নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়ি-কুড়ির ছন্দে লাগুক দোলা-১

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

''মিউনিখ পুশ'-এ ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ভেঙ্গে পড়েননি। মনোবল চাঙ্গা করতে তলব করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ধৃত ব্রিটিশ বন্দীদের। নির্দেশ করেন, ক্রিকেট খেলাটার কায়দা-কানুন শেখানোর। সাত বছর ধরে খেলাটি রপ্ত করা পর বন্দীদের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচেও অংশ নেন। অ্যাডলফ হিটলার ছাড়া তিনি আর কেউ নন !

গুনমুগ্ধ বলতে যা বোঝায়, হিটলারের প্রতি ঠিক তাই ছিলেন অলিভার লকার ল্যাম্পসন। তাকে নিয়ে লেখা 'হিটলার অ্যাজ আই নো হিম' বইয়ে ঘটনাটার উল্লেখ করেন ব্রিটিশ নেভীর সাবেক এ কমান্ডার। তার মতে, হিটলার নাকি খেলাটির নিয়ম-কানুনও পাল্টাতে চেয়েছিলেন ! পায়ে প্যাড পরার ঘোরবিরোধী ছিলেন। অলিভারের ভাষায়,'ফুয়েরার মনে করতেন, ওই লম্বা বস্তুদুটো একেবারেই কাপুরুষোচিত এবং ঠিক জার্মানসুলভ নয়।'

ভাগ্যিস, হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন। নইলে,টেন্ডুলকারকেও হয়তো আমরা দেখা যেত, ক্রাচে ভর দিয়ে ব্যাট করছেন ! অপাত্রের হাতে তাই আর যাই হোক, ক্রিকেট নয়। প্রিন্স ফিলিপ কি এটা ভেবেই বলেছিলেন-একজন পাগলের হাতে বন্দুক থাকার চেয়ে ক্রিকেট ব্যাট থাকা বেশি বিপদজ্জনক।' কিন্তু প্রয়োজন তো আর কখনোই আইন মেনে চলেনি। ৫০'র দশকের পর থেকে টেষ্ট ম্যাচ দর্শকদের কাছে পানসে হয়ে পড়ছিল। নেতানো মাঠের সঙ্গে অর্থের যোগানটাও ধরে রাখতে ১৯৭১ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সঙ্গে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেয় ইংলিশরা। কিন্তু পঞ্চাশ-পঞ্চাশেও একসময় অরুচি চলে আসে। বিশেষ করে, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মাঠে গড়ানোর পর ২০০২ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপের মেয়াদ শেষ হলে। ওয়ানডে তখন আর ইংলিশদের মাঠে টানতে পারছে না। বিকল্প পথ বাতলে দিলেন ইসিবির মার্কেটিং ম্যানেজার ষ্টুয়ার্ট রবার্টসন। চারবছর আগে থেকেই ক্রিকেটের বাজার বিশ্লেষন করা রবার্টসন জরিপ চালিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন-'ওভার কমালে এবং ম্যাচগুলো বিকেলে অনুষ্ঠিত হলে মহিলা এবং শিশুরা গ্যালারীতে ভিড় জমাবে।' অর্থাৎ রথ দেখার সঙ্গে কলাও বেচা যাবে। পরের বছর থেকেই অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু করে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করন-টুয়েন্টি-টুয়েন্টি। ওয়ানডে ক্রিকেট চালু হওয়ার পর স্যার ডন ব্রাডম্যান আক্ষেপ করে বলেছিলেন-'লোকজন তাহলে শেষ পর্যন্ত চিত্ত বিনোদনকেই বেছে নিল।' ডন বেঁচে থাকলে দেখতেন তার সেই 'চিত্ত বিনোদনকে'ও বেশ কায়দা করে ছেঁটে চোখা বানানো হয়েছে। যেভাবে একটি হীরার উজ্জলতা বাড়ানো হয় তাকে কয়েকধাপে কেটে। দূত্যিময় ক্রিকেটের সেই উজ্জলতম অংশটুকুই হলো-টি২০ বিশ্বকাপ। ডিন জোন্সের ভাষায়-'পার্ল অব ক্রিকেট।'

