নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৌকাঠ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৪৬



মোড়টা ঘুরতেই থমকে গেলাম। ওরা আসছে। ইফতির হাত ধরে আছে সুতপা। চট্ করে ঘুরেই দেখি রাস্তার পাশে সরবতের টং। তেষ্টায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে। এই সুযোগে গলাটা ভিজিয়ে নেয়া যাবে।

সুতপা আমাকে খেয়াল করবে না। ও চিনতে পারে না আমার গায়ের ঘ্রাণ, শার্টের রং, কিংবা দাঁড়ানোর ঢং। আমাকে গ্রাস করেনি অনেকদিন । ইফতিও তাকাবে না কারণ এখন তার দেহ-মন জুড়ে আছে আমার বুঁনোহাসের ডানা জোড়া। ওরা আমার মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেটপূজো করে না, তবে এই ঝকমকে রোদ্দুরের চকচকে বালির রাস্তায় কী করছে কে জানে !

পাশ কাটানোর সময় সুতপার গলার স্বর শুনতে পেলাম, এই গরমে কি ঘেমেছ তুমি ? ঠাণ্ডা কিছু খাবে? আমার অসুখ করলে এ ভাবেই ও জিজ্ঞাসা করে, ওষুধ খাবে? কপালটা টিপে দেই ? সেই একই ভঙ্গি, কথার একই টান, চেনা চাহনি। কী করে পারে ও? দু’জনের সঙ্গেই কি অভিনয় করে ? নাকি এক জনের সঙ্গে? তাহলে, কোন জন?

পাঁচ টাকা।

শতচ্ছিন্ন ময়লা নোটটা বাড়িয়ে দিলাম। টংওয়ালার তাকানোর ভঙ্গি দেখে মনে হলো নোটটাকে সে এক্সরে করে দেখছে। কিছুটা বিরক্তি নিয়ে গরু খেদানোর মতো হাত নেড়ে বললো- 'অবস্থা ভালা না। তয় খাইট্যা যাইব।' সামান্য একগ্লাস সরবতেই পাঁচটাকা চলে গেল। তবু লজ্জার হাত থেকে তো বাঁচলাম। সুতপার মুখোমুখি হলে সে অপ্রস্তুত হয়ে যেত।

ঝালমুড়ির ঠোঙ্গায় দুটো ছোলা ছড়িয়ে দিল মুড়িওয়ালা। দিনটা বেশ কেটে যাচ্ছে। ওদের চোখে পড়ার হাত থেকে বেঁচে গেলাম, ক’টা ছোলাও জুটে গেল ফাউ।

একসময় কলেজ থেকে ফিরে মা-র কাছে বসে ভাতের মাড়ে খানিকটা নুন গুলিয়ে খাওয়া ছিল আমার নিত্য অভ্যাস। টুকুনের বেশি খিদে পেত বলে ও ভাগে বেশি পেত। আমি অনেক সময় মুড়িতে দুটো পেঁয়াজ-মরিচ কেটে নিতাম। সে যে কী ঝাল ঝাল অমৃতসম ! টুকুনের সঙ্গে শেষ কবে দেখা হয়েছে মনে নেই।

মায়ের জন্মদিনে দেশের ছুটি। ১৬ই ডিসেম্বর।বিজয় দিবসে জন্মানো আমার মা দারিদ্রের কাছে চিরটা কাল বিজিতই থেকে গেল। সুতপার সঙ্গেও এমন করে কথা বলে ! আমি যদি রেগে বলি, ও ভাবে মাথা হেঁট করে থাকো কেন ওর কাছে, তো মা কাঁচুমাঁচু চোখে বলে- এ ভাবে ভাবছিস কেন? অ্যামন বড় মন, উদারতা কয়জনের থাকে?' সুতপা যে আমার চাকরির টাকার হিসেব নেয় না কখনও, তার ওপর আমারই টাকায় আমার ভাইয়ের পড়ার খরচ চালানো নিয়েও কোনও দিন আপত্তি করেনি, এমনকী আজও যে আমার বাড়িতে সাহায্য করার আদিখ্যেতায় কখনও বাদ সাধছে না এ কি কম বড় মনের পরিচয়! একালের বউদের মনের তল ঠাহর করা সেকেলে মায়েদের কম্মো নয়।



**********************



বাসে করে বাড়ি ফিরছি। সামনেই সিটে বসে ছিল মেয়েটা। নেমে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ঘুরতেই অসাবধানতাবশত তার নিতম্ব ছুঁয়ে গেল আমার অনুভূতিপ্রবন জায়গাটায়। ভুলে যাওয়া বোধটার ঘুম ভেঙ্গে গেল। শিরশির অনুভূতি ! কিন্তু চোখে বিব্রত চাহনি। পাছে দৃশ্যটা গিলতে থাকা গুটিকয়েক চোখ অন্যকিছু ভেবে বসে ! প্রস্থানরত উর্বশীকেও কিছু বলা চলেনা। পাবলিক বাসে মেয়েদের সবকিছুই তো সংরক্ষিত ! চকিত চাহনি আর সুযোগের কালোয়াৎ স্বদব্যবহারে সেই স্বত্ত সংরক্ষনকারিদের কাছে আমার বক্তব্য মোটেও ভাল লাগবেনা। ভিড়ের মধ্যে থেকে মন্তব্য উড়ে আসবে, ধুর মিয়া আপনার কি কুষ্ঠ !

