নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খেলতেপড়তেদেখতেশুনতেগুনতে ভালোবাসি

নাছির84

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

নাছির84 › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতার জালে রোনালদোর গোল

১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ফুটবলই তার প্রথম ভালোবাসা। হূদয়ের আবেগটাও অসীম। হেয়ার স্টাইলের প্রতি দুর্বল। গত বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে তার অদ্ভুতুড়ে হেয়ার স্টাইল এখনো অনেকের মনে সজীব। দু’পাশ পাতলা করে ছাঁটা। মাথার মাঝখান বরাবর চুল। ডানদিকে পাতলা চুলের জমিনের মাঝে আবার আঁকা-বাঁকা রেখা। প্রথম দৃষ্টিতে যে কারোরই দেখে মনে হবে কাটা দাগ! আলোচিত সে হেয়ার স্টাইলের পেছনের গল্পটা ছিল এ রকম— সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে এরিক অরট্রিজ নামে এক স্প্যানিশ শিশুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের খরচটা দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৫০ হাজার ইউরো। সার্জারির পর শিশুটির মাথায় স্থায়ীভাবে দাগ পড়ে যায়। তার ছাপ পড়ে রোনালদোর মনে। সহানুভূতি ও ভালোবাসা থেকে সেই দাগ চুলের ছাঁটে অনূদিত করেন রোনালদো। অথচ নিন্দুকেরা তাকে প্রচণ্ড অহঙ্কারী ঠাওরে থাকেন! হয়তো রোনালদোর এমন উক্তির কারণে— ‘আমি ধনী, সুপুরুষ ও গ্রেট খেলোয়াড়। এজন্য লোকে আমাকে ঈর্ষা করে।’

ধনী, সুপুরুষ ও গ্রেট খেলোয়াড়— এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন চলে না। কিন্তু মাত্র তিনটি শব্দে রোনালদোকে ধারণ করা যায় না। তার মনের নিরেট অহমিকার খোলসে লুকায়িত বিশ্বের আপামর জনসাধারণের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা। নেপালে ভূমিকম্প পীড়িত জনসাধারণের কল্যাণে ৫০ লাখ পাউন্ড দান করে কথাটা আবারো প্রমাণ করলেন পর্তুগিজ সেনসেশন।

ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ‘সো ফুট’ জানায়, গত মাসে নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর কাছে ৫০ লাখ পাউন্ড হস্তান্তর করেন রোনালদো। শুধু নিজে সাহায্য করেই দায়িত্ব সারেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে প্রচারণা চালান তিনি। ফেসবুকে প্রায় ১ কোটি অনুসারীকে নেপালে ভূমিকম্প পীড়িত লোকজনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা পাঠান বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী এ ফুটবলার। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘সেভ দ্য চিলড্রেনের রিলিফ কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নেপালে ভূমিকম্প পীড়িত শিশুদের পাশে দাঁড়ান।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি রোনালদোর সহমর্মিতা জ্ঞাপনের অভ্যাসটি বেশ পুরনো। ২০০৪ সালে ভারত সাগরে ভূমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে ইন্দোনেশিয়ায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশটির প্রদেশ বান্দা আচেহ। গণমাধ্যমের বরাতে তখন সবার নজর কেড়ে নিয়েছিল ‘মার্তুনিস’ নামে আট বছরের এক কিশোর। সুনামি আঘাত হানার ২১ দিন পর সৈকতে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন ত্রাণকর্মীরা। এ সময় তার পরনে ছিল পর্তুগালের ১০ নম্বর জার্সি। মার্তুনিস সুস্থ হয়ে ওঠার পর জানা যায়, চারদিকে থইথই পানির মধ্যে টানা ২১ দিন সে একটি গাছে চড়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছে। যমের দুয়ার থেকে এভাবে ফিরে আসায় মার্তুনিস হয়ে ওঠে সুনামির আঘাত থেকে ইন্দোনেশিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক— ‘সুনামি বয়’। সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে পর্তুগিজ গণমাধ্যম লুফে নেয় মার্তুনিসকে। পর্তুগাল থেকে উড়ে আসেন রোনালদো-কস্তারা। মার্তুনিসকে নিজের ‘দত্তক নেয়া সন্তান’ বলে অভিহিত করেন রোনালদো। কিন্তু শুধু মুখে বলেই ক্ষান্ত হননি। বান্দা আচেহ প্রদেশে মার্তুনিস ও তার পরিবারকে নতুন করে বাড়ি-ঘর তৈরিতে আর্থিক সাহায্য করেন তিনি। ঘটনাটির পাঁচ মাস পর মার্তুনিস ও তার বাবাকে পর্তুগালে উড়িয়ে এনে জাতীয় দলের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রোনালদো। ভবিষ্যতের পথকে সুগম করতে মার্তুনিসের হাতে তুলে দেন পর্তুগাল জাতীয় দলের সবার ফোন নম্বর-সংবলিত একটি সেলফোন। এর পর থেকে দুজনের যোগাযোগে কখনই ভাটা পড়েনি। দত্তক নেয়া সন্তানটির খোঁজখবর নিতে মাঝে মধ্যেই বান্দা আচেহ প্রদেশে যান রোনালদো। এমন পিতা পেলে তার পথ অনুসরণ করবে না কে? সেদিনের সেই আট বছর বয়সী মার্তুনিস এখন তাই ইন্দোনেশিয়ার সুপার লিগের ক্লাব পিএসএপি সিগলির ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: একজন বার্সা ফ্যান এর তরফ থেকে শ্রদ্ধা রইলো।