খেলাটির এই চটকদার সংস্করনটিকে ঘিরে 'যে কোন কিছুই ঘটতে পারে' কথাটা এত বেশি লাগসই হয়ে উঠছে ফলাফল নিয়ে আগে-ভাগেই মাথা ঘামানোর অবকাশ নেই। এ প্রতিযোগিতায় ম্যাচ নয় প্রতিটি বলই একেকটা দৃশ্যপট নির্মানের প্রেক্ষাপট। সময় কম তাই মজাটাও বেশ ঘন জমাট বাঁধা। মাত্রাঅতিরিক্ত উপভোগের নিমিত্তে বদ হজমও হতে পারে। ক্যারিবিয় 'পেস কোয়ার্ট্রেট'-জুটির কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংয়ের ভাষায়,'সবাই বিনোদন চায়। টি২০ সেরকমই একটা আসর। যদিও তা মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে ফেললে পেট খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক।'

তাই বলে কিন্তু টি২০'র জৌলুসবৃদ্ধি থেমে নেই। ক্ষনকালের এই ছন্দের আবেদন সবার কাছেই চিত্তগ্রাহী। বিনিয়োগকারিরাও বসে নেই। দেদারসে উঠে আসছে মুনাফা। স্বল্প সময়ে নিজের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দেয়ার তাগিদে ক্রিকেটারেরাও ঘাম ঝড়াচ্ছেন বেশি করে। ২০ ওভার শেষে রানের কোঠা তাই এখন দেড়শ ছাড়িয়ে দুইশ, কখনো আড়াইশ !

তার বিপরীতে বোলারাও বসে নেই। নানান উদ্ভাবনী বৈচিত্রে ক্রিকেটের ভাঁড়াড়ে তারা নিত্য-নতুন যোগ করছেন মণি-মুক্তো। ফিল্ডারদের থাকতে হয় আরও বেশি ক্ষিপ্র,শাণিত এবং লক্ষভেদী। ধকল যায় আম্পায়দের এবং স্কোরারদের ওপরও। প্রতি পর্বে পরিবর্তিত আইনের ধারা-উপধারা প্রয়োগ, ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির খবরদারি-ইত্যাদি।

আরেকটি দিক থেকে টি২০ ক্রিকেট বেশ শাণিত। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তিন দশক ধরে ক্রিকেটারেরা 'স্লেজিং' এর নামে প্রগলভতাই বেশি প্রকাশ করছে। অষ্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল একবার বলেছিলেন,'মাঠে জিভ দিয়ে যে চেক লেখ, সেটা তোমার ব্যাট বা বল যদি ক্যাশ করতে না পারে তবে সেই চেক লিখে কাজ নেই।' এই চেক লেখা এবং ক্যাশ করার দায়টা টি২০ ক্রিকেটারদের ওপর একটু বেশি। আর সেই দায়মুক্তির সাধনায় দর্শকদের চক্ষুসুখের আনন্দটাও বেড়ে গেছে। এতটাই বুভুক্ষু থাকে যে মাঠে নৃত্যরত হ্রস্ব বর্মন নর্তকিদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। ধুমধাড়াক্কা খেলার মাঝেও ক্রিকেটের সনাতনী মুল্যবোধগুলো সমুন্নত রাখার কায়দা-কানুন দর্শক এখন শিখে ফেলেছে। একটা দুটো নতুন ধরনের শট, নতুন কৌশলের বল হয়তো অপেক্ষা করছে ! কে জানে ? তবে নিজেকে নেহায়েত সনাতনী ঘরানার মনে করলে বিখ্যাত ব্রিটিশ ক্রিকেট লিখিয়ে স্যার নেভিল কার্ডাসের ওই মন্তব্যটি একবার গলাঃধকরন করে নিন-'ক্রিকেট হলো নদীর স্রোতধারার মতো। আয়তন বুঝে গড়ন পাল্টায়'.......(চলবে)।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অজানা বেশ কিছু জানলাম আপনার লেখায়। চলুক। +++