তার থেকে সরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এমনিতেও কী বা যাবে আসবে আমার। এ সব ছোঁয়ায় তো বোধ সম্পুর্ণ হয়না। পুরুষের শরীরের অন্দরমহলের আবহাওয়া খুব কমই ধরতে পেরেছে মেয়েরা। শরীরের অনুভূতিপ্রবণ আকরগ্রন্থিরাজির কোন কোরক ঠিক কখন স্পর্শ করলে বেরিয়ে আসে ভাল লাগার শীৎকার ,কিংবা ক্রোধের চিৎকার, সুতপা তা জানে। আমাকে সে গুলে খেয়েছে। অনেক হোঁচটের পর পাটিগণিতের সকল মার-প্যাঁচ যেভাবে ধরে ফেলে সবাই। বিদ্যেটা এখন সে ইফতির ওপর ফলাচ্ছে। ওরা কি রোজ সিএনজি করে ফেরে ? ইফতি এক দিন বলেছিল, বাসে ওঠা তার অপছন্দ। তার চেয়ে রিকশা ভাল। হ্যাঁ, রিকশা তো ভালই। তুই তো রিকশাতেই আছিস এখন।সহযাত্রীর প্রতি অরুচি আসার পর একসময় নেমে যাবি। আমাকেই প্যাডেল মেরে চলতে হবে !

মাঈশার জন্য একটা ঝুনঝুনি কিনি। আবারও খিদে খিদে পাচ্ছে। তিনটে মাঝারি সাইজের আমড়া পনেরো টাকা। মায়ের কিস্তির টাকাটা জমা দেয়ার বাকি আর দুই দিন।

ঈদ এলেই মা খুব খুশি। টুকুন এবার মা'কে শাড়ী কিনে দিয়েছে। মায়ের মুখে হাসি। ছেলে হাতে করে এনেছে শাড়ি, তাও আবার একা। বোধ হয় কণিকে না বলে কিনেছে ভেবে নিয়েছে মা। আমি জানি, শাড়িটা কণিই কিনেছে। ওর পছন্দ খুব সুন্দর।

কণিই প্রথম চিঠি দেয় টুকুনকে। তখন আমার কাছে পড়তে আসতো। বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল। এক দিন লাজুক চাহনিতে বললো, মেয়েরা কাউকে ভালবাসলে তাকে নিজে থেকে জানানোটা কি ভুল? জবাব দিয়েছি, ভালবাসার তুই কি বুঝিস ? সে তো বিস্তৃত আকাশের মতো। হাসি-কান্নার ঠিক নেই। শক্ত চোয়ালে ও জবাব দিয়েছিল-' আমার দুইই চাই।'

মা এসবের কিছুই জানে না। কণিকে তার অপছন্দ। আমার কিন্তু বেশ লাগে। আমার ভাইকে যে ভালবাসে, তাকে ভালবাসব না ? মা বলে কণির জন্যই টুকুন ঢাকার বাইরে পোস্টিং নিল। কণির ব্যাংকের চাকরি মা’কে ছেলের থেকে দূরে করে দিয়েছে। এই কথাগুলো যখন মা বলে, আমার নাক তখন ডুবে থাকে বইয়ের তাকে। খুঁজে চলি শৈশবের সোঁদা গন্ধ। সেখান থেকে উঠে পুরোনা গিটারটা টুংটাং বাজাই। দাঁড়ি-গোঁফ উঁকি মারার বয়সের এই দুই অবিচ্ছেদ্দ্য সঙ্গীদের আমি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাইনি। এই বই, গীটার, দখিনের জানালা,বাইরের আকাশ,ভেসে চলা স্বপ্ন,সবই আমার অম্ল-মধুর বয়সের স্মৃতি।

মাঈশাকেও এ রকম একটা ঘর বানিয়ে দেব। ইটের গাঁথুনি থাকবে কিনা জানিনা। ওর নানার বাড়িতে পাঁচ ইঞ্চির গাঁথনি দেওয়াল ভেঙে তাক করা যায় না। তবে বুক শেলফ্ আছে। ঘর বানানোর পর আমি দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়ে বক বক করতে করতে চা খাব, আর মাঈশা কানে ইয়ারফোন গুঁজে হার্ডরক শুনতে শুনতে বইয়ের তাকে সেঁধিয়ে যাবে। সে দিন অনেক দূর এখনও।



***********************



কবিতাটা ওরা ছাপিয়েছে। চলতি সহ বকেয়া মাসের সম্মানিও পাঠিয়েছে। ক'দিন নিশ্চিন্তে চলে যাবে।একসময় সুতপা আমার কবিতার লাইনগুলো শুনতে অফিস ফাঁকি দিতে ভয় পেত না। কিন্তু এখন সেই অক্ষরগুলোই তার চোখে অনিশ্চয়তার রেখাচিত্র-'কবিতায় চলবে ? সারা জীবন শুধু পরে পরে লিখলে ? উঠে আর দাঁড়াতে পারলে না।'

বাকি জীবন তো দুর অস্ত, কোনকিছুই কি একটানা বেশিদিন ভালবাসা যায়?



