নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারাবাতি

২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২২

দুর্গাপুজোর শুরু হতে এখনও তিনদিন বাকি।রায়বাড়ি আজকে থেকেই আলোয় ডুবে আছে। ফটকের নোলকে লাল আলো।পাঁচিলের কাঁধে ঝিকমিক করছে নীলচে আলো।মাঝখানের দ্বিতল বিল্ডিংটা যেন,শত শত জোনাক পোকার নিকুঞ্জ। দুরের নক্ষত্ররাজির মতো মিটিমিটি জ্বলছে আর নিভছে। জানালার ক্ষয়া শিকে মাথা রেখে রাবু এতক্ষন তাই দেখছিল। লেখাপড়ার তেমন চাপ নেই। ঈদের পরই পুজো পড়ায় স্কুলে লম্বা ছুটি। যদিও ওই কাজে তার বয়েই গেছে। তার চেয়ে ডাইয়ের ডিমের টোপ দিয়ে ছিপ ফেলে মাছ ধরতেই রাবু বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করে। মাঝে-মধ্যে ঘুড়ি ওড়ায়। ফুটবল পেটাতেও তার মন চায়,কিন্তু মা যেতে দিলে তো। মা খালি বলে,মেয়ে-ছেলের ওসব খেলতে হয় না। ছেলে আর মেয়ের পার্থক্যটা রাবু বোঝে,কিন্তু মেয়ে-ছেলে কি জিনিষ‌, তার মাথায় ঢোকেনা। তাই বলে মা'কে প্রশ্ন করা যাবেনা। এ জগতে রাবুর পিঠে যখন-তখন দমাদম দুই ঘা বসিয়ে দেয়ার অধিকার,শুধু তার মায়েরই আছে। বাবাকে জিজ্ঞেস করার উপায় নেই। সকালে সে ঘুমে থাকতেই তার বাবা টিয়া পাখি হাতে বেরিয়ে যায়। রাতে কোনদিনই তাড়াতারি ফেরেনা। মাঝে-মধ্যে রাবু ঘুমের মধ্যে টের পায় বাবা তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু চোখে এত ঘুম লেগে থাকে যে টেনেও খুলতে পারেনা। রাবু শুনতে পায় বাবা বকুনি খাচ্ছে। আচ্ছা,বাবাও কি মাকে ভয় পায় ?

‌‌

মা ডাকছে, শুনতে পেয়েই রাবু ঘর থেকে পড়িমড়ি করে দৌড় দেয়। দুইবারের বেশি ডাকলেই পিঠে পড়বে। সেদিন খড়িগুলো ধরার জন্য তার মা ডাকছিল,ঘুড়িটা লুকিয়ে রাবু্র যেতে একটু হয়। ব্যস,ওমনি গালে বসিয়ে দিল।তাই ভয়ে ভয়ে রান্নাঘরে মায়ের কাছে গিয়ে রাবু দাঁড়ায়।

-দুপুর থেকে তো ওই বাড়িতেই ছিলে। রাতটাও কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতো না। তা যাওনা,কাথা-বালিশ নিয়ে ও বাড়িতেই থাক ?

রাবু নিশ্চুপ। তার হাতে টাকা গুঁজে মা দাত-মুখ খিঁচিয়ে বলে-'বড় ভাল মানুষের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছ যে ? মোড়ের দোকান থেকে তোমার দু সের চাল নিয়ে এসো। তোমার বা্বার তো গরজ নেই। ঘরে ফুটো পয়সা নেই,অথচ উনি বেরোলেন হাত দেখতে। ওরে আমার জোতিষী রে ! উনার কাছে হাত দেখাতে কতজন বায়না দিয়ে বসে আছে।'



রাবু মুখে কপাটি মেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাবাকে কিছু বললে রাবুর ভাল লাগেনা। মানুষটা তো বসে থাকেনা। এই করছে, সেই করছে। তবুও সংসারে প্রতিদিন কেন হাড়ি চড়েনা, তা রাবু বুঝে পায় না। যদিও তার পেট ভরাই থাকে। রাবুর ছোটচাচা শাহীন হকারি করে যা কামায়,তার প্রায় সবটাই সংসারে ছেড়ে দেয়। মা বলে কাকা না থাকলে রাবু এতদিন না খেয়েই মরে যেত। মা কি ঠিক বলে ?



