নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

২ হাজার থেকে ১.৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

স্পেন্সার গোরে ছিলেন ‘একের ভেতর দুই’— ক্রিকেটার ও টেনিস খেলোয়াড়। সারে কাউন্টি ক্লাবের হয়ে ক্রিকেটে তেমন সুনাম অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু উইম্বলডনের ইতিহাসে তিনি অমর। মাত্র এক গিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে উইম্বলডনের প্রথম আসরে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেন এ ব্রিটিশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী উইলিয়াম মার্শালকে হারাতে সময় নেন মাত্র ৫০ মিনিট! ট্রফি হাতে বিজয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্পেন্সার গোরের করা উক্তিটি আজো টেনিসভক্তদের হাস্যরসের খোরাক জোগায়, ‘লন টেনিস বেশ বিরক্তিকর খেলা। এটাকে এত পছন্দ করার কিছু নেই!’

১৩৮ বছর পর স্পেন্সার গোরের এ উক্তি টেনিসের মান-মর্যাদা বিচারে সত্যিই হাস্যকর। টেনিস যদি হয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলোর একটি, তাহলে সে খেলাটিতে উইম্বলডনই অবিসংবাদিত শিরোমণি। এ গ্রহের প্রাচীনতম টেনিস টুর্নামেন্ট বলে কথা! ’৬৮তে ‘ওপেন যুগ’ শুরু হওয়ার পর সর্বপ্রথম প্রাইজমানির প্রচলন ঘটে ফ্রেঞ্চ ওপেনে। উইম্বলডন এ তালিকায় দ্বিতীয়। কিন্তু মর্যাদা বিচারে বাকি তিনটি গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট এর ধারেকাছেও নেই। ওপেন যুগ শুরুর বছর উইম্বলডনে ছেলেদের একক ইভেন্টে ট্রফি জিতে নেন রড লেভার। প্রাইজমানির অঙ্কটা ছিল বর্তমান যুগ বিচারে একেবারেই হাস্যকর— মাত্র ২ হাজার পাউন্ড! সেবার মেয়েদের এককে ট্রফি জেতেন বিলি জিন কিং। প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছিলেন মাত্র ৭৫০ পাউন্ড!

৪৭ বছর পরের কথা। মঙ্গলবার উইম্বলডনের আয়োজকরা ঘোষণা করেন, ‘আবারো বাড়ানো হবে উইম্বলডনের প্রাইজমানি।’ জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া এবারের উইম্বলডন একক ইভেন্টের বিজয়ীরা প্রাইজমানি হিসেবে পাবেন ১.৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড। অর্থাৎ ১ গিনি থেকে ২ হাজার পাউন্ডের ধাপ পেরিয়ে উইম্বলডনের প্রাইজমানি এখন ১৮ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড! স্পেন্সার গোরে বেঁচে থাকলে এখন নিশ্চয়ই টেনিসে তার অরুচি ধরত না!

পেশাদার টেনিসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রাইজমানি প্রসঙ্গে আয়োজকদের যুক্তি, ‘উইম্বলডন সন্দেহাতীতভাবে টেনিসের সেরা আসর। এখানে সেরা খেলোয়াড়রাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। বাকি তিনটি গ্র্যান্ডস্লামের প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে, যে কাজটা আমরা দুই বছর আগেই শুরু করেছি। অতএব, উইম্বলডনকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া দরকার, যেখানে অন্য কোনো আসরের তুলনা চলে না।’

গত বছর উইম্বলডনের মোট প্রাইজমানি ছিল ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড। এবার তা ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করায় অঙ্কটা ২৬.৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড। অথচ চার বছর আগেও মোট প্রাইজমানি ছিল এবারের তুলনায় প্রায় অর্ধেকের ঘরে— ১৪.৬ মিলিয়ন পাউন্ড। ইউএস ওপেনের গত আসরে মোট ২৫.১ মিলিয়ন পাউন্ড দেয়া হয় প্রাইজমানি হিসেবে। এবার নিশ্চিতভাবেই ইউএস ওপেনকে টেক্কা দেবে উইম্বলডন। তবে মজাটা অন্য জায়গায়, উইম্বলডনের গত আসরে একজন প্রতিযোগী প্রথম রাউন্ডে হেরেও প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছেন ২৭ হাজার পাউন্ড। কিন্তু এবার প্রাইজমানির অঙ্ক ৭ শতাংশ পরিমাণ বাড়ানোয় প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়া প্রতিযোগী আরো ২ হাজার পাউন্ড বেশি পাবেন!