********************

সুতপা আজ খেয়ে এসেছে। অফিসে পোগ্রাম ছিল। তা বটে ! তোমরা খেয়ে নাও। আমি সন্ধেবেলা একগাদা রিচফুড খেয়েছি, বলতে বলতে 'সেকলো' মুখে পুরছে । ফোন বাজছে ভেতরের ঘরে। মাঈশা দৌড়ে গেল ফোন আনতে, ইফতি কে আম্মু? ফোন করছে। সুতপা তাড়াতাড়ি ফোনটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেল। বহু দিন হল ইফতি এ বাড়িতে আর আসে না। আগে পড়তে আসত সুতপার কাছে। আমি মায়ের ওখানে গেলে দুজন কফি বানিয়ে খেত জানি। ফিরে এসে ময়লা ফেলার পাত্রে নেসক্যাফের মিনিপ্যাক দেখে আন্দাজ করে নিয়েছি। সুতপার কাছে রান্না ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর। ও বিকল্প খুঁজে নিতে পারে। আমাকেও তো করেছে।

ইফতি এক বার আমাকে বেঁফাস বলেছিল, সংসারের জোঁয়ালটা দুইজনের কাঁধে থাকা সুবিচার নয় কি ? খুব বিরক্ত লেগেছিল। সুতপার ভোটার আইডি কার্ডে আমার নামটা এখনো আছে। একটা নীলচে ফর্মে পাশাপাশি দুজন স্বাক্ষর করার ক্ষন থেকে ওর সকল দায় তো আমারই ? ইহধামের সকল চেতন-অবচেতন কর্মযজ্ঞের। ইফতি কেবল এসবের একটা অংশমাত্র। মহাবিচারের দিন সুতপা তার জীবনের ওই অংশটুকু নির্ভর করবে আমার জবানবন্দীতে। সেই সময়টার অপেক্ষা শুধু। কথাটা স্মরন করিয়ে দিতে ইচ্ছে হয়না। আমার বেশি কথা বলতে ভাললাগে না। পরে সুতপাকে বলেছিলাম, 'ছেলেটা বুদ্ধিমান।' ও বলেছিল- 'টিপ্পনি কেটোনা। ভাল না লাগলে পাত্তা না দিলেই তো হয়!' কথাটা বলেই শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে লেগে পড়ে সুতপা। আমার সঙ্গে অপছন্দের আলোচনা এড়াতে সুতপার অস্ত্র শাড়ির কুঁচি ঠিক করা। এত নিঁখুত করে ফালি ফালি পরতে সাজিয়ে আল ঠিক করে যেন খানিকক্ষন পরই ভাঁজ খোলার প্রতীক্ষা ! ইফতি নিশ্চয়ই জানে। মাঈশার মুখে আধো আধো বুলি ফুটছে। এখন বলে-'বুলো বাব্বা।'

কথাটা কি কেউ শিখিয়ে দিয়েছে ?



*******************************



চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় বাসে সুতপা আমার হাত ছুঁয়ে বলেছিল তোমার চোখের নিচের এই গভীর কালির দাগ একদিন মুছে দেব। আমি হেসে বলেছিলাম, ওটা সবার আছে। বাবারও ছিল। এ অমোচনীয়। সুতপার কাছে, দাগটা ক্লান্তিগত। আসলে প্রেমিকাদের মধ্যে সবসময় বোধহয় একটা লড়াকু জেদ কাজ করে ? ভাইকে দাঁড় করানোর আর মাকে একটা ভাল জীবন দেওয়ার ইচ্ছেটাকে ঘিরে তখন একটা আলো বিরাজ করতো। বিয়ের পর সেটা নিভে গেল। সুতপা মাঝে মাঝে বলত, কলেজের চাবুক ছেলেটা এখন একেবারে নিরামিষ !

খারাপ লাগত আমার। ওর কাছে আমিষ হতে গেলে যা যা করতে হয় তা করে উঠতে পারতাম না। বিছানা ভাগাভাগি শুরুর পর সুতপা অন্যমানুষ !

আগে ভাবতাম বাসে কেউ ছুঁড়ে মারলেই নাম্বারটা টুক করে টুকে নেব। আমার তো সে রকম কোনও সমস্যা ছিল না। শুধু যখন চরম সময়ে বলতাম-'আই লাভ ইউ'' সুতপা যেন আহত হতো !‌.‌....'এই তো ! বলতো তুমি আমাকে কি করছো?'

-আদর করছি।

সুতপা ঝেংটি মেরে বলতো- ' আহ্! এত ভাল কথা বলছো কেন! একটু খোলামেলা হতে সমস্যা কোথায় ?'

পারতাম না। জানি না তা নয়। খিস্তি জানি সবই। কিন্তু বলা যায় এ ভাবে! তাও সবচেয়ে আকাংখিত মুহুর্তটিতে ! আমি পারি না সুতপা। প্লিজ জোর করো না! বার বার মাথা ঝাঁকিয়ে ও আমার বুকের ওপর ফণা তুলতো। বলো কী করছো? তুই পুরুষ ? আমার জিভ আটকে যেত। সুতপার সুখের ঘাম ছিটকে এসে পড়ত আমার কপালে, ঠোঁটে। বলত, একটু খারাপ হতে সমস্যা কি ? ব্যাপারটা বড্ড গতানুগতিক হয়ে যাচ্ছে না ? আমি থমকে যেতাম। এই টানাপোড়নে শরীরের চূড়ান্ত আবেগ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে নেমে আসত নিরাবেগ শিথিলতায়। এভাবে কতদিন ? তাই বিকল্প পথটা বেছে নিয়েছে সুতপা। ইফতি হয়তো ওর শরীরে ঢুকে রোজই ওই কথাগুলো বলে। কিন্তু এটাতেও তো একদিন একঘেয়েমি চলে আসবে ? তারপর ? আচ্ছা, আগ্রহ হারানোর অন্যকোন কারণ ছিল কি ? আমি বোধহয় এখনও ওকে খুব ভালবাসি। নইলে এই লুকোচুরি কেন এড়িয়ে চলছি ? কেন করি? ও যে আমাকে একদম ভালবাসে না, তা নয়। সংসারের প্রতি মায়া ওরও আছে।ইফতিকে তাই তাই চৌকাঠের ওপারে রেখেছে। এ পারে আনবে না বোধ হয়। সুতপার বাইরের পৃথীবির ভার এখন ইফতির। আমি দেখি ভেতরেরটা। এখানে অন্ধকার।