মায়ের কাছে চাল দিয়ে গালটা ডলতে ডলতে রাবু আবারও জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। রায়বাড়ির ছাদে কয়েকটা ছেলে জলন্ত তারাবাতি নিয়ে ছোটাছুটি করছে। তারাবাতিটা পট পট করে পুড়ছে,আর আলোর রোশনাই ফুলকির মতো ছুটে বের হচ্ছে। এসব দেখার জন্যই সে তখন জানালার ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। তারাবাতি রাবুর খুব পছন্দ। ঈদে কিনতে পারেনি। কাকার ব্যবসাটা নাকি ভাল যাচ্ছে না। কাকাই তো ওকে সব বাজি কিনে দেয়। তারাবাতিটা খুব কমই পায়। মায়ের কাছে পয়সা চাইবে,সে জো নেই।বাবা তো জিজ্ঞাসার আগেই নেই।অথচ,রায়বাড়িতে এবার কত তারাবাতি এসেছে।দুপুরে ওরা ছাদে রোদে দেয়ার সময় রাবু দেখেছে।



******



লাউশাকের ঘন্ট একনাগাড়ে কতদিন খাওয়া যায় ? রাবেয়ার আর সহ্য হয়না। সংসারে বাজার বলে যে একটা বিষয় আছে তা এ বাড়ির পুরুষ মানুষগুলো ভুলে থাকতে পারলেই, যেন বাঁচে। তরকারি দেখে মেয়েটা তার ‌'খাবো না' বলে মুখ ফুলিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।সন্ধ্যে না হতেই ঘুমে লুতুপুতু। সারাদিন খালি খেলা আর খেলা। তবে মাথাটা বেশ ভাল। কাছে নিয়ে বসিয়ে পড়াতে পারলে ফলাফলটা রেজাল্টেই মেলে। কিন্তু বসবে কে ? তার পেটে বড়জোর আদর্শলিপির অক্ষরগুলো আছে। তাই দিয়ে কি চলে ? রাবুর বাবার অবশ্য বেশ বিদ্যের দৌড় আছে। কিন্তু মানুষটা সারাদিন চরকিবাজির মতো ঘুরে বেড়ায়। সময় পাবে কই ? কোন কাজেই সে থিতু নয়। শখের হাত দেখায় কি আর পেট ভরে ? রাবুর বড় চাচা ঈদে তাদের কাপড়-চোপর দেয়ার সময় কত কথাই না বললো। লজ্জায় রাবেয়ার মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল। জীবন নিয়ে তার ঘেন্না ধরে গেছে। অথচ ঘর-বংশ ভালই।



''রাবু, মা রাবু''আলতো সুরে ডাক দেয় রাবেয়া। ডিমভাজির গন্ধেই হোক আর মায়ের ভয়ে হোক রাবু ধড়মড় করে উঠে পড়ে। পাতে চারটে ভাত বেড়ে রাবুকে টেনে নিয়ে সে তার কোলে শুইয়ে দেয়। মেয়েটার চোখজুড়ে ঘুম। ডিমভাজির সঙ্গে ভাতের ছোট ছোট দলা পাকিয়ে রাবেয়া তার মেয়ের মুখে পুরে দেয়।রায়বাড়ির পুকুরের মজা পাশটায় পাঁতিহাস ডিম পেড়ে রেখেছিল। গোসল করতে গিয়ে রাবেয়ার নজরে পড়ে। তুলে নিতে সে ভুল করেনি। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে যোগটাই আগে। নীতির প্রশ্ন পরে।