পাঁচ বছর আগে ফিরে গেলে প্রাইজমানির তারতম্যটা ধরা পড়ে মোটা দাগে— ২০১০ সালে একক ইভেন্টের প্রথম রাউন্ডে হেরে একজন প্রতিযোগী প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫০ পাউন্ড। সেই একই মঞ্চে এবার একজন প্রতিযোগী হেরে গেলেও প্রাইজমানি হিসেবে পাবেন ২৯ হাজার পাউন্ড! সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে উইম্বলডনে প্রাইজমানি বৃদ্ধির হার ১৫২ শতাংশ! তাও ভালো যে, উইম্বলডনে ছেলে-মেয়ের কোনো তফাৎ নেই। ২০০৭ সাল থেকে আসরটিতে ছেলে ও মেয়েদের ইভেন্টে প্রাইজমানির অঙ্ক সমান।

শুধু একক ইভেন্টেই নয়, ডাবলসেও বাড়ানো হয়েছে প্রাইজমানির অঙ্ক। ছেলে ও মেয়েদের ইভেন্টে ডাবলস বিজয়ীরা প্রত্যেকে পাবেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ পাউন্ড। গতবারের তুলনায় এবার ডাবলসে প্রাইজমানি বৃদ্ধির পরিমাণ ১৫ হাজার পাউন্ড। মিশ্র দ্বৈতে ৪ শতাংশ পরিমাণ প্রাইজমানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার এ ইভেন্টের বিজয়ীরা প্রত্যেকে পাবেন ১ লাখ পাউন্ড। আগামী ২৯ জুন শুরু হবে এবারের উইম্বলডন আসর।

এমন নয় যে, এবারই প্রথমবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে উইম্বলডনের প্রাইজমানি। প্রক্রিয়াটা প্রথম শুরু হয় ২০১১ সালে। তার পর প্রতি বছরই বাড়ানো হচ্ছে প্রাইজমানি। যদিও বৃদ্ধির হারটা বেশ মন্থর। যেমন ধরুন, ২০১৩ সালে প্রাইজমানি বাড়ানো হয় ৪০ শতাংশ পরিমান। সেখান থেকে ১০.৮ শতাংশ পরিমাণ বাড়ানো হয় তার পরের বছর। আর এবার প্রাইজমানি বেড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ পরিমাণ। কিন্তু তার পরও মান-মর্যাদা তো বটেই, এমনকি প্রাইজমানির দিক থেকেও উইম্বলডন টেনিসের শীর্ষ আসর। কিছুদিন আগে ফ্রেঞ্চ ওপেনে ১২ শতাংশ পরিমাণ প্রাইজমানি বাড়িয়ে ২৯.৬১ মিলিয়ন ডলার করা হয়। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রাইজমানি দেয়া হয় মোট ৩২ মিলিয়ন ডলার। ইউএস ওপেনের গত আসরে প্রাইজমানির অঙ্ক ছিল ৩৮ মিলিয়ন ডলার। মাত্র ৭ শতাংশ পরিমাণ বাড়ানো হলেও এবারের উইম্বলডনে মোট প্রাইজমানির অঙ্ক দাঁড়াবে ৪০.৬ মিলিয়ন ডলার!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার অন্যান্য লেখার চেয়ে এটা নীরস লাগলো :-< |-)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নাছির84 বলেছেন: সত্য বলার জন্য এন্তার ধন্যবাদ ভাইয়া। এ লেখাটা আসলে দৈনিক বণিক বার্তার ক্রীড়া পাতায় ছাপা হয়েছে গতকাল। সংরক্ষন করে রাখার তাগিদে ব্লগে ছেড়েছি। সব লেখা আসলে ভালভাবে লেখা যায়না। এটা লেখকের অদক্ষতা। তবে মজার ব্যাপার হলো, অদক্ষতা থাকে বলেই মানুষ দক্ষ হওয়ার তাগিদ অনুভব করে। আমি এখনো সেই পথে হেঁটে চলছি নিরন্তর...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.