***************



অনেক দিন পরে আজ সুতপার পাশে শুচ্ছি। ঘরে ডিমলাইটের মিটমিট আলো। টেবিলে পানির বোতলের মুখ খোলা। খাটে দু-চারটে ছড়ানো কাগজপত্র। আমাকে দেখেই কাগজগুলো গুছিয়ে রেখে সুতপা বললো-' শুয়ে পড়। সকালে উঠতে হবে।'

-হ্যা। টুকুন ফোন করেছিল। মা অসুস্থ্। কাল হাসপাতালে নিয়ে যাব।

- কাল ? কখন ? দরকার থাকলে আমাকে জানিও। চলে আসবো।

আসতে পারলে তো ভালই হয়। ভরসা থাকে, বলতে বলতে আমি ওকে ডিঙিয়ে বোতলের মুখটা লাগাতে যাচ্ছিলাম। বালিশের পাশে রাখা মোবাইলে নিঃশব্দে আলো জ্বেলে উঠে মেসেজ এল...স্ক্রীনে ফুটে উঠলো ‘ইফতি’... আমি চটপট বোতলটা নিয়ে ঘুরে শুয়ে পড়ি। চৌকাঠটা এগিয়ে আসছে এই মুহূর্তে। ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে আমার ঘর। ভাগের বিছানার ছোট্ট এই পরিসরটুকুর সীমা ছুঁয়ে ফেলার আগেই চোখ বন্ধ করে সজোরে চৌকাঠটাকে ঠেলা মারি। আর একটু, আর একটু জায়গা চাই আমার। অন্তত ঘুমিয়ে গিয়েও যদি এক বার পাশ ফিরতে চাই...ভাগের জায়গাটুকু যেন খুঁজে পাই।







ছবি ঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: ইফতিও তাকাবে না কারণ এখন তার দেহ-মন জুড়ে আছে আমার বুঁনোহাসের ডানা জোড়া। ওরা আমার মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেটপূজো করে না, তবে এই ঝকমকে রোদ্দুরের চকচকে বালির রাস্তায় কী করছে কে জানে !
+++++++++
কিন্তু এখন সেই অক্ষরগুলোই তার চোখে অনিশ্চয়তার রেখাচিত্র-'কবিতায় চলবে ? সারা জীবন শুধু পরে পরে লিখলে ? উঠে আর দাঁড়াতে পারলে না।'
বাকি জীবন তো দুর অস্ত, কোনকিছুই কি একটানা বেশিদিন ভালবাসা যায়?
+++++++++
গল্পের নামটাও ভালো লেগেছে।
একগুচ্ছ লাইকস।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৪

নাছির84 বলেছেন: আপনি আবারও প্রথম ! কি বলবো বুঝতে পারছি না। আপাতত...ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ছবিটাও সুন্দর সংযোজন।
কার আঁকা???

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৫

নাছির84 বলেছেন: ছবিটা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

শায়মা বলেছেন: আমি মুগ্ধ ভাইয়া!
অনেক অনেক ভালোলাগা!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

নাছির84 বলেছেন: আমি কি বলবো ! আপনাদের লেখা কত মানুষ পড়ে থাকে...সহস্র ভাল লাগা...মন্তব্য শতাধিক। আপনি, খেয়াঘাট, মামুন রশিদ, নাজিম উদ-দৌলা,প্রফেসর শঙ্কু, মাক্স, সহ আরও অনেক বিদগ্ধজন আমার দুনিয়ায় মাঝে-মধ্যে ঢুঁ মারেন। খুব ভাল লাগে।
লেখাটা ভাল করে ঘষা-মাজা করিনি। আরেকটু খাটতে হবে। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: চমৎকার, অনেক ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পে মুগ্ধ । অন্যরকম প্লট, লিখেছেনও দুর্দান্ত ।


গল্পে ভালোলাগা+

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

নাছির84 বলেছেন: কে যেন আমার গল্প মিস করছিল ?
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
গল্পটা তো জীবন থেকেই নেয়া....
ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কি বলবো ! আপনাদের লেখা কত মানুষ পড়ে থাকে...সহস্র ভাল লাগা...মন্তব্য শতাধিক। আপনি, খেয়াঘাট, মামুন রশিদ, নাজিম উদ-দৌলা,প্রফেসর শঙ্কু, মাক্স, সহ আরও অনেক বিদগ্ধজন আমার দুনিয়ায় মাঝে-মধ্যে ঢুঁ মারেন। খুব ভাল লাগে।
লেখাটা ভাল করে ঘষা-মাজা করিনি। আরেকটু খাটতে হবে। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।