মেয়েটা ঘুমের ঘোরে খাবার চিবিয়ে যাচ্ছে। রাবেয়ার কাছে জীবনটাকেও এখন অনিচ্ছাস্বত্তে চিবিয়ে যাওয়া বলে মনে হচ্ছে। সকালে চাল কিনে এনে মেয়েটা দুই টাকা ফেরত দেয়ার সময় চোখে রাজ্যের ভয় নিয়ে থেমে থেমে শুধু বলেছিল-''মা,টাকাটা দেবে।নকুল দানা খাবো'।

আর ওমনি ঠাঁটিয়ে রাবুর গালে একটা চড় বসিয়ে দিয়েছিল রাবেয়া। মেয়ের আহলাদে রাগান্বিত হয়ে নয়, নিজের অক্ষমতার জন্য। তার বোকা মেয়েটা জানেনা দুই টাকায় আজকাল কিছুই হয়না। নকুল দানা তো পাঁচ-দশটাকার ব্যাপার। এখন সবকিছুর দাম বাড়ছে। শুধু মানুষের দাম কমছে। এবার রাবুর ছোট কাকা কোন জায়গা থেকে বাকি তুলতে পারেনি। তাই ঈদে রাবুর তারাবাতি কেনা হয়নি।বছরকার দিনে মেয়েটা তার বাজি পোড়াতে পারেনি। রাবেয়ার মনটা গলে চোখের কোণটা্ চিকচিক করে ওঠে। আঁচল দিয়ে সে চোখ মুছে ফেলে।



তার কপালটাই মন্দ। লোকটার যে গুন নেই তা একেবারে নয়। উদয়াস্ত খাটতে পারে।কিন্তু কেন যে অভাব যায় না,তা রাবেয়া বুঝে উঠতে পারেনা। বিয়ের সময় চেহারায় কি দ্যূতি ছিল লোকটার। সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তারপর ? দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাবেয়া। মেয়েটা খেতে খেতেই ঘুমিয়ে গেছে। রাবুর মাথাটা সে আলতো করে বালিশের ওপর ছেড়ে দেয়।



******



''শখের পেছনে ছুটেই আমার জীবনটাকে একেবারে দোজখ বানিয়ে ছাড়লে''-ছিটকে আসা কথাগুলোয় শাহজাহান ফুটো বেলুনের মতো চুপসে যায়। মাঝে-মধ্যে নিজেকে তার খুব অপদার্থ বলে মনে হয়। বউ-ছেলেমেয়েকে যে রোজ দুবেলা খাবার দিতে পারেনা, তার জীবনটা ফুটো বেলুন ছাড়া আর কিইবা। নাহ,আত্নহত্যার কথা শাহজাহান ভাবতে পারেনা।জীবন থেকে পালানো যায়না। আর,পালাতে পারলেও তাকে বাঁচা বলেনা।



কয়েকদিন ধরে রোজগারপাতি নেই। সোজা কথায় হয়নি। মফস্বল শহরে তো্বড়ানো একটা আঁতসী কাঁচ আর হাতে আঁকানো কিছু পেন্সিল স্কেচ দিয়ে কতটুকু জোতিষী হওয়ায় যায় ? তার সাতদিনের না কামানো দাঁড়ি দেখে লোকজন আরও আকৃষ্ট হয়না। দু-একজন ভিড়লেও তারা ভবঘুরে। পয়সা নেই। শাহজাহানের বেশিরভাগ সময় তাই কবিতা লিখে কেটে যায়। ঝালমুড়ির ঠোঙায় চিলতে করে ছিঁড়ে সে লিখে চলে রাশি রাশি অণুকবিতা। মাঝেমধ্যে সে ভুলে যায় এই গ্রহে আরও দুটো প্রাণী আছে যাদের বেঁচে থাকা তার ওপর নির্ভর করে।কতদিন সে রাতে ফিরতে ভুলে গেছে। আর ওদিকে রাবেয়ার নির্ঘুম রাত্রি কেটেছে।



