নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেটের মরু গোলাপ-২

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৯





(আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন চলাকালিন অসংখ্য স্থানীয় পাড়ি জমায় পাকিস্তানে। দেশে ফেরার সময় তাদের ঝুলিতে ছিল ক্রিকেটও। এরপর গোটা দেশে খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে সংক্রামক ব্যাধির মতো ! মোহাম্মদ নবীকে মনে পড়ে যায় সিদ্ধার্থের। বেড়ে ওঠা, পেশোয়ারের শরণার্থী শিবিরে। সেখানেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কাবুলে ফেরেন মোহাম্মদ নবী। মরুভূমিটা তার অদেখা নয় - ধংস্বপ্রায় বাড়ি-ঘর, রাস্তার আনাচে-কানাচে অবিষ্ফোরিত শেল, দেয়ালে অসংখ্য বুলেটের ক্ষতচিহূ ! কিন্তু, তারপর থেকে এ পর্যন্ত আফগানদের অর্জন কি এতটাই তুচ্ছ যে, নেহায়েত ক্রিকেটের স্বার্থেও তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেললে জায়ান্টদের মান-মযার্দা ধূলিসাত্ হয় ?) প্রথম পর্বের পর....





ক্রিকেট রাজনীতির এসব হালচাল বোঝা বড় কঠিন ব্যাপার। এ সময়ের মাঝে তিনটি টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছে আফগানরা। এখন দরজায় কড়া নাড়ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সাদা পোশাকটা বাগিয়ে নিতে নিজেদেরকে প্রমানের এটাই সবচেয়ে বড় মঞ্চ। আফগানরা তা জানে বলেই, এখন তাদের ক্রিকেট সম্পর্কিত যে কোন কাজেরই শেষ মাথায় থাকে দুটি দেশের নাম-অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

খেলাটির প্রতি তাদের এ রোমান্সের বীজ পোঁতা রাস্তায়, নয়তো পতিত বিরানভূমিতে। চার্চের সঙ্গে নানদের যে সম্পর্ক, আফগানদের সঙ্গে ক্রিকেটের বন্ধনও এখন ঠিক ততোটাই গভীরে প্রোথিত। কিন্তু ইতিহাস মনে রাখবে, শুরুতে ‘সে’ ছিল ভিনদেশী এক লাজুক বধু, যে কি-না খুব সহজেই আফগানদের মোহাবিস্ট করে সীমান্ত পাড়ি দেয় তাদেরই সঙ্গে ! এতদিনে বেশ ডাগর হয়ে ওঠায়, ‘তার’ প্রেমে মশগুল এখন ছেলে থেকে বুড়ো ! আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহজাদা মাসুদ স্বীকার করে নিলেন, সে সত্য,‘বিমানে করে বেশ নিচু দিয়ে আফগানিস্তান পাড়ি দিলে, আপনি শুধু ক্রিকেট খেলাটাই দেখতে পাবেন।’

এর আগে মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তার ফোনে একটি ভিডিও দেখেছিল সিদ্ধার্থ। স্থানীয় টি২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল। ভেনু-আমেরিকান কনস্যূলেটের দান-খয়রাত নিয়ে বানানো কাবুল স্টেডিয়াম। সিট খালি থাকা তো দুর অস্ত, গ্যালারীর স্ট্যান্ডগুলোও ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বিজ্ঞাপনের তক্তা ধরেও ঝুলেছে অনেকেই ! এরপরও পিলপিল করে আসছিল দর্শক। শেষ পর্যন্ত, টিভিতে লাইভ টেলিকাষ্ট করে কয়েকবার স্টেডিয়ামে যেতে মানা করার পর ক্ষান্তি দেন আফগান ক্রিকেটপ্রেমীরা। আরও মজার বিষয়, ক্রিকেট নিয়ে কিছু গানও রচনা করা হয়েছে। আইপিএলের মতো গ্লামার সবর্স্ব নয়, নিখাদ ক্রিকেটিয় অনুভূতিতে ভর্তি সেসব গানের চরণ।