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২০

নাছির84 বলেছেন: আপনার শ্রদ্ধা আমি পৌঁছে দেব কিভাবে ?

নতুন গল্প চাই ভাইয়া....। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

২| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: নতুন গল্প তো লিখলাম কয়েকদিন আগেই। আপনি পড়েন না/। /:)

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

নাছির84 বলেছেন: দুঃখিত ভাইয়া। বেশকিছুদিন হলো আপনার ব্লগে যাইনি। আজ গিয়ে সর্বশেষ পোস্টে নজর পড়েনি। কাল পড়বো। ধন্যবাদ জবাব দেয়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

৩| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এইসব দেখলে ভাল লাগে। বড় মনের মানুষের খুব অভাব আজকাল।

১২ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

নাছির84 বলেছেন: বহুদিন পরে...দেখিলেম 'তারে' ?
প্রিয় প্রফেসর...বলতে পারেন এই ভদ্রলোকটি কে ?

কেন জানি মনে হয়.....তারকাদের এসব বাজার ধরে রাখার চালিয়াতি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি ভুল প্রমানিত হতে চাই।


৪| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমারও একই কথা। অবশ্য, যদি চালিয়াতি করেও কয়েকজন মানুষ উপকৃত হয়, তাহলেও খারাপ কি! চিন্তা করুন, আমরা মানুষকে দেখানোর জন্যে হলেও যদি আরেকজনকে সাহায্য করতাম- তাহলে কত শত কোটি মানুষের জীবন পাল্টে যেত।

১৩ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

নাছির84 বলেছেন: আপনার কথার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি। যদিও বিরুদ্ধচারীরা বলবে----'উনা'রা তো বাকিদের আদর্শ ? তারা স্রেফ দেখানোর জন্য উপকার করলে মানুষ শিখবে কি ? কিন্তু এটা কেউ এটা চিন্তা করবে না, সমাজের সাইনবোর্ড সবর্স্ব উপকারির সংখ্যাও দিন দিন কমতে শুরু করেছে !
উল্টো পথে চলাই আমাদের স্বভাব। উল্টো ভাবনাতেই যত সুখ। নাকি অসুখ ?

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট বেলা আমি খুব ভালো ফুটবল খেলতাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

নাছির84 বলেছেন: আমি্ও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.