ভাইয়া মন্তব্য হলেই সুন্দর লেখা হবে বা বেশি মানুষ পড়লেই তা বেশি বেশি ভালো হবে এমন কথা ব্লগে খাটেনা .....
ব্লগে পাঠক বা বন্ধু বা ফ্যান বা শত্রু সবই চলে জীবনের উল্টো নিয়মে। যাইহোক আমি আসলেও মুগ্ধ ভাইয়া। তোমার লেখা পড়ে।:)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

নাছির84 বলেছেন: 'ভাইয়া মন্তব্য হলেই সুন্দর লেখা হবে বা বেশি মানুষ পড়লেই তা বেশি বেশি ভালো হবে এমন কথা ব্লগে খাটেনা .....'
*******
অস্বীকার করতে পারবেন না....চিত্তাকর্ষক কিছু হলেই কেবল মানুষ সময় নষ্ট করতে রাজি হয়। সেখানে পড়ার ব্যাপারটি তো আরও ভয়াবহ ! তাই গ্রহনযোগ্য লেখা না হলে সাধারন পাঠকেরা বেহুদা আপনাদের ব্লগে সময় নষ্ট করবে কেন ?
আমার গল্পটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে বলেই আপনি মুগ্ধ। অর্থাৎ পরবর্তিতে আমার কোন লেখা চোখে পড়লে আপনার ঢুঁ মারার ইচ্ছে হতে পারে। এভাবেই তো ধীরে ধীরে আনাগোনা হয় বেশি মানুষের। তাই নয় কি ?
জীবনের নিয়ম তো অনেক। একেকজন হাঁটছে একেক পথে। তাই ভাবনাগুলোও হয় বিচিত্র। সে কারণে কেউ আমার-আপনার লেখার পাঠক কিংবা সমালোচক। এভাবেই আবার কেউ হয়ে যায় বন্ধু, কেউবা শত্রূ।
এসব তো বাস্তব জীবনেরই চেনা স্বাদ ? তাই না ? বয়স বেড়ে চলার সঙ্গে যেভাবে আমাদের মুখপট,ভাবনা, বন্ধু কিংবা শত্রুর সংখ্যা বাড়তে-কমতে থাকে।
আবারও ধন্যবাদ আপু। আমার জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার লাগলো ! সত্য অনেক চমৎকার লাগলো !!

আপুর মতই বলতে হয় আমি মুগ্ধ ভাইয়া!
অনেক অনেক ভালোলাগা!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার প্রো পিকটি দেখতে ইংরেজি 'এস' অক্ষরের মতো ?

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

সুমন কর বলেছেন: একটু ভিন্নরকম গল্প ভাল লাগল।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

নাছির84 বলেছেন: আঙ্গিকটা ভিন্ন হলেও গল্পটা কিন্তু জীবন থেকেই নেয়া...। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একালের বউদের মনের তল ঠাহর করা সেকেলে মায়ের কম্মো নয়।

হ্যভিওয়েট বচন।

চমৎকার হয়েছে । ভাল লেগেছে । :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
ষ্টার জলসার যুগে উনারা হেভিওয়েটেও মাথা নুইয়েছেন কি ?
প্রশ্ন রইল আপনার কাছে,,,। পরবর্তি কবিতায় উত্তর চাই ?
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: সত্যি মুগ্ধপাঠ। অন্যরকম লাগল গল্পটা।

অনেক অনেক ভালোলাগা রইল । :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

নাছির84 বলেছেন: শুধু নারীরাই নয়......তাদের বিপরীত লিঙ্গের দো-পেয়ে'রাও দুঃস্বপ্ন দেখে থাকে।
কোনরকম ?
ভাল লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

মুনেম আহমেদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল ভাই। সুন্দর গল্প

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম...।

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: তন্ময় হয়ে পড়লাম। পাঠককে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে আপনার।

অনুসারিত।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২১

নাছির84 বলেছেন: আপনি আমার ব্লগে ঢুঁ মেরেছেন, আমি তাতেই কৃতজ্ঞ। পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা আছে কিনা জানিনা...তবে আপনাদের মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।
আপনি নিজেও অনুসারিত ! কিন্তু কখনো মন্তব্য করিনি।
ভাল থাকবেন ভাইয়া।

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প পড়লাম অনেকদিন পর নাছির84
+

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৫

নাছির84 বলেছেন: আমি কি বলবো !!?? রাশি রাশি স্তুতির জবাবে আমার কি বলা উচিত ?
জানিনা।
এতটুকু বলতে পারি...

আমি যাযাবর। যা দেখি, যা শুনি, তাই অনুদিত করি মনের ভাষায়। কখনো তা ভাগাভাগি করি। কখনো করিনা।
অভিমান এবং অনুভূতি..এ 'অ' দুটো তো মানুষই ধারন করে...তাই না ?

আমার দুনিয়ায় স্বাগতম.....

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!!!
দারণ লেগেছে

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

নাছির84 বলেছেন: 'তিমির হনন'ও পড়ে মুগ্ধ !
আমার দুনিয়ায় স্বাগতম...

