানদের ব্যাপারগুলো নিষিদ্ধ করতে হয় কিন্তু তা হবে ভয়াবহ ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

নরাধম বলেছেন: যুগ কোন চ্যাটের বাল হইছে তার উপযোগি আমাকে হইতে হবে? বরং যুগকে আমার উপযোগি হইতে হবে, আমার মর্জি মত চলতে হবে। সে আমার উপযোগি হইতে না চাইলে থাপড়াইয়া বত্রিশটা দাত ফেলাই দিব। এনি পবলেম?

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: ক্স সাহেব কে ধন্যবাদ কিছু বলার জন্য -----
কোন কিছু অন্য কিছুর সাথে ম্যাচ করলে সে দুটো জিনিস এক হয়ে যায় না , এটাই আমার বক্তব্য । আপনার মঙ্গল শোভা যাত্রার প্যারেড কে যে ভাবে পুজা প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন , সেই রকম বিচ্ছিন ভাবে ইসলাম ধর্মের রিচুয়ালের সাথে অন্য ধর্মের রিচুয়াল যদি মিলে যায় , তখন কি ঐ দুটোকে তো এক বলতে চান না ,কিন্তু মঙ্গল শোভা যাত্রার সহ অনেক ব্যপারে পুজা বলে প্রমাণ করতে চান .।
ইসলামে ওজু হচ্ছে পবিত্রতা অর্জনের তিনটি উপায়ের একটি। পাক পানি দিয়েই এটি করা যায়। আর পূজার জন্য মন্ত্রপূত বিশেষ এলাকার পানি লাগে।
হিন্দুরা যে কোন পরিষ্কার পানি দিয়ে পবিত্র হতে পারে মুসলমানদের ওজুর মত । এখানে কি পবিত্র হওয়ার জন্য পানির ব্যবহার মিলে যাচ্ছে না ??? তাহোলে তো আপনাদের খোড়া যুক্তি অনুযায়ি এই ক্ষেত্রে এক কেন নহে ??
মদিনায় প্রথম মসজিদ নির্মাণ হবার পরে রাসুল (সঃ) সাহবীদের কাছে পরামর্শ চাইলে তাকে উলুধ্বনি, ঘন্টা বাজানো, সানাই বাজানো সম্পর্কে বলা হয়। তিনি সেগুলো কাফেরদের সংস্কৃতি বিধায় বাতিল করে দেন।
বুঝলাম বাতিল করে দিয়েছিলেন কিন্তু ইবাদত করার আগে আহবান করার বিষয়টি কি তিনি গ্রহন করেন নি ... আমার প্রশ্ন ছিল পুজার আগে হিন্দুরা আহবান করে এবং নামাজের আগে মুসলমানরা আহবান করে .. এই আহবান করার আইডিয়াটাকি মিলে যাচ্ছে না , ( যদি ২ ধর্মের আহবান প্রক্রিয়াটা ভিন্ন) .. আপনার যেমন মঙ্গল শোভা যাত্রাকে পুজার সাথে মিলে গেছে মিলে গেছে বলে মাতন করেন --- এখন কি মিলে না ।
হিন্দুদের ডিভাইনের কোন ঠিক ঠিকানা নেই। এক এক এলাকার হিন্দুদের ডিভাইন এক একেকটা। কিন্তু ইসলামের অভ্যুদয়ের পর থেকেই মুসলিমদের ডিভাইন এক এবং অনন্য - পার্থক্যটা ধরতে পেরেছেন?