আফগানিস্তানের দক্ষিনাঞ্চলে একেবারে দুর্গম অঞ্চলের শহর মারজাহ। সেখানকার গল্পটা আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে আগেই শুনেছে সিদ্ধার্থ। মারজাহ’তে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা খুব দুরহূ ব্যাপার। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য এটা কোন ব্যাপারই না। অঞ্চলটির কচি-কাঁচাদের কাছে, লম্বা কেশের পেসার শাপুর জাদরান এবং গতিমানব হামিদ হাসান রীতিমতো কমিক বইয়ের হিরো ! তারা সবাই এ দুই পেসার সমন্ধে খোলনলচে জানতে আগ্রহী। স্থানীয় একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়ে কমিক বই প্রকাশের পর থেকে এ পরিবর্তন।





(কমিক বইয়ে শাপুর জাদরান : ছবি - ক্রিকেট মান্থলি)



সিদ্ধার্থ বুঝতে পারে, আফগানিস্তানের উন্নয়নে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো- ড্রাগ এবং সন্ত্রাস। ক্রিকেট দিয়ে যে এ ক্ষত সারানো সম্ভব এবং আফগানরা যে ধীরে ধীরে সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে, তা বুঝে নিতে সময় লাগেনা সিদ্ধার্থের। জালালাবাদ যাওয়ার আগে শাহজাদা মাসুদ অনেকটা নাছোড়বান্দার মতোই তাকে এ ব্যাপারে একটা ধারণা দেন,‘গোটা দেশটাই এখন ক্রিকেটে আচ্ছন্ন। এই একটি মাত্র খেলা, যা ছায়াতলে আজ সবাই একতাবদ্ধ। আফগানিস্তান উপজাতিতে ভর্তি। সোভিয়েত আগ্রাসন, জিহাদি এবং তালেবান শাসনামলে সবাই একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জাতিগত দাঙ্গা এখানে একেবারেই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু ক্রিকেট দিয়ে গোটা আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব। এ কারণে জাতীয় দল জিতলে দেশের সব ধরণের জাতিগোষ্ঠি একত্রে উত্সব করে। ক্রিকেটই সবাইকে একসুত্রে গেঁথেছে।’

২০০১ সালে তালেবান শাসনের পতন ঘটার আগে আফগানদের অনেকেই পাকিস্তানের শরনার্থী শিবির থেকে দেশে ফিরে আসে। তখন মোহাম্মদ নবীর মতো আরও কিছু ক্রিকেটার সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে আসতেন। কিন্তু চারপাশের ভগ্নদশা দেখে খোদ জন্মভূমিই তাদের কাছে হয়ে ওঠে অপ্রিয়। নবীর ভাষায়,‘যুদ্ধে সবকিছুই ধংস্ব হয়ে যায়। রাস্তাঘাট থেকে বাড়িঘর-কোনকিছুই টিকে থাকেনি। তখন মনে হতো পেশোয়ারেই আমরা সুখে আছি। কারণ ওখানে শান্তি আছে, স্বাধীনতা আছে এবং অতি অবশ্যই ক্রিকেট খেলার পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আফগানিস্তানে কয়েকদিন থাকার পর পেশোয়ারে আর ফিরে যেতে ইচ্ছা হয়নি। তখন বুঝতে পেরেছি, জন্মভূমির টান কি জিনিস ! ২০০২ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যাই। এরপর থেকে একটি ম্যাচেও আমি বসে থাকিনি।’