মেয়েটা সকালে কুড়িটাকা চেয়েছিল। দিতে পারেনি।তার মেয়েটা এমনিতে কখনো কিছু চায়না। কিন্তু আজ কেন জানি কিছু মানছে না। মুখটা ফুলিয়ে চলে গেল। শাহজাহানের মর্মমূল ধ্বসে যায়। ঘরে কিছুই নেই। রাবেয়ার গহনা একটা একটা করে চলে গেছে। মায়ের গড়ে দেয়া হাতের বালা দুখানিই এখন সম্বল।



শাহজাহান কিছুক্ষন ছটফট করে বেরিয়ে পড়ে। ঘাড়ে টিয়াপাখি। হাতে ভাঙ্গা ব্রিফকেস।যদি আজ কিছু রোজগার হয়।মেয়েটার জন্য সে কয়েকটা তারাবাতি কিনে আনবে। না হয় সংসারে একটু টান পড়বে। বড়জোর একবেলা উপোস থাকতে হবে। তবুও তো তার জীবনের তারবাতিটা একটু হেসে উঠবে।



******



পা টিপে অতি সন্তর্পনে রাবু চোরের মতো ঘরে ঢোকে। তার হাতে কয়েকখানা লুচি। মা দেখলে মেরেই ফেলবে।কিন্তু ক'খানা লুচি লুকিয়ে সে কোথায় রাখবে ? মা ঠিক টের পেয়ে যাবে। মল্লিকাদির মা দিয়েছেন। কিন্তু মা ভাববে রাবু চেয়েছে তাই মল্লিকাদির মা দিয়েছে।রাবু কিন্তু সত্যি চায়নি। বাবা-মা আর ছোটকাকা ছাড়া সে কারো কিছু চাইতে পারেনা। কিন্ত মা তো মানবে না। রাবু ফ্রকের ভেতর লুচি লুকিয়ে চৌকাঠ মারাতেই মায়ের কাছে ধরা পড়ে যায়।

-ফ্রকের ভেতর কি ?

প্রশ্নের তোড়েই রাবুর হাত থেকে লুচিগুলো খসে পড়ে মাটিতে। মাথা নীচু করে সে দাঁড়িয়ে থাকে।

-ভিক্ষে কে দিল ? রাবু উত্তর দেয়না।

পিঠের ওপর দুম করে রাবেয়ার কনুইটা পড়তেই রাবু আর্তনাদ করে ওঠে।দুচোখ বেয়ে নামে জলের ধারা।মা আবারও প্রশ্ন করে-কে দিয়েছে ? রাবু এবার নিচু গলায় বলে-রায়বাড়ির মল্লিকাদির মা।

রাবেয়া আর কিছু বলেনা।হিন্দু পরিবারটি তাদের খুব ভালবাসে। এটা ওটা দেয়। কোন হীনমন্যতা নেই। কিন্তু নেয়ার মধ্যে আছে। গোটা দুনিয়াটাই তো দেয়া আর নেয়ার কারসাজি। কিন্তু ভারী পাল্লাটি অপেক্ষাকৃত হালকা পাল্লা থেকে নেয়ার সময় হীনমণ্যতার সংকটই তো সৃষ্টি হবে।

রাবুর চোখ শুকিয়ে গেছে। ফোপানোটা আছে। দেখে রাবেয়ার খুব মায়া হয়।মেয়েটাকে সে বুকে টেনে নেয়।চোখ মুছিয়ে দেয়। মেয়েটা তারমতোই জেদি।আজ সারাদিন কথা বলবেনা।ঘরের এক কোনে বসে থাকবে। বিনা কারণে মার খেলে রাবু এমনই করে।রাবেয়া কি আর সাধ করে মারে ! কেন যে সে নিজেকে সংবরন করতে পারেনা। সংসারের ওপর সমস্ত রাগ-অভিমানের প্রকাশ সে মেয়েটার ওপর করে যাচ্ছে। মান ভাঙ্গাতে কিছু রান্না করে খাওয়াবে,সে সক্ষমতাটুকু পর্যন্ত রাবেয়ার নেই। ঘরে চাল-ডাল-তেল কিছুই নেই। মেয়েটা হয়তো অন্যকোন বাড়িতে খেয়ে নেবে। কিন্তু একে কি জীবন বলে ?