আমি তো হিন্দুদের ডিভাইনের ঠিকুজি জানতে চাই ---- আমি বলেছি হিন্দুরা যেমন তাদের ডিভাইন থেকে মন্ত্র পাঠ করে পুজা করে , ঠিক তেমনি মুসলমানরা তাদের ডিভাইন থেকে সূরা পাঠ করে নামাজ পড়ে ------ এখানে কি ডিভাইন থেকে পাঠ করাটা মিলে যাচ্ছে না ??
হিন্দুদের পুরোটা পূজা আসনেই সমাপ্ত হয়। মুসলিমদের সালাত আদায় করতে ক্বিয়াম, রূকু, সিজদা ও বৈঠকের প্রয়োজন হয়। মুসলিমদের পূজায় কোন মূর্তি লাগেনা।
আপনারা যেমন ঠিকুজি খুজে সব কিছুরে পুজা বানাই দিতেছেন - সেই ক্ষেত্রে নামাজের বসার আসনটা ( ব্জ্রাসন ) সেটা কি পুজার ব্জ্রাসনের সাথে মিলে না ???
পাপ করলে নরকে, আর পূণ্য করলে স্বর্গে যাবে - এটা কোন ধর্মে না বলে? এখানে তো ইসলামের সাথে আফ্রিকার গহীনে কোন জংলী ধর্মের সাথেও মিল পাওয়া যাবে। ইসলামের সাথে অন্য সকল ধর্মের একটাই পার্থক্য - তাওহীদ। অন্য কোন ধর্মেই তাওহীদের উপর এত জোর দেয়া হয়নি। শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাপ, কিন্তু অন্য ধর্মে এটাকে তেমন কোন অপরাধই ধরা হয়না।
আপনারা সামন্য একটু সিমিলারিটি পাইলেই মাতন শুরু করেন , তাহলে অন্য ধর্মের ডিভাইনের বাণীর সাথে যখন মুসলমান ধর্মের ডিভাইনের অনেক আয়াত মিলে যায় তখন চুপ মেরে যান কেন ?
ঠিকুজি খুজে কাসুন্দি বাহির করে যখন মঙ্গল শোভা যাত্রার ভিতর পুজার উপাদান খুজেন , সেই ভাবে মুসলমানদের রিচুয়ালের ভিতর ঠিকুজি সন্ধানি করলে অনেক কিছু মিল পাওয়া যায় ।
আমার কথা হোলে দুটো জিনিসের মধ্যে কিছু জিনিস মিলে গেলে তখন সে দুটো জিনিস এক হয়ে যায় না , সেটাই প্রমাণ করা । গরুর ৪টা পা আছে এবং হাতীর ৪টা পা আছে । গরুর ১টা লেজ আছে এবং হাতীর ১টা লেজ আছে । গরুর ২ টা কান আছে ২টা চোখ আছে এবং হাতীর ঠিক তাই আছে । সুতরাং গরু আর হাতী এক জিনিস ------ এই ধরনের যুক্তি এনে যখন মঙ্গল শোভাযাত্রাকে পুজা বলে প্রমান করার চেষ্টা করবেন , তখন এই সব জিনিসের উত্তর হবে ঠিক ঐ রকম । ধন্যবাদ

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: পোস্ট, মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য, তর্ক বিতর্ক, সবকিছুই ভালো লাগছে। ভিন্ন ভিন্ন পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে সবগুলোই ঠিক। মন্তব্য আরো চলতে থাকুক,,,, এটাই সামু ব্লগের সৌন্দর্য।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

নরাধম বলেছেন: সেটাই!

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৫

মাহিরাহি বলেছেন: ঢাকার পয়লা যেন অষ্টমীর একডালিয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাজপথে মঙ্গল শোভাযাত্রা। পুজো, বসন্ত উৎসবের মিলমিশে একাকার ঢাকার নববর্ষের সকাল।

শুধু পুজো নয়, কলকাতার সরস্বতী পুজো, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র মেজাজও যেন ধরা পড়ল বাংলাদেশের এই নববর্ষে! জাতি-ধর্মের বেড়া ডিঙিয়ে এ যেন সর্বজনীন উৎসব।

http://www.anandabazar.com/bangladesh-news/poila-baisakh-in-dhaka-celebrated-almost-like-durga-puja-in-kolkata-1.787102



১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৫

নরাধম বলেছেন: হ, দেখলাম। আমাদের আসলে পরবর্তীিবার থেকে অনেক আগে থেকেই প্রচার চালাতে হবে। আল্লাহ আমাদের পৌত্তলিকতা থেকে রক্ষা করুন!

