নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানত যদি হাসন রাজা বাঁচব কতদিন..

Miles to go before I sleep.....

নরাধম

"Recite! in the name of thy Lord; Who created Created man out of a clot of congealed blood Recite! and thy Lord is Most Bountiful, He Who taught (the use of) the Pen Taught man that which he knew not"

নরাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমেরিকায় সরকারকে যত খুশি সমালোচনা করা যায়, কিন্তু ডারউইনকে সমালোচনা করা যায়না!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:২৪

চীনের নামকরা এক জীবাশ্মবিদ (paleontologist) জে. ওয়াই. চেন সিয়াটলের য়্যুনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনে তার গবেষণা উপস্থাপন করছিলেন। তো তার গবেষণালব্ধ ফলাফল ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেহেতু এটা অনেক বড় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণালব্ধ ফলাফল, তাই জে. ওয়াই. চেন উপস্থাপনায় বারবার দর্শকশ্রোতা অন্যান্য বিজ্ঞানীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন যে তার ফলাফল ডারউইনের তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বারবার এ ব্যাপারটা উপস্থাপণায় জোর দেওয়ার পরও, অনেকবার এ ব্যাপারে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও, জে. ওয়াই. চেন দেখলেন দর্শকসারিতে বসা আমেরিকান বিজ্ঞানীরা সবাই এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপারকে সযতনে উপেক্ষা করছে, যেন তারা সেটা শুনেই নি।

স্বাভাবিকভাবেই জে. ওয়াই. চেন খুবই আশ্চর্য্য হলেন। উপস্থাপনা শেষে একজন দর্শককে জিজ্ঞেস করলেন, "ব্যাপারটা কি? আমার গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য্য হল এটা ডারউইনবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, অথচ এতবার দৃষ্টি আকর্ষনের পরও কেন সবাই এ ব্যাপারটা উপেক্ষা করল?"

"যুক্তরাষ্ঠ্রে ডারউইনের তত্ত্বকে নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা বা প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রমাণ হাজির করা একাডেমিক জগতে খুবই অজনপ্রিয়" সে দর্শক এবং বিজ্ঞানী জবাব দিলেন।

জে. ওয়াই. চেন হাসলেন, এবং বললেন, "চীনে আমরা ডারউইনবাদের সমালোচনা করতে পারি, কিন্তু সরকারের সমালোচনা করতে পারিনা। আর এমেরিকায় সরকারকে যত খুশি সমালোচনা করা যায়, কিন্তু ডারউইনকে সমালোচনা করা যায়না!"

সূত্র: Darwin's House of Cards: A Journalist's Odyssey Through the Darwin Debates. লেখক: Tom Bethell

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫০

পিকো মাইন্ড বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪০

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:১৩

কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: ডারউইন অনেক কিছুই জানতেন না, অনেক রিসোর্স ই তার কাছে ছিলো না। উনিশ শতকের কথা বলছি আমরা, তবু তার পর্যবেক্ষন ক্ষমতায়, স্বল্প রিসোর্সে উনি যে আইডিয়া টা দিয়ে গেছেন, সেকারনেই উনি এপিক। অনেক খুটিনাটি ভুল ধরা যায়, সে সময়ে অনেকেই জানতো বলে মনে করতো মানুষের পক্ষে উড়া টা হাস্যকর চিন্তা। তবে ডারউইন যে আইডীয়া টার জন্ম দিয়েছিলেন, এই কারনেই তিনি সম্মানিত, আর ন্যাচারাল সিলেকশন, বিবর্তন এই ব্যাপার গুলো সুক্ষভাবে বিশ্ল্রেষন করার মত তথ্য উপাত্ত, বিজ্ঞান, তার সময়ে ছিলো না, তবু উনি ধারনা করেছিলেন এমন কিছু যা হাজার বছর ধরে চলে আসা স্রষ্টার ক্ষমতাকে কাপিয়ে দেবে। কনটেক্সট ম্যাটারস ভাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৩৯