*******



রোজগার যা হয়েছে তা দিয়ে অনায়াসে দুই-তিনদিন চলে যেত। কিন্তু এবার তারাবাতির যে দাম ! সঙ্গে কিছু তিলেগজা আর কদমা কিনতেই শাহজাহান প্রায় ফতুর হয়ে গেল। তবুও সে খুশি। মেয়েটাকে জন্ম দেয়া অবধি সে কিছু দিতে পারেনি।সেই খেদটা তো আজ মিটছে।

সন্ধ্যার মধ্যেই শাহজাহান বাড়ির পথ ধরে। রায়বাড়ির ফটকটা পার হতেই সে দেখে,তার বাড়িতে মানুষ গমগম করছে। শাহজাহানের মনে কু ডেকে ওঠে। সে দৌড় দেয়।ঘরের দরজায় পা রাখতেই শাহজাহানের দুনিয়াটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

অর্ধেকটা বেগুনপোড়া ছোট্ট একটা নিষ্পন্দ শরীর। পাশে অঝোরে কেঁদে চলছে রাবেয়া। চারপাশে জমায়েত মানুষের মধ্যে থেকে আওয়াজ আসছে-ছাদ থেকে কেউ একটা তারাবাতি ছুঁড়ে মেরেছিল,আর তা গিয়ে পড়ে ফটকে পেঁচানো বৈদ্যুতিক তারের ওপর। রাবু ঠিক ওখানটাতেই দাঁড়িয়ে বুঁদ হয়ে ছাদের ওপর তারাবাতির খেলা দেখছিল। ব্যস,ঝলসে গেছে !

সবকিছু ঠাহর করে উঠতে শাহজাহানের একটু সময় লাগে। বুকের মধ্যে মোচড় দিতেই সে মেঝেতে লুটিয়ে পডলো-'রাবু,মা আমার। দেখ,তোর জন্য আমি কত তারাবাতি নিয়ে এসেছি । আলো জ্বালবি না ?' রাবু সাড়া দেয়না। শাহজাহান ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

তার জীবনের সবেধন নীলমনি তারাবাতিটি স্রষ্ঠার এক ফুৎকারে নিভে গেছে।





















































মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বড় করুণ গল্প। শেষটা এমন দুঃখের হবে ভাবতে পারিনি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

নাছির84 বলেছেন: আপনি সবসময়ই প্রথম হন ! কৃতজ্ঞতা রইলো।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খুবই খারাপ লাগলো +++++++++++

শুভ সকাল ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

নাছির84 বলেছেন: সকালটা মাটি করে দেয়ার জন্য দুঃখিত। শুভ সকাল অপুর্ণ।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

আহলান বলেছেন: দুঃখ দিয়ে ব্যবসা চলবে না ..... :( :(

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

নাছির84 বলেছেন: কি ব্যবসা ? কার ব্যবসা ? কিসের ব্যবসা ? ভাই বুঝি নাই। দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলবেন ?

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সম্পূর্ণ গল্প-- বর্ণনা করার ভঙ্গি, দৃশ্যপট পরিবর্তন এবং বক্তার পরিবর্তন, আর তার সাথে কাহিনির সাবলীল ছুটে চলা-- সব মিলিয়ে মুগ্ধ।

চতুর্থ প্লাস।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নাছির84 বলেছেন: দুর্দান্তভাবে‌ ‌‌'সম্পুর্ন' মন্তব্য পেয়ে আমি নিজেই মুগ্ধ ! শঙ্কুকে ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। অনেক ভালো লাগল। গত পোষ্টের মত এটাও বেশ মন খারাপ বা কিছুটা দুঃখ ভাবের গল্প।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