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

নাছির84 বলেছেন: পড়ার ধন্যবাদ হাসান ভাই। সঙ্গে থাকলে চালিয়ে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ। ভাল থাকবেন।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মিমা বলেছেন: ইনফরমেটিভ পোস্ট পড়তে দারুন ধৈর্য লাগে বৈকি! তবে, আপনার লেখা যদি এতোটা স্বচ্ছন্দ না হতো, তাহলে হয়ত পড়তে অনাগ্রহও তৈরি হতো।

লেখায় প্লাস, আর এতো সব তথ্য জোগাড় করতে আপনার যে শ্রম তাকে অভিনন্দন।
আশা করি সামনের লেখাগুলোও অনেক জলদি পাবো।

ভালো থাকুন নাছির ভাই। শুভকামনা রইলো অনেক। :)

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নাছির84 বলেছেন: ধন্যবাদ পেলে যে কোন শ্রমই স্বার্থক। ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। সামনের লেখাগুলো আশা করি জলদিই পেয়ে যাবেন। সবই নির্ভর করছে শ্রমের যোগানের ওপর ! ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাগ্যিস, হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।


ভালো লেগেছে পোস্ট ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২০

নাছির84 বলেছেন: ক্রিকেটিয় দৃষ্টিকোন থেকে সত্যিই তাই। হিটলার ভাই হেরেছিলেন বলেই তো, খেলাটা আর মাঠ ছেড়ে পরিখা পর্যন্ত পা বাড়াতে পারেনি । ওনার এই ত্যাগ চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে পরাজিতদের অলিখিত ইতিহাসে ! প্যাড ছাড়া ব্যাট করা ! উফ ! ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
ভাল থাকবেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ক্রিকেটের ওপর বিশেষ করে টি-২০ এর ওপর এতো গুছানো পোষ্ট কমই পড়েছি। বিখ্যাতজনের উক্তিগুলো পোষ্টটাকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছে। লেখার সাবলীলতা এবং বয়ানভঙ্গী চমৎকার। অনেক কিছু জানলাম।
খেলাটাকে পছন্দ করার কারণেই হোক আর অন্য কোন কারণেই হোক, এখনো আমি যেকোনো ক্রিকেট খেলোয়াড়কে তার টেস্ট পরিসংখ্যান দেখে বিচার করি। টেস্ট ফরম্যাটই একজন আদর্শ ক্রিকেটারের আসল গন্তব্য হওয়া উচিৎ। কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি অতিরিক্ত বাণিজ্যিককরণের কারণ এবং মাঠে দর্শক টানার কারণে ক্রিকেট খেলাটি দিন দিন তার পুরনো জৌলুস হারারে বসেছে। ভবিষ্যতে এর ভাগ্যে কী আছে জানি না। টি-২০ কে আপনি ক্রিকেট খেলার সব চেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ বলেছেন। এখন মনে হয় এটাই ঠিক। কিন্তু এক সময় 'সিক্স এ সাইড' ক্রিকেট হত। বাংলাদেশও হংক কংয়ে যেয়ে এই টুর্নামেন্ট খেলেছে আমি যত দূর জানি।
অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের পর্ব। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৮

নাছির84 বলেছেন: আপনি বোধহয় হংকং ক্রিকেট সিক্সের কথা বলছেন ? আসরটা এখনো চালু আছে। হ্যাঁ ওটাও আইসিসি অনুমোদিত ইভেন্ট।যার আয়োজক শুধু কোলন ক্রিকেট ক্লাব। এরকম আরও বেশকিছু ইভেন্ট আছে। ফ্রেঞ্চ ক্রিকেট, ব্যাক ইয়ার্ড ক্রিকেট,কুইক ক্রিকেট ; আর ইনডোর ক্রিকেট তো থাকছেই। কিন্তু ক্রিকেটের অফিসিয়াল ফরম্যাট সেই তিনটিই=টেষ্ট, ওয়ানডে এবং টি২০।
টেষ্ট, ক্রিকেটারের মাপকাঠি। তাই হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। কিন্তু শঙ্কার জায়গা হলো টি২০ আর্বিভাবের পর থেকে ক্রিকেট তার জৌলুস হারাচ্ছে। অনেকটা,একেবারে সব সৌন্দর্য দেখার আশায় কোন উর্বশীর বস্ত্র হরনের মতো অবস্থা ! এভাবে বলার জন্য দুঃখিত। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩০