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

আরুশা বলেছেন: মুগ্ধপাঠ :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

নাছির84 বলেছেন: নেমতন্ন রইল...আবার আসবেন।
শুভকামনা।

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

শায়মা বলেছেন: আর একটাও লেখা নাই ভাইয়া?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

নাছির84 বলেছেন: না ভাইয়া।মা্থায় আর কিছুই নেই। জমলে লিখে ফেলবো।

Click This Link ...এই গল্পটা পরতে পারেন। শুভ কামনা।

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৭

মশিকুর বলেছেন:
অনেক্ষন ধরে পড়লাম। চমৎকার প্লট। ভালো লাগলো খুব ++++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

নাছির84 বলেছেন: আপনার গল্পগুলো সময় নিয়ে পড়ছি। তারপর মন্তব্য.....
প্লটটা জীবন থেকে নেয়া। ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা। নেমতন্ন রইল আমার দুনিয়ায়....।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: চলে এলাম নেমন্তন্ন রক্ষা করতে! আচ্ছা, এই স্কেচগুলো সব আপনার আঁকা? খুব সুন্দর!!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

নাছির84 বলেছেন: না। স্কেচটা ইন্টারনেট থেকে নেয়া। গল্পটার সঙ্গে সঙ্গতিপুর্ণ মনে হলো...তাই....। গল্পের শেষে তা উল্লেখ করেছি।
নেমতন্ন রক্ষার জন্য ধনব্যাদ। ভাল থাকবেন।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক দমে শেষ করলাম ...
এবারের শুরু তে কিন্তু শেষ ধরতে পারি নাই ,ভুল ভেবেছি ।
আমি ভেবেছিলাম দু জন এখন দুই জগতের বাসিন্দা ।


২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭

নাছির84 বলেছেন:
কড়িবরগার ছাদের নিচে
অনুভূতির প্রাচীর তুলে
জীবনকে ধরে আছে
দুটি প্রাণ।
শিয়রে বাতাস বয়ে চলে
বিচ্ছেদের অনুরণণ তুলে
বিভেদের বিছানায়
অনিশ্চয়তার
ঘ্রাণ।
অনুভূতির রাজ্য
আজ ভিন্ন
এসেছে নতুন ইন্দ্র-
মেনকারাজি;
উর্দ্ধগগণে ঈশ্বরের মুচকি
হাসি।
হায়রে পুতুল মানব
সাধ্য কি তোর
কপোল জলে
কপালের কালি
মুছে ফেলবি ?

২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দুর্দান্ত লিখেছেন, গল্প পড়ে ভাল লাগল।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেকদিন পর ঢুঁ মারলেন।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০২

লালপরী বলেছেন: মুগ্ধ গল্পে ++++++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

নাছির84 বলেছেন: আমিও মুগ্ধ আপনার প্রো পিকে !
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই লেখাটা মিস করা উচিত হয়নি। জীবনের গল্পে পরিচিত আবেগের ছোঁয়া... আর কপট হাসির দুঃখপ্রকাশ। দেরি হলেও পড়ে গেলাম। অনেক ভাল লাগা রইল।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

নাছির84 বলেছেন: প্রত্যবর্তনের করেই তো পড়ে ফেললেন। তাহলে মিস হলো কিভাবে ?
ভাল লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা।
যুবনাশ্বের সন্ধানে মান্ধাতা.......পড়ছি। এত কম লেখেন কেন ?

২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: চমৎকার , বর্ণনায় কোন একঘেয়েমি নেই , শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে , অনেক অনেক ভাল লাগা গল্পে ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

নাছির84 বলেছেন: শেষ পর্যন্ত যেহেতু ধরে রাখতে পেরেছি....তাই আর ছাড়তে চাই না !!!
অর্থাৎ এতদিন পর আমার ব্লগে এলেন...আশাকরি খুব দ্রুতই ফিরে যাবেন না ?
গল্পটা পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০

অপ্রচলিত বলেছেন: অত্যন্ত জটিল একটা লেখা। মগ্ন হয়ে দুই বার পড়লাম।
মুগ্ধপাঠ। +++++++++++++++++++++++++++++++++++

ভালো থাকুন সদা সর্বদা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৪

নাছির84 বলেছেন: এ জীবন সবর্দাই জটিল। তারই দু-একটি রেখাচিত্র সহযোগে 'চৌকাঠ।'পাঠে ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

না পারভীন বলেছেন: ইন্ডিয়ার কাহিনী এরকম হয় । জীবন থেকে তুলে আনা গল্প যেহেতু আমাদের দেশেও এমন হয়ে থাকতে পারে ।
এমন নির্লিপ্ত হাসবেন্ড ও হয় ? বউ অন্য মানুষের সংগে প্রেম করছে আর সে সহ্য করে যাচ্ছে ।

গল্প পড়ে তাজ্জবিত ।



২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

নাছির84 বলেছেন: কোন দেশে হয়ে থাকে জানিনা। মানুষের মাঝে হয় তা জানি।
হরর কিংবা সায়েন্স ফিকশন বাদে প্রায় প্রতিটি গল্পই তো জীবন থেকে তুলে আনা ? অন্তত ভাবনাগুলো তো জীবনেরই অংশ ?
বউ যদি নির্লিপ্ত হতে পারে তবে হাজব্যান্ড কেন নয় ? আবহমান কাল ধরে এ ধরনের যত গল্প পড়েছি তার বেশিরভাগেই তো বউ থাকে নির্লিপ্তের ভূমিকায়। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। এখন মেয়েরাও ছেলেদের 'ছ্যাক' নামক বস্তু উপহার দেয়। তাহলে বিবাহ জীবনে কেন নয় ? মজার ব্যাপার হলো, আমি মাঝে-মধ্যে রেডিও এবিসি'তে 'যাহা বলিব সত্য বলিব' অনুষ্ঠানটা শুনে থাকি। গতকাল সেখানে সম্ভবত লতা নামের এক মেয়ে এসেছিল। তার জীবনটা পরকীয়ায় ভরা ! তার স্বামীও একই পথের পথচারী !
তাহলে ?
ছেলেরাও নির্লিপ্ত হয়। যদি বেঁচে থাকার স্বাদটুকু নষ্ট হয়ে যায়। নির্লিপ্ত শব্দটা শুধু মেয়েদেরই একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কারণ একজন মেয়ে যেভাবে তার স্বামীর সকল অনাচার সহ্য করে চলে,,,,সেভাবে একজন ছেলেও সেই পথে হাঁটতে পারে...যদি বোবা ভালবাসা থাকে। জানেন তো...সক্ষমের হাসি দেখে আনন্দ পাওয়াই অক্ষমের সান্তনা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তাজ্জবিত হয়ে থাকলে আমি দুকসিত ! ভাল থাকবেন।

২৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৮

না পারভীন বলেছেন: সক্ষমের হাসি দেখে আনন্দ পাওয়াই অক্ষমের সান্তনা।






আহা কথাটার মধ্যে খুব বেদনা আছে । আমি যদিও প্রথম শুনলাম , তবুও কথাটা মিথ্যা না ।

দুসকিত হবার কারণ নাই । আমি পাঠক টাই এমন । ভাল লেখা পেলে কেমন করে লেখক এত ভাল লিখলো তার থেকে বেশি লেখার চরিত্র গুলোর সুখ দুঃখের মধ্যেই ডুবে যাই । যদিও সব কৃতিত্ব লেখকের ।

নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ভাল লিখেছেন নাসির ভাই ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

নাছির84 বলেছেন: আপনি মানুষটা এরকম বলেই হয়তো আমি সত্য বলার সাহস পেয়েছি। লেখা ভাল কিনা জানিনা কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে আমার দারুন লাগে। হয়তো এখন থেকে তা চলবে....আপনার সঙ্গে ?
আমার কৃতিত্ব একটাই। তা হলো.... উর্দ্ধলোকে বসে আমাদের নিয়ে একমনে খেলে চলা পবিত্র শিশুটির অযুত কারিকুরির কিছু কোরকরাজি নিয়ে আমি কয়েকটা লাইন শুধু লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র। দয়া করে... এটাকে বিনয় বলে ভাববেন না। এটা আমার বিশ্বাস। কারণ আমি কোনকালেই অতটা বিনীত ছিলাম না।

হুঁম কথাটার মধ্যে বেদনা আছে বৈকি। সুতপা দ্বিচারিণী হতে সক্ষম। কিন্তু তার জীবনসঙ্গী কি তাকে ফেরাতে অক্ষম ? গল্পে হয়তো সেরকম আভাসই দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত পাঠক-পাঠিকার হাতে। আমার প্রশ্ন হলো....ভালবাসার মানুষটি দ্বিচারিণী জেনেও একজন তার পাশে নিজের ভাগের জায়গাটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করে চলছে, তাও একরাশ নির্লিপ্ত অভিমানে !
এই অনুভূতির উৎস কি ? এটা কি শুধুই ভালবাসা নাকি শেষ বিচারের দিনে সুতপাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য দাম্পত্যজীবনে নিজের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করে চলার চেষ্টা ? বলতে পারেন....নির্লিপ্ত থাকাই কি দায়িত্বপালন ? সুতপাকে তো ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করা যেত ?
আমার জবাব হলো...দুজনেই প্রাপ্তবয়ষ্ক। তাই তাদের ব্যক্তিগত দুনিয়াটাও আলাদা, তা যত ভালবাসাই থাকনা কেন। সুতপা বুঝে-শুনেই ইফতির সঙ্হে জড়িয়েছে। আর তার স্বামীও সব মেনে নিয়ে নিজের অক্ষমতাকে পুঁজি করে নির্লিপ্ত থেকে গেছে। সক্ষম সুতপার পরিতৃপ্তির হাসিই তো অক্ষম স্বামীটির চৌকাঠ বাঁচিয়ে কোনমতে বেঁচে থাকার সান্তনা।
প্রশ্ন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু্।

২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
এ ধরনের প্লট খুব একটা ভালো লাগে না আমার। তবে আপনি যেভাবে গল্পটি লিখেছেন। বাক্যের সাবলীল গতি, গল্পের ম্যাসেজ সবটা মিলে ভালো লেগেছে। [প্লাস]

আপনি ভালো লিখেন। অব্যাহত থাকুক। শুভকামনা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

নাছির84 বলেছেন: সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি সঙ্গেই থাকবেন। শুভ কামনা।

২৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

বৃতি বলেছেন: আপনি চমৎকার লিখেন। অনেক শুভকামনা থাকলো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার দুনিয়ায় স্বাগতম।

২৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বাহ, বাহ !