সিদ্ধার্থ ভেবে দেখে, ক্রিকেটের সঙ্গে শাহজাদা মাসুদের জড়িয়ে পড়া একেবারেই কাকতালীয় ব্যাপার। আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের উপদেষ্টা ছিলেন মাসুদ। ২০০১ সালে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পর ক্রিকেট দল গঠনের প্রস্তাব পান তিনি। অথচ, খেলাটি সমন্ধে মাসুদ তখন ক অক্ষর গোমাংস ! বোঝা তো দুরের কথা, কিছুই জানতেন না। একবার ব্রিটিশ সাংবাদিকের কাছে মাসুদ খুব আশা নিয়ে বলেছিলেন, তার দেশ একদিন বিশ্বকাপে খেলবে। সে কথা শুনে সাংবাদিকটি হো হো করে হেসে দেন। ক্রিকেট নিয়ে শাহজাদা মাসুদের আড়মোড়া ভাঙ্গার জন্য ওই হাসিটুকু ছিল যথেষ্ট। এখন টেস্ট ক্রিকেটই তার কাছে সবচেয়ে উপাদেয়। আফগানিস্তানে অ্যান্ডি মোলসের আগমনের পটভূৃমিও মনে পড়ে সিদ্ধার্থের-ওয়ারউইকশায়ায়ের এ সাবেক ব্যাটসম্যান কেপটাউনের গোছালো জীবন ছেড়ে চলে আসেন এ যুদ্ধবিধ্বস্ত উষর মরুভূমির দেশে। তার ভাই ব্রিটেনের অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটে কাজ করেন। সহোদরের বিরোধিতা এবং ব্রিটিশ সরকারের হাজারো যুক্তিকে পায়ে ঠেলে আফগানিস্তানকে নতুন ঠিকানা করে নেন মোলস। এদেশে পা রাখার আগে কেপটাউনে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ক্রিকেট দীক্ষা দিতেন এ কিউই। সে অভিজ্ঞতা থেকে মোলস বুঝতে পারেন, কেপটাউনের সেই শিশুদের তুলনায় আফগানদের জীবন আরও দুর্বিষহ। অসম্ভব কষ্টসহিঞ্চুতা এবং জীবনের প্রতি খিদে না থাকলে এখানে বেঁচে থাকাই দায় ! ‘জাতীয় দলে এমন বেশকিছু খেলোয়াড় আছেন, যাদের আত্নীয়-স্বজনদের বেশিরভাগকেই অপহরণের পর হত্যা করেছে তালেবান। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বেড়ে উঠেছে পাকিস্তানের শরণার্থী শিবিরে। সেখানে পর্যাপ্ত পানি এবং বিদ্যূত্ সুবিধা ছিলনা। শিক্ষার অভাবটাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এখান থেকে উঠে দাঁড়ানো কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয় ! প্রচন্ড প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও কিভাবে সুখ সুখে নিতে হয়, আফগানরা তা জানে। জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার আমাকে বলেছে, কিভাবে তার চোখের সামনে গোটা পরিবারকে মেরে ফেলে মার্কিনি ড্রোন। এসব অভিশাপময় স্মৃতি থেকে মুক্তির জন্য সবাই বেছে নিয়েছে ক্রিকেটকে’-সিদ্ধার্থকে এক ফাঁকে বলেছিলেন মোলস।











(ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার পর আফগানদের উৎসব । ছবি - ক্রিকেট মান্থলি)



তাহলে, আফগানরা কি শুধু একটা গোছালো জীবনের তাগিদেই ক্রিকেট খেলে -নিজেকেই প্রশ্ন করে সিদ্ধার্থ। জবাবটা তাকে আগেই দিয়ে রেখেছেন মোলস,‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারটা সবাই বোঝে। তারা আসলে যে অবস্থা থেকে শুরু করেছে, সেখান থেকে এ পথ পর্যন্ত পৌঁছানো বাকি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর পক্ষে বোধহয় শুধু স্বপ্নেই সম্ভব। ভুলে গেলে চলবে না, দেশটা একটা জীবিত যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতিদিনই খেলোয়াড়দের জীবন থাকে হুমকির মুখে। এ অবস্থায় তাদের জনসাধারণের মন জয় করে চলতে হয়। এটা মোটেও কোন সাধারণ জীবন-যাপন নয়।’

পাকিস্তানের শরণার্থী শিবিরে ক্রিকেট খেলা শিখতে পারা-আফগানদের কাছে গর্বের। এক্ষেত্রে দায়ী ভৌগলিক এবং সামাজিক নৈকট্য। পেশোয়ার এবং জালালাবাদকে বিচ্ছিন্ন করেছে শাসকরা। জনগন তো করেনি ? এ কারণে একই দেশভুক্ত হওয়ার পরও পেশোয়ার এবং করাচির মধ্যে সিদ্ধার্থ কোন মিল খুঁজে পায়না, যতটা পরিলক্ষিত হয় পেশোয়ার এবং জালালাবাদের মধ্যে।

শাহজাদা মাসুদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় একটা প্রশ্ন করেছিল সিদ্ধার্থ-‘আফগানিস্তানের এ দলটাকে আপনার কখনো ভাড়াটে বলে মনে হয়নি’ ? জবাবে আফগান ক্রিকেটের এ মাথা যা বলেছিলেন, তা অনেক তারকা ক্রিকেটারে দেশপ্রেমের ক্লাসে অবশ্যপাঠ্য ,‘আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার সময় তাদের কাছে আফগান পাসপোর্টটাই থাকে। সবাই জানে তাদের বাবা-মা আফগানিস্তান ছেড়েছিল তাদেরই ভালোর জন্য। বাবা মায়ের এ ত্যাগটা খুব বেশি অনুভব করে ক্রিকেটারেরা। যুদ্ধে নিহতের পরিমান প্রায় ১৫ লাখ। এ সংখ্যাটা তাদের দেশপ্রেমের জন্য যথেষ্ট।’