নরাধম বলেছেন: কিসব আবুল তাবুল কইলেন, কিছুই বুঝলাম না।

ডারউইনের বিবর্তনবাদ একটা গাঁজাখুরি তত্ত্ব।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:০৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: "আমেরিকায় ডারউইনকে সমালোচনা করা যায় না" শিরোনামটি সঠিক হলো না | এখানে আপনি যতখুশি ডারউইনের সমালোচনা করুন কেউ আপনাকে বাধা দিচ্ছে না বা আপনাকে গুম করে ফেলছে না |

বরং আপনি লিখতে পারতেন "আমেরিকায় সরকারকে যতখুশি সমালোচনা করা যায়, কিন্তু বাংলাদেশে সরকার তো দূরের কথা, সরকারের চামচাদেরও সমালোচনা করা যায় না" |
;)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

নরাধম বলেছেন: আকালমান্দকে লিয়ে ইশারা-হি কাফি!

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সব দেশেই কিছু ট্যাবু আছে তাহার বিরুদ্ধে কেহ কিছু বলিলে যৌক্তিক হইলেও কেহ গ্রহণ করে না। :D

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

নরাধম বলেছেন: সেটাই।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

কানিজ রিনা বলেছেন: বাঘের মাসী বিড়াল, মানুষের মাসী বানর
সীম্পাঞ্জি। এভাবে পৃথিবীর অনেক প্রানীর
মাসী রুপী প্রানী আছে। ধরুন আদীম যুগে
মানুষ বনে জঙ্গলে বাস করত। তখন মানুষের
জীবনে সিস্টেমিক পদ্ধতি ছিলনা বিশেষ করে
জৈবিক রীতি নীতি। তখন যদি মানুষ সীমপাঞ্জীর সাথে মিলিত হয়ে সীম্পাঞ্জির রুপক
মানুষ জম্ম দিত সে মানুষের জীবশ্ন নিয়ে
ডারউইন মতবাদ দিয়েছেন তার মত করে।
জীব জন্তুও এমন মাসীর সমন্যয় জম্ম
পদ্ধতী ঘটায় সেই সব জীবজন্তুর জীবাশ্নু
প্রমান ডারউইনের মতবাদ বিবর্তন।
আসলে ডারউইনের মতবাদ বস্তুবাদী নাস্তিক
বিজ্ঞানীরা ছাড়া কেউ পাত্তা দেয়না।
আল্লাহ্ বলেন আমি যাহা যানি তোমরা
তাহা জানোনা। তাই আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য
উদ্ঘাটন করে কেউ আল্লাহকে কাঁপাতে পারেনা। আল্লাহ্ মানুষের জ্ঞান পরিধির বাইড়ে।
আদিম যুগে লক্ষ কোটি বছর ধরে বনে
জঙ্গলে বাস করা জীবজন্তুর বসবাসে
কতরকম সমন্যয়ে জম্মের আকার ঘটেছে
তা ডারউইনের বিবর্তনবাদের উত্তর দেওয়া
সায়েন্স বিজ্ঞানীদের কঠিন কিছুনা।
ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপনের।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

নরাধম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

ইনাম আহমদ বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ডিগ্রী কলেজের ইতিহাসের টিচারের লেকচার। ডারউইন সাহেব যতই প্রমাণ দিন না কেন, আপনার গল্পের গরু গাছে উঠার রোগ সারার নয়। একটা সময়ে চার্চকে সাধারণ পশ্চিমারা বয়কট করেছিলো কুসংস্কারের জন্য। আপনাদের মতো ছাগল শ্রেণীর মাওলানাদেরও একটা সময়ে সাধারণ মানুষ বয়কট করবে। যতই ম্যাঁওপ্যাঁও করেন, টিকে থাকতে পারবেন না।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

নরাধম বলেছেন: চিন্তার বিষয়। কমেন্টের ছবিটা কি আপনার? এরকম হা করে আছেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.