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৭

মাহিরাহি বলেছেন: শুধু পুজো নয়, কলকাতার সরস্বতী পুজো, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র মেজাজও যেন ধরা পড়ল

দাদাদের এন্টেনেয়া ঠিকই ধরে পড়ে,

ধরা পড়ে না আমাদের মুসলমান ভাই বোনদের, ওনাদের এন্টেনেয়ায় শুধু ধরা পড়ে মৌলবাদ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৫

নরাধম বলেছেন: এদের এন্টেনায়ও পড়ে, কারন এরা তো ইচ্ছে করেই এসব করছে।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সার্বজনীন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এতে করে মানুষের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। এবং সে কারনেই তা হতে হবে যে কোন ধরনের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত। বিশেষ কোন ধর্মের প্রভাব থাকলে তা কোন ভাবেই সার্বজনীন হয় না।

মংগল শোভাযাত্রা বা ঐ জাতীয় বিষয় নববর্ষের অনুষ্ঠানে থাকলে তা সার্বিক ভাবে মুসলিমদের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না। পুরো নববর্ষের অনুষ্ঠানটিই হবে বিতর্কিত।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৬

নরাধম বলেছেন: একমত।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৮

দয়িতা সরকার বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ এর সাথে সহমত।
আহমেদ জী এস , আপনি বাঙালী বলতে কাদের বুঝিয়েছেন? এ ধরনের মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালীর প্রানের উৎসব না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৬

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মাহিরাহির সাথে সহমত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ঠিকই ধরা পড়ছে। কিন্তু আমাদের মুসলমানদের চোখে ধরা পড়ছে না। কারণ, জেগে থাকলে তাকে জাগানো যে কঠিন। আর এসবের বিপক্ষে বলে মরার আগে মৌলবাদী ট্যাগ নিতে চাইছে না কেউ...

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৭

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে যাদের অবস্থান তাদের কাছ থেকে একটি তথ্যবহুল পোস্ট আশা করছি যেখানে নব্বই দশকে আগত এই শোভাযাত্রার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ইতিহাস থাকবে। কেন হঠাৎ চারুকলা এই ভিনদেশী সংস্কৃতি আমাদের উপড় জোড়পুর্বক চাপিয়ে দিল এর পেছনের কারনগুলো অনুসন্ধান খুব জরুরী। বাঙ্গালী সংস্কৃতির শুরু নিশ্চই নব্বই দশকে নয়।ব্লগে এর আগে এক লেখক দীন এর সাথে বৈশাখ পালনের কথা বলেছেন। বানানের জ্ঞান না থাকায় সবাই ঝাপিয়ে পড়েছে সেই ব্লগারের উপড় যে তাহলে কি ওয়াজ , মাহফিল করে বৈশাখ পালন করা হবে? লেখক পরে বলেছে যে তিনি দ্বীন নয় দীন দুঃখীদের বুঝিয়েছেন।যাই হোক ওয়াজ, মাহফিল করে যেমন বৈশাখ পালনের কথা ভাবা যায় না, তাহলে হিন্দুয়ানী কায়দায় কেন বৈশাখ পালন করতে হবে? নববর্ষ যদি সার্ব্জনীনীনই হয় তবে কেন তাতে ধর্মের প্রভাব থাকবে? যাদের অবস্থান বিপক্ষে তারা সুনির্দিষ্ট কারন দেখিয়ে এর বিরুদ্ধচারন করেছে। সুতরাং যারা পক্ষে অবস্থান নিতে চান, তাদের সুস্পষ্ট কারন দর্শাতে হবে কেন তারা এর পক্ষে। চাদ্গাজীর মত ধরি মাছ না ছুই পানি মার্কা যুক্তি নয় , জোড়ালো যুক্তি প্রদর্শন করতে হবে।

বেশীরভাগ মানুষ যে কারনে এই শোভাযাত্রার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সেটা হচ্ছে " এই শোভাযাত্রা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য কোন কিছুরই প্রতিনিধিত্ব করে না, এটা প্রতিনিধিত্ব করে কেবল ভীনদেশী দাসত্ব''।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২২

নরাধম বলেছেন: " এই শোভাযাত্রা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য কোন কিছুরই প্রতিনিধিত্ব করে না, এটা প্রতিনিধিত্ব করে কেবল ভীনদেশী দাসত্ব'' --- একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.