সুমন কর বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট। বেশ গুছিয়ে ও সংগ্রহ করে লিখেছেন। অনেক কিছু জানা গেল।
সাথে আছি।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৯

নাছির84 বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: বাহ অনেক অনেক তথ্য দিয়ে দিয়েছেন দেখছি। :)

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৫২

নাছির84 বলেছেন: হ্যাঁ, দিয়ে দিলাম। কিন্তু তথ্য কি খাওয়া যায় ? তথ্যর গায়ে তো শুঁটকি গন্ধ নেই ?

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৭

উদাস কিশোর বলেছেন: দারুণ লাগলো পোষ্ট-টি ।
তথ্য গুলো পোষ্টকে আরো চমকপ্রদ করে তুলেছে

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৫২

নাছির84 বলেছেন: আপনার প্রো পিকটাও চমকপ্রদ। ভাল থাকবেন ভ্রাতা।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:২২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আগের মন্তব্যের সূত্র ধরে বলছি।
দুঃখ পাবার কিছু নাই। তবে আমি টেস্ট ক্রিকেট দেখি খাবারের মেইন মেনু হিসাবে আর টি-২০কে বড় ডেজার্ট হিসাবে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩৩

নাছির84 বলেছেন: আমার কোন মেনু নাই। কারণ এখন আর আগের মতো প্রতিটি দলেই একটা-দুটো করে ভাল পেস বোলার নেই। লড়াইটা তাই আর জমেনা। সেটা টেষ্ট কিংবা টি২০।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

ইমিনা বলেছেন: যাক, আপনার নতুন লেখা পেলাম। পড়তে শুরু করলাম।
ভালো না লাগলে কড়া ভাষায় তা জানিয়ে যাবো আবার :P :P

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

নাছির84 বলেছেন: প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে। ভাষা কড়া হলে অন্তত ঘুমটা্ তো কেটে যাবে ?
যতদুর মনে পড়ে, নিকটা খোলার সময় সামুর সঙ্গে আমি কি এমন কোন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিনি যেখানকার শর্ত ছিল-লেখা ভাল হতেই হবে।নইলে প্যাঁদানী দেয়া হবে ...ইত্যাদি ?
অতএব....ওসব ধমকানিতে কাজ হবে না। :P
গুরুজনদের মুখে এতদিন শুনে এসেছি, ভাল কাজকে স্বীকৃতি দেয়া মহৎপ্রাণের বৈশিষ্ট। কিন্তু এ দেখছি উল্টো ! ভাল লাগলে মুখে কুঁলুপ আর মন্দ লাগলে হুমকির খৈ ফুটবে। কি আর করা, কলিকাল বলে কথা ! :P

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাহ, অনেক কিছু জানলাম তো! চলুক।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

নাছির84 বলেছেন: প্রফেসরকে অনেকদিন পর পেলাম। অনুযোগটা যেন স্মরনে থাকে। ভাল থাকবেন।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

আছিফুর রহমান বলেছেন: খাইছে হিটলার ক্রিকেট খেলাও পারতো। ভাগ্য ভাল জার্মানী টেস্ট বা ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় নাই। তাইলে সবার ক্রাচে ভর দিয়া খেলতে হইতো।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