মোহাম্মদ নবীদের পরবর্তি প্রজন্ম নিয়ে দেশপ্রেমের প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই। সবাই আফগানিস্তানেই বেড়ে উঠেছে। ফরিদ আহমেদ তাদেরই একজন। গত জানুয়ারীতে পাকিস্তানের অনুর্দ্ধ-১৯ দলের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে একাই ছিঁড়েখুড়ে দেন এ পেসার। নয়মাস পর তার ডাক পড়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পে। নবীদের সঙ্গে তার অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জল। ফরিদের বাবা জালালাবাদেরই নিকটবর্তী একটি এলাকায় বসবাস করেন। তথ্যটা জানার পর সিদ্ধার্থের আগ্রহ দেখে সাইদ রহমান ফরিদের বাবাকে ডাকার ব্যবস্থা করেন। সম্পুর্ণ বিনা নোটিশে ফরিদের বাবা অতিথি আপ্যায়নের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, তা ভুলতে সময় লাগবে সিদ্ধার্থের। সে নিরামিষাশী-কথাটা জানার পর একেবারে ভোজবাজির মতো টেবিলে খাবারের মেন্যূ পাল্টে যায়। ফিরে আসার সময় সিদ্ধার্থের হাতে নিজের বন্দুকটা তুলে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন ফরিদের বাবা-‘আফগানিস্তানে থাকতে হলে এটার প্রয়োজন আছে।’

-অতিথিসেবার যে দৃষ্টান্তস্থাপন করেছেন, তারপর এটার দরকার কি ?

-আফগানদের অতিথিসেবার অর্ধেকও আপনার কপালে জোটেনি। এক কাজ করুন, আমাদের গ্রামে আজকের রাতটা থেকে যান। তাহলে বুঝতে পারবেন।

ফরিদের বাবাকে সবাই ডাকে ‘মালিক কাকা’। ছেলে ঝাঁপ দেয়ার পরই ক্রিকেটপাড়ে বাবার আর্বিভাব। এখন দুজনেই হাবুডুবু খাচ্ছেন । একজন খেলোয়াড় হিসেবে, আরেকজন মজা লুটছেন তার ভক্ত হয়ে। ফরিদ যে ম্যাচে ৭ উইকেট পায়, মোবাইলে তার ভিডিও সিদ্ধার্থকে দেখান মালিক কাকা। তার দেখার ফাঁকে মালিক কাকা বলে চলেন,‘সাতটি আউটের মধ্যে পাঁচটি উইকেটের পেছনে। বাকি দুটি এলবি এবং বোল্ড। ব্যাটসম্যানেরা কোন ভুল করেনি।’

সিদ্ধার্থ আড়চোখে খেয়াল করে, কথাগুলো বলার সময় মালিক কাকার চোখের ভাষা পাল্টে যায়। ‌প্রশান্তি !







তথ্যসুত্র ঃ দ্য ক্রিকেট মান্থলি অবলম্বনে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার পাঠানো লিংকটা বুক মার্ক করে রেখেছি কিন্তু পড়ি নাই। অপেক্ষায় ছিলাম আপনার পরবর্তী পর্বের। আজ পেলাম এবং পড়ে অভিভূত ও অবাক হলাম। আফগানদের মধ্যে ক্রিকেটের উত্থান রীতিমত একটা যুদ্ধ জয়ের মতো। বিশ্ব ক্রিকেট বরং আফগানদের ক্রিকেট নিয়ে গর্ববোধ করতে পারে। কারণ এই খেলার কারণে একটা পুরো জাতি দাঙ্গা ভুলে উত্তেজনা আর উল্লাসে মেতে উঠে। অনেক সুন্দর করে লিখে যাচ্ছেন আপনার এই ধারাবাহিক। আমি খুব উপভোগ করছি নাছির। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

নাছির84 বলেছেন: পাঠকের উপভোগই লেখকের সার্থকতা। আর কিছু নাইবা বললাম......

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

সোহেল মাহমুদ বলেছেন:

সুন্দর পোস্ট।

আফগানদের ক্রিকেট যুদ্ধে জয়ী হবার শুভকামনা করছি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

নাছির84 বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.