নাছির84 বলেছেন: হ্যাঁ,ইদানিং চারপাশে দুঃখ দেখছি। হয়তো তারই প্রভাব। চেষ্টা করবো স্বাদ বদলানোর। ধন্যবাদ কাল্পনিক।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
বেশ সুন্দর গল্প।

++++++++++

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

নাছির84 বলেছেন: থ্যাংক.............................................ইউ। আমার দুনিয়ায় স্বাগতম।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

আলোর পরী বলেছেন: খুউউউব ভাল লিখেছেন , অর্ধেকটা বেগুনপোড়া , জীবনটাকেও এখন অনিচ্ছাস্বত্তে চিবিয়ে যাওয়া চমৎকার উপমা । আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

নাছির84 বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো। আমার দুনিয়ায় স্বাগতম।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে!!! প্লাস! :)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪২

নাছির84 বলেছেন: প্লাস বুঝিয়া পাইলাম। আমার দুনিয়ায় স্বাগতম।

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩২

আফসিন তৃষা বলেছেন: পথের পাঁচালীর দুর্গার কথা মনে হচ্ছিল পড়ে। এত বেশি মনখারাপ কেন!! :(

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১০

নাছির84 বলেছেন: রাবুকে যেদিন প্রথম দেখি,সেদিন সে কাঁদছিল। শেষ যেদিন দেখেছিলাম সেদিনও কাঁদছিল। এরপর আমি আর কি করতে পারি....। জন্ম থেকেই জ্বলতে থাকা মানুষদের অশ্রুকে পাল্টে আনন্দঅশ্রু বানানোর মতো শক্তি বা সা্মর্থ্য আমার কলম/কি-প্যাডে নেই।.............দুর্গা আমার ভীষন প্রিয় একটি চরিত্র। তুলনা করার জন্য কৃতজ্ঞ। ভাল থাকবেন।

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি লাস্ট হৈলে অ লিস্ট না কয়া দিলাম ...
গল্পে ++++++
আর মন খারাপ করানর জন্য আপ্নেরে মাইনাস :(

২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

নাছির84 বলেছেন: প্লাস-মাইনাস দুটোই নিলাম। মন খারাপ করিয়ে দেয়ার জন্য দুঃখিত। আসলে সবাই খুশি থাকতে চায়। তাই মাইনাস নিয়েও আমি খুশি।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২

বোকামন বলেছেন:
প্রিয় ভাইজান,
সাথেই আছি প্রতিটি পোস্টের/গল্পের। বোকামনের ভালোলাগা অনুভবে পেয়ে যাবেন। একটি বিষয় জানতে মন্তব্যটি করা- “পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটি কি আপনি একেঁছেন ?

:-) :-)

২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

নাছির84 বলেছেন: গল্পের কোন এক কোণে আমার উল্লেখ করে দেয়া উচিত ছিল-ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। না ভাই,ছবিটি আমার আঁকা নয়। হাতে পেন্সিল উঠেছে শুধুই অ-তে অজগর লেখার জন্য। ছবি আঁকার ‌‌‌'এলেম' আমার নেই। গল্পটাকে আর একধাপ এগিয়ে দেয়,এমন একটা ছবি খুঁজছিলাম ইন্টারনেটে। উলবনে মুক্তো খোঁজা শেষে মাথা গুঁজে বসে থাকা মেয়েটি শেষ পর্যন্ত আমার মনে ধরে। ছবির রেফারেন্স উল্লেখ না করার জন্য দুঃখিত বোকামন। আর হ্যাঁ,মনের ঘুপচিতে কেমন যেন একটা বিশ্বাস জন্মেছে,আমার দুনিয়ায় আপনি বারবার আসবেন। মাদুর পাতা থাকবে !

