নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়ে রোনালদো, পারিশ্রমিকে ম্যানসিটি

০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

কে সেরা— মেসি নাকি রোনালদো? শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে বিতর্কটা এখন মহীরুহ। শুধু মাঠের পারফরম্যান্সের তুলনায়ই ক্ষান্ত হন না ভক্তরা। মাঠের বাইরের ব্যক্তিত্ব, সামাজিক যোগাযোগ, এমনকি আয়ের অঙ্কেও জমজমাট দুজনের দ্বৈরথ। এ দুই তারকার মাঠের পারফরম্যান্সটা তো কারো অজানা নয়। কিন্তু তাদের আয়ের খাতগুলো ভক্তদের অজানা। স্ব-প্রণোদিতভাবে বছরের পর বছর ধরে এ কাজটা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস সাময়িকী ফোর্বস। তাদের বার্ষিক জরিপে মাল্টি মিলিয়ন ডলারের এ দ্বৈরথে মেসিকে গতবারের মতো এবারো বেশ সহজে টেক্কা দিয়েছেন রোনালদো।


পারিশ্রমিক, বোনাস ও বিভিন্ন এনডোর্সমেন্ট চুক্তি মিলিয়ে গত বছর মোট ৭৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেন রোনালদো। ফুটবলারদের মধ্যে তার আয় সর্বোচ্চ। তবে অন্য খেলাধুলা মিলিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলিটের তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকারের অবস্থান দ্বিতীয়। গত বছর ১০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকাটির শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন মার্কিন বক্সার ফ্লয়েড মেওয়েদার। বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলিটের তালিকায় মেসি চতুর্থ। কিন্তু শীর্ষ আয়কারী ফুটবলারের মধ্যে তার অবস্থান দ্বিতীয়। গত বছর মোট ৭০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন মেসি।

গত বছর শুধু এনডোর্সমেন্ট থেকেই ২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেন রোনালদো। ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদের স্পন্সর চুক্তি, ‘সিআরসেভেন’ স্বাক্ষরিত আন্ডারগার্মেন্ট ও জার্সি বিক্রি থেকে এ বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেছেন পর্তুগিজ এ স্ট্রাইকার। বলে রাখা ভালো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলিটের মধ্যে রোনালদোর ধারে-কাছেও কেউ নেই। ফেসবুকে তার ভক্তসংখ্যা ১০২ মিলিয়ন! টুইটারে অনুসারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়— ৩৫ মিলিয়ন। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চালানো এক জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হলো ফুটবল। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় বিশ্বব্যাপী খেলাটির ভক্ত সংখ্যা সাড়ে ৩ বিলিয়ন। এর মধ্যে রোনালদো সেরা হলে দ্বিতীয় ব্যক্তিটির নাম নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন— তিনি লিওনেল মেসি। শুধু ফেসবুকেই তার অনুসারী সংখ্যা ৫৭ মিলিয়ন। টুইটারে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারটির।

২০১৩ সালে রোনালদোকে দুম করে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়ে পরিণত করে রিয়াল মাদ্রিদ। এর পরই টনক নড়ে মেসির। বেতন-বোনাস বাড়ানোর চাপ দেন বার্সাকে। গত মে মাসে তার জবাবে সপ্তমবারের মতো মেসির চুক্তি নবায়ন করে বার্সা, সেখানে পূর্বের থেকে ৯ মিলিয়ন ডলার বেতন বাড়ানো হয় মেসির। রোনালদো গত বছর শুধু পারিশ্রমিক বাবদই আয় করেন ৫২ মিলিয়ন ডলার। ৪১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে ফুটবলারের এ তালিকায় মেসি দ্বিতীয়। জার্মান ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সঙ্গে তার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাডিডাসের এক মুখপত্র ফোর্বসকে জানান, গত বছর শুধু নিজের নামাঙ্কিত ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রি বাবদ অ্যাডিডাসের থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন মেসি।

বিশ্বের শীর্ষ আয়কারী ফুটবলারের তালিকায় তৃতীয় ব্যক্তিটি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। গত বছর সব মিলিয়ে ৪১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেন এ সুইডিশ স্ট্রাইকার। এর মধ্যে এনডোর্সমেন্ট বাবদ তার আয় ৬ মিলিয়ন ডলার। বেতন-বোনাস মিলিয়ে বাকি অর্থ আয় করেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের এ স্ট্রাইকার। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার জন্য আবেদন করেন ইব্রা। ভিসা পেয়ে গেলে সম্ভবত মেজর সকার লিগে নাম লেখাবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এ লিগে বর্তমানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রিকার্ডো কাকা।

খেলাধুলায় বিশ্বের পেশাদার ক্লাবগুলোর মধ্যে খেলোয়াড়দের গড়ে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। ‘স্পোর্টসইন্টেলিজেন্স’-এর জরিপের বরাত দিয়ে ফোর্বস জানায়, খেলোয়াড়দের গড়ে ৮ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার করে পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। শীর্ষ আয়কারী কুড়িজন ফুটবলারের তালিকায় সিটির খেলোয়াড় মোট চারজন। এক্ষেত্রে আর কোনো ক্লাবই ‘সিটিজেন’দের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। গত বছর ২৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকাটিতে নবম ও সিটির প্রতিনিধি হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সের্জিও আগুয়েরো।

বেতনের অঙ্ক বিবেচনায় এবারো শীর্ষস্থান দখল করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর আসরটির কুড়িটি ক্লাব মিলে খেলোয়াড়দের গড়ে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক দিয়েছে। এ কারণে শীর্ষ আয়কারী ফুটবলারের তালিকায় সিংহভাগই ইংলিশ লিগের খেলোয়াড়। এদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার র্যাদামেল ফ্যালকাও। গত বছর মোট ৩১ মিলিয়ন ডলার আয় করেন তিনি। এর মধ্যে বেতন-বোনাস মিলিয়ে তার আয় ২৭ মিলিয়ন ডলার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শীর্ষ আয়কারী ফুটবলারের তালিকায় ফ্যালকাওয়ের পরই ওয়েন রুনির অবস্থান। গত বছর মোট ২৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেন তিনি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

এন জে শাওন বলেছেন: আমরা অনেকটা ভাগ্যবান যে মেসি-রোনালদো এর এই ফুটবল প্রতিযোগীতা দেখতে পাচ্ছি।

০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নাছির84 বলেছেন: দুঃখিত। আমরা এক অর্থে দুর্ভাগা। যদিও এটা আমার নিজস্ব মতামত। মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ আকর্ষনীয়- এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আশি-নব্বুইয়ের দশকের ফুটবলে মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা এখনকার থেকে বেশি ছিল।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

২| ০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব টাকার অংক শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যায়!

০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নাছির84 বলেছেন: বাস্কেটবল-রাগবি কিংবা বক্সিং দেখেন। ওখানে আরও বেশি টাকা। আশা করি লস্ট মাথা ঠিক হয়ে যাবে ! শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.