নাছির84 বলেছেন:
খাইছে !...কথাটা তিন গোয়েন্দার মুসা আমানকে স্মরন করিয়ে দিল। জার্মানি ১৯৯৯ সালে আইসিসির সহযোগি সদস্যপদ লাভ করে। এখন তারা ৩৭তম দল । আর, ইউরোপে নন-টেষ্ট প্লেয়িং দেশগুলোর মধ্যে অষ্টম।
আপনার প্রো পিকটা আমার ভীষণ পছন্দের। 'সোয়াস্তিকা' আর ঈগল মিলে হিটলারের তৎকালিন জাতীয় প্রতীক। ঈগলের মুখটা বাঁ দিকে ঘুরে থাকলে সেটা হতো নাৎসী প্রতীক।ঠিক করে বলতে পেরেছি ?
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

আছিফুর রহমান বলেছেন: আসলে সোয়াস্তিকা শুধু নাৎসি প্রতিক বললে ভুল হবে। এটি আসলে আর্য প্রতিক। এটি আপনি হিন্দু ধর্মের প্রতিটি গ্রন্থেই উল্লেখ পাবেন। তবে হ্যা, আমি নাৎসিজম পছন্দ করি এবং নিজেকে একজন নাৎসি বলতেও ভয় পাই না।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

নাছির84 বলেছেন: আর্যরা সম্ভবত জাতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ ? জার্মানদের তো আর্য বলেই বিশ্বাস করতেন ফুয়েরার ? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অসাধারন কিছু ছবি....এরিক মারিয়া রেমার্ক এবং আরও কয়েকটা বইয়ের জন্য একসময় নাৎসিজম নিয়ে খুব আগ্রহ জন্মেছিল। হিটলারকে মনে হতো ব্যাখাতীত চরিত্র। কিন্তু এখন আর সে সময় নেই....

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: আপনি কি জাতিয়তাবাদী, আমি জাতিয়তাবাদী। আর জাতিয়তাবাদ আর নাৎসিজম এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। আর ইতিহাস সবসময় বিজয়ীরা লিখে। তাই ইউক্রেনকে যখন রাশিয়ার হাত থেকে জার্মানরা মুক্ত করলো তখন ইউক্রেনের ৩০ হাজার সাধারন মানুষ যে তাদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিল এই ইতিহাস কেউ লিখে নাই। গোয়েরিং কি বলেছিল সেইটা নিয়াই সবাই লাফায়। যদিও তার কোন ডকুমেন্ট নাই। আর হিটলার আসলেই ব্যাখ্যাতিত চরিত্র। গোয়ার এবং কঠোর দেশ প্রেমিক। গোয়ার না হলে হয়তো আজ পৃথিবীর ইতিহাস অন্যরকম ভাবে লিখতে হতো।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নাছির84 বলেছেন: ‌'গোয়ার এবং কঠোর দেশ প্রেমিক। গোয়ার না হলে হয়তো আজ পৃথিবীর ইতিহাস অন্যরকম ভাবে লিখতে হতো। '..কথাটা ++++। কিন্তু ইতিহাস যার হাত দিয়েই লেখান না কেন..সে কিন্তু বিজয়ীই থাকবে। বিজিতরা পড়ে পড়ে মার খাবে।
না ভাই আমি কোন বাদ-এই নেই। বরং 'বাদ'গুলোকে বাদ দিতে পারলে বেঁচে যেতাম। :P

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৯

ইমিনা বলেছেন: ঠিক বুঝছেন। দিনকাল পাল্টে যাচ্ছে । গুরুজনদের কাছ থেকে যা শুনেছেন তা ভুইলা যাওয়া ই ভালো :P

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৭

নাছির84 বলেছেন: হুঁম, যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ। :P

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭

ইমিনা বলেছেন: আপনার প্রোপিক এবং প্রোইনফো তে এত্তো চেঞ্জ? ?
গুড, গুড ...
:) :)

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:২১

নাছির84 বলেছেন: খুব বেশি চেঞ্জ হয়ে গেল বুঝি ?

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং!

২০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

নাছির84 বলেছেন: আরও মচৎকার কিছু আসছে.......অপেক্ষায় থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.