১২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব সুন্দর আর যত্ন নিয়ে লিখেছেন । গল্প পড়ে বিষাদে মনটা ভরে গেছে ।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

নাছির84 বলেছেন: সুন্দর কিনা জানিনা তবে যত্ন ছিল। আপনার জহুরীর চোখ ! এই এত আনন্দরাজির মর্ত্যলোকে দু চোখ শুধু স্বাদ খোঁজে, বিষাদ নয়। আমি নয় সেই এক বালতি আনন্দে এক ড্রপ দুঃখ ঢেলে দিয়েছি ! তাতেই মন বিষাদে ভরে গেলে বাকি চাপ চাপ সুখ কোথায় রাখবেন। পকেটে !


.........মজা করলাম। কিছু মনে করবেন না। অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গল্প পড়ে ভাল লাগল। আচ্ছা ছবিটা কি আপনি এঁকেছেন ?

২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি। ছবিটা আমার আঁকা নয়। ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। উল্লেখ করা উচিত ছিল। দুঃখিত,ফের বার এমন ভুল হবে না।

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রায়বাড়ি আজকে থেকেই আলোর ডুবে আছে ।
- আলোয় ডুবে আছে দিলে মনে হয় ভাল হয় ।

মেয়েটা ঘুমের ঘোরে খাবার চিবিয়ে যাচ্ছে। রাবেয়ার কাছে জীবনটাকেও এখন অনিচ্ছাস্বত্তে চিবিয়ে যাওয়া বলে মনে হচ্ছে ।
তার জীবনের তারাবাতি স্রষ্ঠার ফুৎকারে আজ নিভে গেছে


- লাইনগুলো পছন্দ হল । শেষ লাইনটা সঙ্গতিপূর্ণ ও অসাধারণ ।

গল্পে যত্নের ছাপ আছে । , বিভূতিভূষণের দুর্গার কথাও মনে পড়ল ।
এ মাসেও সেরা গল্প গুলোর মধ্যে এই গল্পটা কেও আমি হিসেবে আনব ।

আপনি ক্লাসিক ঘরানার , পর্যাপ্ত মনোযোগ দিতে পারছিলাম না বলে
গল্পে কমেন্ট করা হচ্ছিল না ।

প্রফেসর শঙ্কুর সাথে একমত ।
++++++++
ভাল থাকবেন ।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নাছির84 বলেছেন: অনাকাংখিত ভুলের জন্য দুঃখিত। আসলে যে কোন লেখা শুরুর প্রথম কয়েক লাইন নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় থাকি। আমি তো আর ডাকসাইটে কেউ নই, যে লেখকের নাম দেখে সাতখুন মাফ ! তাই বারবার লেখি,বারবার কাটি। তারই এক ফাঁকে ভুলটা হয়ে গেছে।


প্রশংসা শুনতে ভাল লাগে। কিন্তু সমালোচনা সহ্য করার হৃদয়টাও আমার আছে। আপনার গঠনমুলক মন্তব্যটা আমার এই গল্পের পাখেয় হয়ে থাকবে। আমি ক্লাসিক না আধুনিক তা জানিনা,,,,তবে পুরোনোর প্রতি আমার টানটা হৃদয়ের। আসলে আমি মানুষটা খুব পুরোনো ধ্যান-ধারনার।
অনেক ভাল থাকবেন। আমার দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম।



১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

এক্সপেরিয়া বলেছেন: খুবই সুন্দর....! আমরা এখনও ঈদের সময় গ্রামে গেলেই বাজি ফুটানো হয়....

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

নাছির84 বলেছেন: ঈদ তো সামনেই। দাঁতে দাঁত চেপে অপেক্ষা করছি। তারাবাতিটা কখন যে হাতে আসবে....।

১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

জুন বলেছেন: বলার কিছু নেই শুধু বলি অসাধারণ লাগলো নাছির । আমাদের নিম্নবিত্ত পরিবারে এমন কত রাবু, রাবেয়া আর শাহজাহান সামান্য শখ তো দুরের কথা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস টুকু চাওয়া পাওয়াও যেন এক সপ্ন। শেষটা অনেক খারাপ লাগলো । চমৎকার লিখেছেন
+

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

নাছির84 বলেছেন: অসংখ্য চাওয়ার মধ্যে এটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশমাত্র।
শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.