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০০

নাছির84 বলেছেন: !?!?!?
শুভ কামনা।

৩০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: গল্পটা আজকে আরেকবার পড়লাম।
আমি যদি কোনো পত্রিকার সম্পাদক হতাম তবে এই গল্পটি একেবারে প্রথম পাতায় ছাপতাম।
যে গল্প পড়ে অসম্ভব রকমের ভালো লাগে সেটাইতো শ্রেষ্ঠ গল্প।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

নাছির84 বলেছেন: ভীষন লজ্জায় ফেলে দিলেন, ভাই।
ভালো লাগার গল্পই শ্রেষ্ঠ গল্প................আমি মানিনা। খেয়াঘাট বলেই কথাটা সরাসরি বলার সাহস পেলাম।
পত্রিকার সম্পাদক হওয়ার দরকার নাই...দোয়া করি দারুন কিছু বইয়ের লেখকের নাম হোক-‌'খেয়া ঘাট।'
শুভ কামনা।ভাল থাকবেন।

৩১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

বোকামন বলেছেন:
গল্পটি ভালো লেগেছে।
আপনার কাছ থেকে আরও লিখা আশা করি।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

নাছির84 বলেছেন: বোকামন এতদিন পর.... !!!!!!!!! যাক তবুও তো ঢুঁ মারলেন। আপনার প্রত্যাশা মেটানোর চেষ্টা করবো...কিন্তু জানেন তো...আলস্য দোষের আকর।
ডুমুরের ফুল না হয়ে নিয়মিত পদচারণা আশা করছি....ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

৩২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১

বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প পড়লাম

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৫

রাসেলহাসান বলেছেন: +++++ খুবই ভালো।।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম।

৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: কিছু একটা লিখে দিলে অনেকেই পড়ে!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩২

নাছির84 বলেছেন: হুঁম..ঠিক বলেছেন। পড়ার ক্ষুধা থাকলে ছাইপাশও অমৃত !

৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন:




" হুঁম..ঠিক বলেছেন। পড়ার ক্ষুধা থাকলে ছাইপাশও অমৃত ! "

-বাংলা সাহিত্যে শুন্যতা বিরাজ করছে!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৬

নাছির84 বলেছেন: সেই শূন্যতা পূরনের দায় এবং দায়িত্ব কি আমার মতো শিক্ষানবিসের ? খুব বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞেস করছি...আপনার ক্ষোভের উৎসটা কি ? আর আমার এসব ছাইপাশ লেখায় আপনার মুল্যবান মন্তব্য খরচ করার হেতুই বা কি ?
জবাবের অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন।

৩৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

ইমিনা বলেছেন: আমি কিন্তু পূর্বেও বলেছি যে আপনি অসাধারন লেখেন। এখন ও বলছি সে কথা।।
এতো কম লেখেন কেন? বেশি বেশি গল্প লিখুন, আমরা পড়বো ।।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

নাছির84 বলেছেন: লিখতে ইচ্ছা করে। আপাতত...কিছু বলবো তারপর লিখবো আর সে জন্যই এখন শুধু দেখছি চারদিক। ;) সঙ্গে আত্নবিশ্বাসেও ঘাটতি আছে। নিজের লেখায় নিজেই বিশ্বাস পাইনা ! আর হাড়কিপটে সময়ের চোখ রাঙ্গানি তো আছেই,,,। প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। যদিও এতটা আশা করিনি। তার চেয়ে বরং খুঁত খুঁজে বের করুন। কারণ আমি নিখুঁত হতে চাই।

শৈশবের গল্প করা যেতে পারে....। ভাল থাকুন। শুভ কামনা।

৩৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

ইমিনা বলেছেন: ওকে, শৈশবের উপর ভিত্তি করে একটা দারুন গল্প লিখে ফেলুন যার প্রথম পাঠক হবো আমি। শৈশবের সাথে জড়িয়ে থাকা সব কিছুতেই খুজে পাই অপার স্নিগ্ধতা :) :)

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

নাছির84 বলেছেন: হুঁম...আমি তো ইটভাঙ্গা মেশিন ! :( সুইচ টিপলেই কিছুক্ষন পর.. খোঁয়া বেরিয়ে আসবে !! চেষ্টা করে দেখবো....কোন শৈশব খুঁড়ে বের করতে পারি।
স্নিগ্ধ শব্দটার অর্থ আমি বুঝিনা । কবিতায় বুঝলে মন্দ হয়না ?

৩৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১৩

রি হোসাইন বলেছেন: ভাই আমার একটি পোষ্টে আপনার কমেন্ট কে সম্মতি মনে করে আপনার এই লেখাটি আমার ম্যাগাজিন সমসাময়িক তে প্রকাশ করেছি। আশা করি আমি নিয়মিত আপনার লেখা প্রকাশ করবো :)

আপনার প্রকাশিত লেখার লিংক

দয়া করে আপনার লেখাটি কিছু শেয়ার দিয়ে আমার পেজের কিছু ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করবেন । ধন্যবাদ :)

১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৮

নাছির84 বলেছেন: আমার কমেন্টকে সম্মতি মনে করলেন !!!?? তাহলে, আর যারা কমেন্ট করেছে তাদের লেখাও নিশ্চয়ই প্রকাশ করেছেন ? লেখা প্রকাশ হওয়া তৃপ্তি যোগায়,যদিও তা ঘটেছে আমার অজান্তে !
প্রকাশ করার মতো হলে অবশ্যই অনুমতি পাবেন। নচেৎ, ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

৩৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৯

রি হোসাইন বলেছেন: :)

৪০| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন! আপনি খুবই চমৎকার লিখেন, এই কথা আগেও যেমন বলেছি এখন আবারও বললাম। অনেক শুভকামনা রইল।

২০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

নাছির84 বলেছেন: অসাধারন ! আপনি খুবই চমৎকার লিখেন, এই কথা আগেও যেমন বলেছি এখন আবারও বললাম।
অর্থাৎ, স্তুতির জবাবে পাল্টা স্তুতি। অ্যাজ লাইক অ্যাজ ইট কা জওবাব পাটকেল !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.